সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসরাইলি পন্য বয়কট যেভাবে সফল হবে

ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে চাইলে ভোক্তা পর্যায়ে নয় আগে মুসলিম উদ্দোক্তাদের উদ্দোগ নিতে হবে। আর ভোক্তাদের জানতে হবে অমুসলিমদের প্রতারণা ও পন্যের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে।  পৃথিবীর কোথাও যখন কোন দেশ মুসলমানদের উপর আঘাত হানে (ঈমানে অথবা স্বশরীরে) তখন সে দেশের পন্য বয়কটের প্রচারণা চাউর হয়। যেমন ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ইন্ডিয়া ইত্যাদি দেশগুলো প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটায়। তখন এ দেশগুলোর  পন্য বয়কট করার আহবান সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রচার হয়। যদিও সেই আহবান খুব বেশি ফলপ্রসু হয়না। সম্প্রতি গাজার মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলী হামলার নিন্দা ওঠেছে বিশ্বজুড়ে। মুসলিম দেশগুলোতে ইসরায়েলী পন্য বয়কটের ডাক উঠেছে। কিন্তু এ ডাক কতটা সফল হবে তা নির্ভর করছে ব্যবসায়ীদের উপর, ভোক্তাদের উপর নয়।  মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে যত পণ্য সামগ্রী প্রয়োজন তার সব কিছুই বাজারজাত করেছে ইহুদীরা। যার কারণে তারা সংখ্যায় কম হলেও গোটা বিশ্ব বাজার তাদের দখলে। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে বাজারের সমস্ত পণ্য ইহুদীদের। বাজারে খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবার পণ্যই আছে। ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে হলে মুসলমানদেরকে ব্যবসা সম্প্রসারণ ক

মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন ও অনুসরণের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযীলত প্রসঙ্গে

যিনি খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا  মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি শুধুমাত্র যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সমস্ত সৃষ্টি বান্দা-বান্দী, উম্মত, জীন-ইনসান, সবাইকে বলে দেন তারা সকলে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফদ্বল মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক লাভ করতে পেরেছে এজন্য তাদের সকলের দায়িত্ব হলো কর্তব্য হলো ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহু শরীফ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা  আলাইহিস সালাম!  هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ   আর এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা হচ্ছে সকলের জিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা  আলাইহিস

কারবালার শিক্ষা

কারবালায় পবিত্র আশুরা শরীফের ঘটনায় যে জন্য নসিহত ও ইবরত বা শিক্ষা রয়েছে তা নিম্নরূপ: ১) জীবন চলে গেলেও বাতিলের সাথে কোন রকম আপোস করা যাবেনা( সাইয়্যিদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম কারবালার প্রান্তরে সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন)  ২) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে যারা শহীদ করেছে সেই পাপীষ্ঠ, সৃষ্টির নিকৃষ্ট ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি সহ যারা শাহাদতের সাথে জড়িত সবাই কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি কে যারা কাফির বলবেনা তারাও কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা।  ৩) নবী রছুল আলাইহিমুছ ছালাম উনারা হলেন মাছুম, উনাদের কোন গুনাহখাতা নাই, উনারা কোন ভুল করেননি, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হলেন মাহফুজ বা সংরক্ষিত, উনারা হলেন সত্যের মাপকাঠি, উনারা হলেন তারকা স্বরুপ, উনাদের যে কাউকে যে কেহ যে কোন বিষয়ে অনুসরন করলে সে নাযাত পেয়ে যাবে। ৪) নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম, মহা সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুছ ছালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বিদা ও হুসনে যন(সু ধারনা) পোষন
  আমরা সবাই ওয়াজিব কুরবানীর কথাই জানি, কিন্তু ফরজ কুরবানীর বিষয়ে জানি না। আসুন আজকে জেনে নেই ফরজ কুরবানী কোনটি? আমাদের প্রিয় নবী এবং রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ওছিয়ত মুবারক অনুযায়ী "উনার পক্ষ থেকে" একটি কুরবানী করাই হচ্ছে ফরয কুরবানী। কোথায় আছে এই ফরজ কুরবানীর কথা? পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْحَسْنَاءِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ حَنَشٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ . অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? (দুটি কেন?) পবিত্র জবাবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ওছিয়ত মুবারক করে গিয়েছেন যে, আমি যেন উনার পবিত্রতম পক্ষ হতে কুরবানী করি। সুতরাং আম

বিশ্ব পর্দা দিবস কবে?

৮ই যিলক্বদ শরীফ ‘বিশ্ব পর্দা দিবস’। এ দিনেই প্রথম পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হয়। পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ উনার ৫৩ তম আয়াত শরীফ নায়িল হওয়ার মাধ্যমে পর্দা ফরয হয়।  প্রথম পর্দার বিধান জারী করা হয় ৫ম হিজরীতে। তখন হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইবনে হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ১৫ বৎসরের যুবক, উনার সামনে প্রথম পর্দার আয়াত নাযিল হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ...الخ অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম হুজরা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করোনা....। হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমাদের নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাদের নিসবতে আযীম শরীফের (নিকাহ মুবারক ) পর ওলীমা স্বরুপ কিছু রুটি, গোশত এবং হারিছার ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে, লোকদেরকে খাওয়ার জন্যে ডেকে আনতে পাঠানো হয়। তারপর একদল লোক এসে খেয়

নেট দুনিয়ায় নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুনিয়ায় আবির্ভাব ঘটেছে একটি অসাধারণ নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। নতুন এই সামাজিক প্লাটফর্মের নাম সিরাতুল মুস্তাকিম। আধুনিক সব ফিচার, অর্থ উপার্জন ও ব্যবসা করার অত্যাধুনিক ফিচার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।  ওয়েবসাইট:  sm40.com উৎপত্তি: বাংলাদেশ কেন “সিরাতুল মুস্তাক্বীম” তথা SM40.COM প্ল্যাটফর্মে জয়েন করবেন? - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল সুযোগ সুবিধা আছে - অশালীন ও হারাম বিষয়মুক্ত ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং সমাজকে বাঁচাতে - সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহৃত সময়কে পজিটিভলি কাজে লাগাতে - শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী, বয়স্ক এবং সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগী প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যসমূহ- ১. ব্যবহারকারীর সময়কে মূল্যায়ন করা হয় ২. অসামাজিক দূষণমুক্ত ৩. ব্যবহারকারীর তথ্যের উচ্চ নিরাপদ ৪. নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাক্তিগত ছবি অনুমোদিত নয় ৫. প্রয়োজনীয় সবধরনের জ্ঞান চর্চা, অভিজ্ঞতা, মতামত, আর্টিকেল শেয়ার ব্যবস্থা ৬. ব্যাক্তি আইডি দিয়ে পেইজ, গ্রুপ এবং