সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অতিসত্ত্বর দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাতিল করা হউক! দুই শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য কি ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী নিজভূমে পরবাসী হবে? দেবোত্তর সম্পত্তির নামে জমি ছিনিয়ে নেয়া কি জনগণ বরদাশত করবে?

সিলেটের তারাপুর চা বাগান, রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করার পক্ষে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রশাসন নোটিশ দিয়ে এলাকাবাসীকে বলেছে- এলাকা ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে হবে, অন্যথায় কয়েকদিনের মধ্যে গ্যাস পানি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে প্রায় ৪৪৪ একর বা ১৩৩২ বিঘা জমি হিন্দুদের দিয়ে দেয়া হবে। সেখানে হিন্দুরা দেবতার মূর্তি স্থাপন করবে। এটা নাকি হিন্দুদের কথিত দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুসলমানদের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’র ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা। এই বাংলার প্রায় সব জমির মালিক এক সময় মুসলমানরাই ছিলো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন পাশ করে মুসলমানদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুুদের দিয়ে দেয়। ফলে এক সময়কার সম্ভ্রান্ত মুসলমানরা পথে বসে যায় এবং কর্মচারি হিন্দুরা জমিদার বনে যায়। ফলে হঠাৎ দরিদ্র হওয়া মুসলমান তাদের কর্মচারি হিন্দুদের অধিনে চাকুরী করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ধরনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়েছে। ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন’ ও ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’ হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্

শুধু পিস টিভি-পিস স্কুল বন্ধ নয়, বরং সন্ত্রাসবাদ চেতনা বিস্তারকারী ওহাবী-ছালাফীদের সিলেবাস ও প্রকাশনা, ওয়েবসাইটসমূহও নিষিদ্ধ করতে হবে

মুসলিম তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্তকারী বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভি, পিস স্কুল বন্ধ করার জন্য সচেতন মহল বহুদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলো। দেরিতে হলেও সরকার এটি কার্যকর করেছে বলে সরকারকে মুবারকবাদ জানাই। তবে পিস টিভি, পিস স্কুলের কার্যক্রম বন্ধতেই সব সমস্যার সমাধান নয়। কারণ পিস টিভির মাধ্যমে জাকির নায়েক বা তার অনুসারিদের প্রোগ্রাম বা ব্রেইন ওয়াশ কার্যক্রম বন্ধ হলেও এদেশে পিস পাবলিকেশনের মতো ওহাবী-সালাফী, জামাত-শিবিরের ভ্রান্ত মতাদর্শ প্রচারকারী বহু প্রকাশনা, আত তাহরিকের মতো অনেক মাসিক পত্রিকা, বহু ওয়েবসাইট, বহু মাল্টিমিডিয়া পাবলিকেশন্স বাজারে সয়লাব রয়েছে। এসব পাবলিকেশন্স-এর বই কিংবা সিডি, ভিডিও, ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি প্রচারণা তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসবাদের দিকে উস্কে দিচ্ছে। সূতরাং ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারকারী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এসব প্রচার মাধ্যমগুলোও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।