সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইউরোপজুড়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিজয় পতাকা উড়ছে; ফ্রান্স এখন অঘোষিত মুসলিম দেশ

এক সময় খ্রিস্টান বিশ্বে ফ্রান্সকে বলা হতো গির্জা কন্যা। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় সমগ্র ইউরোপ জুড়ে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। পক্ষান্তরে মুসলিমদের সংখ্যা এতো বেশি পরিমাণে বাড়ছে যে, ইউরোপের অনেক দেশ এখন মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে গীর্জার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পবিত্র মসজিদের সংখ্যা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় গণহারে ধর্মান্তরিত হচ্ছে খ্রিষ্টানরা। গত ২৫ বছরে ফ্রান্সে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের হার বেড়েছে দ্বিগুণ। গত ১০০ বছরে ফ্রান্সে যতগুলো ক্যাথলিক গির্জা নির্মিত হয়েছে, গত ৩০ বছরেই তার চেয়ে বেশি মসজিদ ও নামায কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ফ্রান্সে অমুসলিম পরিবার প্রতি শিশুর সংখ্যা ১.২। কিন্তু মুসলিম পরিবারে শিশুর সংখ্যা এর ৫গুণ বেশি। জনসংখ্যা তাত্ত্বিক হিসেবে ফ্রান্সে ইসলামই একমাত্র বিজয়ী। সুবহানাল্লাহ! প্যারিসের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ মনসিঙ্গর ভিঙ্কট ট্রয়েস বলেছে, আগে ফ্রান্সের গ্রামবাসী প্রতি সপ্তাহে গির্জায় যেতো। এখন যায় প্রতি দুই মাসে একবার। তাই গির্জাগুলোর তিন চতুর্থাংশই খালি পড়ে

ফ্রান্সে চার্লি হেবডো পত্রিকার অফিসে হামলা খ্রিস্টানদেরই ষড়যন্ত্র

ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী কুখ্যাত ম্যাগাজিন চার্লি হেবডো  ২০১২ এবং ২০১৩ ঈ. সালে পরপর দুইবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে। নাউযুবিল্লাহ! এর প্রতিবাদে, দুইবারই ফ্রান্সসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সম্প্রতি এই পত্রিকার অফিসে হামলা হয়েছে এবং এতে ১২ জন কার্টুনিস্ট নিহত হয়েছে। এঘটনার পর ফ্রান্সে মুসলিমগণ যত্রতত্র হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঘটনাটি নাইন ইলেভেনের মতোই নাটকীয় ও পরিকল্পিত। কিন্তু এই বাস্তবতাটি উপলদ্ধি করার আগে ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি খ্রিস্টানরা কিভাবে নিচ্ছে তা জানা জরুরী। ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ঈসায়ী সালে ইসরাইল ন্যাশনাল নিউজে ‘ফ্রান্সে খ্রিস্টধর্ম বিদায়-স্বাগত ইসলাম’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটিতে ইহুদীরা ফ্রান্সের খ্রিস্টানদের গণহারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ, মুসলিম ও মসজিদের সংখ্যাবৃদ্ধি, গীর্জার সংখ্যা হ্রাস ইত্যাদি পরিসংখ্যান তুলে ধরে। সেখানে এও বলা হয়, ফ্রান্সে জনসংখ্যা তাত্ত্বিক হিসেবে ইসলামই বিজয়ী। বর্তমানে ক্যাথলিক ফ্রান্সের জন্য ইসলামে ধর্মান্তর একটি চ্যালেঞ্জ। ইউরো

অধিক মানুষের সম্পৃক্ততা থাকলেই হক্ব বলে প্রমাণ হয়না, বরং বাতিল বলে প্রমাণ হয়

অনেকেই তাবলীগ, চর্মনাই, ওহাবী-খারেজী ইত্যাদি বাতিল ও গোমরা দলগুলোতে বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা দেখে তাদের হক্ব বলে মনে করে। তাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এতোগুলো মানুষ কী বোকা নাকি? কিন্তু মানুষের আধিক্যতা দিয়ে যে হক্ব না হক্ব নিরুপন করা যায়না, এটা অনেকেরই মাথায় আসেনা। এখানে বুঝার জন্য খুব সহজ একটা হিসাব আছে। যেটা একটা বাচ্চাকে বললেও সে বুঝবে। সেটা হলো- ৭২ আর ১ এর মধ্যে পার্থক্য। কোনটা বড়? আরেকটু পরিস্কার করে বলি- হাদীছ শরীফ মোতাবেক ৭২টি হবে বাতিল ফিরক্বা আর ১টি হবে হক্ব তথা নাজাতপ্রাপ্ত দল। এখানে কোন সংখ্যাটা বেশি? ৭২ নাকি ১? সূতরাং সংখ্যা বেশি থাকলেই হক্ব বলে প্রমাণ হয়না বরং বাতিল বলেই প্রমাণ হয়। বাতিল ফিরক্বাদের দলে বেশি লোক হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হলো ইবলিসের ধোকা। কে এমন ব্যক্তি আছে যে ইবলিশের ধোকা থেকে রক্ষা পেতে পারে? ইবলিশতো ফেরেশতাদের মুয়াল্লিম (শিক্ষক) ছিলো। ইবলিশ কিভাবে মানুষকে ধোকা দেয় এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে আল্লাহ্ পাক উনার যিকির থেকে বিরত থাকে তার জন্য একটি শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। সে তার বন্ধু হয়ে সব সময় তার সাথে থাকে।”

ছয় উছূলী তাবলীগের মুরুব্বীদের হাক্বীক্বত

প্রত্যেক তাবলীগওয়ালাই মানুষকে দুনিয়া ত্যাগের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বোঝায়। তাদের আমিররা কথা বার্তায় এমন নমনীয়তা ও শিশুসুলভ আচরণ করে যেন দুনিয়ার কিছুই সে জানে না। তারা নিজেদের সম্পর্কে বলে যে, তারা কেবল নবীওয়ালা কাজ করে, দুনিয়াদারী কিছুই করে না; মহান আল্লাহ পাক তিনিই তাদের সব চালান। কিন্তু বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, কাকরাইল মসজিদ কমিটির আমির ও তাবলীগের মজলিশে শূরার সদস্য ও ফায়সাল (চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন কমিটির আমীর) ওয়াসিফুল ইসলামের অবস্থা সম্পর্কে জানলে চোখ উপরে উঠবে। ওয়াসিফুলের নেতৃত্বে একটি দল দেশ ও বিদেশ থেকে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে দুইশত কোটি টাকা তহবিল সংগ্রহ করে এবং এ টাকা সে পুরোটাই আত্মসাৎ করেছে। তার বিরুদ্ধে ২০১২ ঈসায়ী সালে টঙ্গী আস্তানা ময়দানের জন্য সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে কথা উঠে। ২০১৩ ঈসায়ী সালে টঙ্গি আস্তানা মাঠে ওয়াসিফের কক্ষ থেকে বড় অংকের টাকা পাওয়া যায়। বিগত দুই বছরে কাকরাইল মসজিদ থেকেই ১০ লাখ টাকা চুরি হয়।  অনেকদিন যাবৎ এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হলেও আজো পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ দিতে পারেনি সে। এছাড়াও রাজনীতি

ছয় উছুলী তাবলীগ, ইজতেমা ও ইহুদী সম্পর্ক

ছয় উছুলী তাবলীগের ইজতেমায় দেখা যায়, ইহুদী কোম্পানি ইউনিলিভারের লাইফবয় সাবানের সৌজন্যে মুসল্লিদের জন্য ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প। যে ইহুদী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির লভ্যাংশের একটি বড় অংশ চলে যায় ইসরাইলে মুসলিম নিধনো। এছাড়াও ইজতেমায় ইহুদী মালিকানাধীন বাটা কোম্পানির পক্ষ থেকেও দেখা যায় অভিনন্দন বার্তা। এই বাটার জুতাতেই কয়েক বছর আগে ‘আল্লাহু’ লেখা ছিল। এ নিয়ে বহু বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, মুসলমানদের প্রধান শত্রু হিসেবে পাওয়া যাবে ইহুদীদের অতঃপর মুশরিকদের। বাস্তবতায়ও দেখা যায়, সারা বিশ্বে মুসলমানদের উপর যত যুলুম নির্যাতন, নিধনযজ্ঞ সবই হচ্ছে ইহুদীদের ইন্ধনে ও পৃষ্ঠপোষকতায়। আর এদিকে ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কাসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যত মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে তার সবই করছে মুশরিকরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসি)। অথচ এই কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী ইহুদীরাই তাবলীগকে সহায়তা করছে! আর বাংলাদেশের তাবলীগ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ভারতের দিল্লীর নিজামুদ্দীন (মার্কায) থেকে। তবে কী তাবলীগের শেকড় ভেতর দিয়ে ইহুদী-মুশরিকদের সাথে গিয়ে মিলেছে? আসুন বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখা যাক। আমরা সবাই জান

কুচক্রী মিডিয়া প্রথম আলো’র ‘সেলফি’ প্রতিযোগিতা ও ভয়াবহ ভবিষ্যতের হাতছানী

মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে নিজের ছবি নিজে তোলাকে বলা হচ্ছে সেলফি। আর এ ছবিটা সোস্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়াকে বলা হচ্ছে সেলফি শেয়ার। সাম্প্রতিককালে এই ‘ফালতু’ কাজটিই দেশে-বিদেশে এক উন্মাদনা আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বাংলাদেশে কিছু কুচক্রী মহল এই সেলফি শেয়ার করাকে হালের ফ্যাশন হিসেবে বাঙালির মনমগজে প্রবেশ করিয়ে দিতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলোর মতো কুচক্রী মিডিয়া এর মধ্যে কুখ্যাততম। এর আগে তারাই ‘ফ্ল্যাশমব’ উন্মাদনা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলো। এই সেলফি উন্মাদনার ভাইরাস শুধু ভয়াবহ-ই নয়, বরং অনেকে ক্ষেত্রে জীবননাশীও। প্রকৃতপক্ষে এর পজেটিভ কোনো রেজাল্ট নেই অর্থাৎ ভালোর কোনো দিক নেই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম যেটাকে হারাম ঘোষণা করেছে সেখান থেকে ক্ষতিকর ফল পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এই ইসলামবিদ্বেষী প্রথম আলো সম্প্রতি ‘পিঠার সাথে সেলফি প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করেছে এবং তা সর্বত্র প্রচার করছে। এর মাধ্যমে দিয়ে বাঙালিদের গণহারে সেলফি উন্মাদনায় সম্পৃক্ত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এসব প্রচারণার একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে এবং এটি হবে সুদূরপ্রসারী। যেমন- (১) সেলফির মধ্যে অনেকেই মজা পে

ইহুদীদের এজেন্ট সউদী গ্র্যান্ড মুফতে আব্দুল আজিজ ওরফে কানা দাজ্জাল

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ’ উনার ৫৭ ও ৫৮ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ গ্রহণ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার জন্য স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক করেছেন। সে মুতাবিক পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হচ্ছে মুসলমান উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু ইহুদীদের সাথে সম্পর্কস্থাপনকারী ওহাবী মতাবাদের অনুসারী সউদীর গ্র্যান্ড মুফতে আব্দুল আজিজ আশ-শেইখ ওরফে কানা দাজ্জাল এ পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ অস্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে ‘পাপ’ বলে ফতওয়া দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! কানা দাজ্জালের এ ফতওয়ায় যারা বিভ্রান্ত তাদের জন্য তার অন্যান্য ফতওয়াগুলো এখানে পেশ করা হলো। সে বলেছে- (১) ‘ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগপ্রসূত তৎপরতা মাত্র! (দৈনিক আল ইহসান/ ৪ আগস্ট, ২০১৪ঈ.) (২) ইয়াযিদের বিরুদ্ধে হযরত ইমাম

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে চু-চেরাকারীরা পথভ্রষ্ট ও জাহান্নামী; তাদের জন্মেরও বৈধতা নেই

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হচ্ছেন ঈমানের মূল, উনাকে নিয়ে  চু-চেরাকারীরা পথভ্রষ্ট ও জাহান্নামী; তাদের জন্মেরও বৈধতা নেই প্রত্যেকটি বাতিল ৭২ বাহাত্তর ফিরক্বার দলই সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে চু-চেরা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও কুফরী আক্বীদা পোষণ করার কারণে। যেমন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খাতামুন্ নাবিইয়্যীন (শেষ নবী) হিসেবে না মানার কারণে কাদিয়ানীরা কাফির হয়ে গেছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ওহী নাযিল নিয়ে কুফরী আক্বীদা পোষণ করার কারণে শিয়ারা ইসলাম থেকে যুদা হয়ে কাফির হয়ে গেছে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মান মুবারক উনার খিলাফ যেমন- তিনি হাযির নাযির নন, তিনি ইলমে গায়েব জানেন না, তিনি আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। নাউযুবিল্লাহ! ইত্যাদি বদ আক্বীদা পোষণ করার কারণে ওয়াহাবীরা বাতিল বাহাত্তর ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। সালাফীদেরও মূল সমস্যা হচ্ছে

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা সাবধান!

১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; এটি শুধু দলীলসিদ্ধই নয় বরং যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ও পালিত হয়ে আসছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে বিতর্ক, মিথ্যাচার প্রচার করে কেউ সুবিধা করতে পারেনি বরং অপপ্রচারকারীরা লা’নতগ্রস্ত হয়ে বেঈমান হয়ে জাহান্নামী হয়েছে, মুসলমান থেকে নাম খারিজ হয়ে কাফের হয়েছে। সুতরাং বুঝে হোক, না বুঝে হোক যারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছো তারা সাবধান হয়ে যাও! মুসলমান থাকতে চাইলে তওবা ইস্তিগফার করে ঈমান নবায়ন করো। আর যদি আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদ্বেষী হয়েই থাকতে চাও তবে মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর মতো ঘোষণা দিয়ে কাফির হয়ে যাও। কোন সন্দেহ নেই, মৃত্যুর সময় তোমাদের মুখ পশুর মতো বিকৃতি হয়ে যাবে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ নিয়ে বিরোধিতাকারী পাকিস্তানের মালানা সরফরাজ খান সফদরের মতো আকৃতি বিকৃতি ঘটবে। কুখ্যাত রাজাকার গো’আযম-এর মতো মরার পর মুখ দিয়ে ইস্তেঞ্জা বের হবে। এমনকি মৃত্যুর আগেও এমন কঠিন ফল ভোগ করতে হতে পারে। সুতরাং এখনো

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীরা প্রকৃতপক্ষে মুসলমান নয়

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হারাম কাজ থেকে দূরে সরে থাকে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান উনার পরিচয়।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, “এরপর পবিত্র ঈমান উনার আর সরিষা পরিমাণ অংশও অবশিষ্ট থাকে না।” বলা বাহুল্য, পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ শিরকের মতো অমার্জনীয় পাপ করে, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি মানুষ জঘন্যতম হারামে নিমজ্জিত হয়। ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ কে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষ নিকৃষ্ট পাপকর্মে লিপ্ত হয়। খেলাধুলার নামে হাজার কোটি টাকার অপচয় হয়। নাটক-সিনেমা, গান-বাজনা, টেলিভিশনের মাধ্যমে মুসলমানদের চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সমস্ত হারাম কাজ প্রকাশ্যে হচ্ছে যত্রতত্র। কিন্তু পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন নিয়ে যারা বিরোধিতা করে তারা কী কখন এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে? কেউ দেখেছ

কাফিরদের প্রবর্তিত দিবস নয়, শান্তি পেতে হলে সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে

মুসলমানদের আজ এতো করুণ অবস্থা কেন? তারা শান্তির পথ ছেড়ে অশান্তির পথে চলছে অর্থাৎ  রহমতের পথ ছেড়ে গযবের পথ ধরেছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি মানব জাতির প্রকৃত শান্তি ও কামিয়াবীর সবচেয়ে সহজ পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তা হলো রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আর মাত্র একদিনপর আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ দিবস তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, সে খবর কি মুসলমানদের আছে? তাহলে মুসলমানরা রহমত (শান্তি) পাবে কিভাবে? গাফিল মুসলমানদের জন্য আফসোস! কয়েকদিন আগে অনেকে অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বরের ছুটি উপভোগ করেছে, সম্প্রতি থার্টি ফার্স্ট নাইটে কাফিরদের অনুকরণে উৎসব করেছে এবং কাফিরদের প্রবর্তিত এসব অযৌক্তিক গুরুত্বহীন কুফরী দিবসসমূহ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পালন করে থাকে। কিন্তু যার উসীলায় প্রকৃত শান্তি (রহমত) লাভ করা যাবে, যে দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল করা

পশ্চিমাদের অনুকরণে মুসলিম প্রজন্ম এগোচ্ছে জাহান্নামের দিকে আর উলামায়ে সূ’রা আছে ফযীলতপূর্ণ আমলকে ‘বৈদায়াত’ করার তালে

শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে পরিপূর্ণ ইসলাম থাকাটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু ভয়াবহ বাস্তবতা হলো এই যে, মুসলমানদের প্রধান শত্রু ইহুদী-নাছারাদের চক্রান্তের ফাঁদে পড়ে আজকে আমাদের মুসলিম সমাজ জাহান্নামের দিকে ধাবিত। তাদের এই চক্রান্ত শুধু বস্তুবাচক বা টিভি-ক্যামেরার মতো যান্ত্রিক নয় বরং আলেম সূরতে কিছু জানোয়ারের চেয়েও অধম চ্যালা সৃষ্টি করাও তাদের অন্যতম বড় চক্রান্ত। যাদের ছড়ানো বিভ্রান্তির জালে পড়ে মুসলমানগণ প্রকৃত ইসলাম থেকে সরে গেছে বহু দূরে। আর পক্ষান্তরে গ্রহণ করেছে ইহুদী নাছারাদের নষ্ট অপসংস্কৃতি।   মডার্ন হিসেবে জাতে উঠার জন্য অনেকে কাফিরদের অন্ধ অনুকরণ করে যাচ্ছে। কেউ জোরসে হিন্দি-ইংলিশ গান ছেড়ে প্রাইভেট কার চালাচ্ছে, কেউ বিয়ে-শাদীতে কিংবা অনুষ্ঠান করে ডিজে পার্টি নামক বেহায়াপনা করছে, কেউ নিজ স্ত্রীকে সাজিয়ে বেপর্দা করে রেস্টুরেন্ট কিংবা পার্টিতে নিয়ে যাচ্ছে, নিজ সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করছে। জনসম্মুখে প্রকাশ্যে এতো কিছু হচ্ছে কিন্তু সমাজে আলেম ছূরতধারী, মাওলানা-মুফতি নামধারী লোকগুলো এসবের বিরুদ্ধে কখনো কোনদিন ভুলেও কথা বলে না। এসব এছাড়াও মুসলমানগণ অজ্

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয়ার চেষ্টা করে তারা শুধু পথভ্রষ্টই নয়, বরং বদচরিত্রও

অনেক বাতিল ফিরক্বার দল বিশেষ করে কওমী-ওহাবীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিপক্ষে বলতে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলিল না দিয়ে বরং পথভ্রষ্ট কওমীদের ‘জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া’ নামক প্রতিষ্ঠানের ফতওয়া বিভাগের একটি দলিল পেশ করে। অথচ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো বাংলার যমীনে এক কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে সূ এবং বদচরিত্র। সে ব্যক্তিটি হচ্ছে মালানা আজিজুল হক শায়খুল হদছ। তার কথা ও আমলে মিল নেই, এই কথিত শায়খুল হাদীছ (হদছ) আজিজুল হক ১৯৯৯ সালে পর্দার পক্ষে তার এক বইতে সে নিজেই লিখেছে, “রং বেরংয়ের পোশাক, লিপস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা সমান কথা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা।” আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা, ১৩৪ পৃষ্ঠা) অথচ কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী এই শায়খুল হদছ নিজেই তার ফতোয়ার বিপরীত আমল করেছে। তার বইতে পর্দার পক্ষে, নারী নের্তৃতের বিরুদ্ধে, বেপর্দা নারীদের সভা

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং আজকের ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যান্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন। শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলেমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী। বইটিতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের শীর্ষস্থানীয় ইমাম-খতীবগণের স্বহস্তে লিখিত স্বীকৃতি দেয়া আছে। বইটির বাংলাভাষায় অনুবাদও পাওয়া যায়। এখন কেউ বলতে পারে, তাহলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পা

সুন্দরবনে তেল বিপর্যয়: দেশের মেধা সম্পদকে কাজে লাগাতে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যর্থ

গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে একটি মালবাহী ভারতীয় জাহাজ ধাক্কা দিয়ে ডুবিরুদের সাড়ে তিন লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ একটি ট্যাংকার। ডুবার পরপরই ট্যাংকার থেকে তেল বের হয়ে ছড়ানো শুরু হয় কিন্তু তেলবাহী ট্যাংকারটি দ্রুত উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে। দুইদিন পর উদ্ধারকাজ শুরু করে জাহাজটির মালিক পক্ষের নিয়োগকৃত একটি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়ে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। এরপরে স্থানীয়রা ফোম দিয়ে তেল শোষণ করে অপসারণের প্রচেষ্টা চালায়। তার কিছুদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ একাজে সহযোগিতা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠায় সরকার। চিঠির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ একটি বিশেষজ্ঞ(!) দল বাংলাদেশে পাঠায় ঠিকই, তবে তা তেল অপসারণে সহযোগিতার জন্য নয়, সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য। আর একাজটির জন্যেও তারা সময় নিয়েছে ৬ দিন। এরপর গবেষণার নামে ৬ দিন কালক্ষেপণ করে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ঢাকায় ফিরে দলটি। তাতেও তেল অপসারণের কেনো সমাধান নেই। তাহলে ফলাফল দাঁড়ালো দুর্ঘটনার প্রায় ২০ দিন পরও তেল অপসারণের কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা হয়নি।  সহযোগিতার নামে জাত

শিশু জিহাদের ট্রাজেডি থেকে সরকারের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত

বাংলাদেশে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত সেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কিংবা মোকাবেলার উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা হয় না। যেমনটি হয়নি শিশু জিহাদের ক্ষেত্রে। ফায়ার সার্ভিস মশা মারতে কামান দাগাতে গিয়ে শুধু কালক্ষেপণই করেনি, বরং শিশুটির প্রাণ রক্ষার্থেও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অত্যাধুনিক(!) যন্ত্রপাতি দিয়ে ২৩ ঘণ্টা চেষ্টা করেও যা করতে পারেনি, সেকাজ মাত্র ১৩ মিনিটে করেছে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা কয়েকজন যুবক। এখন জিহাদের ঘটনায় দায়ী কে -এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। আর উদ্ধারে সফলতার জন্য নির্লজ্জের মতো কৃতিত্ব নিয়ে টানাটানি চলছে। এসব না করে বরং সরকার ও প্রশাসনের উচিত এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে যে কাজগুলো করা উচিত- যারা একাজে সফল হলো, প্রথমেই তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা। যেকোনো বিপদের সময় তাদের ডাকলে অবশ্যই তারা এগিয়ে আসবে। তাদের মেধা,  বুদ্ধি বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগবে। যে পদ্ধতিতে মাত্র ১৩ মিনিটে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করলো সেই কৌশলটি আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের শেখা উচিত। কারণ এতো বড় বড় কামান না এনে শুরুতেই এই সহজ কৌশলটি প্রয়োগ করলে শিশুটি অল্পসময়ে উদ্ধার হতো এ

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করলে যাদের সমস্যা হয় কিন্তু ষোড়শীরা সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে চর্মবাণিজ্য করলে কোনো সমস্যা হয় না, তাদের আসলে উদ্দেশ্য কী?

সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করাতে নারীবাদী কিছু মহল ও প্রথম আলো পত্রিকাসহ বেশ কিছু ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া খুব লম্ফঝম্ফ করেছে। তাদের প্রধান যুক্তি দুটি: (১) ১৬ বছর বয়সে একটি মেয়ে সংসারের দায়িত্ব নিতে পারে না। (২) কম বয়সে বিয়ে হলে তার পড়ালেখা নষ্ট নয়। এটাই যদি হয় মূল সমস্যা তাহলে কথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে সেই সুইট সিক্সটিনদেরকেই চর্মবাণিজ্যের হাটে নামানো হচ্ছে কেন? এখানে একটি ১৬ বছরের মেয়েকে মিডিয়া, প্রোগ্রাম, পরিবার, ফিটনেস, রূপচর্চা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় মেইন্টেইন করতে হয়। সংসারের সামান্য দায়িত্বই যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে এতোগুলো দায়িত্ব সে কিভাবে পালন করে? আর এগুলো ঠিক রেখে পড়াশোনাই করে কিভাবে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বছর দুই আগে মম নামে এক লাক্স ফটো সুন্দরী সাক্ষাৎকারে সেই সুইট সিক্সটিনের হাক্বীক্বত কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছিলো। সেই সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো: “সুন্দরী প্রতিযোগিতা নাকি ষোড়শী ছাড়া হয় না। তরুণীদের প্রতিটি বয়সে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে বটে, কিন্তু ষোড়শী সুন্দরীর মেধা কোন লেভেলের থাকে যে সৌন্দর্যটা সে ক্যারি করতে পারবে? আসলে পারে না। কারণ অল্

বিষাক্ত গণতন্ত্রে ‘জনগণের দ্বারা’ কথাটি একটি প্রকাশ্য ধোঁকা

গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলা হয়, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের জন্য, জনগণের এবং জনগণের দ্বারা প্রবর্তিত নিয়মনীতি।’ ইংরেজিতে বলা হয়, ‘ডেমোক্রেসি ইজ ফর দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল এন্ড অব দ্যা পিপল’। অর্থাৎ আব্রহাম লিঙ্কন প্রবর্তিত এ  তন্ত্র-মন্ত্রের ঘোষিত দাবি অনুযায়ী- এখানে ‘জনগণ’-এর মতামতের প্রাধান্য থাকবে। আর বলা হয়, এ গণতন্ত্র জনগণের জন্যই। কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোনো দেশের গণতন্ত্রের বাস্তবতার সাথে এর মিল নেই। এমনকি গণতন্ত্রের জন্মস্থান এবং গণতন্ত্রের পাহারাদার খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রেও কথিত গণতন্ত্র নেই। এই চরম বাস্তবতাটিও প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এক রিপোর্টে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্টিন গিলেনস ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বেঞ্জামিন আই পেইজ-এর গবেষণায় এটি বের হয়ে আসে। তারা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, সরকারের নীতি নির্ধারণে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশটি কিভাবে প্রভাব রাখছে বা সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সরকারকে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ধনী ও ক্ষমতাবানদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর সাধারণ জনগণ সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। বাংলাদেশেও যে

বাংলাদেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ধরে রাখতে বা বিদেশী অপসংস্কৃতির আমদানী রোধ করতে হলে ফ্যাশন হাউজগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

বাংলাদেশে মহিলাদের অধিকাংশ কাপড় পাতলা হয়, কিন্তু পুরুষদের কাপড়গুলো মোটা হয়। মহিলারা যে কাপড় পড়ে, সেগুলোর ভেতর দিয়ে তার শরীর দৃশ্যমান হয়। কাপড়ের অভ্যন্তরের কাপড় দৃশ্যমান হয়। শরীরের অনেক অংশ প্রকাশ থাকে। এগুলো দেখতে দেখতে অধিকাংশ মানুষের মনে এটাই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, ‘মহিলাদের পোশাক এমনই হয়’। আবার এদিকে পুরুষরা যেসব পোশাক পড়ছে, সেগুলোতে কিন্তু পুরুষের শরীর বা কাপড়ের অভ্যন্তরের কাপড় দৃশ্যমান হয়না। অথচ এর বিপরীতটা হওয়াই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু হয়েছে উল্টো। বাংলাদেশের মার্কেটগুলোতে কেমন জিএসএম (গ্রাম পার স্কয়ার মিটার)’র কাপড় আসবে সেটা নির্ভর করে ফ্যাশন হাউসগুলোর উপর। তারা গার্মেন্টগুলোতে যে পরিমাণ জিএসএম’র কাপড় অর্ডার করবে, মার্কেটে সেরকম কাপড়ই আসবে। যদি ফ্যাশন হাউসগুলো মহিলাদের জন্য পাতলা কাপড়ের অর্ডার দেয় তবে তারা পাতলা কাপড় তৈরী করে দিবে, ফলে মহিলারা পাতলা কাপড় পড়বে। এক্ষেত্রে ফ্যাশন হাউসগুলো বিজ্ঞাপন দিয়ে, নাটক সিনেমায় তাদের পোশাকগুলো প্রমোট করে গণচাহিদা সৃষ্টি করে এবং নানা কৌশলে প্রথমেই সেই পাতলা কাপড়ের চাহিদা সৃষ্টি করে। এরপর সেই কাপড় বা পোশাক মার্কেটে ছড়ায়। আর ফ্যাশন হাউজগুলো

বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানদের মন-মগজ থেকে ‘মুসলিম’, ‘বাঙ্গালী’ চেতনাবোধ তুলে দিতে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে ভারত নিয়ন্ত্রিত ফ্যাশন হাউজগুলো

মানুষের কালচারের একটি বড় অংশ হচ্ছে তার পোশাক। পোশাক দেখলে সহজেই অনুধাবন করা যায়, একটি জাতি ধর্মীয় ও জাতিগত কোন অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ, এখানকার জনগণের পোশাক ইসলামের দিকে ঝুকে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পোশাকীয় স্বকীয়তা ধ্বংস করতে কাফির-মুশরিকদের চক্রান্তের শেষ নেই। আর এই পোশাকীয় স্বকীয়তা ধ্বংস করতে যারা মূল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, তারা হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস মালিকরা। অনেকেরই জানা নেই, বিবি রাসেল, আড়ং, ভাসাভিদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের ধর্মীয় আবহ, জাতিগত পরিচয়, স্বদেশী কালচার নষ্ট করার জন্য। তারা ফ্যাশন ডিজাইনসহ তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বন্ধু মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাচ্ছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো এদের পোশাক, আচার-আচরণগুলোই বিজ্ঞাপনে, নাটকে, সিনেমায় প্রচার করে; পর্যায়ক্রমে সেই বিকৃতরুচীর পোশাকগুলোই বাজারে সয়লাব করে দেয়া হয়। সেখানেও মিডিয়া দালালি করতে গাফলতি করেনা। আর বাঙালিও হালের ফ্যাশন ভেবে সেই গর্তেই পা দেয়। নিজের মা-বোন-মেয়েদের আধুনিকতার নামে ধরি

ভারতের কোনো কিছুই বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, তবে ভারতের প্রয়োজন আছে বাংলাদেশকে খুশি রাখার

ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাবনা নয়; বরং চাপ প্রয়োগ করতে হবে: ভারতের কোনো কিছুই বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, তবে ভারতের প্রয়োজন আছে বাংলাদেশকে খুশি রাখার ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। তৌফিক ইলাহী ভারত সফর গিয়ে যৌথভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের এক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ ভারত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেবে, আর এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। ভারতের কাছে এ প্রত্যাশা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে হবে বর্তমান ‘ভারত নতজানু সরকার’ হিসেবে কুখ্যাতী অর্জন করা সরকারের জন্য শ্রেষ্ঠ অর্জন, যা কুখ্যাতিকে কিছুটা হলেও নমনীয় করবে। কেননা, ভারত সারা জীবন আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়েছে। এখন আমরা ভারতের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো, এটার বাস্তবায়ন যদিও অকল্পনীয়। তথাপি সরকারের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকলে এটি খুবই সম্ভব। শুধু বিদ্যুৎ নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বৈষম্যের শিকার হয়ে আছে। যেমন: ভারতের ইলেক্টনিক মিডিয়া বাংলাদেশে আছে, কিন্তু বাংলাদেশের ইলেক্টনিক মিডিয়া ভারতে নেই। ভারত ঠিকই বাংলাদেশের ট্রানজিট নিয়েছে, কিন্

কিছু মানুষ আমেরিকাকে এখনো বিশাল কিছু মনে করে; অথচ খাবার না পেয়ে তারা বিভিন্ন দেশে ছলচাতুরি করে বেড়াচ্ছে

বর্তমান সরকার খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে অর্থমন্দায় বিকারগ্রস্ত আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই দেখছি, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক না থাকলে ‘বাংলাদেশের কি হবে’ এমন শঙ্কায় অস্থির। মনে হচ্ছে, আমেরিকা বিশাল কিছু, আর তাদের সাথে সম্পর্ক না থাকলে বাংলাদেশের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। অথচ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ কখনো উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা পায়নি যার দ্বারা আমরা খুব উপকৃত হয়েছি। উদাহরণ হিসেবে গত ৫ বছরের একটি চিত্র তুলে ধরছি: ১) ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার ১২ কোটি তিন লাখ সাত হাজার ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বছর শেষে প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ। ২) ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬৩ লাখ নয় হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি ছিলো, তখনও এক ডলার দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র্। ৩) ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল যথাক্রমে ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডালার এবং ২৫ কোটি ৫০ লাখে। কিন্তু এই দুই বছরেও প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ। ৪) ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশটির আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমে এসে দাঁড়ায় দেড় কোটি ডলারে। কিন্তু এবারও কো