সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2012 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোহিঙ্গা মুসলমান যারা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদেরকে পুশব্যাক করা কখনো ইসলামী কাজ নয়

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেযগারীতে সাহায্য করো, আর পাপ কাজ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করোনা।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৯৭% জনগণ মুসলমান আর রাষ্ট্রীয় দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। কাজেই এদেশের জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করা। সে শর্তে ইসলামে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়া, পিপাসার্তকে পান করানো, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দেয়া ইত্যাদি নেক কাজের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, রোহিঙ্গা মুসলমান যারা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদেরকে পুশব্যাক করা কখনো ইসলামী কাজ নয় । স্মরণীয় যে, বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ (ক), ২৫ (খ) ও ২৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ীও বাংলাদেশ সরকার সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা লাভের উদ্দেশ্যে আগমনকারীদের তথা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থীদের আশ্রয় দিতে পারে। প্রতিবেশী দেশে মুসলমানদের অকাতরে শহীদ করা হচ্ছে, রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশ সেটা কী করে চোখে দেখে নির্লিপ্ত থাকতে পারে? বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের উপর মুসলিম নির্যাতন বন্ধে শক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং ওআইসিসহ জাতিসংঘে বিষয়টি জোরদারভাবে উল্লেখ করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ল

“যখন শবে বরাতের রাত্রি পাবে তখন সারা রাত্রি ইবাদত কর এবং দিনে রোযা রাখ“

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রাত্রিতে তথা শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিল করি  অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নেই। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,  যখন শবে বরাতের রাত্রি পাবে তখন সারা রাত্রি ইবাদত কর এবং দিনে রোযা রাখ। যারা বলে- ‘কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতের কোন অস্তিত্ব নেই’ তাদের এ বক্তব্য  সম্পূর্ণরূপে জিহালতপূর্ণ, গুমরাহীমূলক ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। ধর্মব্যবসায়ী ও হারাম টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রামকারীরাই তাদের ধর্মব্যবসার স্বার্থে  শবে বরাতের বিরোধিতা করে থাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে ধর্মব্যবসায়ীদের কথা শোনা ও মানা জায়িয নেই। বিস্তারিত পড়ুন

আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ২৩) ‘মুসলিম শরীফ’ ও ‘মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “একদা ভোর বেলা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কালো বর্ণের পশমী নকশী কম্বল মুবারক শরীর মুবারকে জড়িয়ে বের হলেন। এমন সময় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে আসলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার সহিত প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরআন

মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবারই একটি বহিঃপ্রকাশ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা, মর্তবাকে সীমাহীনভাবে বুলন্দ করেছি।’ মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবারই একটি বহিঃপ্রকাশ উনার খাদিম হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনিসহ সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা যেখানে চোখের পলকে আসমান থেকে যমীনে এবং যমীন থেকে আসমানে আসা-যাওয়া করেন; সেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ-এর ব্যাপারে কি করে সংশয় প্রকাশ করা যেতে পারে? মূলত, উনার মি’রাজ শরীফ-এর ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করা কাট্টা কুফরী ছাড়া কিছুই নয়। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব! আমি আপনার সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা, মর্তবাকে সীমাহীনভাবে বুলন্দ করেছি।’ পব

আরাকানে মুসলমানদের উপর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, গণসম্ভ্রমহরণ, লুণ্ঠনের মচ্ছব চলছে; বিশ্ব মুসলিম নির্বাক

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই।’ আর আরাকানে মুসলমানদের উপর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, গণসম্ভ্রমহরণ, লুণ্ঠনের মচ্ছব চলছে। অথচ সারা বিশ্বের মুসলমানরা নির্বাক। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান দেশ হিসেবে বাংলাদেশসহ কোনো মুসলমান দেশ শরয়ী দৃষ্টিতে নির্বাক থাকতে পারে না। আশ্রয়ের জন্য যেসব মুসলমান বাংলাদেশে আসছে, বাংলাদেশ দ্বীনি ও মানবীয় মূল্যবোধ থেকে কোনোক্রমেই তাদের ফিরিয়ে দিতে পারে না। বাংলাদেশের উচিত- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা, ওআইসি ও জাতিসংঘে বিষয়টি জোরদারভাবে বলা। এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জুলুম বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করা। যে জাতিসংঘ সুদান ভাগ করে খ্রিস্টানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান তৈরি করে; সে জাতিসংঘ আরাকানের মজলুম মুসলমানদের ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন? তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ও

মুজাদ্দিদগণের পরিচয় এবং বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ

মহান আল্লাহ পাক মানব ও জ্বিন জাতির হিদায়েতের জন্য যমীনে হাদী পাঠান। এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,  “প্রত্যেক ক্বওমের জন্যই হাদী বা হিদায়েতকারী রয়েছে”   (সূরা রা’দঃ ৭)   তাই পৃথিবীতে একলক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুইলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম হাদী হিসেবে আগমন করেছেন। সর্বশেষে আগমন করেছেন, আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর পর পৃথিবীতে আর কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম আগমন করবেন না। তাই ছহীহ্ দ্বীন তথা শরীয়তের আক্বীদা ও আমল মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আল্লাহ পাক ন্যস্ত করেছেন হক্কানী আলিম তথা আউলিয়ায়ে কিরামগণের উপর। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিছ বা উত্তরাধিকারী”   (তিরমিযী, আবূ দাউদ, ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত) যেহেতু হাদী হিসেবে নবীগণের ওয়ারিছদের আগমনের দরজা কেয়ামত পর্যন্ত খোলা রয়েছে, তাই হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,  “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উম্মতে মুহম্মদীর জন্যে প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যিনি তাদের দ্বীন তথা শরীয়তের আক্বীদা ও আমলের তাজদীদ বা সংস্

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের ফাযায়েল ফযিলত

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন (পরবর্তী উম্মত) তোমরা যদি তদ্রুপ ঈমান আনতে পার তাহলে তোমরা হিদায়েত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার প্রত্যেক ছাহাবী তারকা সদৃশ্য; উনাদের যে কাউকে পরবর্তী উম্মত অনুসরণ করবে সে বা তারা হিদায়েত পেয়ে যাবে।’ সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকল মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উনাদের জীবনী মুবারক জানা, এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। সে উপলক্ষে সর্বত্র উনাদের জীবনী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে উনাদের জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা । যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন

হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ।’ আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২০শে জুমাদাল উখরা। সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবিহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিন। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার আলোচনা অর্থাৎ ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিল সমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার জিবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতা

যারা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করবে তারা কুফরী করবে

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।’ আজ যারা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ মুসলমানদের জন্য ‘পহেলা এপ্রিল’ বা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করা হারাম ও কুফরী। কেননা এদিন কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে চরম মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। মুসলমান নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে গাফিল থাকার কারণেই আজকে বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রতি বৎসর ১লা এপ্রিলের নামে বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায়, শি

ইসলামের বাতিল ৭২ দল ও তাদের কুফরী আক্বীদা

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যে একটি দল নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের উপর যারা কায়েম থাকবে,(তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল)।" ( তিরমিযী শরীফ) এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে, আর ১টি দল জান্নাতে যাবে। (আবূ দাউদ, মসনদে আহমদ,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ) উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় মিরকাত শরীফে আরো উল্লেখ আছে যে, "জেনে রাখ ! (উক্ত ৭৩টি দল) প্রধানতঃ ৮টি দলে বিভক্ত যা "মাওয়াক্বিফ" কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-  (১) মু'তাযিলাহ---------------এরা ২০ দলে বিভক্ত  (২) শিয়া---------------------এরা ২২ দলে বিভক্ত  (৩) খারেজী-------------------এরা ২০ দলে বিভক্ত  (৪) মরজিয়্যাহ----------------এর

বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর মোতায়েন আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা ইহুদী এবং নাছারা বা খৃস্টানদেরকে বন্ধু বা সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করোনা। বরং তারা (তোমাদের বন্ধু নয়) পরষ্পর পরষ্পরের বন্ধু। অতএব বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর মোতায়েন আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। আশ্চর্যের বিষয়, মার্কিনীরা চাচ্ছে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মত দুর্যোগে সহযোগীতা করতে, অথচ তারা নিজেদের দেশকেই নিজেরা দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে পারছেনা। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। তাহলে তারা বাংলাদেশকে কি করে সাহায্য করবে! যা একটা হাস্যস্পদ কথা। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে মার্কিন সেনাবাহিনীর সরাসরি যোগাযোগ চাওয়ার ইচ্ছা গভীর উদ্দেশ্যমূলক এবং দুরভিসন্ধিজনক। তার মধ্যে একটা দুরভিসন্ধি হলো- বাংলাদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য, মাল-সম্পদ নিয়ে নিজেদের দুর্যোগ মিটিয়ে অস্তিত্ব রক্ষা করা। স্মরণীয়, বাংলাদেশের ভূমি অথবা সমুদ্রসীমায় মার্কিন ঘাঁটি এদেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ কখনো মেনে নিবেনা। কারণ ৭১ সনে আমেরিকা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি সংবিধানেরও খিলাফ। কাজেই অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা