সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দশচক্রে ভগবান ভূত; ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ এখন ঢাকেশ্বরী মন্দির!

     শায়েস্তা খাঁ, মোঘল আমলের একজন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। তিনি বাংলা শাসন করেন প্রথমবার ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয়বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তাঁর শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এ সময় তিনি বহু মসজিদ, ঈদগাহ নির্মাণ করেন। তার মধ্যে বর্তমান পুরনো ঢাকার অভ্যন্তরে পলাশী ব্যারাক এলাকায় বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসমূহের দক্ষিণে একটি ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যার পার্শে একটি মসজিদও ছিলো বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত বড় একটি ঈদগাহ হিসেবে বিখ্যাত ছিলো। ঐ স্থানটির তৎকালীন নাম ছিলো মুসলিমবাগ। এটি ছিলো তৎকালীন সময়ের ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ। নাম ছিলো মুসলিমবাগ সুন্নি ঈদগাহ। বিভিন্ন ইতিহাসে বর্ণিত, এখানে একটি বিশেষ কূপ ছিলো। যে কূপের পানি ছিলো অত্যন্ত সুমিষ্ট। যে পানি পান করলে অনেক কঠিন দুরারোগও ভালো হয়ে যেতো। এই কুপটির সুনাম ভারত বর্ষসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো। এর পানি খাওয়ার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও এখানে আসতো। যেহেতু কূপটি মুসলমানদের ছিলো তাই অনেক বিধর্মী এই কুপের

পবিত্র কুরবানীর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনলে তা সরকারের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নজির হয়ে থাকবে ॥ প্রয়োজন হাটের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ানো

      রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে ঈদে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এবং সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজধানীতে কুরবানীদাতার সংখ্যা। এছাড়াও অবিশ্বাস্য হারে ঢাকায় বাড়ছে ধনী লোকের সংখ্যা। সুতরাং সেই সাথে কুরবানীর পশুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে সমান হারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সবকিছু বাড়লেও এবার বাড়ছে না কুরবানীর হাট। সরকারি মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও হওয়া উচিত ছিলো বিপরীতটি। হাট কমানো হলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে কুরবানীর পশুও। কুরবানীর পশুর হাট কেন বাড়ানো প্রয়োজন তার একটি সহজ হিসাব আমরা দেখতে পারি। এতে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাবে সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্ত কতোটা অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নামান্তর। কুরবানীর হাটে গরুর জন্য নিম্নোক্ত বিধি ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন।      প্রতিটি গরুর জন্য কমপক্ষে ৫০ বর্গ ফুট ও প্রতিটি ছাগলের জন্য ২৫ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। কারণ গরুর অবস্থান স্থল, দুটি গরুর মধ্যবর্তী জায়গা, গো’খাবারের জন্য পৃথক জায়গা, গরু ব্যাপারীর থাকার জায়গা, দুই গরুর সারির মধ্যখানের রাস্তা ও ক্রেতাদের দেখার সুবিধার্থে প্রয়ো

শিক্ষা নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র কেন? সরকারের ভেতরে থেকে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কারা কলকাঠি নাড়ছে?

একটি জাতিকে হাতের মুঠোয় আনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। যেমন রাশিয়ায় কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসার পর সেদেশে ৫ বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। ৫ বছর পরে তারা সিলেবাসে ৩৩ শতাংশেরও বেশি কমিউনিজম ও নাস্তিক্যবাদ মিশ্রণ করে রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ঐ নাস্তিক্যতাবিদ্যায় পাস করেই রাশিয়ায় সবাইকে ডিগ্রি নিতে হতো। অর্থাৎ কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে তথা এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বা ধর্মহীন বানাতেই কট্টর কমিউনিস্ট ও নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একের পর এক একতরফা নীতি নির্ধারণ করে চলেছে, যা ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পরেও অব্যাহত থাকছে। হিন্দুঘেঁষা বামপন্থী এই শিক্ষামন্ত্রীর অধীনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।  বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে শিক্ষায় হাইব্রীড ফলনের মতো পাসের বৃদ্ধি ছাড়া তেমন কোন উন্নতি হয়নি। বরং শিক্ষাব্যবস্থায় এমন সব নীতি নির্ধারণ হয়েছে, যা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য একটি ধর্মবিমুখ, দেশপ্রেমহীন ও ভারতের প্রতি নতজানু জাতি হিসেবে তৈরি করবে। শুধু তাই নয়,

মুসলমানের দেশে যবন হিন্দুদের বাড়াবাড়ি বরদাশত যোগ্য নয়, গণমানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে আচানক দেশে হিন্দু বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

মুসলমানের রক্ত বলে কথা। বীরের জাতি। কতোদিন সহ্য করবে হিন্দুদের বাড়াবাড়ি। যবন ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য হিন্দুরা সরকারের নাকে দড়ি বেঁধে দেশে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। ফায়দা লুটছে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা কিছু গাদ্দার। তারা ভারতের ক্রীড়নক হয়ে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। এরাই আজ মুসলমানদের স্বাধীন উন্মুক্ত হাতে শেকল পরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। একের পর এক আঘাত হানছে ধর্মীয় অনুভূতিতে। ওরা মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করে দিতে চায়। ওদের কথা মতো শাসকগোষ্ঠীও উদ্ভট নীতি নির্ধারণ করে জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা পূজা করতে চায়, শত শত মন্দির গড়তে চায়। বাংলাদেশে থেকে এরা বাবরি মসজিদের মতো করে পবিত্র মসজিদগুলো ভেঙ্গে দিতে চায়। আর শাসকগোষ্ঠী তাদের খুশি করতে বুড়িগঙ্গার তীরে সরকারি (জনগণের) জায়গায় স্থাপিত মসজিদগুলো ভাঙার নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে। কতো বড় দুঃসাহস হলে এই ম্লেচ্ছ যবন হিন্দুরা বাংলাদেশের মসজিদ ভাঙতে চায়? কতো বড় দুঃসাহস হলে এরা এদেশের হাইকোর্টে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনাকে চ্যালেঞ্জ করে অর্থাৎ ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য রিট করে। কত বেশি স্বাধীনতা পেলে এরা শিল্পকলা একাডেমিতে

প্রসঙ্গ: বুড়িগঙ্গার তীরে মসজিদ উচ্ছেদ ॥

প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কখনো মনে মনে হয় না; অন্যায়-অবিচার রুখতে হলে চাই ঐক্যবদ্ধ ক্ষোভের বিস্ফোর। অবৈধ স্থাপনা, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি উদ্ভট কারণ দেখিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ¦বর্তী পবিত্র মসজিদসমূহ ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি মহল। নাউযুবিল্লাহ! এরমধ্যে আগানগর এলাকার একটি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে আমাদের ইসলামবান্ধব(!) সরকার। (সংবাদ সূত্র: ভোরের কাগজ, ১৩ আগস্ট ২০১৫) বাকী মসজিদগুলোতেও ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ পাঠানোর পর্যায় শেষ। এখন যেকোনো সময় ভাঙ্গার পালা। যদিও স্থানীয়ভাবে দেখা গেছে মসজিদ এলাকার স্থানীয় জনগণ যারপরনাই ক্ষিপ্ত ও প্রতিবাদী মনোভাব ধারণ করে প্রস্তুত হয়ে আছে মসজিদের জন্য যান দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের এই পুঞ্জিভুত ক্ষোভকে এক ফু’তেই নিভিয়ে দিতে পারে প্রশাসনের ছল-চাতুরি কিংবা কোনো উলামায়ে সূ’র বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের লাগাতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে বেসামাল হয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোরতা বাষ্প হয়ে উড়ে যা

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর ভ্যাট চাপিয়ে দেয়ার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে কী হবে?

সরকার চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর ৭.৫% হারে ভ্যাট আরোপ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৪ জুলাই (২০১৫ঈ.) এ বিষয়ে আদেশ জারি করে। এরপর থেকেই চলছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন। এব্যাপারে সরকারও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে।  ভ্যাটম্যান খ্যাত অর্থমন্ত্রী সাফ বলে দিয়েছে, ‘যত আন্দোলনই হোক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট কমানো হবে না।’ (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১৪-০৮-২০১৫ঈসায়ী) সরকারের প্রতিটি কার্যক্রম কিংবা আদেশের পেছনে একটি দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। তাহলে প্রশ্ন উঠে যে, বেসরকারি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর ভ্যাট কেন? এ প্রশ্নের জবাবে কিছু সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। যেমন- এই প্রাথমিক স্টেপে ভ্যাট আদায়ে সরকার সফল হলে কিছু দিন পর বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি’র উপর ভ্যাট বসানো হবে। তারপর মাদরাসা শিক্ষা তথা দ্বীন শিক্ষার উপর ভ্যাট বসানো হবে। এরপর থেকে জারি হয়ে যাবে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায়। এ

সৃজনশীল প্রশ্নের নেপথ্যে বর্তমান হিন্দুয়ানী সিলেবাস গলধকরণ!

সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির জনক বলা হয়- যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুমকে। কিন্তু আমাদের দেশে আনা হয়েছে ভারতীয় সংস্করনকে। বাংলাদেশে এই পদ্ধতির শুরুটা হয়েছিলো ২০১০ সালে। বর্তমানে জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় সব বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয় সৃজনশীল পদ্ধতিতে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে কোনো প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয় না। এই পদ্ধতিতে ভালো করার একমাত্র উপায়- পাঠ্য বই ভালোভাবে আত্মস্থ করা। পাঠ্য বইতে যার যত বেশি দখল থাকবে, সে তত ভালো করতে পারবে। কিন্তু এই সৃজনশীল পদ্ধতিটা যে আদতে নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যপুস্তকে ভালোভাবে মগজ ধোলাইর জন্য একটি সুগঠিত পূর্বপরিকল্পনা, সেটা ধরা পড়ে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন হওয়ার পর। নতুন পাঠ্যপুস্তকগুলোতে দেখা যায়- শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হিন্দুয়ানী শব্দের ঝংকারে ভরপুর, সেই সাথে নাস্তিক্যবাদী মতবাদে দূষিত। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়- ১ম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’তে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা দিতে গিয়ে অক্ষর পরিচয় করা হয়েছে এভাবে- ঋ-তে ঋষি, ও-তে ওঝা। এছাড়া হিন্দুদের পূজার ঢাক, হিন্দুদের রথ এসব শব্দমালা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীতে আনন্দপাঠ (দ্রুত বা

বুড়িগঙ্গার তীরে পবিত্র মসজিদসমূহকে ‘অবৈধ মসজিদ’ বলার সাহস ওদের কে দিলো?

শত শত ড্রেন-নর্দমা দিয়ে রাজধানীর কোটি মানুষের পয়ঃবর্জ্য, হাসপাতাল-কল-কারখানাগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য, হাজারীবাগের ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্যসহ বিভিন্ন বর্জ্য-আবর্জনা নদীতে পড়ে নদী দূষিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। যা নিয়ে কারো কোনো কথা নেই। নদীর তীরে সরকারি জায়গা দখল করে ক্ষমতাসীনদের দলীয় কার্যালয়, বাসভবন-বানিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ বহু কিছু গড়ে উঠেছে; এসব নিয়েও কারো কোনো মাথাব্যথা দেখা যায় না। কিন্তু যে পবিত্র মসজিদগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নামায ও ইবাদত-বন্দেগীর জন্য সরকারি জায়গায় সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে কিংবা সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিলো, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে নদীভাঙ্গন থেকে তীরবর্তী রাজধানীর বহু জায়গা রক্ষা পেয়েছে, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে রাজধানী ঢাকা এতোটা উন্নতি লাভ করলো, সেই মসজিদই নাকি এখন ‘অবৈধ’। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ অবৈধ হবে কেন? মসজিদের জায়গাই বা অবৈধ হবে কেন? যারা সরকারি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোকে অবৈধ বলছে, এই জায়গাগুলো কি তাদের বাপ-দাদা পূর্বপূরুষের কারো? নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের? যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা জনগণের জন্য ও জনগণের দ্বারা। যে রাষ্ট্রের ৯৮ ভাগ

প্রসঙ্গ: নদীর তীরে মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ॥ সর্ষের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ভূতগুলোর জন্যই সরকারের পতন ঘটতে পারে

সরকারের ভেতর থাকা কিছু ইসলামীবিদ্বেষী মহলের কারণে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য মুসলমানের রোষানলে পড়তে হতে পারে। কেননা, মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে, মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় কুঠারাঘাত করে অন্তত বাংলাদেশে কেউ সফল হতে পারেনি, কস্মিনকালে কেউ পারবেও না। ইনশাআল্লাহ! বরং মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তোষের গযবে পড়ে ইসলাম বিরোধীরাই অপদস্ত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে। এদেশে থেকে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছে তারা কেউ এদেশে টিকে থাকতে পারেনি। অনেকে জীবন হারিয়েছে ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের জন্য। বোধ করি সরকারকেও এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নদী রক্ষার নামে বা পরিবেশ দূষণের নামে নদীর তীরবর্তী মসজিদগুলো স্থানান্তরের নামে ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে সরকারি কিছু দুষ্ট চক্র। তারা এদেশে থেকে পবিত্র মসজিদগুলোকে ‘অবৈধ মসজিদ’ হিসেবে চিহ্নিত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ এ মসজিদগুলোর অধিকাংশই স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু আগের স্থাপনা। যখন নদী ছিলো মসজিদের জায়গা থেকে বহু দূরে, পরবর্তীতে ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের কাছে এসে ঠেকে গেছে। বরং এ পবিত্র মসজিদগুলোর উসীলাতেই রাজ

আলিম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীরা পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার পক্ষে রায় দিয়ে সরকার ও মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উত্তম আমীর (শাসক) ঐ ব্যক্তি, যে হাক্কানী-রব্বানী আলিমগণ উনাদের দরবারে যাতায়াত করেন। আর নিকৃষ্ট আলিম-উলামা বা ধর্মব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তি, যে শাসকদের দরবারে যাতায়াত করে।” গত ২৫ আগস্ট (২০১৫) ঈসায়ী তারিখ সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখার অজুহাতে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠা ২১টি মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সেই সভায় উপস্থিত ছিলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের একজন ইমাম। (দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ আগস্ট, ২০১৫ ঈসায়ী) সভায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি সরকারি মহলকে খুশি করতে (অথবা দুনিয়াবী ফায়দা লাভের জন্য) পবিত্র মসজিদ ভাঙার পক্ষে রায় দেয়। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ ভাঙার উদ্যোগ ২০১০ সালেও একবার নেয়া হয়েছিলো। সেই বৈঠকেও ছিলো কিছু উলামায়ে সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠকে বসে ইফার মহাপরিচালক বলেছিলো, “অবৈধভাবে গড়ে উঠা কোনো মসজিদে নামায আদায় বৈধ নয়। এ জন্য জমির মালিকের বা সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

কুরবানীর পশুর জন্য নির্ধারিত নতুন হাট বসাতে হবে, তবে কোনো হাটের বিকল্প হিসেবে নয়; নতুন হাট বৃদ্ধি হিসেবে করতে হবে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক নতুন অনেক জায়গায় হাট বসানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে পুরনো কোনো হাটের পরিবর্তে নয় বা স্থানান্তর হিসেবে নয়; বরং সেটি করতে হবে নতুন হাট হিসেবে। যেমন- শেরে বাংলা নগর বাণিজ্য মেলার মাঠে অবশ্যই হাট করতে হবে কিন্তু আগারগাঁও হাট বাতিল করা যাবে না। কুরবানীবিরোধী কিছু মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বাণিজ্য মেলার হাট বসলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন- গণভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, শেরেবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটবে। মূলত এসব অবান্তর যুক্তিতে তাদের ‘কুরবানীবিদ্বেষী’ মনোভাব প্রকোটভাবে ধরা পড়ে। কেননা, কুরবানীর হাট থাকবে ৭/৮ দিন আর সেখানে যে পরিমাণ লোক যাতায়াত করবে তার তুলনায় ১ মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একশগুণ বেশি মানুষের যাতায়াত হয়; তখন এসব মিডিয়া কোথায় থাকে? তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক মন্ত্রণালয় ও ডিএমপি’র আপত্তি দেখা যায় না কেন? মনে রাখতে হবে, রাজধানীতে মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যাও কমছে অর্থাৎ রাজধানীতে কুরবানীদাতার সংখ্যা বহুগ

পবিত্র কুরবানী নিয়ে নীতি নির্ধারকদের কাছে কিছু প্রশ্ন

ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর নব নির্বাচিত মেয়র আনিসুল বলেছেন, “কুরবানীর জন্য ৪৯৩টির মতো স্থানে রয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ পশু কুরবানী সম্ভব, সেখানেই যেন সবাই পশু কুরবানী করেন। এতে পরিবেশ দূষণ যেমন কম হবে, তেমনি ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে।” (সূত্র: বাংলানিউজ২৪ডটকম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ঈসায়ী) নতুন নির্বাচিত মেয়র আনিসুল সাহবের উক্ত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমি ৯৮ ভাগ মুসলমানের পক্ষ থেকে নীতি নির্ধারকদেরকে কিছু বলতে চাই- ১) ৪ লক্ষ গরু প্রায় ৪৯৩ স্পটে জবাই করলে প্রতি স্পটে হয় ৮১১ গরু। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে- ঢাকায় নির্ধারিত স্পটগুলো কি এত বড়, যেখানে একসাথে ৮১১টি গরু জবাই করা যাবে? ২) ঢাকা শহরে কুরবানী হয় প্রায় ৩০ লক্ষ কিন্তু নির্ধারিত স্পটগুলোর ক্যাপাসিটি বলা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ এবং বলা হয়েছে নির্ধারিত স্পটে কুরবানী করতে বাধ্য করা হবে। তাহলে বাকি ২৫ লক্ষ পশু কোথায় কুরবানী হবে? নাকি আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে হবে? ৩) ৪ লক্ষ পশুর চামড়া ছাড়াতে বা গোশত কাটতে কম করে হলেও ১০ লক্ষ কসাই দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কি ১০ লক্ষ কসাই আছে? ৫) কসাইদের গোশত বানানোর জন্য আলাদা স্থান ও ব্যবস্থা প্রয়োজন,

‘কুরবানী’ই ইসলামবিদ্বেষী মহলের মূল সমস্যা, যানজটও কোনো সমস্যা নয়

‘কুরবানী’ই ইসলামবিদ্বেষী মহলের মূল সমস্যা; তাদের দৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের কারণে বা পূজার কারণে এমনকি সারাবছর লেগে থাকা যানজটও কোনো সমস্যা নয়!    যানজট ও মানুষের চলাচলে সমস্যার বিভ্রান্তিকর অজুহাত দেখিয়ে রাজধানীতে পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট কমানোর পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল ও মিডিয়া। যদিও কুরবানীর পশুর হাট এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে। বরং পর্যাপ্ত বা নিকটস্থ এলাকায় কুরবানীর পশুর হাট না থাকলে এই জনগণেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই অতীব প্রয়োজনীয় হাটকে বাঁকা চোখের লোকগুলো ‘সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে অপপ্রচার করছে। আসলে এটি সমস্যা হতে পারে কেবল কুরবানীবিদ্বেষী মহলের জন্যই। যেহেতু এটা ‘কুরবানী’। বলাবাহুল্য, যখন পহেলা বৈশাখের কারণে ঢাকার বড় বড় হাসপাতালগুলোর (ঢামেক, পিজি, বারডেম) গেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন এসব যানজট সচেতন(!) মহলগুলো কোথায় থাকে? যখন হিন্দুদের দুর্গাপূজা-জন্মাষ্টমী-রথযাত্রার হিন্দুরা ঢাকা শহরে যানজট বাঁধিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য মিছিল করে তার আগে এসব মহলের যানজট অনুভূতি কোথায় থাকে? রাজনৈতিক দলগুলো যখন সারা বছর তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ বিভিন্ন অন