সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপনে মুসলিম উম্মাহর প্রতি খোলা চিঠি

বড় করে দেখতে ক্লিক করুন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম, আপনি নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ অর্থাৎ দুনিয়াতে আগমন উনার দিবস হচ্ছে সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, যা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ  শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে মানবজাতি! মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন তোমাদের প্রতি সুমহান নছীহতকারী, অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফাদানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী এবং ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফযল-করম মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে আপনাকে যে লাভ করতে পেরেছে সেজন্যে তারা যেন খুশি প্রকাশ করে তথা ঈদ উদযাপন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সঞ্চিত সমস্ত নেক আমল থেকে উত্তম।”  [পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮] উপরোক্ত আয়াত শ

বাংলাদেশে জিএমও ফুড (GMO Food) নিষিদ্ধ করতে হবে

বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিষাক্ত বিকৃত জিন বা জিএম (জেনেটিক্যাল মডিফাইড) শস্য কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা করছে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে জিএম শস্য চাষ নিষিদ্ধ। ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস ব্যান্ড করার জন্য সাধারণ জনগণ আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। ভারতে প্রবল বিতর্ক এবং জনরোষের মুখে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ২০১০ সালে জিএম শস্য (বিটি বেগুন) বাণিজ্যিকিকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের সবক’টি রাজ্য এইসব শস্য বাজারজাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চীন সরকার গোল্ডেন রাইস-এর বীজ তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি চোরাই পথেও যেন এ ধানের বীজ তার দেশে প্রবেশ করতে না পারে এ নিয়েও সতর্ক থাকছে চীন। অথচ বাংলাদেশের মতো সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশে ভিটামিন-এ’র জন্য গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে স্বীকৃত দেওয়া সত্যিই আশ্চর্যজনক! গোল্ডেন রাইস কি? একধরণের চাল, যেটা সরাসরি প্রকৃতির দান নয়। ল্যাবরেটরিতে ‍কৃত্রিমভাবে চালের প্রজনন পরিবর্তন করে এক ধরণের মোডিফাইড চাল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস জাতীয় শস্য খেলে মানবদেহের উপকৃত ব

দশচক্রে ভগবান ভূত; ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ এখন ঢাকেশ্বরী মন্দির!

     শায়েস্তা খাঁ, মোঘল আমলের একজন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। তিনি বাংলা শাসন করেন প্রথমবার ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয়বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তাঁর শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এ সময় তিনি বহু মসজিদ, ঈদগাহ নির্মাণ করেন। তার মধ্যে বর্তমান পুরনো ঢাকার অভ্যন্তরে পলাশী ব্যারাক এলাকায় বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসমূহের দক্ষিণে একটি ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যার পার্শে একটি মসজিদও ছিলো বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত বড় একটি ঈদগাহ হিসেবে বিখ্যাত ছিলো। ঐ স্থানটির তৎকালীন নাম ছিলো মুসলিমবাগ। এটি ছিলো তৎকালীন সময়ের ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ। নাম ছিলো মুসলিমবাগ সুন্নি ঈদগাহ। বিভিন্ন ইতিহাসে বর্ণিত, এখানে একটি বিশেষ কূপ ছিলো। যে কূপের পানি ছিলো অত্যন্ত সুমিষ্ট। যে পানি পান করলে অনেক কঠিন দুরারোগও ভালো হয়ে যেতো। এই কুপটির সুনাম ভারত বর্ষসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো। এর পানি খাওয়ার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও এখানে আসতো। যেহেতু কূপটি মুসলমানদের ছিলো তাই অনেক বিধর্মী এই কুপের

পবিত্র কুরবানীর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনলে তা সরকারের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নজির হয়ে থাকবে ॥ প্রয়োজন হাটের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ানো

      রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে ঈদে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এবং সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজধানীতে কুরবানীদাতার সংখ্যা। এছাড়াও অবিশ্বাস্য হারে ঢাকায় বাড়ছে ধনী লোকের সংখ্যা। সুতরাং সেই সাথে কুরবানীর পশুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে সমান হারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সবকিছু বাড়লেও এবার বাড়ছে না কুরবানীর হাট। সরকারি মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও হওয়া উচিত ছিলো বিপরীতটি। হাট কমানো হলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে কুরবানীর পশুও। কুরবানীর পশুর হাট কেন বাড়ানো প্রয়োজন তার একটি সহজ হিসাব আমরা দেখতে পারি। এতে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাবে সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্ত কতোটা অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নামান্তর। কুরবানীর হাটে গরুর জন্য নিম্নোক্ত বিধি ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন।      প্রতিটি গরুর জন্য কমপক্ষে ৫০ বর্গ ফুট ও প্রতিটি ছাগলের জন্য ২৫ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। কারণ গরুর অবস্থান স্থল, দুটি গরুর মধ্যবর্তী জায়গা, গো’খাবারের জন্য পৃথক জায়গা, গরু ব্যাপারীর থাকার জায়গা, দুই গরুর সারির মধ্যখানের রাস্তা ও ক্রেতাদের দেখার সুবিধার্থে প্রয়ো

শিক্ষা নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র কেন? সরকারের ভেতরে থেকে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কারা কলকাঠি নাড়ছে?

একটি জাতিকে হাতের মুঠোয় আনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। যেমন রাশিয়ায় কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসার পর সেদেশে ৫ বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। ৫ বছর পরে তারা সিলেবাসে ৩৩ শতাংশেরও বেশি কমিউনিজম ও নাস্তিক্যবাদ মিশ্রণ করে রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ঐ নাস্তিক্যতাবিদ্যায় পাস করেই রাশিয়ায় সবাইকে ডিগ্রি নিতে হতো। অর্থাৎ কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে তথা এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বা ধর্মহীন বানাতেই কট্টর কমিউনিস্ট ও নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একের পর এক একতরফা নীতি নির্ধারণ করে চলেছে, যা ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পরেও অব্যাহত থাকছে। হিন্দুঘেঁষা বামপন্থী এই শিক্ষামন্ত্রীর অধীনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।  বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে শিক্ষায় হাইব্রীড ফলনের মতো পাসের বৃদ্ধি ছাড়া তেমন কোন উন্নতি হয়নি। বরং শিক্ষাব্যবস্থায় এমন সব নীতি নির্ধারণ হয়েছে, যা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য একটি ধর্মবিমুখ, দেশপ্রেমহীন ও ভারতের প্রতি নতজানু জাতি হিসেবে তৈরি করবে। শুধু তাই নয়,

মুসলমানের দেশে যবন হিন্দুদের বাড়াবাড়ি বরদাশত যোগ্য নয়, গণমানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে আচানক দেশে হিন্দু বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

মুসলমানের রক্ত বলে কথা। বীরের জাতি। কতোদিন সহ্য করবে হিন্দুদের বাড়াবাড়ি। যবন ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য হিন্দুরা সরকারের নাকে দড়ি বেঁধে দেশে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। ফায়দা লুটছে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা কিছু গাদ্দার। তারা ভারতের ক্রীড়নক হয়ে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। এরাই আজ মুসলমানদের স্বাধীন উন্মুক্ত হাতে শেকল পরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। একের পর এক আঘাত হানছে ধর্মীয় অনুভূতিতে। ওরা মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করে দিতে চায়। ওদের কথা মতো শাসকগোষ্ঠীও উদ্ভট নীতি নির্ধারণ করে জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা পূজা করতে চায়, শত শত মন্দির গড়তে চায়। বাংলাদেশে থেকে এরা বাবরি মসজিদের মতো করে পবিত্র মসজিদগুলো ভেঙ্গে দিতে চায়। আর শাসকগোষ্ঠী তাদের খুশি করতে বুড়িগঙ্গার তীরে সরকারি (জনগণের) জায়গায় স্থাপিত মসজিদগুলো ভাঙার নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে। কতো বড় দুঃসাহস হলে এই ম্লেচ্ছ যবন হিন্দুরা বাংলাদেশের মসজিদ ভাঙতে চায়? কতো বড় দুঃসাহস হলে এরা এদেশের হাইকোর্টে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনাকে চ্যালেঞ্জ করে অর্থাৎ ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য রিট করে। কত বেশি স্বাধীনতা পেলে এরা শিল্পকলা একাডেমিতে

প্রসঙ্গ: বুড়িগঙ্গার তীরে মসজিদ উচ্ছেদ ॥

প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কখনো মনে মনে হয় না; অন্যায়-অবিচার রুখতে হলে চাই ঐক্যবদ্ধ ক্ষোভের বিস্ফোর। অবৈধ স্থাপনা, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি উদ্ভট কারণ দেখিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ¦বর্তী পবিত্র মসজিদসমূহ ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি মহল। নাউযুবিল্লাহ! এরমধ্যে আগানগর এলাকার একটি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে আমাদের ইসলামবান্ধব(!) সরকার। (সংবাদ সূত্র: ভোরের কাগজ, ১৩ আগস্ট ২০১৫) বাকী মসজিদগুলোতেও ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ পাঠানোর পর্যায় শেষ। এখন যেকোনো সময় ভাঙ্গার পালা। যদিও স্থানীয়ভাবে দেখা গেছে মসজিদ এলাকার স্থানীয় জনগণ যারপরনাই ক্ষিপ্ত ও প্রতিবাদী মনোভাব ধারণ করে প্রস্তুত হয়ে আছে মসজিদের জন্য যান দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের এই পুঞ্জিভুত ক্ষোভকে এক ফু’তেই নিভিয়ে দিতে পারে প্রশাসনের ছল-চাতুরি কিংবা কোনো উলামায়ে সূ’র বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের লাগাতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে বেসামাল হয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোরতা বাষ্প হয়ে উড়ে যা

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর ভ্যাট চাপিয়ে দেয়ার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে কী হবে?

সরকার চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর ৭.৫% হারে ভ্যাট আরোপ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৪ জুলাই (২০১৫ঈ.) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে। এরপর থেকেই চলছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন। এব্যাপারে সরকারও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে।  ভ্যাটম্যান খ্যাত অর্থমন্ত্রী সাফ বলে দিয়েছে, ‘যত আন্দোলনই হোক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট কমানো হবে না।’ (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১৪-০৮-২০১৫ঈসায়ী) সরকারের প্রতিটি কার্যক্রম কিংবা আদেশের পেছনে একটি দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। তাহলে প্রশ্ন উঠে যে, বেসরকারি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর ভ্যাট কেন? এ প্রশ্নের জবাবে কিছু সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। যেমন- এই প্রাথমিক স্টেপে ভ্যাট আদায়ে সরকার সফল হলে কিছু দিন পর বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি’র উপর ভ্যাট বসানো হবে। তারপর মাদরাসা শিক্ষা তথা দ্বীন শিক্ষার উপর ভ্যাট বসানো হবে। এরপর থেকে জারি হয়ে যাবে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায়। এ

সৃজনশীল প্রশ্নের নেপথ্যে বর্তমান হিন্দুয়ানী সিলেবাস গলধকরণ!

সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির জনক বলা হয়- যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুমকে। কিন্তু আমাদের দেশে আনা হয়েছে ভারতীয় সংস্করনকে। বাংলাদেশে এই পদ্ধতির শুরুটা হয়েছিলো ২০১০ সালে। বর্তমানে জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় সব বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয় সৃজনশীল পদ্ধতিতে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে কোনো প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয় না। এই পদ্ধতিতে ভালো করার একমাত্র উপায়- পাঠ্য বই ভালোভাবে আত্মস্থ করা। পাঠ্য বইতে যার যত বেশি দখল থাকবে, সে তত ভালো করতে পারবে। কিন্তু এই সৃজনশীল পদ্ধতিটা যে আদতে নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যপুস্তকে ভালোভাবে মগজ ধোলাইর জন্য একটি সুগঠিত পূর্বপরিকল্পনা, সেটা ধরা পড়ে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন হওয়ার পর। নতুন পাঠ্যপুস্তকগুলোতে দেখা যায়- শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হিন্দুয়ানী শব্দের ঝংকারে ভরপুর, সেই সাথে নাস্তিক্যবাদী মতবাদে দূষিত। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়- ১ম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’তে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা দিতে গিয়ে অক্ষর পরিচয় করা হয়েছে এভাবে- ঋ-তে ঋষি, ও-তে ওঝা। এছাড়া হিন্দুদের পূজার ঢাক, হিন্দুদের রথ এসব শব্দমালা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীতে আনন্দপাঠ (দ্রুত বা

বুড়িগঙ্গার তীরে পবিত্র মসজিদসমূহকে ‘অবৈধ মসজিদ’ বলার সাহস ওদের কে দিলো?

শত শত ড্রেন-নর্দমা দিয়ে রাজধানীর কোটি মানুষের পয়ঃবর্জ্য, হাসপাতাল-কল-কারখানাগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য, হাজারীবাগের ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্যসহ বিভিন্ন বর্জ্য-আবর্জনা নদীতে পড়ে নদী দূষিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। যা নিয়ে কারো কোনো কথা নেই। নদীর তীরে সরকারি জায়গা দখল করে ক্ষমতাসীনদের দলীয় কার্যালয়, বাসভবন-বানিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ বহু কিছু গড়ে উঠেছে; এসব নিয়েও কারো কোনো মাথাব্যথা দেখা যায় না। কিন্তু যে পবিত্র মসজিদগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নামায ও ইবাদত-বন্দেগীর জন্য সরকারি জায়গায় সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে কিংবা সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিলো, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে নদীভাঙ্গন থেকে তীরবর্তী রাজধানীর বহু জায়গা রক্ষা পেয়েছে, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে রাজধানী ঢাকা এতোটা উন্নতি লাভ করলো, সেই মসজিদই নাকি এখন ‘অবৈধ’। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ অবৈধ হবে কেন? মসজিদের জায়গাই বা অবৈধ হবে কেন? যারা সরকারি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোকে অবৈধ বলছে, এই জায়গাগুলো কি তাদের বাপ-দাদা পূর্বপূরুষের কারো? নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের? যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা জনগণের জন্য ও জনগণের দ্বারা। যে রাষ্ট্রের ৯৮ ভাগ

প্রসঙ্গ: নদীর তীরে মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ॥ সর্ষের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ভূতগুলোর জন্যই সরকারের পতন ঘটতে পারে

সরকারের ভেতর থাকা কিছু ইসলামীবিদ্বেষী মহলের কারণে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য মুসলমানের রোষানলে পড়তে হতে পারে। কেননা, মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে, মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় কুঠারাঘাত করে অন্তত বাংলাদেশে কেউ সফল হতে পারেনি, কস্মিনকালে কেউ পারবেও না। ইনশাআল্লাহ! বরং মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তোষের গযবে পড়ে ইসলাম বিরোধীরাই অপদস্ত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে। এদেশে থেকে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছে তারা কেউ এদেশে টিকে থাকতে পারেনি। অনেকে জীবন হারিয়েছে ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের জন্য। বোধ করি সরকারকেও এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নদী রক্ষার নামে বা পরিবেশ দূষণের নামে নদীর তীরবর্তী মসজিদগুলো স্থানান্তরের নামে ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে সরকারি কিছু দুষ্ট চক্র। তারা এদেশে থেকে পবিত্র মসজিদগুলোকে ‘অবৈধ মসজিদ’ হিসেবে চিহ্নিত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ এ মসজিদগুলোর অধিকাংশই স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু আগের স্থাপনা। যখন নদী ছিলো মসজিদের জায়গা থেকে বহু দূরে, পরবর্তীতে ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের কাছে এসে ঠেকে গেছে। বরং এ পবিত্র মসজিদগুলোর উসীলাতেই রাজ

আলিম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীরা পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার পক্ষে রায় দিয়ে সরকার ও মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উত্তম আমীর (শাসক) ঐ ব্যক্তি, যে হাক্কানী-রব্বানী আলিমগণ উনাদের দরবারে যাতায়াত করেন। আর নিকৃষ্ট আলিম-উলামা বা ধর্মব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তি, যে শাসকদের দরবারে যাতায়াত করে।” গত ২৫ আগস্ট (২০১৫) ঈসায়ী তারিখ সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখার অজুহাতে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠা ২১টি মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সেই সভায় উপস্থিত ছিলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের একজন ইমাম। (দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ আগস্ট, ২০১৫ ঈসায়ী) সভায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি সরকারি মহলকে খুশি করতে (অথবা দুনিয়াবী ফায়দা লাভের জন্য) পবিত্র মসজিদ ভাঙার পক্ষে রায় দেয়। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ ভাঙার উদ্যোগ ২০১০ সালেও একবার নেয়া হয়েছিলো। সেই বৈঠকেও ছিলো কিছু উলামায়ে সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠকে বসে ইফার মহাপরিচালক বলেছিলো, “অবৈধভাবে গড়ে উঠা কোনো মসজিদে নামায আদায় বৈধ নয়। এ জন্য জমির মালিকের বা সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

কুরবানীর পশুর জন্য নির্ধারিত নতুন হাট বসাতে হবে, তবে কোনো হাটের বিকল্প হিসেবে নয়; নতুন হাট বৃদ্ধি হিসেবে করতে হবে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক নতুন অনেক জায়গায় হাট বসানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে পুরনো কোনো হাটের পরিবর্তে নয় বা স্থানান্তর হিসেবে নয়; বরং সেটি করতে হবে নতুন হাট হিসেবে। যেমন- শেরে বাংলা নগর বাণিজ্য মেলার মাঠে অবশ্যই হাট করতে হবে কিন্তু আগারগাঁও হাট বাতিল করা যাবে না। কুরবানীবিরোধী কিছু মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বাণিজ্য মেলার হাট বসলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন- গণভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, শেরেবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটবে। মূলত এসব অবান্তর যুক্তিতে তাদের ‘কুরবানীবিদ্বেষী’ মনোভাব প্রকোটভাবে ধরা পড়ে। কেননা, কুরবানীর হাট থাকবে ৭/৮ দিন আর সেখানে যে পরিমাণ লোক যাতায়াত করবে তার তুলনায় ১ মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একশগুণ বেশি মানুষের যাতায়াত হয়; তখন এসব মিডিয়া কোথায় থাকে? তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক মন্ত্রণালয় ও ডিএমপি’র আপত্তি দেখা যায় না কেন? মনে রাখতে হবে, রাজধানীতে মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যাও কমছে অর্থাৎ রাজধানীতে কুরবানীদাতার সংখ্যা বহুগ

পবিত্র কুরবানী নিয়ে নীতি নির্ধারকদের কাছে কিছু প্রশ্ন

ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর নব নির্বাচিত মেয়র আনিসুল বলেছেন, “কুরবানীর জন্য ৪৯৩টির মতো স্থানে রয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ পশু কুরবানী সম্ভব, সেখানেই যেন সবাই পশু কুরবানী করেন। এতে পরিবেশ দূষণ যেমন কম হবে, তেমনি ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে।” (সূত্র: বাংলানিউজ২৪ডটকম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ঈসায়ী) নতুন নির্বাচিত মেয়র আনিসুল সাহবের উক্ত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমি ৯৮ ভাগ মুসলমানের পক্ষ থেকে নীতি নির্ধারকদেরকে কিছু বলতে চাই- ১) ৪ লক্ষ গরু প্রায় ৪৯৩ স্পটে জবাই করলে প্রতি স্পটে হয় ৮১১ গরু। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে- ঢাকায় নির্ধারিত স্পটগুলো কি এত বড়, যেখানে একসাথে ৮১১টি গরু জবাই করা যাবে? ২) ঢাকা শহরে কুরবানী হয় প্রায় ৩০ লক্ষ কিন্তু নির্ধারিত স্পটগুলোর ক্যাপাসিটি বলা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ এবং বলা হয়েছে নির্ধারিত স্পটে কুরবানী করতে বাধ্য করা হবে। তাহলে বাকি ২৫ লক্ষ পশু কোথায় কুরবানী হবে? নাকি আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে হবে? ৩) ৪ লক্ষ পশুর চামড়া ছাড়াতে বা গোশত কাটতে কম করে হলেও ১০ লক্ষ কসাই দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কি ১০ লক্ষ কসাই আছে? ৫) কসাইদের গোশত বানানোর জন্য আলাদা স্থান ও ব্যবস্থা প্রয়োজন,

‘কুরবানী’ই ইসলামবিদ্বেষী মহলের মূল সমস্যা, যানজটও কোনো সমস্যা নয়

‘কুরবানী’ই ইসলামবিদ্বেষী মহলের মূল সমস্যা; তাদের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের কারণে বা পূজার কারণে এমনকি সারাবছর লেগে থাকা যানজটও কোনো সমস্যা নয়!    যানজট ও মানুষের চলাচলে সমস্যার বিভ্রান্তিকর অজুহাত দেখিয়ে রাজধানীতে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট কমানোর পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল ও মিডিয়া। যদিও কুরবানীর পশুর হাট এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে। বরং পর্যাপ্ত বা নিকটস্থ এলাকায় কুরবানীর পশুর হাট না থাকলে এই জনগণেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই অতীব প্রয়োজনীয় হাটকে বাঁকা চোখের লোকগুলো ‘সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে অপপ্রচার করছে। আসলে এটি সমস্যা হতে পারে কেবল কুরবানীবিদ্বেষী মহলের জন্যই। যেহেতু এটা ‘কুরবানী’। বলাবাহুল্য, যখন পহেলা বৈশাখের কারণে ঢাকার বড় বড় হাসপাতালগুলোর (ঢামেক, পিজি, বারডেম) গেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন এসব যানজট সচেতন(!) মহলগুলো কোথায় থাকে? যখন হিন্দুদের দুর্গাপূজা-জন্মাষ্টমী-রথযাত্রার হিন্দুরা ঢাকা শহরে যানজট বাঁধিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য মিছিল করে তার আগে এসব মহলের যানজট অনুভূতি কোথায় থাকে? রাজনৈতিক দলগুলো যখন সারা বছর তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ বিভিন্ন অন

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী রোদেলা প্রকাশনীর শুধু বইমেলার স্টল বন্ধ নয়, তাদের প্রকাশনীর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, প্রকাশিত সমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই নিষিদ্ধ করতে হবে, মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী কাফিরের অনুচর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে প্রকাশনা সংস্থা ‘রোদেলা প্রকাশনী’। এরা বিভিন্ন বিদেশী ইসলামবিদ্বেষী, কটূক্তিকারী, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী বই অনুবাদ করে এদেশে প্রকাশ করে। এছাড়াও অনলাইন মুক্তমনা, ধর্মকারী, নবযুগ, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, সচলায়তন, মতিকন্ঠের মতো কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদীদের ব্লগের লেখকদের রচিত, অনুদিত, সম্পাদিত বইসমূহ এই বিতর্কিত ‘রোদেলা প্রকাশনী’ প্রকাশ করে থাকে। হয়তো এবারের বই মেলায় ১৪১-১৪২নং স্টলে ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামে জঘন্য বইটি নিয়ে অনলাইনে তীব্র প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে, ফলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ বই মেলায় প্রকাশনীর স্টলটি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ও কুখ্যাত নাস্তিকদের বই তাদের প্রকাশনীতে আরো অনেক আছে, যেগুলো কারো নজরে আসেনি কিংবা প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়নি বলে এসমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে চলতে পারে না। সরকার যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে দেশের জনগণ তাদেরও ছাড়বে না, সরকারকেও কোনো প্রকার ছাড় দিবে না। উল্লেখ্য, ইরানের নিষিদ্ধ ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত

দেশের চলমান সহিংসতা, জনগণের বিপদ এসব মূলত নিজেদের হাতের কামাই ॥ ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডে এবং হারাম কাজে মুসলমানদের প্রতিবাদ বিমুখ হওয়া এবং মৌন সমর্থনই এর মূল কারণ

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “যমীনে ও পানিতে যত ফিতনা সব মানুষের হাতের কামাই।” (পবিত্র সুরা রুম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪১) দেশের চলমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ আগুনে পুড়ছে, অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বহু পরিবহন, ভবন, প্রোপার্টি আগুন লেগে জ্বলেপুড়ে কয়লা হচ্ছে- এসব ধ্বংসযজ্ঞ মূলত মানুষের পাপের ফসল। যে জাতি সারাদিন গুনাহ’য় লিপ্ত থাকে, ঠিকমতো যাকাত আদায় করে না, ব্যভিচার ও অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকে, যালিম শাসকদের (ভোট দিয়ে) সমর্থন করে, মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু কাফির-মুশরিক (হিন্দু)দের সাথে মেলামেশা করে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে ও তাদের অপসংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজকে আপন করে নেয় তাদের পরিণতি এর চেয়ে ভালো কি হতে পারে? মুসলমানরা এখন বিজাতির অনুসরণে হারাম পহেলা ফাগুন-পহেলা বৈশাখ পালন করে, হারাম ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করে, হারাম খেলাধুলায়, গানবাজনায় মজে থাকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করে। কিন্তু এসব কর্মকা- সম্পর্কে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম কী তা আদৌ কেউ তালাশ করে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে দেশবিরোধী চক্রান্ত করে যাচ্ছে প্রথম আলো; নব্যরাজাকার সম্পাদক মতিউরকে গ্রেফতার করে অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝুলানো হোক

সম্প্রতি সরকার আইন করেছে, কোনো বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তি পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঁচাতে সরকারের এই আইন কুচক্রীদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই আইন অবশ্যই সময়োপযোগী এবং রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশী-বিদেশী কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থার মুখোশে পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র উপজাতি সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, পূর্ব-তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মতো তিন পার্বত্য জেলাকেও বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে একটি নতুন খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মূলত, এ চক্রান্ত রুখতেই নতুন আইন করতে বাধ্য হয় সরকার। সরকার কুচক্রী বিদেশীদের যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা করতে পারলেও পারেনি প্রথম আলোর মতো বিদেশীদের এজেন্টদের চক্রান্ত বন্ধ করতে। এই প্রথম আলো (ওরফে প্রথম কালো) সূচনা লগ্ন থেকেই এ সকল বিদেশী কুচক্রীদের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের উ

পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী প্রকাশনার সাথে জড়িত এবং এর স্বপক্ষে আন্দোলনকারীদের সকলকে চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা এবং তাদের মৃত্যুদ- দেয়া সরকারের ফরয দায়িত্ব, অন্যথায় সরকার সহযোগী বলে প্রমাণিত হবে

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী তারিখে ‘নবি মুহম্মদের ২৩ বছর’ নামক ইসলামবিরোধী একটি জঘন্য ও বিতর্কিত বইয়ের স্বপক্ষে এবং বই মেলায় উক্ত বইয়ের প্রকাশনীর স্টল খুলে দেয়ার জন্য ঢাবিতে প্রকাশ্যে সমাবেশ করলো একদল ইসলামবিদ্বেষী মুরতাদ। (সংবাদ সূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭/০২/২০১৫ ঈসায়ী) যেসব কুলাঙ্গার আজকে এ জঘন্য বইয়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে রোদেলা প্রকাশনী খুলে দিতে বলছে এবং যেসমস্ত নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী লেখক, প্রকাশক, পরিবেশক ইত্যাদি এর সাথে জড়িত তাদের এক এক করে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। এদেরকে হাজতে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের অপরাধে তাদের জিহ্বাগুলো কেটে দিতে হবে, লেখনির মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে হাতের আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলতে হবে এবং শরীয়া মোতাবেক মুরতাদের শাস্তি হিসেবে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদ- দিতে হবে। সরকার যদি তাদেরকে গ্রেফতার না করে, মৃত্যুদ- না দেয় তবে, এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলিম জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, খোদ সরকার নিজেই তাদের প্রশ্রয়দাতা এবং তাদের সহযোগী। আর এমনটি প্রমাণিত হলে দেশের বিক্ষুব্ধ জনগণের চাপিয়ে রাখা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। এতে সরকারসহ সমস্ত ইসলামবিদ্ব

প্রাণপ্রিয় নবীজী উনাকে নিয়ে কটূক্তি করে বই প্রকাশ এদেশের মুসলমানগণ বরদাশত করবে না, অতিসত্বর এসমস্ত বইয়ের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিক লেখকদের বই প্রকাশকারী রোদেলা প্রকাশনীর ‘নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামক বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় চরমভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র বিষয়সমূহ নিয়ে কটূক্তি, ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ, অবমাননা করা হয়েছে। উক্ত বইয়ের ২৮ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘তিনি আগে মূর্তিপূজা করতেন।’ নাউযুবিল্লাহ অথচ আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি প্রেরিত হয়েছি বাদ্যযন্ত্র এবং মূর্তি ধ্বংস করার জন্য।” আখিরী নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো দূরের কথা উনার মহাসম্মানিত পূর্বপূরুষগণ উনাদের মধ্যেও কেউ মূর্তিপূজারী বা মুশরিক ছিলেন না, বরং উনাদের প্রত্যেকেই সিজদাকারী বান্দা অর্থাৎ উনারা অনেকে নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম ছিলেন। আর বাকি যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ ছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন পাকে আছে, “তিনি (মহান আল্লাহ পাক) আপনাকে সিজদাকারীগণদের মধ্যে স্থানান্তরিত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯, তাফসীরে কবীর ১৩/৩৮) বইটির ১৭৯ পৃষ্ঠায় ইফকের ঘটনা নিয়ে হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্

ইসলামবিদ্বেষী বই প্রকাশ করে কোনো প্রকাশক ক্ষমা চাইলেই তাকে ক্ষমা করা যাবে না; বরং প্রকাশক, লেখক, স্বত্বাধিকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করে ইসলাম অবমাননার কারণে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী কিংবা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ লেখালেখি কিংবা ব্যঙ্গ ছবি প্রকাশ করলে তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সরকারের সময় লাগে না। লেখক কিংবা ব্যঙ্গ প্রকাশকের কোনো প্রকার ক্ষমা প্রার্থনাও গ্রহণযোগ্য হয় না। বরং তাকে সরাসরি জেল হাজতে ঢুকানো হয়। তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে যেখানে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান সেখানে কিভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখি, প্রকাশনা, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ হতে পারে? এটা কি করে সরকার বরদাশত করতে পারে? যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে নামায পড়েন, পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন, সেখানে তিনি কি করে এসব বরদাশত করেন- তা বোধগম্য নয়। প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলায় আগামী প্রকাশনী থেকে কুখ্যাত ও বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ‘গদ্য পদ্য’ নামক একটি বই বেরিয়েছে। বইটিতে ১২৭ পৃষ্ঠায় ‘যৌনাঙ্গ’ শিরোনামে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে নারীর গোপনাঙ্গের সাথে তুলনা দেয়া হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। সে লিখেছে, “মেয়েদের শরীর ইসলামের বড় সম্পদ, মেয়েদের ... ঝুলে আছে যাবতীয় ইসলাম। ... নড়লে চড়লে ইসলাম খসে পড়ে। আল্লাহ’র পেয়ারা নবী এ কারণেই মেয়েদের বল

ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের শেকড় খোদ সরকার ও প্রশাসনের মধ্যেই; সরকারের জন্য ফরয এদেরকে চিহ্নিত করে শরঈ শাস্তি দেয়া। অন্যথায় মুসলমানগণ ক্ষিপ্ত হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারের

সম্প্রতি দেশে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিদেশী এজেন্ট গণমাধ্যম আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থার উপর ভর করে এসব অবাঞ্চিত মহল ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে নাস্তিক্যবাদ, সমকামিতা, নারী স্বাধীনতা আর প্রগতিশীলতার নামে বেপরোয়াভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মুসলমান সমাজে বাস করে, মুসলমানদেরটা খেয়ে-পরে আবার মুসলমানদের চেতনাতেই অবিরত কুঠারাঘাত করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এরা এতো বড় দুঃসাহস কোথায় পাচ্ছে? এদের শেকড় কোথায়? বলাবাহুল্য, আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি অস্বাভাবিক রকম দুর্বলতা থাকার কারণে প্রশাসনে ও গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে যেরূপ হিন্দুরা আধিপত্য করে রেখেছে, তদ্রুপ শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মিডিয়া, প্রকাশনাতেও তারা তাদের বেপরোয়া কর্মকা- পরিচালনা করছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিটা হিন্দুই কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, অনেকে প্রকাশ্যে নাস্তিক ছূরতে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, যেন হিন্দুদের উপর আঘাত না আসে। আসলে অধিকাংশ নাস্তিকই কট্টর হিন্দু। প্রসঙ্গত, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা হিন্দু কিংবা নাস্তিকরাই যে সারা দেশে নাস্তিক্যবাদের কিংবা ইস

ভারতবর্ষে মুসলিম সভ্যতা থেকে শিক্ষা নিয়েই যবন হিন্দুরা লেজ বিশিষ্ট মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছিলো॥ হিন্দু লেখকদের হিংসাত্মক লেখনিতেও এই ইতিহাস প্রমাণিত হয়

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ব্রিটিশদের রাজধানী থাকায় শুধু এ অঞ্চলেই হিন্দুদের প্রভাব বেশি ছিল। কিন্তু ভারতের অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে তা ছিল না। ফলে সাতচল্লিশে ভারত বিভাগের পরও সেসব জায়গায় মুসলিমপ্রধান সমাজব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এ নিয়ে আক্ষেপ করে নীরদ সি চৌধুরী ১৯৬৬ সালে ‘দেশ’ পত্রিকাতে প্রকাশিত ‘হিন্দুর মুসলমানী পরিচ্ছদ কেন?’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে- “বাংলাদেশের সঙ্গে হিন্দুস্তানের (উত্তরভারতের) যে বড় সামাজিক ও সংস্কৃতিগত প্রভেদ গত দুই-তিন শত বৎসর ধরিয়া দেখা গিয়াছে তাহা এই- আমাদের (হিন্দুদের) মধ্যে নাগরিক, সভ্য ও বিদগ্ধ জনরা হিন্দু; আর মুসলমানরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক। আর আগে হিন্দুস্তানে ছিল ইহার উল্টা- হিন্দুরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক, খুব বেশি হইলে দোকানদার; আর মুসলমানরা ছিল নাগরিক সভ্যতার অবলম্বন। তাই হিন্দুস্তানে হিন্দু মাত্রেই সভ্য বলিয়া গৃহীত হইতে চাহিলে মুসলমানী রীতি ধরিত, অর্থাৎ তাহাদের (হিন্দুদের) ভাষা হইত উর্দু-ফার্সী, পোশাক হইত আচকান ইত্যাদি, আদব-কায়দাও হইত মুসলমানসুলভ। এখন যেমন সামাজিক প্রতিষ্ঠা জন্য লোকে ‘সাহেব’ হইতে চায়, তখ

ভারতে ওয়াহাবীপন্থী দেওবন্দীরা হিন্দুত্ববাদে ঈমান এনে মুশরিক হয়ে গেছে, এখন থেকে তাদের হিন্দু দেওবন্দী বলতে হবে॥ তাদের অনুসারী কওমী খারিজীরাও তাদের অন্তর্ভুক্ত

বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলোর গুরু ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর নেতা মুফতে ইলিয়াস বলেছে- “শিব মুসলমানদের পিতা, তাকে আপনারা আদম, নবী বলতে পারেন। আমি জোর গলায় তা বলতে পারি, এটাই বাস্তবতা। অনেকে মনে করেন- আমাদের ধর্ম আরব থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। আমাদের ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দুস্থান থেকে। হিন্দুস্থান আমাদের জন্মভূমি ও ধর্মভূমি- এতে কোনো সন্দেহ নেই। হিন্দুস্থানে বসবাস করা সকল মানুষ হিন্দু। হিন্দু আমাদের জাতির নাম আর আমাদের ধর্ম হলো ‘সনাতন’। মুসলিম ও হিন্দু বলে কোনো ধর্ম নেই। আমাদের একটাই ধর্ম, তা হলো ‘সনাতন’। আর হিন্দুস্থানকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমি একমত। আমিও হিন্দু।” (সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈ.; সাহারা সময়, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈ; এবিপিলাইভ, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ ঈ) এখানে হিন্দু মুফতে ইলিয়াস নিজেকে শুধু হিন্দু বলে ঘোষণা দেয়নি, সে পুরো মুসলিম জাতিকে হিন্দু বানিয়েছে। এমনকি আমাদের আদি পিতা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে অস্বীকার করে হিন্দুদের কাল্পনিক দেবতা শিবাকে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! একই সাথে সে

স্বঘোষিত হিন্দু দেওবন্দী মুফতে ইলিয়াস কর্তৃক হিন্দুত্ববাদের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের খন্ডন

বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলোর গুরু ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর নেতা মুফতে ইলিয়াস সম্প্রতি নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে হিন্দুত্ববাদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছে। পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে প্রকাশ্য মিথ্যচার করেছে। তার বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার আগে তার কুফরী বক্তব্যগুলো হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো- সে তার বক্তব্যে বলেছে, “শিব মুসলমানদের পিতা, তাকে আপনারা আদম, নবী বলতে পারেন। আমি জোর গলায় তা বলতে পারি, এটাই বাস্তবতা। অনেকে মনে করেন- আমাদের ধর্ম আরব থেকে এসেছে; কিন্তু এটা সত্য নয়। আমাদের ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দুস্থান থেকে। হিন্দুস্থান আমাদের জন্মভূমি ও ধর্মভূমি- এতে কোনো সন্দেহ নেই। হিন্দুস্থানে বসবাস করা সকল মানুষ হিন্দু, হিন্দু আমাদের জাতির নাম আর আমাদের ধর্ম হলো ‘সনাতন’। মুসলিম ও হিন্দু বলে কোনো ধর্ম নেই, আমাদের একটাই ধর্ম, তা হচ্ছে ‘সনাতন’। আর হিন্দুস্থানকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমি একমত। আমিও হিন্দু।” [সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ভারত), ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী; সাহারা সময় (ভারতীয় চ্যানেল), ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ঈসায়ী; এবিপি

যারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননাকারী বই কিংবা প্রকাশনীর পক্ষে কথা বলবে, লেখালেখি করবে, মানববন্ধন-সভা করবে তাদের গ্রেফতার করতে হবে, অতঃপর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে

একটি ভালো খবর হচ্ছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমান উনাদের প্রতিবাদের মুখে বই মেলায় কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, ইসলাম অবমাননাকারী বই প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই বাজার থেকে তুলে দেয়া হয়েছে। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে মোবারকবাদ জানাই। কিন্তু দুঃখজনক খবর হচ্ছে, কুখ্যাত রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেয়ার জন্য, ইসলামবিদ্বেষী বই বাজারে প্রকাশের পক্ষে সভা-মানববন্ধন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে কিছু কুলাঙ্গার নাস্তিক। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে থেকে, ৯৮ ভাগ মুসলমানের সাথে থেকে তারা এতো বড় দুঃসাহস কোথায় পাচ্ছে? তারা প্রকাশ্যে নাস্তিক্যবাদ প্রচারকারী, ইসলাম অবমাননাকারী বই প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে, এসব জঘন্য বই আরো বেশি করে প্রকাশ করার ঊদ্ধত্য দেখাচ্ছে। তাদের এসব ঊদ্ধতপনা প্রকাশ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননা করার কথিত অধিকার আদায়ের জন্য। তাদের এ ঐক্যজোট দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানের অন্তরে কুঠরাঘাত করার কথিত বাক স্বাধীনতার জন্য। যেটা এদেশের জনগণ কষ্মিনকালেও বরদাশত করবেনা। এসমস্ত কর্মকা-ের প্রতিক্রিয়ায় দেশে সৃষ্টি হবে অস্থ

নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা চলতেই পারে : নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক

নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা চলতেই পারে : নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেওয়ার দাবিতে টিএসসিতে একদল নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক সমাবেশ করে। ঐ সমাবেশে তারা দাবি করে, নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে নাকি সমালোচনা চলতেই পারে। নাউযুবিল্লাহ। ঐ দিনের আলোচনার কিছু অংশের অডিও ক্লিপ এ লিঙ্ক ( http://goo.gl/tDbxc7 ) থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। ঐ অংশটুকু লিখিত আকারে নিচে দেওয়া হলো: “........আমরা মনে করি, আজকে এই প্রকাশক, রোদেলা প্রকাশনীর স্টল অবিলম্বে খুলে দিতে হবে,অতিসত্ব র সমস্ত বই বিক্রী করার সুযোগ দিতে হবে। বাংলা একাডেমিতে আজকে যে নৈরাজ্য চলছে, আমরা মনে করি, বাংলা একাডেমির বই মেলাকে কোন ভাবেই বায়তুল মোকাররমের সংস্করন করতে আমরা দেবনা। আজকে আপনারা জানেন, ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতেই এখানে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে আসি। এখানে হুমায়ুন আজাদের বই আছে,এখানে আহমেদ শরীফের বই আছে,এখানে বাংলাদেশের বিখ্যাত সবধরণের বই থাকে। আজকে সেই প্রকাশনা, সেই বইপত্র, সমস্ত কিছু নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার কাদের স্বার্থ দেখতে চায়? আমরা মনে করি,আজ থেকে হেফাজতের হুমকিতে কোন ধরনের নিষিদ্

ভারতের উগ্র হিন্দুরা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার জন্য ‘ঘরওয়াপসি’ নামক একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে

ভারতের উগ্র হিন্দুরা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার জন্য ‘ঘরওয়াপসি’ নামক একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেই কার্যক্রম সফল করতেই দেওবন্দী মুফতিকে ভাড়া করে এ ধরনের উদ্ভট বক্তব্য দেওয়া হলো। সমগ্র মুসলিম জাতির উচিত এ বিকৃত বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা, নয়ত এই বক্তব্যের দোহাই দিয়ে ভারতের মুসলমানদের গণহারে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হবে। দেওবন্দী মুফতি ইলিয়াসের বক্তব্য: “ভগবান শিব মুসলমানদের আদি পিতা ,উনাকে আপনারা আদম, নবী বলতে পারেন তবে এটাই বাস্তবতা আর আমি জোর গল ায় তা বলতে পারি। অনেকে মনে করেন আমাদের ধর্ম আরব থেকে এসেছে কিন্তু এটা সত্য নয়,আমাদের ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দুস্থান থেকে। হিন্দুস্থান মক্কা-মদীনা থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম ভূমি। হিন্দুস্থানে বসবাস করা সকল মানুষ হিন্দু ,হিন্দু আমাদের জাতির নাম আর আমাদের ধর্ম হল সনাতন।মুসলিম ও হিন্দু বলে কোন ধর্ম নেই,আমাদের একটাই ধর্ম তা সনাতন।আর হিন্দুস্থানকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমি একমত। আমিও হিন্দু ।" সূত্র: ১) https://www.youtube.com/watch?v=ddyke6Inem8

ভারতের মুফতে ইলিয়াসের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও খন্ডন

ভারতের মুফতে ইলিয়াসের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও খন্ডন (বক্তব্য লিঙ্ক: http://goo.gl/46hqg1 ) ১) কাফির ইলিয়াসের দাবি: শিব নাকি মুসলমানদের প্রথম নবী। নাউযুবিল্লাহ! খণ্ডন:প্রথম মানুষ হচ্ছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, তিনি মুসলমানদের প্রথম নবী। এটি পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট করে বর্ণনা করা আছে। আর শিব হচ্ছে হিন্দুদের কথিত পুরানীয় কল্পিতচরিত্র। কেউ যদি মুসলমান হয় এবং কুরআন শরীফ-হাদীস শরীফ বিশ্বাস করে তবে তার পক্ষে এ ধরনের কুফরী কথা বিশ্বাস করা কখনই সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি কাফির হয়ে যায়, তার পক্ষে সম্ভব। ২) কাফির ইলিয়াসের দাবি : ‘ইসলাম ধর্ম-এর কেন্দ্র আরব নয়, হিন্দুস্তান । নাউযুবিল্লাহ। খণ্ডন: হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সিংহল (শ্রীলঙ্কা)-এ নামানো হয়েছিলো, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় না ইসলাম ভারত থেকে এসেছে। কেননা হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামকে নামানো হয়েছিলো সউদী আরবের জেদ্দায়। এরপর দুজনে পুনর্মিলিত হন সউদী আরবের আরাফার ময়দানে। উল্লেখ্য, হযরত আদম আলাইহি সালামের সৃষ্টির বহু বছর পূর্বেই মহান আল্লাহ তায়ালা জমিন সৃষ্টি করেন এবং জমিনের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হয় পবিত্র কাবা ঘর। এ সম্পর্কে কুরআন পাকে বল

মমতার বাংলাদেশ সফর: উদ্দেশ্য কি ??

মমতার বাংলাদেশ সফর: উদ্দেশ্য কি ?? দুই বাংলার সম্পর্ক উন্নয়ন, নাকি কলকাতার সিনেমার অবাধ মার্কেট সৃষ্টি ? সম্প্রতি মমতা বানর্জী বাংলাদেশে এসে তিস্তার পানি নামক স্বপ্নের কথা শুনিয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানির কথা বলা মমতার আসার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বলে মনে হয়নি, তার সফর সঙ্গী ও আলোচনার বিষয়বস্তু দেখে মনে হয়েছে ভিন্ন কিছু। মমতার সফরের মূল উদ্দেশ্য যে বাংলাদেশে কলকাতার সিনেমার অবাধ মার্কেট সৃষ্টি করা তা নিচের নিউজগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন। খবরটি দেখুন: “মমতা বলেছে, ‘দুই দেশের সিনেমা শিল্প নিয়ে অনেক জট রয়েছে। আমি সেগুলো খোলার চেষ্টা করছি।’ এই জট খুলেতে মমতা বাংলাদেশ থেকে তিনজন ও ভারত থেকে তিনজন নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব দেয়। কমিটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে করার প্রস্তাব দেয়। নূর বাংলাদেশের তিনজন প্রতিনিধি ঠিক করবে। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে সে প্রতিনিধি হলো চলচিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায় ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর কর্ণধার শ্রী শ্রীকান্ত মোহতা। তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী আরো বলেছে, ‘কলকাতায় বাংলাদেশ চলচিত্র উৎসব করুক।

বইমেলায় ফের ইসলাম বিকৃত করে বই, ‘আল্লাহ পৌত্তলিকদের দেবতার নাম’ (নাউযুবিল্লাহ)

বইমেলায় ফের ইসলাম বিকৃত করে বই, ‘আল্লাহ পৌত্তলিকদের দেবতার নাম’ (নাউযুবিল্লাহ) এবারের বইমেলায় ফের ইসলাম বিকৃত বই পাওয়া গেছে। বইটির নাম ‘ধর্ম বিশ্বাসের তলোয়ার’। লেখক : ওয়াহিদ রেজা (সে নারায়নগঞ্জে খুন হওয়া তকীর আপন চাচা। তার মূল নাম এম এ রাব্বি। সে পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক) প্রকাশক : জিনিয়াস পাবলিকেশন্স প্রকাশনীর মালিক: হাবীবুর রহমান ঠিকানা: ইসলামী টাওয়ার ২য় তলা, বাংলাবাজার ফোন : 01712-096899, 7118755 --বইটির ২৪৭ পৃষ্ঠায় দাবি করা হয় কাবা ঘরের ভেতরে আল্লাহ নামক দেবতামূর্তি পূজা করা হতো, তাই পবিত্র কাবা ঘরকে বলা হয় বায়তুল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ) --বইটির ২৪৭ পৃষ্ঠায় আল্লাহকে দেবীদের বাবা বলে উল্লেখ করা আছে। এক্ষেত্রে বলা হয়, লাত, উজ্জা ও মানত নামক যে তিনজন দেবীর নাম কুরআন পাকে এসেছে, তারা নাকি আল্লাহ’র মেয়ে (নাউযুবিল্লাহ) (বইটির কয়েকটি পৃষ্ঠা পিডিএফ করে দেওয়া হলো: http://goo.gl/2Ftzud ) বইটির প্রত্যেক পাতায় পাতায় মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমীর আইন অনুযায়ী বইমেলায় এ ধরনের বই বিক্রি হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও এ ধরণের বিকৃতমনা বই প্রকাশ্য

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মানহানীর দায়ে বই নিষিদ্ধ, বাজেয়াপ্ত হয় অনেক দেশেই, তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে কেন হবে না? উচ্চ আদালতে কে রুল হয় না? তবে কি ধর্ম অবমাননার সাথে সরকারও জড়িত?

বই বাজেয়াপ্ত বা নিষিদ্ধের ইতিহাসের শেষ নেই। যদিও সব বই নিষেধাজ্ঞার কারণ এক নয়। কোনটি ধর্ম অবমাননা, কোনটি রাষ্ট্র অবমাননা, কোনটি ভাষা বিকৃতি ইত্যাদি নানা কারণে বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার বই নিষিদ্ধ হয়েছে। অনেক অমুসলিম দেশেও ইসলামবিদ্বেষী বই প্রকাশের পর তা নিষিদ্ধ হওয়ার নজির আছে। যেমন, কট্টর ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক তসলিমা নাসরিনের রচিত ‘আমার মেয়েবেলা’র তৃতীয় খ- ‘দ্বি-খণ্ডিত’ বইটি নিষিদ্ধ হয় পশ্চিমবঙ্গে ২৮ নভেম্বর, ২০০৩ ঈসায়ী সালে। বাংলাদেশে ‘ক’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে ‘দ্বি-খ-িত’ নামে বইটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি চরম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থাকার অভিযোগে ‘পশ্চিমবঙ্গ’ সরকার বইিট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বাংলাদেশেও ইতঃপূর্বে বহু বই নিষিদ্ধ হয়েছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি, অবমাননার কারণে। যেমন- কুখ্যাত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ রচিত ‘নারী’ বইটির আগাগোড়াই পবিত্র ইসলাম ধর্মবিদ্বেষিতা আর অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ ছিলো। ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন সরকার বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া তারই রচিত ‘উতল হাওয়া’ বইটিতে ইসলামবিরোধী তথ্য থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্র

মুসলমানদের চাকর থেকে যবন হিন্দুদের জমিদার হওয়ার ইতিহাস

অনেক হিন্দু মূর্খের মতো দাবি করে থাকে যে, বাংলাদেশের সব জমি নাকি হিন্দুদের ছিলো। তারা বলতে চায়, এদেশের মুসলমানরা নাকি হিন্দুদের জমি কেড়ে নিয়েছিলো। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করা, চুরি করা হিন্দুদের জাতিগত স্বভাব- একথা সবারই জানা রয়েছে। দখলদারিত্বের প্রকৃত ইতিহাস হচ্ছে- যবন হিন্দুরা যা দাবি করছে তার বিপরীত। পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ভূখ-কে দখল করেছিলো নৌদস্যু ব্রিটিশরা। তখন বাংলার চারভাগের একভাগ ভূ-সম্পত্তি মুসলিম ছূফী-দরবেশ ও আলিম-উলামাগণ উনাদের অধীনে ছিলো। উনারা এসব সম্পত্তি আয় দিয়ে বিনামূল্যে বাঙালি মুসলমান সমাজকে শিক্ষিত করতেন। এদেশের প্রাচুর্যতা দেখে নৌদস্যু ইংরেজরা চক্রান্ত করলো কিভাবে এ দেশ থেকে সম্পত্তি লুটপাট করা যায়। নৌদস্যু প্রধান ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৯৩ ঈসায়ীতে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন করে। এই আইনের বলেই বাঙালি মুসলমানদের সমস্ত জমিজমা কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের হাতে হস্তান্তর করে। এদিকে ব্রিটিশদের অনুগত মুসলিমবিরোধী এসব হিন্দুরা ছিল মুসলমানদের সভ্য সমাজ থেকে সমাজচ্যুত উপজাতি এবং যাবতীয় অসামাজিক অপকর্মের মূল হোতা। এসব নীচু শ্রেণীর হিন্দু চাকররা ইংরেজদের পা চাটতো কিছুটা জাত

ভারতবর্ষে মুসলিম সভ্যতা থেকে শিক্ষা নিয়েই যবন হিন্দুরা লেজ বিশিষ্ট মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছিলো॥ হিন্দু লেখকদের হিংসাত্মক লেখনিতেও এই ইতিহাস প্রমাণিত হয়

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ব্রিটিশদের রাজধানী থাকায় শুধু এ অঞ্চলেই হিন্দুদের প্রভাব বেশি ছিল। কিন্তু ভারতের অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে তা ছিল না। ফলে সাতচল্লিশে ভারত বিভাগের পরও সেসব জায়গায় মুসলিমপ্রধান সমাজব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এ নিয়ে আক্ষেপ করে নীরদ সি চৌধুরী ১৯৬৬ সালে ‘দেশ’ পত্রিকাতে প্রকাশিত ‘হিন্দুর মুসলমানী পরিচ্ছদ কেন?’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে- “ বাংলাদেশের সঙ্গে হিন্দুস্তানের (উত্তরভারতের) যে বড় সামাজিক ও সংস্কৃতিগত প্রভেদ গত দুই-তিন শত বৎসর ধরিয়া দেখা গিয়াছে তাহা এই- আমাদের (হিন্দুদের) মধ্যে নাগরিক, সভ্য ও বিদগ্ধ জনরা হিন্দু; আর মুসলমানরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক। আর আগে হিন্দুস্তানে ছিল ইহার উল্টা- হিন্দুরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক, খুব বেশি হইলে দোকানদার; আর মুসলমানরা ছিল নাগরিক সভ্যতার অবলম্বন। তাই হিন্দুস্তানে হিন্দু মাত্রেই সভ্য বলিয়া গৃহীত হইতে চাহিলে মুসলমানী রীতি ধরিত, অর্থাৎ তাহাদের (হিন্দুদের) ভাষা হইত উর্দু-ফার্সী, পোষাক হইত আচকান ইত্যাদি, আদব-কায়দাও হইত মুসলমানসুলভ। এখন যেমন সামাজিক প্রতিষ্ঠা জন্য লোকে ‘সাহেব’ হইতে চায়, তখন তাহারা মুসল

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী রোদেলা প্রকাশনীর শুধু বইমেলার স্টল বন্ধ নয়, তাদের প্রকাশনীর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, প্রকাশিত সমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই নিষিদ্ধ করতে হবে, মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী কাফিরের অনুচর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে প্রকাশনা সংস্থা ‘রোদেলা প্রকাশনী’। এরা বিভিন্ন বিদেশী ইসলামবিদ্বেষী, কটূক্তিকারী, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী বই অনুবাদ করে এদেশে প্রকাশ করে। এছাড়াও অনলাইন মুক্তমনা, ধর্মকারী, নবযুগ, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, সচলায়তন, মতিকন্ঠের মতো কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদীদের ব্লগের লেখকদের রচিত, অনুদিত, সম্পাদিত বইসমূহ এই বিতর্কিত ‘রোদেলা প্রকাশনী’ প্রকাশ করে থাকে। হয়তো এবারের বই মেলায় ১৪১-১৪২নং স্টলে ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামে জঘন্য বইটি নিয়ে অনলাইনে তীব্র প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে, ফলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ বই মেলায় প্রকাশনীর স্টলটি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ও কুখ্যাত নাস্তিকদের বই তাদের প্রকাশনীতে আরো অনেক আছে, যেগুলো কারো নজরে আসেনি কিংবা প্রতিবাদ হয়নি।  প্রতিবাদ হয়নি বলে এসমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে চলতে পারে না। সরকার যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে দেশের জনগণ তাদেরও ছাড়বে না, সরকারকেও কোনো প্রকার ছাড় দিবে না।  উল্লেখ্য, ইরানের নিষিদ্ধ ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মুরতাদ-মুনা

বই মেলায় ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তিকারী প্রকাশনায় সয়লাব

বই মেলায় ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তিকারী প্রকাশনায় সয়লাব; এটা কি সরকারের উদাসীনতায়, নাকি মৌন সমর্থনে? সরকারকে এর জবাবদিহি করতে হবে, এ সমস্ত প্রকাশনী নিষিদ্ধ ও তাদের বইগুলো বাজেয়াপ্ত করতে হবে কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, নাস্তিক, উগ্র হিন্দুত্ববাদী, মৌলবাদীদের দখলে বই মেলা। এটা শুধু বইমেলায় নয়, বরং দেশের শিক্ষা-সাহিত্য, সংস্কৃতিজুড়ে হু হু করে বিস্তৃত হচ্ছে এসব ইসলামবিদ্বেষীদের কর্মকাণ্ড। পশ্চিমা ও ভারত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো তাদের কর্মকা-কে আরো ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করছে। নাঊজুবিল্লাহ! আর সরকারের নীরব ভূমিকায় এসবের মধ্যে সহায়তারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।  প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বইমেলায় ইসলামবিদ্বেষী এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পবিত্র ও সম্মানিত বিষয়সমূহ নিয়ে কটূক্তি করে অনেক বই প্রকাশনা হয়েছে। তারমধ্যে ২৪২-২৪৪নং স্টলে ‘রোদেলা’ প্রকাশনী ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামক একটি জঘন্য বই প্রকাশ করেছে। এ বইটিতে বলা হয়েছে, পবিত্র কুরআন শরীফ আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মস্তিষ্ক উদ্ভব অর্থাৎ মনগড়া, নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!! মহান আল্লাহ

স্বনির্ভর বাংলাদেশের উপরই নির্ভর করে বেঁচে থাকে ফকির ভারত

স্বনির্ভর বাংলাদেশের উপরই নির্ভর করে বেঁচে থাকে ফকির ভারত: আজ্ঞাবহ সরকারের কারণেই ভারত নিম্নমানের পণ্য রপ্তানি করে এদেশের মানসম্পন্ন পণ্যদ্রব্য আমদানি (চুরি) করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমই ভারত নিয়ন্ত্রিত ও ভারতের আজ্ঞাবহ সরকারের সেন্সরে থাকার কারণে এ তথ্যটি অনেকেরই জানা নেই যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ফল-ফলাদি, যেকোনো ফসলের বাম্পার ফলন হলেও তা আমরা কেন ভোগ করতে পারি না? বাংলাদেশ স্বনির্ভর হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের আমদানি নির্ভর হয়ে থাকতে হয়? বাংলাদেশে যেকোনো ফসল উৎপাদনে বাম্পার ফলনের খবর প্রকাশ হলেও কেন রফতানির খবর পাওয়া যায় না? তাহলে এ ফসলগুলো কোথায় যায়? দেশের চাহিদার অতিরিক্ত ফলন হওয়া পরেও কেন আমাদের উচ্চমূল্য দিয়ে কিনতে হয়? প্রতি বছর ইলিশের ভরা মৌসুমেও কেন আমরা ইলিশ খেতে পারি না?  এসব প্রশ্নের অনুসন্ধানী রিপোর্ট বা নেপথ্যের কাহিনী গণমাধ্যমে প্রকাশ না হলেও একথা অনেকেরই জানা আছে যে, বাংলাদেশে উৎপাদিত অধিকাংশ ফসলই চলে যায় (পাচার হয়) পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। ভারত নানান চ্যানেলে (সরকারি-বেসরকারি দালালদের মাধ্যমে) এগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এর একটা অংশ দিয়ে ভারত নিজেরা খেয়ে বেঁচে থাক