সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নারীর প্রতি কথিত সহিংসতা রোধে রাস্তাঘাটে তরুণ তরুণীদের নাচিয়ে ফ্ল্যাশমব! আসলে উদ্দেশ্য কি?

বাংলাদেশে নারীর প্রতি কথিত সহিংসতা রোধে ১৬দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নারীঘটিত অপরাধের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদীসংঘ (জাতিসংঘ)। তাদের কার্যক্রমগুলোও যে খুব বেশি ফলপ্রসূ তাও নয়। যতোসব উদ্ভট কর্মকা- ঘটিয়ে যাচ্ছে নারী সহিংসতা রোধের নামে। অথচ এসব সমস্যা তাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি। তাদেরই পরিসংখ্যান মতে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও না কোথাও প্রতি ৯০ সেকেন্ডে একজন নারী সহিংসতার শিকার হয়।’ (তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ক্রাইম ভিক্টিমাইজেশন সার্ভে ২০১২ ঈসায়ী, বিচারবিভাগ, যুক্তরাষ্ট্র) এছাড়াও ‘যুক্তরাষ্ট্রে ২২ হাজার মিলিয়নেরও বেশি নারী জীবনে একবার হলেও সম্ভ্রমহরণের শিকার হয়েছে।’ তাদের পরিসংখ্যানে আরো প্রকাশ হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজনে একজন নারী তাদের জীবদ্দশায় একবার সম্ভ্রমহরণের শিকার হয়।’ (তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ইন্টিমেট পার্টনার এন্ড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স সার্ভে ২০১০ ঈসায়ী) আমেরিকার সরকারি পরিসংখ্যানে সে দেশের নারী সহিংসতা, নারী ঘটিত কেলেঙ্কারীর যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে, তাতে জাতিসংঘকে বলতে হয়, এসব বিষয়ে বাংলাদেশে নাক না গলিয়ে বরং নিজের চরকায় তেল দেয়া উচিত। পয়সা না থাকলে বরং হা

গণতন্ত্রের তল্পিবাহক যুক্তরাষ্ট্রেই গণতন্ত্র নেই!

যে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নামক দুষ্ট যন্ত্রটির উদ্ভাবন হয়েছে এবং আজ অবধি যারা নিজেদের গণতন্ত্রের পাহারাদার বলে প্রচার করে, খোদ সেই দেশেই গণতন্ত্র নেই। অনেক দেরিতে হলেও এই চরম বাস্তবতাটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এক রিপোর্টে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্টিন গিলেনস ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বেঞ্জামিন আই পেইজ-এর গবেষণায় এটি বের হয়ে আসে। তারা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, সরকারের নীতি নির্ধারণে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশটি কিভাবে প্রভাব রাখছে বা সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সরকারকে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ধনী ও ক্ষমতাবানদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর সাধারণ জনগণ সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। সেখানে ধনী-গরিবে, নারী-পুরুষে, ধর্মে, বর্ণে, চাকরী-ব্যবসায়, বিচারব্যবস্থায় ইত্যাদি সর্বস্তরের মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হয়, নিপীড়নের শিকার হয়, অধিকার বঞ্চিত হয়, অবিচার-যুলুমের শিকার হয়। যেমন- মিসৌরী স্টেটের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও তার রায়কে কেন্দ্র করে এখনো দাঙ্গা চলছে। একটা লোকের রং কালো দেখে তার উপর এত নির্য

ধ্বংসের শেষ দিনের অপেক্ষায় বিশ্ব যালিম সন্ত্রাসবাদী যুক্তরাষ্ট্র

সন্ত্রাসবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক খোদায়ী গযবের পরাঘাতের ধারাবাহিকতায় এখন চলছে স্বরণকালের ভয়াবহ তুষারপাত। এমন কঠিন তুষারপাত হচ্ছে ইতিহাসে বিরল। দোতলা বাড়িগুলো পর্যন্ত তুষারের নিচে কবর হয়ে যাচ্ছে। আর দোতলা কবরের ভেতরের লোকগুলোর কি অবস্থা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক বাড়িঘরের ছাদ দিনের দিন বরফের ভার সহ্য করতে না পেরে ধসে পড়ছে। ধসে পড়া ছাদের নিচের লোকগুলোর কি অবস্থায় আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাস্তাঘাট বন্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন হয় না, ভারী তুষারপাতে এমনিতেই রাস্তা বন্ধ। তারপরও সরাকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে রাস্তা, যোগাযোগসহ সবধরণের সুবিধা সরবরাহে সরকারের অপারগতা প্রকাশ। রাস্তায় আটকে পড়া হাজার হাজার গাড়ি বরফের নিচে চাপা পড়েছে। এসব গাড়ির ভেতর থাকা যাত্রী-চালকদের কী অবস্থা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কয়েকটি স্টেট অচল হয়ে পড়েছে, জারি করা হয়েছে জরুরী অবস্থা। ইতঃপূর্বে বহু শহরকে তারাই ‘গোস্ট টাউন’ (ভূতুরে শহর) বলে ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ সেখানকার মানুষ মরে সব সাফ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দার চরম পর্যায়ে এসে আমেরিকার অধিবাসীদের পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, ইহুদীসংঘ (কথিত জাতিসংঘ)

প্রসঙ্গ: সোনালী ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ সদস্যের সপরিবারে পলায়ন!

সোনালী ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ সদস্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সুভাস চন্দ্র সিংহ রায় সপরিবার পলায়ন করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংককে লুটপাট করে ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এর সাথে জড়িত আছে একটি গোষ্ঠী, যারা এই ব্যাংক ধ্বংস হলে তহবিল তাদের ব্যাংকে যাবে এমন পরিকল্পনায় আছে। এ চক্রটির যোগসাজসেই হলমার্কের মতো একটি বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারী ঘটে। এই কেলেঙ্কারীতে অনেকের জেল হয়েছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের সাবেক পর্ষদের অন্যতম সদস্য সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়-এর নাম বহু মহল থেকে আসলেও হিন্দু হওয়ার কারণে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধুয়া তুলে, ভারতের ছত্রছায়ায় বিশেষ(!) ক্ষমতাবলে সে জেল জরিমানা থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এতকিছুর পরও তার সম্পর্কে তদন্তে কোনো সংস্থার আগ্রহ নেই। এমনকি বদনা চোর ধরে পেটানোর অভ্যাস পুলিশের থাকলেও এই পুকুর চোর সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এই সুভাস চন্দ্র সিংহ গং বাংলাদেশে থেকে পু

হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ওহাবী’ বলা প্রসঙ্গে দাঁতভাঙ্গা জবাব

চির জাহান্নামী হিন্দু মালউন, নাস্তিকসহ অনেকেই অজ্ঞতার দরুন হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ওহাবী’ বলে থাকে, উনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে; যদিও তাদের বিরোধিতায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ একজন হক্বানী ওলীআল্লাহ উনার দ্বারা শয়তান পূজারিদের (মুশরিক), কাফিরদের চক্রান্ত ধ্বংস হয়, হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও কাফির-মুশরিকদের চক্রান্ত ধ্বংস করে দিয়ে, কাফিরদের নিস্তানাবুদ করে দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই সকল হিন্দু মুশরিক, নাস্তিক, কাফিররা উনার বিরোধিতা করে। মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে উনাকে ‘ওহাবী’ (ওহাবী মতবাদের অনুসারী) বলে মিথ্যা তোহমত দেয়। নাউযুবিল্লাহ! ইতিহাস বিকৃত করা কাফির-মুশরিকদের চিরাচরিত বদস্বভাব। যেমন- কুখ্যাত ইতিহাস বিকৃতকারী ইসলামবিদ্বেষী ব্রিটিশ লেখক উইলিয়াম হান্টার তার ‘দ্যা ইন্ডিয়ান মুসলমান্স’ বইয়ে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার মুরীদ (অনুসারীদের) ওহাবী বলে তোহমত দিয়েছে। উনাকে নিয়ে অপপ্রচারকারী, মিথ্যা তোহমতকারীদের দাঁতভাঙ্গা কিছু জবাব এখানে দেয়া হলো- (১) প্রথমত বলতে হয়, ওহাবী মতবাদের জনক হচ্ছে ইবনে ওহাব নজদী। মুসলিম জাতির মধ

পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত ‘দাওয়াতে ইসলামী’ নামক সংগঠন এবং তাদের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন

অতিসুন্নী রেজাখানিদের একটি সংগঠনের নাম ‘দাওয়াতে ইসলামী’। তাদের সংগঠনের মূল ইয়িলাস আত্তার কাদেরী নামক এক পাকিস্তানী, যে কিনা পাকিস্তানে ‘মাদানী টিভি’ নামক একটি টিভি চালিয়ে থাকে। অনেক আগে কার্যক্রম শুরু করলেও বাংলাদেশে ২০১৩ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কিন্তু তা পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। অর্থাৎ যে দেশে আল-কায়েদা, তালেবানের মতো সন্ত্রাসবাদী দল প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালায়, সে দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে ‘দাওয়াতে ইসলামী’ নামক সংগঠনটি। এখানে তাদের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। সংগঠনটি সম্্রাজ্যবাদীদের কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কিনা এদিকেও তীক্ষè নজর রাখা জরুরী। কারণ সম্রাজ্যবাদীরা কৌশল হিসেবে পাকিস্তানে অনেক ধর্মভিত্তিক দল তৈরি করেছে এবং তৈরিকৃত অনেক দলকে প্রভাবিত করছে। এদের দ্বারা অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত তৈরি করেছে; উদ্দেশ্য পুরো পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করে রাখা। ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানরা নিজেরাই দল মত করে একে অপরকে গুলি করে, বোমা মেরে রক্তাক্ত ক

বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে লুটপাট করতেই যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতন্ত্র শক্তিশালী’ করার নামে আন্দোলনের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ঈ. তারিখ সন্ত্রাসবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশ প্রধান দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে আলোচনার বিষয় প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ‘গণতন্ত্র শক্তিশালী করার আহ্বান নিশার।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী (!) করার পরামর্শ দিয়েছে নিশা দেশাই। এখানে নিশা’র নির্দেশিত ‘গণতন্ত্র’ ও ‘শক্তিশালী’ দুটি বিষয়ই আলাদাভাবে কিছু ইঙ্গিত প্রকাশ করে। তবে সেই ‘ইঙ্গিত’ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জনগণের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে হলে দেখতে হবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের কী হাল হাক্বীক্বত? আমেরিকার গণতন্ত্রের সুরতহাল রিপোর্ট হচ্ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নেই, আছে গোষ্ঠীতন্ত্র।’ (যুগান্তর, ২০ এপ্রিল, ২০১৪ঈ., মূল প্রতিবেদন: বিবিসি)। বিবিসি নিউজে শিরোনাম ছিলো, `Study: US is an oligarchy, not a democracy' (১৭ এপ্রিল, ২০১৪ঈ.) অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কথিত গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই; কিন্তু তারাই

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতি বছর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আয়োজনের অন্তরালে কি ঘটছে?

গত ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ঈসায়ী তারিখে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয় পাঁচ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আসর। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে দেয় খোদ বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী-সংস্কৃতিমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের স্পন্সর পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও ব্র্যাক, ধর্মান্তরিত স্কয়ার। প্রচারের দায়িত্ব বিতর্কিত প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মাছরাঙা টিভির মতো চিহ্নিত বিদেশী মদদপুষ্ট মিডিয়া। আর অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো ভারত থেকে আসা একঝাঁক গায়ক-বাদক-নর্তকী। মূলত, এ অনুষ্ঠান শুধু উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন নয়, বরং বিদেশী এজেন্ট সম্মেলন বললেও ভুল হবে না। কারণ- এখানে নতুন সদস্য (ভারতীয় দালাল) রিক্রুট হবে, পুরাতন সদস্যদের আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতিমনা করতে বাংলাদেশীদের ব্রেইন ওয়াশ হবে, বাংলাদেশকে শোষণ করার নতুন কোনো পরিকল্পনা গৃহিত হবে। সর্বোপরি, এগুলো দেখে একসময় অভ্যস্থ হয়ে যাবে বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ। তখন তাদের ভারতীয় আগ্রাসন দেখে আর গা চুলকাবে না, সীমান্তে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ দেখে গা শিউরে উঠবে না, ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশে ঢুকে গেলে ম

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ৫ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত! ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন

১৯৯১ সালের পর প্রায়শই ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতের ঐতিহ্যবাহী কথক নাচের আয়োজন করা হতো। তখন বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলো মি. মহাপাত্র। কূটনীতিকের ছদ্মাবরণে সে ছিলো ইন্টেলিজেন্স ক্যাডারের কর্মকর্তা। সেইসব নাচের আয়োজনে মি. মহাপাত্র’র সুপ্রশিক্ষিত স্ত্রী থাকতো আসরের মধ্যমণি। এসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতো দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিরোধী দল এমনিক সরকারের বহু হোমরা-চোমরা মন্ত্রীদের। আপাত দৃষ্টিতে নাচ দেখার জন্য সেখানে দাওয়াত কবুল করতে কোনো মন্ত্রী আপত্তির কিছু দেখতো না। সরল বিশ্বাসে উপস্থিত হতো কথক নাচ দেখার জন্য। অথচ এই নাচ দেখার ফাঁকে ফাঁকে বা আপ্যায়নের সময় মি. মহাপাত্রসহ বিভিন্ন ছদ্মাবরণে থাকা ‘র’ অপারেটিভরা মন্ত্রী, এমপিদের কাছ থেকে আলাপছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন বের করে নিতো; তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গেও ভারতের অনুকূলে আদায় করে নিতো অনেক সুবিধা। এভাবে অনেককাল অতিবাহিত হওয়ার পর বিষয়টা একসময় বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নজরে আসে। একপর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের সদস্যদের যোগদান বন্ধ হয়ে যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ কিন্তু বর্তমান শিক্ষা পরিবেশ জাতির জন্য লজ্জাজনক

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামেও খ্যাত। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ঈ. জাপানের প্রধানমন্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসে দেখার জন্য। এখান থেকে সাফল্য অর্জন করে অনেক শিক্ষার্থী দেশে ও বহির্বিশ্বে কর্মস্থলে সাফল্যতার নজির স্থাপন করে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করেছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, অনেকে বিচারকও হয়েছে। ভবিষ্যতেও দেশ পরিচালনায় ঢাবির ভূমিকা থাকবে বলে জাতির আশা পোষণ করে। বলাবাহুল্য, এসকল নজির স্থাপনকারী সফল ব্যক্তিরা যখন এখানে পড়াশোনা করেছিলো তখনকার শিক্ষা পরিবেশ আর বর্তমান শিক্ষা পরিবেশের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। তখনকার শিক্ষকদের মধ্যে যে আদর্শ, দেশপ্রেম চেতনা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ছিলো তার মধ্যেও বর্তমান শিক্ষকদের রয়েছে অনেক পার্থক্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান পরিবেশ এতোটা নাজুক যে, এটা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাকি সরকারি কোনো বিনোদন কেন্দ্র সেটা বোঝার কোনো উপায় থাকে না। এখানকার রোমান্টিক পরিবেশ ফ্রান্সের প্যারিস কিংবা ইতালির ভেনিসকেও হার মানাবে। শহীদুল্লাহ হ

প্রসঙ্গ: সরকার কর্তৃক হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গ ও পিতৃপরিচয়হীন (জারজ) সন্তানদের বৈধতা প্রদান ॥ আসলে কি করা উচিত ছিলো ?

হিজরারা এক প্রকার শারীরিক প্রতিবন্ধী। সরকারের উচিত এদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনায় এনে পুণর্বাসন ও কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করা, যেন তারা হালাল উপায়ে রুজি রোজগার করে সমাজে সম্মানের সাথে বাস করতে পারে। প্রয়োজনে সরকার তাদেরকে ভাতা দিতে পারে। কিন্তু হিজরাকে পৃথক লিঙ্গ হিসেবে আলাদা স্বীকৃতি দিলে সমাজে নতুন ফিতনা সৃষ্টি হবে। বিদেশী এনজিও’র অর্থায়ন ও পরামর্শে হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গের আইনি স্বীকৃতি দান করা কখনোই উচিত হবে না। অন্যদিকে পিতৃপরিচয়হীনদের আইনি স্বীকৃতি দানের অর্থ হচ্ছে হারাম বা অবৈধ কাজে স্বীকৃতি প্রদান করা, এটা শরীয়ত অনুযায়ী কুফরী। এছাড়া অবৈধভাবে জন্ম হওয়া (জারজ) সন্তানকে আইনী বৈধতা দিলে ঐ সন্তানটিরও ভবিষ্যতে মানহানী সম্ভাবনা থাকে। তবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, জারজ সন্তানের পক্ষ থেকে গোপনীয় আবেদনে সরকার গোপনে তার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে সব কাজ করা শরীয়ত অনুসারে কখনোই ঠিক হবে না। এতে সমাজে ব্যভিচার, পাপকর্ম বৃদ্ধি পাবে। অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী-পুরুষরা অবৈধ মেলামেশায় উৎসাহ পাবে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটা সৃষ্টি হবে তা হচ্ছে- ৯৭ ভাগ ম

ছাগল নাচে খুঁটির জোরে, প্রমোদ মানকিন নাচছে কিসের জোরে?

কিছুদিন ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কার হয়েছে মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবী। লতিফ কাজ্জাবীর বক্তব্যের সমালোচনা সরকারের সবাই করেছে। কিন্তু একমাত্র সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী খ্রিস্টান-গারো সম্প্রদায়ের প্রমোদ মানকিন মায়া কন্না করে তার পক্ষে বলেছিলো, “বয়স-প্রতিবন্ধীত্বের কারণে হয়তো অমন কথা বলেছে লতিফ।” (সকালের খবর, ১৫ অক্টোবর, ২০১৪ঈ.) এই ইসলামবিদ্বেষী প্রমোদ মানকিনই সম্প্রতি বলেছে, ‘যারা জয় বাংলা বলতে পারছেন না, এখনো জিন্দাবাদের মধ্যে আছেন, তাদের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। অন্তত একবার জয় বাংলা বলুন, জিন্দাবাদ ছাড়ুন।...এই দেশ থাকবে, জয়বাংলা থাকবে। এখানে জিন্দাবাদের কোনো স্থান নেই। একদিন জিন্দাবাদ বিদায় হবেই, হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (যুগান্তর, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) এখানে তার প্রত্যেকটি কথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের কটাক্ষ করে। ‘জিন্দাবাদ’ শব্দটি ইসলামী। মুসলমানদের ঈমানী চেতনা জাগ্রতকারী শব্দ। অর্থাৎ এটি ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে সম্পৃক্ত একটি শব্দ। অথচ এই কাট্টা কাফির, মালউন উপজাতি প্রমোদ মানকিন দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের মাঝে থেকে বলেছে, ‘এখানে জিন্দাব

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা লাগাতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে

বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-র‌্যাব-পুলিশের সাথে মিটিং করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এর অর্থ এটা পরিষ্কার যে, ‘ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী জড়িত’ ভারতের এমন দাবি মেনে নিয়েছে সরকার? এদিকে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ন্ত্রিত ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এন্ড পিস’ নামক একটি সংস্থা নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ১৩টি দেশকে সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের ঝুঁকির তালিকায় দেখিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। (তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৮ নভেম্বর ২০১৪ঈ.)। বলাবাহুল্য, ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এন্ড পিস’ নামক সংস্থাটি স্টীভ কিলেলী নামের এক ব্যবসায়ী ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার এক বছর পরেই এই ইহুদীবাদী সংস্থাটি এমন বিতর্কিত একটি তালিকা প্রকাশ করে ফেললো! যেখানে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে ২৩ নম্বরে। অথচ এরাই বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ম্যাসাকার করছে, আর এখন মুসলমানদেরই সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণের বাহানা তৈরি করছে। এরা এতোটা পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যে, বহির্বিশ্ব থেকে তারা বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের তৈরি এজেন্ট দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম

পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিওগুলোর সেনাবাহিনী বিরোধী মনোভাব দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ

সম্প্রতি দেশের আটটি এনজিও সংগঠন বাংলাদেশে পাঁচটি স্থানে সেনানিবাসসহ স্থাপনা নির্মাণে নাক গলাচ্ছে। তারা দাবি করছে সেনানিবাসের জন্য বেআইনিভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত, এনজিগুলো ভূমি অধিগ্রহণের যে ঢালাও অভিযোগ করেছে, তা সঠিক নয়। এসব এনজিও কোনো পরিসংখ্যান ছাড়াই এমন বক্তব্য দিয়েছে। এনজিও সংগঠনগুলো হলো, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), নিজেরা করি, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আদিবাসী ফোরাম ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। এরমধ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পার্বত্য চট্টগ্রামকে দ্বিখণ্ডিত করার চক্রান্তে সক্রিয় সদস্য সুলতানা কামাল বলেছে, রাজধানীর একটা বড় অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের এই পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। আর রাষ্ট্র তাদের এই মনোভাবকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) এই সুলতানা কামাল এতোটা সেনা বিদ্বেষী যে, ১৯৯৬ সালে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কল্পনা চাকমা নামক এক

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রচার করতে তৎপর কিছু মিডিয়া

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ বানানোর জন্য বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া এতোটা তৎপর যে- সন্ত্রাসবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন সামান্য কোনো বাহানা পেলেই সেটাকে কেন্দ্র করেই জোর প্রচারণা শুরু করে দেয়। সম্প্রতি রাবি শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যার পর তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে- উক্ত শিক্ষককে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলদেশ’ নামক একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হত্যা করেছে। এ খবরটির জন্য তাদের মূল তথ্যভিত্তি হচ্ছে ফেইসবুকের একটি পেইজ। আর এ খবরটিকেই যায়যায়দিন, সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইত্তেফাক, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪সহ বেশকয়েকটি গণমাধ্যম প্রচার করে। অথচ ‘আনসার আল ইসলাম বাংলদেশ’ নামক কোনো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তৎপরতা আদৌ কোনোা যায়নি। নামসর্বস্ব এ সংগঠনটির অস্তিত্ব কেবল ফেইসবুক পেইজেই। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যারা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে উপ-কমিশনার পদমর্যাদার একজন বলেছেন, “এই নামের কোনো সংগঠনের কথা আমাদের জানা নাই।” (বিডিনিউজ২৪.কম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রচার করার কাজে তৎপর মিডিয়াগুলোর

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কুফল: গর্ভপাতের নামে সমাজে চলছে হাজার হাজার শিশু হত্যাকাণ্ড

গত ১৯ অক্টোবর (২০১৪) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ‘ভয়াবহ আকারে বাড়ছে গর্ভপাত; মিরপুর ও শ্যামলীতেই দিনে ১৫০ গর্ভপাত’। বিগত কয়েক বছরে রাজধানীতে গর্ভপাতের সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। এসব গর্ভপাতের মধ্যে বেশিরভাগই (অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের) অবৈধ মেলামেশার ফসল। এগুলো সঠিক সংখ্যা কত হবে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। গত ১৭ অক্টোবর (২০১৪) রাজধানীর বিভিন্ন গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর শ্যামলী ও মিরপুর এলাকায় প্রতিদিন ১৫০টিরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এ সংখ্যা গত দুই বছরে অর্ধেক ছিল। গর্ভপাতকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই উঠতি বয়সি কিশোরী। যাদের বয়স ১৮-এর নিচে কিন্তু বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কারণে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। অথচ এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে তথাকথিত মানবতাবাদীরা অনেক উচ্চবাচ্য করে, কিন্তু বাল্যবিবাহ বন্ধ করলে যে সমাজে অবৈধ মেলামেশা বেড়ে যায়, সম্ভ্রমহরণ বেড়ে যায়, গর্ভপাত বেড়ে যায়, সেটা নিয়ে তারা কোনো কথা বলে না। একটা অপরিপক

অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর ‘প্রাইভেট কেবিন’ সুবিধা বন্ধ করতে হবে

অনেক রেস্টুরেন্টে ‘ভিআইপ কেবিন’, ‘লাউঞ্চ’ ইত্যাদি নামে প্রাইভেট কেবিন দেখা যায়, যার ভেতরে কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। রাজধানীর বেইলি রোড, ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা এসব অভিজাত এলাকাগুলোতে এসব রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেশি। কাঠের, দেয়ালের কিংবা থাই পার্টিশন দেয়া ছোট-ছোট বাক্সের মতো করে তৈরি করা হয় এসব কেবিন। এসব কেবিনে নিয়মিত যারা আসে তাদের অধিকাংশই ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা অর্থাৎ স্কুল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী। লাউঞ্জগুলো চারদিক দিয়ে এমনভাবে ঘেরা যেন ভেতরে বসে বসে কি করা হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝার কারো সাধ্য নেই। এসব জায়গায় আবার একটা বিশেষ নিয়ম থাকে, যতক্ষণ লাউঞ্চ থেকে ওয়েটারকে না ডাকা হবে ততক্ষণ লাউঞ্চে ওয়েটার প্রবেশ করতে পারবে না। আর ওয়েটারকে ভেতরে ঢোকার আগে দরজায় নক করতে হবে। এসব সুযোগের কারণে, এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলো সন্ধ্যার পর মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়। এছাড়া সারা দিনে অপকর্ম কম হয় না। রেস্টুরেন্টে এ সব প্রকাশ্য পতিতালয় বানিয়ে এক শ্রেণীর মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ী ছেলে-মেয়েদের চরিত্র নষ্ট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা প্রত্যেক মুস

সামান্য অযুহাতে কানাডার মুসলমানগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন॥ প্রকৃতপক্ষেই কাফিররা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু

সম্প্রতি কানাডায় দুই সেনা হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিরোধী কর্মকা- তুঙ্গে উঠেছে। কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, কথিত আইএসএস দুই সেনাকে হত্যা করেছে। এমন খবর প্রকাশ করার পরপরই কানাডায় মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকা- দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- সেখানকার মসজিদগুলোতে কাফিররা ‘গো ব্যাক মুসলিমস’ ইত্যাদি নানা অবমাননামূলক কটূ্িক্ত করে যাচ্ছে। গণপরিবহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য লোকালয়গুলোতে মুসলিম বিরোধী সেøাগান লেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা হচ্ছে। মসজিদ সংস্কারে ও মসজিদে ইবাদত বন্দেগীতে বাধা দিচ্ছে কাফিররা। গত সপ্তাহে ইসলাম বিরোধী এমন ৩০টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: ‘হয়রানিতে কানাডার মুসলিমরা’ শিরোনামে ৩ নভেম্বর, ২০১৪ ঈ. তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত খবর) মুসলমানদের চাপের মুখে রাখতে, নির্যাতন-নিপীড়ন করতে, বৈষম্যের শিকার করতে কাফিররা সামান্য একটু অযুহাত তালাশ করে, আর তা মিলে গেলেই শুরু করে দেয় অবর্ণনীয় যুলুম-নিপীড়ন। আল কায়দার মতো পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত আইএসএস গ্রুপ কানাডার দুই সেনাকে হত্যা করেছে এমন খবর প্রচার করে এখন পুরো কানাডাজুড়ে চ

লাক্স সুন্দরীর নামে ‘চামড়া ব্যবসা’ প্রতিযোগীতা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে চলবে না, অতিসত্ত্বর এসব দুষ্কর্ম বন্ধ করতে হবে

লাক্স ফটো সুন্দরীর নামে যা হচ্ছে তা মেনে নেয়া সত্যিই কষ্টকর। বিশেষ করে ইউনিলিভারের মত একটি ইহুদী কোম্পানি মুসলমান মেয়েদের চামড়া ব্যবসায়ীদের মত উপস্থাপন করছে, আর সাধারণ মানুষ আক্বল জ্ঞ্যানহীনদের মতো ঐসব মেয়েদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দিচ্ছে। অথচ লাক্সের এই ‘চামড়া ব্যবসা’ প্রতিযোগীতা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে অনেক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সাধারণত পতিতারা থাকে আত্মগোপন করে। কিন্তু সেই পতিতাদের যদি বাইরে এনে উন্ম্ক্তু শো করা হয় আর জনপ্রিয় করে তোলা হয় তবে একদিক দিয়ে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি হবে অপরদিকে মুসলিম জাতি কলুষিত হবে। এতদিন সমাজ এ উন্মুক্ত শরীর প্রদর্শনীকে খারাপ জানতো। কিন্তু বার বার চোখের সামনে তার কার্যক্রম করে সেটাকে স্বাভাবিক করে দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পতিতাদের পুরুষ্কার প্রদানের মাধ্যমে তাদের অপকর্ম উঁচুদরে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মেয়েরা এমন সব পোশাক পরছে যেগুলো আগে মানুষ কল্পনাও করেনি। এদের দেখাদেখি হুজুগে লাফানো বাঙালি মেয়েরা হাটু বের করা পোশাক, কিংবা হাফ টপলেস পোশাক পরে বের হওয়া হালের ফ্যাশন হিসেবে নিবে। আগে এ ধরনের অনুষ্ঠান হতো খুব কম সময়ের

স্বাধীন দেশে রাজাকারদের নিষিদ্ধ করে ও তাদের পক্ষে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী

মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তঝরা যুদ্ধের পরই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ বাঙালি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধে অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত-সম্ভ্রমহানী হয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতিই যে পাক বাহিনী করেছে তা নয়। বরং নিজ দেশের মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক, রাজাকাররা যদি পাক বাহিনীকে সহায়তা না করতো তবে হয়তো নয় মাসের অনেক আগেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো, এছাড়া এসব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম হতো। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকে ওইসব স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার গং আজো খুব আরাম আয়েশে বসবাস করছে, ব্যবসা বাণিজ্য করছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব রাজাকারদের বিচারে তাদের পক্ষ নিয়ে, তাদের বাঁচাতে কিছু আইনজীবি আইনী লড়াইও লড়ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। এক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীন দেশের সংবিধানও তাদের অস্তিত্বের বৈধতা দিচ্ছে, তাদের পক্ষে আইনী লড়াইয়ের অনুমতি দিচ্ছে। এখানে বলার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধানে এ বিষয়টি সংশোধন আনা জরুরী। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কিংবা সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের কোন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিপক্

মওদুদীবাদী জামাত-শিবির তাদের নেতাদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হাজারো মিথ্যা বলতে পারে কিন্তু দলিলতো আর মিথ্য হতে পারেনা

সম্প্রতি শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামের বিধবাপল্লীর খবরটাতে জামাত শিবিরের কর্মীরা গায়ের জোরে একতরফা মিথ্যা গুজব বলে প্রচার করছে। বিধবাপল্লীর খবরটি যদি মিথ্যাই হয়ে থাকে। তাহলে ওই এলাকায় ‘৭১ এ নিহত স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে যে তালিকা আছে সেটা কি মিথ্যা? এ প্রশ্নের জবাবে এক শিবির কর্মী বলেছে, ‘হতে পারে, কিন্তু কামারুজ্জামান যে ঐ ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রমাণ কি? এটা ওই এলাকার কেউ জানে না।’ অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, ওই ঘটনা আল-বাদর ঘটিয়েছিলো যা ১৯৭১ সালের ১৬ আগস্টের দৈনিক সংগ্রামেই এসেছে এবং সেখানে কামারুজ্জামানের নাম এসেছে মোমেনশাহী’র আলবাদরের প্রধান সংগঠক হিসেবে। এই দলিল যখন তাদের দেয়া হয় তখন তারা চলে যায় আরেক মিথ্যার আশ্রয়ে। তখন তারা দাবি করে ওই কামরুজ্জামান বর্তমানে লন্ডনে থাকে। এগুলো আ’লীগ ট্রাইব্যুনালের বানানো গল্প।’ কিন্তু ১৯৮৭ সালে লিখিত বইতেও তো কামারুজ্জামানের স্পষ্ট নাম পেলাম, তখন তো আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল ছিলো না। তখন কেন এসব নাম আসলো? এছাড়া ওই সময় সমস্ত পত্রিকায় তো গো’আযম, নিজামী’র স্পষ্ট ছবি-বক্তব্য আছে। তাহলে কি তারাও নির্দোষ, সেই দলিলগুলোও কি মিথ্যা? এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে জামাত-শি

কাফিররা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বলেই তাদের পক্ষে মানুষের গোশত ভক্ষণ করা সম্ভব হয়

কাফিরদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন, “কাফিররা পশুর মত, বরং তার থেকেও অধম।” (পবিত্র সুরা আরাফ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ:১৭৯) সূতরাং একথা চিরন্তন সত্য যে অমুসলিম তথা কাফিররা হচ্ছে নোংরা, নাপাক, পশুর মতো বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট। সমজাতীয় পশুকে হত্যা করে ভক্ষণ করা বন্য পশুর ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। মানুষের ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু একমাত্র কাফিরদের মধ্যেই এই পশুসূলভ চরিত্রের মিল পাওয়া যায় বরং তাদের পাশবিক চরিত্র এতোটাই নিকৃষ্ট যে, বন্য পশুকেও হার মানায়। খবরে এসেছে, ‘লন্ডনে এক ব্যক্তি এক হোমলেস (গৃহহীন) তরুনীকে রাস্তা থেকে তুলে হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যা করে তার গোশত ভক্ষণ করে।’ (দি ইনডিপেন্ডেন্ট, ৬ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) আসলে এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, ব্রিটিশরা মানুষের গোশত খাওয়াকে কখনই খারাপ মনে করত না। কয়েকশ বছর আগেও আরব অর্থাৎ মুসলিম দেশগুলোতে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় ও সভ্যতার চরম শিখরে তখন ইউরোপ আমেরিকার মানুষরা ছিলো ক্যানিবল (মানুষ খেকো) অর্থাৎ পশুর মতো অসভ্য, বর্বর। এমনকি ব্রিটেনের কথিত রাজ পরিবারের সদস্যরা পর্যন্ত এক সময় মানুষের গোশত খেতো। তবে এখনও যে

উড়োজাহাজের আবিস্কারক কে? হিন্দুদের কল্পিত চরিত্র রাম, নাকি খ্রিষ্টানদের প্রচারিত রাইট ব্রাদার্স; নাকি আব্বাস ইবনে ফিরনাস?

ভারতের গুজরাটের সিলেবাসে হিন্দুদের কল্পিত চরিত্র ‘রাম’কে উড়োজাহাজের আবিষ্কারক বলে পাঠ দান করা হচ্ছে। বিষয়টি হাস্যকর তবে এর স্বপক্ষে যে যুক্তিটি তারা জুড়ে দিচ্ছে সেটা হলো- হিন্দুদের পুরানে নাকি শূন্যের উপর রথের কথা এসেছে। আর সেখান থেকেই নাকি উড়োজাহাজের আবিস্কার। এটাও হাস্যকর। আসলে হিন্দু ধর্মটা যেমন উদ্ভট, কাল্পনিক আর কুসংস্কার নির্ভর, তেমনি কথিত দেবতাদের কাহিনীগুলোও কার্টুনের মতো অবাস্তব রম্য, আর তাদের বক্তব্যগুলোও উদ্ভট ও হাস্যকর। গুজরাটের স্কুলগুলোতে ছোট ছোট শিশুরা এইসব উদ্ভট আজগুবি কথাগুলোই মুখস্ত করে যাচ্ছে। যাই হোক, এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ধর্মীয় গোড়ামীর কারণেই তাদের সিলেবাসে উড়োজাহাজের আবিষ্কারক হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে কথিত কল্পিত রামকে। তাদের এই গোড়ামী যেমন জাতিগত মূর্খতার পরিচয় তদ্রুপ আমাদের বাংলাদেশের সিলেবাসে উড়োজাহাজের আবিষ্কারক হিসেবে যে রাইট ব্রাদার্স-এর নাম শেখানো হচ্ছে সেটাও ভূল এবং বাঙালির মূর্খতার পরিচয় প্রকাশ করে। এটা নিয়ে মূলত ইহুদী-খ্রিস্টানরা মিথ্যা দাবি করে বলে যে- আমেরিকার রাইট ব্রাদার্স নাকি ১৯০৩ সালে উড়োহাজাজ আবিষ্কার করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটাই ঐতিহাস

টিআইবি: সরকারের গলায় ‘রশি’ বেঁধে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ হাছিলের ষড়যন্ত্র

টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) সম্পর্কে প্রায় সবাই ধারণা করে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ধরাই হচ্ছে তাদের কাজ। কিন্তু এই টিআইবি’র সৃষ্টির নেপথ্যে ও তাদের কার্যপ্রণালিতে রয়ে গেছে সরকারের গলায় ‘রশি’ বেঁধে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ হাছিলের ষড়যন্ত্র। ইউরোপ-আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও ইসলাম বিরোধী কাজের সাথে তৎপর। যেমন: পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্নকরণ, বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করা, অর্থনীতির ভীতগুলো ভেঙ্গে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেয়া, বাল্যবিবাহ বন্ধ করে পরিবার পরিকল্পনা, জন্ম নিয়ন্ত্রণের নামে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা, শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে প্রচার করা, সমকামীতা প্রতিষ্ঠা, নাস্তিকতার প্রচার প্রসার ইত্যাদি ইত্যাদি। এ কাজগুলো নির্বিঘেœ সম্পাদনের জন্য তারা সরকারের বা বিভিন্ন বেসরকারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির দিকে কড়া নজরদারি করে। তারা এ সকল দুর্নীতির রিপোর্ট দিয়ে টার্গেটকে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। হুমকিটা এমনযে, “যদি তোমরা আমাদের কাজে বাধা দাও বা সহযোগিতা না করো তবে তোমাদের দুর্নীতি ফাঁস করে দেয়া হবে”। এভাবেই টিআইবি নামক অ

রাজাকারদের ফাঁসি না দিতে ইহুদী লর্ড কার্লাইলের চিঠি’ই প্রমাণ করে মওদুদীবাদ ও জামাত ইহুদী নিয়ন্ত্রিত

কামরুজ্জামানসহ সমস্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে এবং তাদের ফাঁসি না দিতে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করছে ব্রিটিশ আইনজীবী এবং হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল কিউসি। সে শুধু এ ফাঁসির বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, এই বিচারব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েও ঔদ্বত্বি প্রকাশ করেছে। (আমারদেশ অনলাইন, ৯ নভেম্বর ২০১৪ঈ.) কিন্তু কে এই কার্লাইল কিউসি? তার পরিচয় কি? যুদ্ধাপরাধীদের সাথে তার সম্পর্ক কি? তার কথায় কর্ণপাত করার আগে তাকে খতিয়ে দেখার দরকার আছে। ব্রিটেনের প্রাচীনতম এবং সর্বাধিক বিস্তৃত সংবাদপত্র ‘দ্যা জিউইশ ক্রোনিক্যল’-এ ২০১০ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর একটি সাক্ষাৎকার রিপোর্টে কার্লাইল কিউসি সম্পর্কে বলা হয়েছে- “কার্লাইল কিউসি’র পিতা-মাতা দুইজনই ছিলো ইহুদী, তারা পোল্যান্ড থেকে বিতাড়িত হয়। পরবর্তীতে তারা দুইজন ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান হয়। তবে কার্লাইল শতভাগ ইহুদী বংশের হওয়ায় খুবই গর্ববোধ করে এবং খুব দৃঢ় ভাবে ইসরাইলকে সমর্থন করে”। কার্লাইল কিউসি’র সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, সে ব্রিটিশ রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টি’র ইসরাইলী বন্ধু। মানে এ পার্টির এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ র

বাংলাদেশকে ‘ভারতের উপর নির্ভরশীল’ করার নীল নকশা বাস্তবায়নের পর এখন দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার কাজ চলছে

ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) এম এ হালিম-এর স্বীকারোক্তি- “বাংলাদেশে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ -এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে ভারতীয় প্রভাব বিস্তার করা ও সব ব্যাপারে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা।” (সূত্র: গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা: বাংলাদেশে ‘র’) বাংলাদেশে ‘র’ নামক বইটি ২০০১ ঈসায়ী প্রকাশিত হলেও ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালকের চরম সত্যভাষ্যটি বহু পুরনো দিনের বরং ততোদিনের মধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাদের উদ্দেশ্য সাধনে অনেকটা সফল। তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে প্রাত্যাহিক খবরের কাগজগুলোতে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতের উপর এতোটা নির্ভরশীল যে, একটি টিউবয়েল বসাতেও সরকারকে ভারতের সহযোগিতা নিতে হয়। কোন সরকারের আমলেই এর ব্যতিক্রম হয়নি। দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন বা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও চাল ডাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় কিছুই ভারত থেকে আমদানি করা হয়। আর দেশের অবকাঠামো নির্মাণে, খনিজ সম্পদ উৎপাদনে ভারতের বিকল্পতো চিন্তাই করা যায়না। এসব ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রশাসনে নিযুক্ত থাকে কিছু ভারতীয় দালাল। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়

খেলাধুলায় প্রতিপক্ষকে হারানোর মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, বরং যুদ্ধ করে কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্যেই মুসলমানদের প্রকৃত বীরত্ব

জ্ঞান-বিজ্ঞান আর যুদ্ধ বিদ্যার চর্চায় ব্যস্ত থাকা মুসলমানদের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকতো ইহুদী খ্রিস্টানসহ তাবৎ কাফিরগোষ্ঠী। মুসলমানদের কাছে তারা ছিলো ইঁদুরের মতো।  মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা কৌশল আর ঈমানী কুওওত, রুহানী শক্তির কাছে ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা যুগের পর যুগ পরাজিত হয়েছে। একপর্যায়ে কাফিররা মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা চর্চার পথ থেকে সরিয়ে দিতে এবং রূহানী শক্তি নষ্ট করে দিতে দীর্ঘ মেয়াদী ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো। যে ষড়যন্ত্রের অসংখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি ছিলো খেলাধুলা। কাফিররা যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে প্রচলন করলো আনুষ্ঠানিক খেলাধুলার প্রতিযোগিতা। এরপরে তাদের দেখাদেখি নামধারী কিছু মুসলমানও এসব খেলাধুলা শুরু করে দিলো। ব্যাস! মুসলমানরাও বোকার মতো কাফিরদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা শুরু করে দিলো। খেলায় মশগুল হয়ে ভুলে গেলো সম্মানিত ইসলামী ঐতিহ্য। আর সেই সাথে হারিয়ে ফেললো ঈমানী জোশ, জিহাদী চেতনা, রূহানী কুওওত। মুসলমানরা হারিয়ে ফেললো যুদ্ধ বিদ্যার হাজারো কৌশল, আর কাফিররা সেই কৌশলগুলো শিখে নিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করলো।  বর্তমান সময়ের মুসলমানদের জন্য আফসোস! যারা হযরত খালিদ বিন ওয়

যে কোনো বয়সের জারজ সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা ‘পবিত্র ইসলাম অবমাননা’র শামিল

২০০৬ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী আগে এতিম, পতিতা, মানসিক বা দৈহিক প্রতিবন্ধী, পিতৃ পরিচয়হীন শিশু, পরিচয়হীন শিশু ও বেদে সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলো সরকার। কিন্তু বর্তমানে সরকার সে বিধিমালা সংশোধন করে শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বরং যে কোনো বয়সের পিতৃ পরিচয়হীন ও পরিচয়হীনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে পিতৃ পরিচয়হীন বলতে যার জন্মদাতা পিতা অপরিচিত বা যার জন্মদাতা পিতা আইনদ্বারা স্বীকৃত (বিবাহিত) নয় এমন মানুষদের বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সহজ কথায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, নারী পুরুষের অবিবাহিত (অবৈধ) মেলামেশায় জন্ম নেয়া যেকোন বয়সের শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক (জারজ) সন্তানও সরকারের অনুমতি ক্রমে বৈধ সন্তান হিসেবে স্বীকৃত হবে। নাউযুবিল্লাহ! এ আইন এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের পক্ষে মেনে নেয়া কখনোই সম্ভব নয়। সরকার কী করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধানকে অবজ্ঞা করে জারজ সন্তানদের বৈধতা দেয়? সরকারের এ ঔদ্ধতমূলক সিদ্ধান্ত পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননার শামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার শামিল। এসব কুফরী আইন কাফির-মুশরিকদের দেশে চলতে পারে, ৯৭ ভাগ মুসলমানের রাষ্ট্রধর

রাজাকার কামারুজ্জামানকে একবার নয় ৫৭ বার ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত

সোহাগপুরের ৫৭ জন বিধবার খবর কি কেউ রেখেছে? যাদের স্বামীদের রাজাকার কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে ’৭১ এ অতি নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়? ১৮৭ জন পুরুষকে হত্যার পর তাদের স্ত্রীদের পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলো কুখ্যাত রাজাকার কামারুজ্জামান। সেদিন থেকে ঐ এলাকার নামও পরিবর্তিত হয়ে নতুন নাম ধারণ করে ‘বিধবাপল্লী’ হিসেবে। কথায় বলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না, কামারুজ্জামানকেও তা ছাড়বে না। স্বামীর মৃত্যুর পর ৫৭ জন বিধবা ও তাদের সন্তানদের কত কষ্ট হয়েছিলো তা হিসেবে গণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে শুধু এতটুকু বলতে পারি, শুধু একবার ফাঁসি দিলে রাজাকার কামারুজ্জামানের শাস্তি প্রাপ্য হবে না। ঐ ৫৭ জন বিধবার কষ্টের জন্য কামারুজ্জামানকে কম করে হলেও ৫৭ বার ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে হবে, তবে যদি তার দুনিয়ার শাস্তি প্রাপ্য হয়। আর পরকালের শাস্তিতো মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্ধারণ করেই রেখেছেন। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুসলমানকে হত্যা করবে, তার শাস্তি হবে চিরকাল জাহান্নাম। (পবিত্র সুরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৩) আর স্বদেশকে মুহব্বত করা হচ্ছে

কারবালার নরপশু ইয়াজিদকে ‘কাফির’ ও তার নামের সাথে ‘লানতুল্লাহি আলাইহি’ কেন বলা হবে না?

এক শ্রেনীর লোক ‘ইয়াজিদকে কাফির বলা যাবে না’, কিংবা ‘সে ভালো ছিলো’ এমন কুফরী বিশ্বাস প্রচার করে থাকে (নাউযুবিল্লাহ)। শুধু তাই নয়, কাফির নায়েকের মতো অনেক ইহুদীদের দালাল তাকে তাবেয়ী দাবি করে নামের শেষে ‘রহমতুল্লাহি আলাইহি’ও যোগ করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কলিজার টুকরা, নয়ন মণি ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপরিবারে শহীদকারী ইয়াজিদ লানতুল্লাহি আলাইহি, ইবনে জিয়াদ লানতুল্লাহি আলাইহি, সিমার লানতুল্লাহি আলাইহি, ইবনু সা’য়াদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে কাফির, জাহান্নামি ও লানতের ভাগিদার বলতে কোন দলিলের প্রয়োজন নেই। তারপরও ইয়াজিদের বংশধর কাফিরদের অপপ্রচারের জবাবে একটি দলিল পেশ করছি। কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুসলমানকে হত্যা করবে, তার শাস্তি হবে চিরকাল জাহান্নাম। (পবিত্র সুরা নিসা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৩) একজন সাধারণ মুসলমানকে হত্যা করলে যদি এ শাস্তি হয়, তবে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার

পবিত্র ইসলামের প্রতিটি বিশেষ দিবসেই মিডিয়ার ইসলাম বিদ্বেষিতা প্রমাণিত হয়, ব্যতিক্রম হয়নি সম্মানিত আশুরা শরীফ দিবসেও

পবিত্র দ্বীন ইসলামে ১০ই মুহররমুল হারাম পবিত্র আশুরা শরীফ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ এবং অসংখ্য অগণিত ঘটনাবহুল দিন। এ দিবস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার মতো অসংখ্য অগণিত বিষয় রয়ে গেছে। এখানে মুসলমানের মুসলমানিত্ব রয়ে গেছে, দ্বীন ইসলাম উনার মহত্ত্ব, বীরত্বের ইতিহাস রয়ে গেছে। ব্যাপক আলোচনা ও প্রচার প্রসার করার মতো অনেক বিষয় রয়েছে, যেসব বিষয় জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে কোন প্রচার মাধ্যম কি এই পবিত্র দিবসকে হাইলাইট করে কোন সংবাদ প্রচার করেছে? কোন কলাম কিংবা লেখা প্রচার প্রসার করেছে? সামান্য সংখ্যক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের কথিত ধর্মীয় উৎসব, কল্প-কাহিনী, কুসংস্কারকে যেভাবে হাইলাইট করা হয়, যেভাবে প্রচার প্রসার করা হয় ঠিক সেভাবে ইসলামী দিবসগুলোকে প্রচার-প্রসার কোন মিডিয়াই করেনা। অথচ পবিত্র আশুরা শরীফ উপলক্ষে দেশে হাজার হাজার ওয়াজ মাহফিল হলো, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলো, ইবাদত বন্দেগি হলো, আশুরা উপলক্ষে বিশেষ আমল করা হলো। ভারত ও পশ্চিমা দেশগুলোর দালাল মিডিয়াগুলোতে এসব খবর কিন্তু একটাও আসেনি। তবে মিডিয়া এক্ষেত্রে যে বিষয়টা

পবিত্র কুরআন শরীফে হিন্দুদেরকে ‘নাপাক’ ও মুসলমানদের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তথাপি এদেশে হিন্দুরা টিকে আছে মুসলমানদের দয়ার কারণে

বাংলাদেশের হিন্দুরা টিকে আছে মুসলমানদের সিমপ্যাথি’র উপর। মুসলমানরা যদি তাদের প্রতি দয়া-মায়া না দেখাতো তবে হিন্দুরা খড়-খুটোর মত ভেসে যেতো। এটা প্রত্যেক হিন্দুর ক্ষেত্রেই সত্য যে, তারা মুসলমানদের সামনে নিজেদের খুব অসহায় ও নির্যাতিত হিসেবে প্রকাশ করে। মুসলমানদের মন নরম, আর এতেই মুসলমানরা হিন্দুদের দুর্বলতা দেখে তাদের প্রতি দয়াশীল হয়ে পড়ে। অথচ হিন্দুদের সম্পর্কে স্বয়ং যিনি মানব জাতির সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)। মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু প্রথমত: ইহুদী, এরপর মুশরিক। (পবিত্র সূরা মায়িদা, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮) স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক যেখানে মূর্তিপূজারি মুশরিক হিন্দুদের নাপাক ও মুসলমানদের অন্যতম শত্রু হিসেবে জানিয়ে দিলেন, সেখানে কি করে মুসলমানরা এসব নাপাক শত্রুদের করুণা করে, তাদের প্রতি দয়া দেখায়, তাদের সাথে সম্পর্ক করে? পাগল ছাড়া কোন সুস্থ মানুষ কি কোন নাপাক জিনিস স্পর্শ করবে? এছাড়া হিন্দুরা মুসলমানদেরকে শত্রু হিসেবে। শত্রুর কাজ শত্রুতামি করা। ভারতে হিন্দু

ভারতের প্রভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎবিপর্যয়! দেশের স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব ও স্বনির্ভরতা প্রশ্নবিদ্ধ

গত ১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু করে সারাদিন বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে ছিলো সারাদেশ। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিল্প কারখানা, অফিস-আদালত, সড়ক-মহাসড়ক, বাসা-বাড়িতে কোথাও বিদ্যুৎ ছিলোনা। সারাদেশের উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়, জরুরী চিকিৎসারত রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে, পানির জন্য হাহাকার লেগে যায়, অন্ধকারে হুমকীর মুখে পড়ে জনগণের নিরাপত্তার, সারাদেশে বিজিবি মোতায়নে বাধ্য হয় সরকার। আসলে কি ঘটেছিলো বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়? অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, শনিবার সকালে মাত্র ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আসছিলো। সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে গোটা বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চালন লাইন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এ বিপর্যয় হওয়ার কারণে সারা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ওই মুহূর্তে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিলো। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছিলো ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশের সমান। ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চালন লাইন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এ

৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য সারাদেশ অন্ধকারে: সরকার কী মাছ দিয়ে কেচো শিকার করছে!

বাংলাদেশ কি ভারতের অঙ্গরাজ্য? ভারত সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধ করে দিলে সারাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে? এ ঘটনায় কি ভারতের পা চাটা গোলাম শাসকগোষ্ঠীর হাক্বীকত উন্মোচন হয়নি? দেশের পাওয়ার সেক্টরের করুন দশা দেখে নাগরিক হিসেবে আমরা নিদারুণ অসহায় বোধ করছি। ভারত সামান্যটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ করতেই যদি আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এভাবে ভেঙ্গে পড়ে তবে আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু স্বনির্ভর? ভারতের কাছেইবা আমরা কতটুকু নিরাপদ? বিদ্যুৎ ছাড়াও আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সীমান্ত, প্রতিরক্ষা বিভাগ ইত্যাদি বিষয়গুলোতে আমরা কতটা স্বনির্ভর ও নিরাপদ? নাকি প্রতিটা সেক্টরেই ঘাপটি মেরে বসে আছে ভারতের এজেন্ট? নাকি ধর্মান্তরিতের মতো ওরাও বাংলাদেশী থেকে ভারতীয়তে কনভার্টেড হয়ে গেছে? প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর শনিবার সকালে মাত্র ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আসছিলো। সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিপর্যয় হওয়ার কারণে সারা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ(!) করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রতিদিন যদি আমাদের ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকে তাহলে ভারত থেকে কেন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্

স্টিফেন হকিং পরগাছা ইহুদীদের ব্যবহৃত একটি বিকলাঙ্গ পুতুল মাত্র

ইহুদীরা আজন্ম পরগাছা। পরের উপর ভর করে স্বার্থ হাছিল করাই ইহুদীদের জন্মগত স্বভাব। তারা তাদের কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে রাস্তার ভিক্ষুককেও মিডিয়ায় হাইলাইট করে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দিতে পারে। তারা নিজেরা সরাসরি কোন কাজ করে না, কারো উপর ভর করে কাজ করে। এরপর সেই চরিত্রটিকে মিডিয়ার মাধ্যমে উপরে তোলে। প্রসঙ্গতঃ পরগাছা ইহুদীদের এমন অসংখ্য চালবাজি, ধোঁকাবাজির মধ্যে একটি হচ্ছে কথিত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। একটা মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, বধিরকে হুইল চেয়ারের মধ্যে বসিয়ে তার ব্রেইনের চিন্তাগুলোকে কম্পিউটারের মাধ্যমে ভয়েস হিসেবে বের করা গাজাখুরি গল্প ছাড়া অন্যকিছু নয়। মস্তিষ্কের ভাবনা রিড করার মত আদৌ কোন প্রযুক্তি কি আছে? মাইন্ড রিডিং টেকনোলজিতে সফলতা পেলে এতোদিনে বহু দেশে এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়তো। বিশেষ করে বড় বড় অপরাধীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিতে রিমান্ড দেয়ার দরকার হতোনা। বিচার কার্যক্রম অনেক সহজ হয়ে যেতো। সে যাই হোক, স্টিফেন হকিং’কে নিয়ে যে নাটক আর পাপেট শো খেলা ইহুদীরা দেখাচ্ছে তা উদ্দেশ্যমূলক। তার জন্য ব্যবহৃত কথিত প্রযুক্তি সাইন্স ফিকশন ছাড়া কিছুনা। তার পেছনে বিজ্ঞান মনষ্ক একট

জাবি শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান গং: পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে তাদের মনগড়া বক্তব্যই প্রমাণ করে এরা শিক্ষিতের নামে চরম পর্যায়ের মূর্খ

গত ৮ই মুহররম শরীফ ১৪৩৬ হিজরী পবিত্র দিবসটি ছিলো আমাদের প্রাণ প্রিয় নবী এবং রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বানাত তথা কন্যা ত্বহিরা, তইয়্যিবা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিছাল শরীফ গ্রহণের দিন অর্থাৎ এ দিবসে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ বাংলাদেশে কি কোন অনুষ্ঠান কিংবা মাহফিল উদ্যাপিত হয়েছে? সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা কোন মসজিদ মাদরাসায় আলোচনা কিংবা মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন হয়েছে? কোন পত্রিকায় কোন খবর কিংবা লেখা ছাপা হয়েছে? সরকারের কোন মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী অথবা রাজনৈতিক কোন নেতা কি এ পবিত্র দিবস উপলক্ষে কোন বিবৃতি দিয়েছে? দেয়নি। তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এ দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনার মর্যাদা থাকলো কোথায়? কথিত গণতন্ত্রের মর্যাদা থাকলো কোথায়? এতে কি ৯৭ ভাগ মুসলমানের হক আদায় হয়েছে? হয়নি।  মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত (শান্তি) আসবে কোত্থেকে? অথচ এ দিবসগুলো পালনের মধ্যেই রয়েছে দেশ ও দশের প্রকৃত কল্যান,

একমাত্র সম্মানিত ইসলাম উনার পবিত্র বিশেষ দিবস সমূহ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনেই দেশে প্রকৃত শান্তি ফিরে আসতে পারে

গত ৮ই মুহররম শরীফ ১৪৩৬ হিজরী পবিত্র দিবসটি ছিলো আমাদের প্রাণ প্রিয় নবী এবং রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বানাত তথা কন্যা ত্বহিরা, তইয়্যিবা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিছাল শরীফ গ্রহণের দিন অর্থাৎ এ দিবসে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ বাংলাদেশে কি কোন অনুষ্ঠান কিংবা মাহফিল উদ্যাপিত হয়েছে? সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা কোন মসজিদ মাদরাসায় আলোচনা কিংবা মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন হয়েছে? কোন পত্রিকায় কোন খবর কিংবা লেখা ছাপা হয়েছে? সরকারের কোন মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী অথবা রাজনৈতিক কোন নেতা কি এ পবিত্র দিবস উপলক্ষে কোন বিবৃতি দিয়েছে? দেয়নি। তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এ দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনার মর্যাদা থাকলো কোথায়? কথিত গণতন্ত্রের মর্যাদা থাকলো কোথায়? এতে কি ৯৭ ভাগ মুসলমানের হক আদায় হয়েছে? হয়নি।  মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত (শান্তি) আসবে কোত্থেকে? অথচ এ দিবসগুলো পালনের মধ্যেই রয়েছে দেশ ও দশের প্রকৃত কল্যান,

দেওবন্দ ছাত্রের আগুনে পোড়া মৃত্যুই প্রমাণ করে হিন্দুরা কখনো মুসলমানদের বন্ধু হতে পারেনা

কিছু দিন আগে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র আমিরুদ্দিন আগুনে পুড়ে মারা যায়। ঘটনাটি ছিলো এমন- গত ২১ শে অক্টোবর অজু করতে বাইরে যায় ১৬ বছর বয়সী হাফেজে কুরআন আমিরুদ্দিন। ফাঁদ পেতে থাকা কিছু হিন্দু তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং দড়ি দিয়ে বেধে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ৭০ ভাগ পুড়ে যাওয়া দেহের সাথে এক সপ্তাহ লড়াই করার পর যন্ত্রণার কাছে হেরে যায় সে। মারা যায় আমিরুদ্দিন। তার মৃত্যুর পর ফুঁসে উঠে দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা। তারা এখন সমাবেশ করে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এখানে লক্ষনীয়, আমিরুদ্দিন কিন্তু দেওবন্দী মাদ্রাসার ছাত্র। তার নির্মম মৃত্যুর পর যারা প্রতিবাদ করছে তারাও দেওবন্দী। অথচ এই দেওবন্দীরাই হিন্দুদের এক পক্ষীয় সমর্থন দিয়ে আসছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিকদের মুসলমানদের শত্রু বলে উল্লেখ থাকার পরেও সীমালঙ্ঘন করে তারা ঘোষণা দিয়েছে ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই’। নাউযুবিল্লাহ! তারা হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে আরো বলেছে, ‘হিন্দুদের জন্য গরু কুরবানী বন্ধ করুন’, ‘যোগ ব্যায়াম নামাজের মত’, ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা দরকার নাই’ ‘অখ- ভারত চাই’ ইত্যাদি, ইত্যাদি।  দেওবন্দ এবার বিজেপীর মতো কট্

পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ দিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ। যেদিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন। এ সুমহান দিনে অনেক রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পাশাপাশি এদিনটি হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শুহাদায়ে কারবালা, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ উনাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র আশূরা শরীফ এবং সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত দিবস উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দি

মহা সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বতকারীগণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একত্রিত হবেন: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اخذ بيد (حضرت) حسن عليه السلام و (حضرت) حسين عليه السلام فقال من احبنى واحب هذين واباهما وامهما كان معى فى درجة يوم القيامة. অর্থ: “একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের হাত মুবারক ধরলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করবে, এ দু’জনকে মুহব্বত করবে এবং উনাদের সম্মানিত আব্বাজান ও সম্মানিত আম্মাজান উনাদেরকে মুহব্বত করবে সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন আমার সাথে একই স্থানে অবস্থান করবে।” (মুসনদে আহমদ- ২/২৬, শহীদ ইবনে শহীদ- ৪১) বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবী

কারবালার ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের কঠিন পরিণতি

সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে কারবালায় শহীদ করা। হযরত উলামায়ে কিরামগণ উনারা ইজমা করেছেন যে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক, নির্মম, বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক বিষয় হলো কারবালার ঘটনা। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নকশা মুবারক। তিনি হচ্ছেন ঈমানের মূল। এবং নাজাতের মূল। অথচ মুসলমান নামধারীরাই উনাকে শহীদ করলো। উনার শাহাদাত মুবারক উনার সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকলের জন্য মহান আল্লাহ পাক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং সমস্ত মাখলুকাতের লা’নত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عن ام المؤمنين حضرت ام سلمة عليها السلام دخل حضرت حسين عليه السلام على رسول الله صلى الله عليه وسلم ففزع فقالت حصزت ام سلمة عليها السلام ما لك يارسول الله صلى الله عليه و سلم قال ان جبريل عليه السلام اخبرنى ان ابنى هذا يقتل وانه اشتد عضب الل

পবিত্র আশূরা শরীফ দিনের ফযীলতপূর্ণ আমলসমূহ

* সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত করা এবং উনাদের সুমহান শান মুবারক-এ মাহফিল করা; এতে সহজেই সন্তুষ্টি রেযামন্দি হাছিল হয়।  * পবিত্র মুহররমুল হারাম মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশূরা শরীফ দিনের আমলসমূহ হচ্ছে রোযা রাখা অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ দু’দিন রোযা রাখা। * পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে যারা রোযা রাখবে উনাদেরকে ইফতার করানো; এতে সমস্ত উম্মতে হাবীবী উনাদেরকে ইফতার করানোর ফযীলত হাছিল হবে। * পরিবারবর্গকে ভালো খাবার খাওয়ানো; এতে সারা বৎসরের জন্য স্বচ্ছলতা লাভ হয়। * গোসল করা; এতে মৃত্যু ব্যতীত কোনো কঠিন রোগ হবে না এবং অলসতা ও দুঃখ-কষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে * পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা। * চোখে (ইসমিদ) সুরমা দেয়া; ফলে পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত চোখে কোনো প্রকার রোগ হবে না। * গরিবদের আহার করানো; এতে বিদ্যুৎবেগে পুলছিরাত পার হবে। * পিপাসার্তকে পানি পান করানো; এতে সম্মানিত জান্নাতের ‘সালসাবীল’ ঝর্ণা থেকে পানি পান করার সুযোগ হবে। * ইয়াতীমদের মাথায় হাত বুলানো ইত্যাদি উক্ত আমলগুলো পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন পালনীয় খাছ সুন্নতী আমল এবং অশেষ ফয