সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা মেলার নামে ‘ভারতপ্রীতি চেতনা পুশিং’ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কিছু ভারতীয় দালাল

গত ১৪ অক্টোবর ২০১৪ঈ. জুমুয়াবার রাজশাহীতে ‘জীবনানন্দ কবিতা মেলা-২০১৪’ নামে দুই দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠান করে ‘কবিকুঞ্জ’ নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন। সেখানে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কথিত কবি সাহিত্যিকদের সমাগম হয়। কবিতামেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে এদেশের সহিত্যিক হিসেবে পরিচিত সৈয়দ শামসুল হক বলেছে, “আজকাল প্রায় দুই বাংলার কবি, দুই বাংলার কবিতার কথা বলা হয়। আসলে বাংলা এক। দেশ দুটি। তাই দুই বাংলা বলবেন না।” শামসুল হক এই বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি যারপরনাই প্রীতি ও মমত্ববোধ প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, আমাদের দেশের কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া রয়েছে যারা অবাধে আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিবঙ্গের খবর এমনভাবে প্রকাশ করে যে, বোঝার উপায় নেই খবরটি বাংলাদেশের না ভারতের। অর্থাৎ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দেশ দুটি হলেও বাংলা একটি। যা শামসুল হকের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এধরনের চেতনা যারা প্রকাশ করে ও যেসকল গণমাধ্যম প্রচার করে তারা আসলে চায় যে, বাংলাদেশীরা ‘বাংলাদেশী’ হিসেবে নয়; বরং বাঙালি চেতনায় উজ্জীবিত হোক, বাংলাভাষী সকল জাতি একত্ব হয়ে যাক, হিন্দু-মুসিলম এক হয়ে যাক। তাই তা

‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে হিন্দুদের যতো রটনা সব মিথ্যা ও তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র

সত্য কখনো চাপা থাকে না। মুসলমানদের চির শত্রু হিন্দুরা এদেশে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য নানা ধরনের চক্রান্ত করে নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটায়। এমনই একটি বহুল প্রচারিত ঘটনা ছিলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হিন্দু কিশোরী পূর্ণিমা সম্ভ্রমহরণের ঘটনা। ২০০১ সালের ঐ ঘটনাটি নিয়ে ভারতের দালাল মিডিয়াগুলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলো। অথচ (ঘটনার ১৩ বছর পর) সম্প্রতি এর নেপথ্যে সত্য ঘটনাটি প্রকাশ হয়েছে। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিন্দু কিশোরী পূর্ণিমা নিজের মুখেই স্বীকার করেছে যে, তাকে শুরুতে ২০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। পূর্ণিমার মা-বাবাও বিষয়টা স্বীকার করেছে। পূর্ণিমার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, এলাকার মেম্বার, পৌর চেয়ারম্যান সবার একই কথা, ‘ঐ দিন দুই-প্রতিবেশীর মধ্যে একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো, কিন্তু পূর্ণিমা সম্ভ্রমহানীর শিকার হয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তবে পরিকল্পিতভাবে এমন একটি ঘটনা সৃষ্টি করার জন্য পূর্ণিমা ডাক্তারি পরীক্ষা দেয়ার আগে অন্য পুরুষের সাথে দৈহিক মেলামেশা করেছে।’ এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেছে ডাক্তার

কুলাঙ্গার মন্ত্রী লতিফের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না দিলে প্রমাণিত হবে সরকার এদের প্রশ্রয় দেয়

সরকারের পা চাটতে চাটতে জিহ্বা ক্ষয় করে মন্ত্রী হয়েছে কুলাঙ্গার লতিফ। কিন্তু কথায় আছে কম জাতের লোক ক্ষমতা পেলে মানি লোকের মান হানি করে। কিন্তু এই মুরতাদ লিতিফের দুঃসাহস এতটাই বেড়েছে যে, সে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে স্বয়ং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান নিয়ে কটূক্তি করে, সম্মানিত শরীয়ত উনার অন্যতম একটি স্তম্ভ পবিত্র হজ্জ নিয়ে কটূক্তি করে। মুসলমান নামধারী যেগুলি নোবেল পায়, সেগুলি ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে থাকে। এই গুমরাহটা যদি মনে করে সে এইসব কথা বলে কাফিরদেরকে সন্তুষ্ট করে কিছু হাছিল করবে; তা কিন্তু হবে না। আসমানী গযবে এই বেয়াদব নিশ্চহ্ন হয়ে যাবে। এই কুলাঙ্গারটা বলেছে- হজ্জ করতে গেলে টাকা নষ্ট হয়। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে ওয়ার্ল্ড কাপ, টি-২০ গেমসে কত টাকা অর্জন হয়েছিল দেশের? কত টাকা আয় করেছিলো শাহরুক খান ও তার দলের নর্তকীদের নাচ দেখিয়ে? কতটাকা তার মতো কুলাঙ্গার মন্ত্রীরা লুটপাট করছিলো সে হিসাব কই? প্রায়ই খবরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, আদালতের বিরুদ্ধে বলায় কাউকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়া হয়েছে অথবা আদালত ‘কেন শাস্তি দেয়া হবে না’ জানতে চেয়ে স্

কথিত মাদার তেরেসার কথিত গুণাবলীসমূহ মিডিয়ার রঙিন প্রচারণার সৃষ্টি, অথচ বাস্তবতা তার বিপরীত

অনেকেই খ্রিস্টানদের কথিত মাদার তেরেসাকে ‘মহীয়সী নারী’ কিংবা জনকল্যাণে আত্মত্যাগী নারী বলে মনে করে থাকে। কিন্তু আসলেই কি তাই? মোটেও না। বরং এই তেরেসার যত গুণাগুণ মানুষ জানে তার সবই মিডিয়ার রং মাখানো। তার নেতিবাচক বা বদগুণগুলোই মিডিয়ার মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে প্রচার করে খ্রিস্টানরা ফায়দা লুটেছে। প্রকৃতপক্ষে তেরেসা মোটেও কোনো মহীয়সী নারী ছিলো না, বরং সে ছিলো চরম বদচরিত্র, অর্থলোভী, প্রতারক। এখনো কলকাতার মিশনারী অব চ্যারিটি নামধারী প্রতিষ্ঠানগুলো তেরেসার এসব অসৎ চরিত্রের সাক্ষী হয়ে আছে। তেরেসার পরিচালিত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে তার অধীনে যেসব হতদরিদ্র রোগীরা চিকিৎসা নিতো তাদেরকে ঠিক মতো সে পরিচর্যা তো করতোই না, ভালো খানা-খাদ্য এমনকি ওষুধও ঠিক মতো দিতো না। এভাবে প্রকৃত সেবা না পেয়ে তার অধীনে থাকা অনেক রোগীর অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনের ক্রিস্টোফার হিচেন্সের মতো অনেক গবেষকরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, তেরেসা দারিদ্র সেবাকে পুঁজি করেছিলো কিন্তু দরিদ্রদের জন্য কল্যাণকর কিছুই সে করেনি। ইউনিভার্সিটি অব মনট্রিয়াল এবং ক্যারোল সিনেচাল অব দ্যা ইউনিভার্সিটি অব অট্টোয়া থেকে গবেষক সা

কথিত নোবেল পুরস্কার ও তার নেপথ্যে কারণ

দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নোবেল প্রাইজ কোনো সাধারণ প্রাইজ নয়। এ প্রাইজ দেয়ার পেছনে কূচক্রী ইহুদীদের বিভিন্ন মাস্টারপ্ল্যান থাকে। তাদের ‘ব্যবহৃত’ এজেন্টরা যখন তাদের দেয়া এজেন্ডাসমূহ সফলভাবে সম্পাদন করে অথবা তাদের পরিকল্পিত কাজে সফলতা আনার জন্য এসব এজেন্টদের রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে হাইলাইট করতে বা গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চায়, তখন ইহুদীরা এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।    আসুন দেখা যাক, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে ইহুদীরা কাদেরকে নোবেল প্রাইজ দিয়েছে ও তার নেপথ্যের কারণগুলো কি কি? ১৯৮৯ সালে দালাইলামা। উদ্দেশ্য: দালাইলামার মাধ্যমে তিব্বতকে চীন থেকে পৃথক করা। ১৯৯১ সালে সাম্প্রদায়িক অং সান সুচি। উদ্দেশ্য: মায়ানমারে সামরিক জান্তাকে বাদ দিয়ে মার্কিনপন্থী কাউকে ক্ষমতায় আনা। দুই দশক পর তা সফল হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ইয়াসির আরাফাতকে কথিত শান্তিচুক্তির জন্য পুরস্কার। কারণ: ফিলিস্তিনের ভূখ-ে ইহুদীদের গোলামিত্ব ইয়াসির আরাফাত মেনে নিয়েছিলো এবং মেনে নিয়েছিলো ইহুদীবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব। ফিলিস্তিনিরা দুইভাগ হয়ে শক্তি হারিয়ে ফেললো। এখন ফিলিস্তিনিরা রক্তের বিনিময়ে সেই কথিত শান্তিতে পুরস্কারের প্রতিদান

তথা কথিত মাদার তেরেসার স্বরূপ উন্মোচন: মানবতার সেবার অন্তরালে তার প্রকৃত রূপ খুবই অমানবিক ও ভয়ঙ্কর

রিলিজিওসেস (ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে একটি জার্নাল)-এ বলা হয়েছে, তেরেসা গরিবদের রোগাক্রান্ত-ভুক্তভোগী অবস্থায় দেখতেই বেশি পছন্দ করতো। গবেষণালব্ধ এ জার্নালে তেরেসার ভেতরকার ভয়ঙ্কর (দানবীয়) দিকগুলো প্রকাশ পেয়েছে। গবেষকরা সেখানে বলেছে, তার (তেরেসা) সেবা নামক কার্যক্রম নীতি ছিলো চরম অমানবিক। যেমন, সে বিশ্বাস করতো- গরিব অসুস্থদের সুস্থ না করে, বরং তাদের সমস্যাগুলো আরো কঠিন পর্যায়ে বা গুরুতর অবস্থায় রাখাই উত্তম। সে তার এই নীতিতে এতোটাই দৃঢ় ছিলো যে, তার তত্ত্বাবধানে থাকা রোগীদের অবস্থা যখন অবনতির দিকে অথবা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতো, তখনো সে তা এই নীতি থেকে বিচ্যুত হতো না। অর্থাৎ তাদের সুস্থতার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা, খাদ্য, পরিচর্যা দিতো না। পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত তাঁবেদার মিডিয়া, পশ্চিমাদের পা চাটা গোলাম রাজনৈতিক ও সমাজপতিরা এসব কর্মকা- দেখেও না দেখার ভান করে বরং তেরেসার প্রশংসা করে তাকে মাথায় তুলে নাচতো। অবশ্য এটি এখনো অব্যাহত আছে। এ প্রতারক তেরেসার এসব খবর শুনে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে কারণ মিডিয়ার রং তুলিতে সে অতি রঙ্গিন। তাকে প্রকৃতরূপে অর্থাৎ কুৎসিত ও ভয়ঙ্কর চেহা

আপনি কি নাপাক জাতি হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে সমর্থন করেন? তাহলে ‘সার্বজনীন’ শব্দটি প্রয়োগ করার অধিকার তারা কোথায় পেল?

আপনি কি মূর্তিপূজা সমর্থন করেন? আপনি কি মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা তথা শিরক করাকে সমর্থন করেন? আপনি কি হিন্দুধর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছেন? যদি না দিয়ে থাকেন, তাহলে হিন্দুদের দুর্গাপূজার ব্যানারে ‘সার্বজনীন’ শব্দ লেখা কেন? তারা কি আপনার অনুমতি নিয়ে পূজায় সার্বজনীন শব্দ ব্যবহার করেছে? করেনি। তাহলে ‘সার্বজনিন’ শব্দটি প্রয়োগ করার অধিকার তারা কোথায় পেল? এখন আপনি যদি হিন্দুদের শর্ত দিয়ে বলেন- ঠিক আছে, হিন্দুদের পূজাকে সার্বজনীন হিসেবে মানবো যদি হিন্দুরা আমাদের গরু কুরবানীকে সমর্থন করে এবং সার্বজনীন হিসেবে মানে। আপনার কি ধারণা তারা আপনার শর্ত মানবে? কস্মিনকালেও মানবে না। বরং ভারতের ২৯ প্রদেশের মধ্যে ২২ প্রদেশে হিন্দুরা গরু কুরবানীকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন জারি করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! তথ্য সূত্র- লিংক ভারতে মুসলমানদের জন্য প্রকাশ্যে কুরবানী নিষিদ্ধ। হিন্দুদের ধর্মে গরু জবাই এবং গরুর গোশত আহার নিষিদ্ধ বলে তারা তাদের কল্পিত ধর্মকে যদি কঠোরভাবে পালন করতে পারে, তবে আমাদের ধর্মে তো শিরক সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ। মূর্তিপূজা তো দূরে থাক মূর্তি ঘরে রাখাই নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশে হিন্দুদের পূজা নিষিদ্ধ করতে হবে

বাংলাদেশের মোট জনগষ্ঠীর ৯৭ ভাগ মুসলমান। এদেশের মুসলমানগণ ধর্মপ্রাণ। এছাড়া মুসলমানগণই শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত জাতি আর মুশরিরা নিকৃষ্ট জাতি। এটি নিছক কোনো মনগড়া মন্তব্য নয়। খোদ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-২৮) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রাণীকুলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে তারাই, যারা কাফির-মুশরিক।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৫৫) সুতরাং এদেশে দুই ভাগেরও কম সংখ্যক হচ্ছে নাপাক ও পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট জীব মুশরিক হিন্দু। একজন পবিত্র বা পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির সাথে যেমন নাপাক ব্যক্তি বেমানান, তদ্রƒপ ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে দুই ভাগেরও কম সংখ্যক নাপাক জাত হিন্দুরা বেমানান ও পরিত্যাজ্য। আরো উদ্বেগের বিষয় যে, এদেশে প্রকাশ্যে হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠান চলে; যা কিনা অশ্লীলতায়, বেহায়াপনায় আর নারী-মদের সংমিশ্রণে পাপ কর্মকান্ডে পরিপূর্ণ। হিন্দুরা মুসলমানদের সাথে থাকার কারণে এসব কুকর্মে তারা মুসলমান ছেলেদের নারী, মদ

বাল্যবিবাহ বিরোধী সমাজের চিত্র: বিয়েতে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইলে ৩ মেয়ে ও মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করলো বখাটেরা

এ দায় কার- বখাটের? মেয়েরৎ নাকি মেয়ের পরিবারের? মূলত এর জন্য মূল দায়ী হচ্ছে আমাদের সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থা। ইসলামহীন, পর্দাহীন এবং ‘বাল্যবিবাহ বিরোধী’ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণেই এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের এ ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে বেপর্দা হয়ে হারাম গানের অনুষ্ঠানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। একই সাথে ১৪ বছর বয়সী ঐ মেয়েটিকে তার পরিবার না পারছিলো ঐ বখাটের কাছে বিয়ে দিতে, না পারছিলো (বাল্যবিবাহ বিরোধী আইনের কারণে) অন্যকোনো ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিতে। তাই মৃত্যুর মুখোমুখী হতে হলো পুরো পরিবারকে। আসলে প্রত্যেক স্থানেই একটা চেইন আছে। পরিবেশে যেমন চেইন সিস্টেম আছে, একটু ভারসাম্যহীন হলেই বিপত্তি ঘটে; তেমনি মানব সমাজেও একটা চেইন সিস্টেম আছে। যখন বিভিন্ন আইন-কানুন প্রয়োগ করে অথবা কোনো অপসংস্কৃতি, মাদক প্রবেশ করিয়ে সেই চেইন নষ্ট করা হয় তখন ঐ সমাজেও বিশৃঙ্খলতা তৈরি হয়। যেমন: শরীয়তসম্মত বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, নারী স্বাধীনতার নামে বেপর্দাকে উস্কে দেয়া, বিনোদনের নামে বিদেশী অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়ে, মাদক, পশ্চিমা ধাঁচের লাইফস্টাইল ইত্যাদি এগুলো দিয়ে সামাজিক চেইন সিস্টেম ন

গণতান্ত্রিক শাসকদের ষড়যন্ত্রেই বাংলাদেশের ‘সোনালী আঁশ’ পাট শিল্পে ধস নেমেছে

পাট বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। সেই সোনালী আঁশ কি এখনো সেই ঐতিহ্যে বহাল আছে? নেই। এই পাট ও পাট শিল্প রপ্তানি করে আমাদের দেশে একসময় যে পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন হতো তা অব্যাহত থাকলে এতোদিনে হয়তো আমরা এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতাম। কিন্তু দাঁড়ানোর আগেই কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে গণতান্ত্রিক বিশ্ব মোড়লরা। কেন হঠাৎ বাংলাদেশে পাট উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল, আর রপ্তানিতেও ধস নামলো? এর রহস্য নিয়ে অনেকে ধারণা ব্যক্ত করে লেখালেখি করেছেন, অনেক গতানুগতিক সভা সেমিনার হয়েছে কিন্তু সম্প্রতি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আসল তথ্য প্রকাশ করলেন। তাও প্রকাশ করেছেন ষড়যন্ত্রটা বিএনপি’র শাসনামলে হয়েছে বলে। যাই হোক প্রধানমন্ত্রী যে তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন তা শুনলে দেশপ্রেমিক যে কেউ আঁতকে উঠবে। গণতান্ত্রিক শাসকরা নিজ স্বার্থে কিনা করতে পারে! ১২ অক্টোবর ২০১৪ঈ. তারিখে বিডিনিউজ ২৪.কম-এ প্রচারিত খবরের চৌম্বক অংশগুলো এখানে তুলে ধরা হলো- বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো ১৯৯১ সালে। আমরা বিরোধী দল

হুদহুদের মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর গতিপথ বাংলাদেশমুখী হলেও কুদরতিভাবে ঘুরে যায় ভারতের দিকে

বাংলাদেশে গত ৫ বছরে কোনো সাইক্লোন আঘাত হানেনি। অথচ ভারতে ২০১৩ সালে ৫টি বড় সাইক্লোন এবং ২০১৪ সালে ১টি বড় সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। বিভিন্ন নামে এসব খোদায়ী গযবগুলো হচ্ছে- মহাসেন, পাইলিন, লেহার, হেলেন, মাদি এবং হুদহুদ। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সাইক্লোনরূপী এ গযবগুলোর উৎপত্তির পর গতিপথ হয় বাংলাদেশের দিকে কিন্তু আঘাত হানে গিয়ে ভারতের উপর। যেমন- ১) সাইক্লোন মহাসেন: ২০১৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ২ হাজার কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে এসে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আগেই কাবু হয়ে পড়ে। এ ঝড়টি শ্রীলঙ্কা-ভারতের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে প্রবল বৃষ্টি ঝরিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসে। কিন্তু বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এ ঝড়টি নির্বিঘেœই উপকূল অতিক্রম করে। ২) সাইক্লোন পাইলিন: একই বছর (২০১৩ঈ.) অক্টোবরে এটি বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হয়ে ব্যাপক শক্তি সঞ্চার করে হানা দেয় ভারতে। ভারতের ইতিহাসে এত বড় ঝড় আর হয়নি। এটি বিশাল এলাকাজুড়ে এগুলেও অল্পের জন্য বাংলাদেশের সাথে বেয়াদবি করেনি, আদবের সাথে পাশ কেটে চলে যায়। সুবহানাল্লাহ! ৩) ঘূর্ণিঝড় লেহার: একই বছর (২০১৩ঈ.) নভেম্বরে এটি বঙ্গোপসা

মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর পক্ষে মালউন প্রমোদ মানকিনের দালালি

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মালউন প্রমোদ মানকি বলেছে, ‘বয়স-প্রতিবন্ধীত্বের কারণে হয়তো অমন কথা বলেছে লতিফ।’ প্রতিবন্ধীদের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সে বলেছে, ‘প্রতিবন্ধীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক কাজে অন্তর্ভুক্ত করে সোনার বাংলা গঠন করতে হবে।’ সে আরো বলেছে, ‘সুযোগ দিলে গোবরেও পদ্মফুল ফোটে। যেমন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, আমি প্রতিমন্ত্রী হয়েছি। তাই প্রতিবন্ধীদের সুযোগ দিলে তারাও দেশের কল্যাণে অনেক কাজ করতে পারবে।’ পতিতা ও পাহাড়ি গারো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে সে বলেছে, ‘আমি গারো সম্প্রদায়ের লোক। পাঁচবার এমপি হয়েছি। গারোরা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীও প্রতিবন্ধী। যেমন, পতিতারা সামাজিক প্রতিবন্ধী।’ এই উপজাতি মালউন দালালটা মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীকেসহ পতিতা গোষ্ঠী ও পাহাড়ি গারোদের ‘প্রতিবন্ধী’ অ্যাখ্যা দিয়ে ইনডাইরেক্টলি তাকে রাষ্ট্রীয় কাজে রাখার জন্য দালালি করছে। তার বক্তব্য, কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর মতো তাকেও দল থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কার করা উচিত। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। এসমস্ত বিতর্কিত লোক দলে থাকলে দল

অরুণ মজুমদার গং এবং তাদের রাষ্ট্র ও ইসলাম বিদ্বেষী অপতৎপরতায় দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে

বাংলাদেশে হিন্দু-নাস্তিকদের মধ্যে যারা ইসলামবিদ্বেষী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে জঘন্যতম হচ্ছে অরুণ মজুমদার নামক একটি কট্টর ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু মালু। সে হচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সিনিয়র অ্যাডমিন অফিসার। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, সে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব। এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী অরুণ মজুমদারের লেখার জঘন্যতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়ানো। তার লেখাগুলো বিভিন্ন ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু পেইজগুলোতে ছাপা হয়। যেমন একটা ব্লগে সে “হিন্দু মেয়েদের মুসলিম আসক্তিঃ কারণ ও পরিণাম” শিরোনাম দিয়ে একটা কলামে সে লিখেছে: “হিন্দু মেয়েরা বিশেষতঃ টিনেজারদের কাছে সাধারণত ‘দৈহিক মেলামেশা’ একটা অজানা জগৎ। আমাদের দেশে কিশোর-কিশোরীদের এসব শিক্ষা প্রচলিত না থাকায় তারা এই অজানা বিষয়ে খুবই আকর্ষণ বোধ করে। মুসলমান পরিবারে একটি মেয়ে অল্প বয়স থেকেই খুব ভালোভাবে বুঝতে শেখে যে- সে একটা মেয়ে। তার কাছের ও দূরের আত্মীয় সম্পর্কের পুরুষদের কাছ থেকে পুরুষ মানুষ কি জিনিস তার খুব ভালো পরিচয় পেয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাচাতো, খালাতো, মামাতো, ফু

“শেষ যামানায় মানুষ মূর্খ লোকদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে”

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শেষ জামানায় মানুষ মূর্খ লোকদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তবতায়ও তাই দেখা যাচ্ছে। যেমন- (১) এখন আমাদের সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বামপন্থী নাস্তিক নাহিদ। সে ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। বোর্ড পরীক্ষায় পাশের হার বাড়াতে গিয়ে সব মাকাল ফল তৈরি করছে। তার প্রমাণস্বরূপ দেখা গেছে ঢাবিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় নতুনরা সব ডাব্বা মেরেছে। (২) আমাদের সিলেবাস-প্রশ্ন প্রণেতা হচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক জাফর ইকবাল গং। এদের নিয়ম অনুসারে ইসলাম ধর্ম পরীক্ষায় আখলাক ধাপের প্রশ্নে ক্রিকেটার সাকিবের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন থাকে ৪টা। (৩) বাংলাদেশের প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবির ভিসি পদে আছে আ ফ ম আরেফিন সিদ্দিক নামক এক বামপন্থী। সে নতুন নিয়ম তৈরি করে বন্ধ করে দিলো দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ। ঢাবিতে ভর্তির পথ বন্ধ করে দিলো অসংখ্য মেধাবী ছাত্রের। এভাবেই চলতে থাকবে, ধ্বংস হয়ে যাবে মেধাবিরা। আর নতুন মূর্খরা দখল করবে নাহিদ, জাফর আর আরেফিনের স্থান।

হিন্দু: মূলেই যাদের রয়েছে নাপাকী

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-২৮) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রাণীকুলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে তারাই, যারা কাফির-মুশরিক।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৫৫) আর এই মুশরিক তথা মূর্তিপূজারীদের ধর্মের গোড়াতেই রয়েছে নাপাকী ও চরিত্রহীনতার ইতিহাস। এটা সবযুগে সবসময়েই বিদ্যমান ছিলো। তাদের এই বদচরিত্রের কথা পূর্বের সময়কার বিভিন্ন কিতাবাদিতেও ব্যাপকভাবে উল্লিখিত আছে। নমুনাস্বরূপ এখানে কয়েকটি কিতাবে উদ্ধৃতিসহ অর্থ তুলে ধরা হলো- ১. হিন্দু বা হিদেন-এর সহজ বাংলা অর্থ হচ্ছে- অধার্মিক, নিম্নস্তরের ধর্মাবলম্বী জাতিভুক্ত ব্যক্তি, অখ্রিস্টান, অসভ্য বা বর্বর ব্যক্তি, র”ক্ষ্ম, নিষ্ঠুর, ম্লেছ প্রভৃতি। (সূত্র : সংসদ ইংলিশ টু বেঙ্গলি ডিকশনারী, ৫ম সংস্করণ, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা: ৫০৪) ২. হিন্দু শব্দের অর্থ- অবিশ্বাসী, দাস ও কৃতদাস। (সূত্র : ফার্সী অভিধান হাফত কুলযুম, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৯৮) ৩. হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, চৌকিদার,

হিন্দুদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান তারাই পবিত্র ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট হয় এবং মুসলমান হয়

হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হওয়া একজন নও মুসলিমকে তার হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়ার পেছনে কারণ জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো। প্রশ্নের জবাবে সে বলেছিলো- তার হিন্দু বাবা জীবিত থাকতে হিন্দুদের মধ্যে খুব সম্মানিত ছিলো। কিন্তু মারা যাওয়া পর শশ্মানঘাটে যখন তার বাবার লাশ পুড়ানো হচ্ছিলো, তখন আগুনে পোড়ার সময় হাত-পায়ের রগে টান লাগায় তার বাবার লাশটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তখন হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী হিন্দুদের মধ্যে কেউ তার বাবার লাশটি ফেলানোর জন্য লাঠি দিয়ে খুব জোরে জোরে পিটাতে থাকে। নও মুসলিম লোকটি বললো, সে হিন্দু হলেও তার শ্রদ্ধেয় বাবার ক্ষেত্রে এ নির্মম ও অপমানজনক দৃশ্য সে সহ্য করতে পরেনি। তখন থেকে হিন্দু ধর্মকে সে ঘৃণা করতে থাকে। একসময় তার মুসলমানদের দাফন-কাফনের রীতি রেওয়াজ দেখার সুযোগ হলো। সে দেখলো কোনো মুসলমান মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে কতো সম্মানের সাথে দাফন-কাফন করা হয়। মৃত ব্যক্তি যতো খারাপই হোক, আর যতো গরিবই হোক, সবার জন্যই এই সম্মান। লোকটি বললো, মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে যতœসহকারে গোসল দেয়া, আতর-খুশবু দিয়ে দেয়া, পরিষ্কার সাদা কাপড়ে কাফন পরানো, তার জন্য সম্মিলিতভাবে দোয়া (জানাযা)

মালালা-নাবিলা দুজনই সন্ত্রাসী হামলায় আহত, কিন্তু মালালা হলো পুরস্কৃত আর নাবিলা হলো তিরস্কৃত

মিডিয়া এবং সন্ত্রাসবাদী যুক্তরাষ্ট্র মালালাকে মাথায় তুলে রাখলেও পাকিস্তানি বংশোভূত ৯ বছরের অন্ধ শিশু নাবিলাকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। অথচ সেও সন্ত্রাসবাদী হামলায় আহত হয়েছে। মালালার সাথে তার পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, মালালা আহত হয়েছে পাকিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠির হাতে। অন্যদিকে নাবিলা আহত হয়েছে সন্ত্রাসবাদী মার্কিন সিআইএ পরিচালিত ড্রোন বোমা হামলায়। সন্ত্রাসবাদী আমেরিকার পরিচালিত এই ড্রোন হামলার বর্ণনা দিতে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শেষ সপ্তাহে নাবিলা তার স্কুল শিক্ষক বাবা আর এক ভাইয়ের সাথে আমেরিকা গিয়েছিলো। ওয়াশিংটনে এক প্রশ্নোত্তর পর্বেও অংশ নেয় তারা। কিন্তু নাবিলার এই খবর যুক্তরাষ্ট্রে তেমন প্রচার পায়নি। মালালার সফরের মতো করে নাবিলার সফরের খবর সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবাধ চলাফেরারও অনুমতি দেয়নি সন্ত্রাসী মার্কিন প্রশাসন। আদালতে ওই হামলার ঘটনা বর্ণনা করার সময় দোভাষী অনুবাদক কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেও মন গলেনি মার্কিন সরকারের। হামলার শিকার নাবিলার এই ট্রাজেডিকে পুরোপুরি এড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার, এড়িয়ে যায় মিডিয়া, আর কথিত মানবাধিকার

বিয়ের বয়স কমালে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়? অমুসলিম দেশে কেন হয় না?

কথিত মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, বিয়ের বয়স কমালে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হবে। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হচ্ছে, তাদের দেশে কি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে না? শুধু বাংলাদেশে বিয়ের বয়স কমালে কেন আইন লঙ্ঘন হবে? আর ১৮ বছরের নিচে বিয়ে করলে যদি আইনত দ-নীয় হয়, তবে ইউরোপ-আমেরিকায় ১১-১২ বছরের কুমারী মেয়েরা যে গর্ভবতী হচ্ছে তাদেরকে কেন পিতা-মাতাসহ কারাদ- দেয়া হচ্ছে না? সেখানে ‘হিউম্যান রাইটস’ কথা বলে না কেন? এইচআরডব্লিউ তার রিপোর্টে বাল্যবিবাহের সাথে ‘দাম্পত্য ধর্ষণ’ বলে একটা টার্ম নিয়ে এসেছে। আমার মনে হয়েছে, এই রিপোর্টের পর এইচআরডব্লিউ’র মুখে জুতা দিয়ে মারা উচিত। কারণ এ পশুগুলো লিভটুগেদার আর ইনসেস্টে বিশ্বাসী, এদের কাছে বৈধ বিয়েটাই ধর্ষণ মনে হচ্ছে। ফ্রান্স স্পেন পর্তুগাল নেদারল্যান্ড লুক্সেমবার্গের পর জামার্নিতে যখন ভাই-বোনের বিয়েকে বৈধতা দেয়ার কথা বলা হয়, তখন তারা এর বিরুদ্ধে টু-শব্দটা করে না। অথচ মুসলমান দেশে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দিলে তাদের চুলকানি শুরু হয়ে যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারপ্রধান কন্যাশিশু সম্মেলনে গিয়ে বাল্য

বাল্যবিবাহের কারণে যদি ‘মাতৃমৃত্যু’ হতো তবে আমাদের প্রজন্মের সৃষ্টি হতো না

‘বাল্যবিবাহের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি পায়’ বিষয়টা শুধু মিথ্যাই নয়, বরং পরিকল্পিত অপপ্রচার। বাল্যবিয়ের সাথে মায়ের মৃত্যুর কোনো সম্পর্কই নেই। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে দেশের হাসপাতালগুলো, পূর্ববর্তী প্রজন্ম এবং পশ্চিমাদেশগুলো। আপনার পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল গিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে পারেন। সেখানে আপনি যে বিষয়টা অনুসন্ধান করবেন সেটা হচ্ছে- যে সকল মা সন্তান জন্মদানের সময় মারা যাচ্ছে তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে কিনা? আর ১৮’র নিচে কোনো মা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মারা গেছে কিনা? এরপরে পূর্ববর্তী প্রজন্মের মধ্যে, আপনার-আমার দাদি-নানিদের দিকে অথবা উনাদেরও পূর্বেকার প্রজন্মের দিকে খেয়াল করুন, প্রয়োজনে এ ব্যাপরে তাঁদের সাক্ষাৎকার নিন। প্রত্যেকের ছিলো ১১-১২টা করে সন্তান, প্রত্যেকেই নরমাল ডেলিভারি এবং উনাদের বিয়ে কিন্তু ১০-১১ বছর বয়সেই হয়েছিলো। এবং সেসময় চিকিৎসা ব্যবস্থাও ততো উন্নত ছিলো না। প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৩৮ সালে যখন বিয়ে করে তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮ বছর, আর তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা ফজিলাতুন্নেসার বয়স ছিলো মাত্র ৮ বছর। এরপর ব

মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবী থেকে সরকার নছীহত গ্রহণ করবে কি?

বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর করুণ পরিণতি থেকে সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিদের নছীহত গ্রহণ করার আছে অনেক কিছুই। কিন্তু তার আগে এ বিষয়টা সবাইকে মানতে হবে যে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানগণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলো কেবল সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে বলার কারণে এবং বিশেষ করে আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় নবী ও রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বেয়াদবী করার কারণে তার উপর কঠিন লা’নত পড়েছে। মুরতাদ হওয়ার কারণে পরকালে তার জন্য জাহান্নামের কঠোর শাস্তি অবধারিত হয়ে গেলো। পাশাপাশি দুনিয়াতেও সে চরম লাঞ্ছিত, অপমানিত ও আপদ-বিপদে গ্রেপ্তার হয়ে গেলো। তার মন্ত্রিত্ব গেলো। দলীয় সদস্যপদ গেলো, ইজ্জত-সম্মান গেলো এমনকি তার নিজ দেশের জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে অসংখ্য অগণিত মামলা দায়ের করলো তার শাস্তির জন্য। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য এখন প্রতিটা মুসলমানের অন্তর অভিশাপ দিচ্ছে তার ধ্বংসের জন্য। আর দেশে ফিরলে তার কী পরিণতি হয় সেটা পরে দেখার বিষয়। কাজেই সরকার ও

বাংলাদেশের মতো মুসলিমপ্রধান দেশে কাফিরদের ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ বিয়ের বয়স নিয়ে এত নাক গলাচ্ছে কেন?

বাংলাদেশে ছেলেমেয়ের বিয়ের বয়স নিয়ে এইচআরডব্লিউ’র মাথা ব্যাথ্যার রহস্যটা কি? বড় বড় মানবাধিকার ইস্যু বাদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে বিয়ের বয়স নিয়ে এতো মেতেছে কেন? তারা তো স্বার্থ ছাড়া এমনি এমনি কিছু করে না। তারা কি চায়- - মুসলামানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পাক? বিয়ে করতে না পেরে ছেলে মেয়েরা অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হোক? তাদের মতো বাংলাদেশেও জারজ নাগরিকের দেশে পরিণত হোক? রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে ৯৭ ভাগ মুসলমান শান্তির ধর্ম ইসলাম ছেড়ে কাফিরদের মনগড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করবে? নাকি ইসলামী আইন অনুযায়ী চলবে? সম্মানিত দ্বীন ইসলামে বিয়ের জন্য কোনো নির্দ্দিষ্ট কোনো বয়স সীমা দেয়া হয়নি, তাই মুসলমানদের বিয়ে করার বয়সকে সময়সীমা দিয়ে বেঁধে দেয়া কখনোই জায়িয হবে না। আমরা ৯৭ ভাগ মুসলমান পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফে বিশ্বাসী এবং আমল করি, জাতিসংঘ কিংবা এইচআরডব্লিউ’র কুফরী মতবাদকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। তাই এইচআরডব্লিউ’র প্রতি আহ্বান: “নিজ চর্কায় তেল দাও, পশ্চিমাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া লিভটুগেদার-ইনসেস্ট আগে বন্ধ করো, বাংলাদেশে শরীয়াহসম্মত বৈধ বিয়ে নিয়ে তোমাদের নাক গলানোর প্রয়োজন নে

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন: টার্গেট মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ

কুকুর একসাথে অনেকগুলো করে বাচ্চা জন্ম দেয়, সে হিসেবে মানুষের তুলনায় কুকুরের সংখ্যাই বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু সারাদিনে আপনি কয়টা কুকর দেখতে পান? প্রসঙ্গত ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ তথা কাফির-মুশরিকদের অবস্থা হচ্ছে কুকুরের মতো। এরা শিশুকাল থেকেই শুরু করে অবৈধ মেলামেশা, বৃদ্ধ হয়েও মৃত্যু পর্যন্ত অপকর্ম চালিয়ে যায়। এরমধ্যে অসংখ্য বাচ্চা জন্ম দেয়। তাদের এই অবৈধ জারজ সন্তান উৎপাদনে কাফির রাষ্ট্রগুলো সরকারিভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে এবং অবৈধ সন্তানদের সরকারিভাবে বৈধতাও দিয়ে থাকে। উদ্দেশ্য তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। কিন্তু তারপরেও রহস্যজনক কারণে তাদের সংখ্যা বাড়ে না। অপরদিকে বৈধভাবে অর্থাৎ শরীয়তসম্মতভাবে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাফিররা মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর জন্য বহু বর্বরোচিত গণহত্যার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এখনো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো যেসব দেশে হত্যাকা- চালাতে পারছে না, সেখানে তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা (দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়), সিজারে (অপারেশনে) সন্তান প্রসব পদ্ধতি, বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহীকরণ প্রচারণা ও বাস্তবায়ন

পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা, আর যবন হিন্দু পেঁচারা করে ইসলামবিদ্বেষিতা

যবন, ম্লেচ্ছ, নাপাক জাত হিন্দুরা এতোটা ইসলামবিদ্বেষী যে, কিছু একটা বাহানা পেলেই তারা ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো শুরু করে। একটা প্রবাদ আছে, পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা, জানো না তার সাথে সূর্যের শত্রুতা। এসব হিন্দু মালুরা হচ্ছে সেই পেঁচার মতো। তাদের ধর্মটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন তাই আলো তথা ইসলাম তারা সহ্য করতে পারে না। তাই কোনো ছুতা পেলেই সেটা প্রচার করতে থাকে। প্রসঙ্গত, ইরাকের আইএসআইএস’র কথিত যৌনদাসি ব্যবহারের খবর নিয়ে তাদের উল্লাস উদ্দীপনা আর চেঁচামেচির শেষ নেই। অথচ এই কথিত আইসিস প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের কোনো সংগঠন নয়, এমনকি প্রখ্যাত কোনো ইসলামী ব্যক্তিত্বও সেই দলের নেতৃত্বদানকারী নয়, একই সাথে তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমগুলোও ইসলাম সমর্থন করে না। তাহলে কথিত আইএস’র নামে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলার কি যোক্তিকতা থাকতে পারে? অথচ হিন্দুদের মন্দিরগুলোতে সেবাদাসি রাখা একটি ধর্মীয় দায়িত্ব। এ সেবাদাসিদের হিন্দুরা দেবদাসি বা কথিত ইশ্বরের দাসি উপাধি দিয়েছে। অথচ এ মেয়েগুলোর কাজ হচ্ছে মন্দিরের পুরোহিতদের সাথে অবাধে দেহদান অপকর্ম করা। শিশু বয়স থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া অবধি এরা

সরকার কি তাহলে সংবিধান বিরোধী?

সংবিধানে লিখিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’; কিন্তু বাস্তবে হিন্দু ধর্মের প্রধান্য। আর ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা অধিকার বঞ্চিত॥ সরকার কি তাহলে সংবিধান বিরোধী? সংবিধানের ২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম সম্মানিত ইসলাম। সংবিধানে অন্যান্য ধর্ম পালনের অধিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মের প্রাধান্যের কথা বলা হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই কেবল সংবিধানের বাস্তব প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। অথচ চরম বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের বৃহৎ ধর্মীয় দিবস পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সরকার কোনো অনুদান দেয় না। এমনকি মঙ্গাপীড়িত উত্তরবঙ্গের জনগণ ও আইলা, সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদেরও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার আদৌ কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। অথচ সরকার প্রতিটি পূজামন্ডপেই সবসময় নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! এতে কি মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই ভাগ হিন্দুদের তুলনায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে না? বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য- শতকরা ২ ভাগ হিন্দুদেরকে শতকরা প্রায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের আনুপা

অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর ‘প্রাইভেট কেবিন’ সুবিধা বন্ধ করতে হবে

অনেক রেস্টুরেন্টে ‘ভিআইপ কেবিন’, ‘লাউঞ্চ’ ইত্যাদি নামে প্রাইভেট কেবিন দেখা যায়, যার ভেতরে কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। রাজধানীর বেইলি রোড, ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা এসব অভিজাত এলাকাগুলোতে এসব রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেশি। কাঠের, দেয়ালের কিংবা থাই পার্টিশন দেয়া ছোট-ছোট বাক্সের মতো করে তৈরি করা হয় এসব কেবিন। এসব কেবিনে নিয়মিত যারা আসে তাদের অধিকাংশই ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা অর্থাৎ স্কুল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী। লাউঞ্জগুলো চারদিক দিয়ে এমনভাবে ঘেরা যেন ভেতরে বসে বসে কি করা হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝার কারো সাধ্য নেই। এসব জায়গায় আবার একটা বিশেষ নিয়ম থাকে, যতক্ষণ লাউঞ্চ থেকে ওয়েটারকে না ডাকা হবে ততক্ষণ লাউঞ্চে ওয়েটার প্রবেশ করতে পারবে না। আর ওয়েটারকে ভেতরে ঢোকার আগে দরজায় নক করতে হবে। এসব সুযোগের কারণে, এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলো সন্ধ্যার পর মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়। এছাড়া সারা দিনে অপকর্ম কম হয় না। রেস্টুরেন্টে এ সব প্রকাশ্য পতিতালয় বানিয়ে এক শ্রেণীর মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ী ছেলে-মেয়েদের চরিত্র নষ্ট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিব

৪৮ ঘণ্টায় কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়ে ১১ দিনেও পরিষ্কার করেনি ডিসিসি॥ এটা কি কুরবানী বাতিল করার ষড়যন্ত্রের পরিকল্পিত পদক্ষেপ!

পবিত্র কুরবানীর পর সিটি কর্পোরেশন ১১ দিনেও বর্জ্য অপসারণ করেনি। অথচ তারাই ঘোষণা দিয়েছিলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুরবানীর বর্জ্য অপসারণ করবে। ৪৮ ঘণ্টার প্রতিশ্রুতি ২৬৪ ঘণ্টার মধ্যেও বাস্তবায়ন করেনি। এর পেছনে রহস্যটা কি? এটা কি সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতা? নাকি তাদের পূর্ব পরিকল্পনা? আসুন বিষয়টা খতিয়ে দেখা যাক। পবিত্র ঈদের আগে ৬ অক্টোবর (২০১৪ ঈ.) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করেছে দুই সিটি কর্পোরেশন। ডিসিসি’র (উত্তর) পরিচ্ছন্ন বিভাগের সূত্রে জানানো হয়, ডিসিসি (উত্তর) তাদের নিজস্ব ১৭০টি খোলা ট্রাক ছাড়াও ডাম্প ট্রাক, প্রাইম মুভার, পে লোডার ও লং ট্রেইলরে করে বর্জ্য পরিবহন ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরেও কুরবানীর বর্জ্য সরানোর লক্ষ্যে আরো ছয়টি ডাম্প ট্রাক ও একটি প্রাইম মুভার ভাড়া নিয়ে বর্জ্য সরানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উত্তর ডিসিসি’র পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়াও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ময়লাবাহী অতিরিক্ত গাড়ি ও জীবাণ

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কুফল: গর্ভপাতের নামে সমাজে চলছে হাজার হাজার শিশু হত্যাকাণ্ড

গত ১৯ অক্টোবর (২০১৪) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ‘ভয়াবহ আকারে বাড়ছে গর্ভপাত; মিরপুর ও শ্যামলীতেই দিনে ১৫০ গর্ভপাত’। বিগত কয়েক বছরে রাজধানীতে গর্ভপাতের সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। এসব গর্ভপাতের মধ্যে বেশিরভাগই (অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের) অবৈধ মেলামেশার ফসল। এগুলো সঠিক সংখ্যা কত হবে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। গত ১৭ অক্টোবর (২০১৪) রাজধানীর বিভিন্ন গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর শ্যামলী ও মিরপুর এলাকায় প্রতিদিন ১৫০টিরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এ সংখ্যা গত দুই বছরে অর্ধেক ছিল। গর্ভপাতকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই উঠতি বয়সি কিশোরী। যাদের বয়স ১৮-এর নিচে কিন্তু বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কারণে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। অথচ এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে তথাকথিত মানবতাবাদীরা অনেক উচ্চবাচ্য করে, কিন্তু বাল্যবিবাহ বন্ধ করলে যে সমাজে অবৈধ মেলামেশা বেড়ে যায়, সম্ভ্রমহরণ বেড়ে যায়, গর্ভপাত বেড়ে যায়, সেটা নিয়ে তারা কোনো কথা বলে

ডিজিটাল পদ্ধতির নামে পবিত্র কুরবানী বাতিলের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না

সরকার আগামী বছর পবিত্র কুরবানীর পশুকে পশ্চিমা খ্রিস্টানদের অনুকরণে ডিজিটাল(!) পদ্ধতিতে জবেহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কথিত পরিবেশ দূষণের অযুহাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ডিসিসি’র কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা নগরীর সকল কুরবানীদাতার পশু নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী ব্যবস্থা করবে। সেখান থেকেই পশুর গোশত প্রক্রিয়াজাত করে বাসায় নিয়ে যাবেন কুরবানীদাতাগণ। বিপুল সংখ্যক পশু জবাই করার জন্য বিদেশ থেকে আনা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। লাখ লাখ কুরবানীদাতাকে আগে থেকেই ডিসিসিতে পশু কুরবানী দেয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। তালিকাভুক্তদের একটা সিরিয়াল নাম্বার দেয়া হবে। সে নাম্বার দেখিয়ে যার যার গোশত নিয়ে যাবে। কী আজব দেশে বাস করছি আমরা! এসব পাগলের কা- ছাড়া আর কি হতে পারে? এটা একটা মূর্খলোকও নিশ্চিত বলতে পারবে যে, এ পদ্ধতিতে পশু ‘জবাই’ হবে কিন্তু কুরবানী হবে না। কারণ কুরবানীর পশুকে শোয়ানো থেকে শুরু করে জবাই করার পর পর্যন্ত অনেক নিয়ম কানুন ও শর্ত আছে, যা পালন করা বাধ্যতামূলক, এর ব্যতিক্রম হলে কুরবানী হবে না। যেমন, (১) জবেহ করার আগে কুরবানীর পশুর পা পশ্চিম দিকে থাকতে হবে, (২) জবেহর পূর্বে পশুর মাথা দক্ষি

সিসিটিভি ক্যামেরা: নিরাপদ না আপদ?

অপরাধের সাক্ষী হিসেবে নিরাপত্তার অযুহাতে বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সিসিটিভি নামক যন্ত্রটি। বাংলাদেশের হোটেল-রেস্তোরায়, হাসপাতালে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সরকারি-বেসরকারি ভবনে, বাজারের দোকানপাটে, পাবলিক প্লেসে এমনকি পবিত্র মসজিদেও সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা যায়। অনেকেই বিশ্বাস করে, ‘সিসিটিভি হচ্ছে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অপরাধ দমন করা সম্ভব।’ আসলে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল এবং অজ্ঞতার ফল। নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা একেবারেই অনির্ভরযোগ্য এবং খুবই ব্যয়বহুল ব্যবস্থা। সিসিটিভি’র কার্যক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশে এখন তেমন আলোচনা শুরু না হলেও ইউরোপ-আমেরিকায় এ ব্যবস্থাটি অনেক সমালোচিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ এই সিসিটিভি ব্যবস্থাপনায় যে পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়, সে তুলনায় আউটপুট আসে না। তথাকথিত উন্নতবিশ্বে বা ইউরোপ-আমেরিকায় সিসিটিভি’র বিরুদ্ধে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। তার মধ্যে কিছু উদাহরণ এখানে পেশ করছি- (১) ব্রিটিশ পুলিশ বলেছে, সিসিটিভি’র মাধ্যমে অপরাধ হ্রাস পায় না। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি আছে ব্রিটেনে (১০ লক্ষের উপর) কিন্তু অপরাধ দমনে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। এর দ্বারা যদি সামান্

পবিত্র কুরবানী ও পবিত্র ঈদুল আযহা উনাদের ফযীলত থেকে মুসলমানদেরকে মাহরূম করার জন্যই কি ‘ডিজিটাল কুরবানী’?

সিটি কর্পোরেশনের থেকে উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা চলছে সামনের বার থেকে ঢাকায় প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে বাসার সামনে কুরবানী করতে পারবে না। একটি নির্দিষ্ট স্থানে (কসাইখানা) অত্যাধুনিক ডিজিটাল (!) পদ্ধতিতে সরকারিভাবে পশু কুরবানী করা হবে। উল্লেখ্য, উক্ত পদ্ধতির কারণে শরীয়তসম্মত কায়দায় নিজের কুরবানী নিজে করার সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না, আর বাধ্য হয়েই বিজাতীয় পদ্ধতিতে পবিত্র কুরবানীর পশু জবাই করতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ! এখানে বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, শরীয়া মোতাবেক নিয়ম মেনে পশু কুরবানী না করলে শুধু পশুর গলা কাটা হবে কিন্তু কুরবানী হবে না। মূলত, ইউরোপ-আমেরিকাসহ কাফির রাষ্ট্রগুলোতে মুসলমানদের সম্মানিত কুরবানীকে অবজ্ঞা করা হয় এবং পরিবেশ দূষণের গুজব ছড়িয়ে শহর থেকে দূর এলাকায় কসাইখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু যে দেশে ৯৭ ভাগ মুসলমান, সেখানে কেন এ পদ্ধতি চালু হবে? আর নতুন পদ্ধতিতে কুরবানী করলে বাজার থেকে কিনে আনার মতো গোশত পাওয়া যাবে, কিন্তু কুরবানীর হক্ব আদায় হবে না এবং ফযীলতপূর্ণ এ আমলটি আদায় হবে না অর্থাৎ এককথায় কুরবানী হবে না। মূলত, পরিবেশ দূষণের অজুহাত দিয়ে মুসলমানদের পবিত্র ঈদের ভাবগা

প্রথম আলোর কিশোর পত্রিকা ‘কিআ’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান : কি শিখানো হচ্ছে আমাদের কিশোর প্রজন্মকে?

গত ২৪শে অক্টোবর ২০১৪ ঈসায়ী তারিখে প্রথম আলোর কিশোর পত্রিকা ‘কিআ’র প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিশোর-কিশোরীদের অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর আয়োজন দেখে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের পরবর্তী মুসলিম প্রজন্মকে ইসলামবিদ্বেষী করতে তাদের সুদূরপ্রসারী কুট পরিকল্পনা কতটা ভয়াবহ। তাদের অনুষ্ঠান-কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেয়া হলো- অনুষ্ঠান শুরু হয় ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন নামে এক গোঁড়া খ্রিস্টান যাজকের বক্তব্য দিয়ে। সোজা ভাষায় শিশু-কিশোরের মগজ ধোলাই স্টার্ট করলো পিউরিফিকেশন। এরপর আসলো ভারতীয় নায়িকা ও মডেল সিনা চৌহান। এই নষ্টা মহিলা সে শিশু-কিশোরদের তার সিনেমা দেখার আহবান জানালো। এরপর হলো ব্যান্ড সংগীতের নামে উন্মাদনা। এরপর আসলো বাংলা সিনেমার নায়ক ফেরদৌস। দুর্গাপূজায় মুসলমানদেরকে পূজা করতে আহবান করে সে। এরপর ফ্ল্যাশমবের নামে কিশোর-কিশোরীদের উন্মত্ত নাচানাচি আর ঢলাঢালির সুযোগ। নৈতিকতার সব বাঁধন ভেঙ্গে গেলো সেখানে। ‘বুদ্ধির ঢেকি’ জাফর ইকবাল ঘোষণা করলো কিশোর আলোর মাস্টারপ্ল্যান। কিভাবে দেশের সব কিশোর-কিশোরীকে এই পত্রিকার আওতায় আনতে হবে। এর ম

ঈদের আগে শ্রমিক আন্দোলনের ঝড় আর ঈদের পর দুই লক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই মূলত কুচক্রী মহলের সফলতা

ঈদের আগে পোশাক শিল্পের শ্রমিক অসন্তোষ আর বিক্ষোভের খবরে সংবাদপত্রগুলো গরম ছিলো। ঈদের আগে শ্রমিক আন্দোলনের খবরগুলো প্রকাশ্যে মিডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি বা আন্দোলনের খবর নিয়ে মেতে উঠার চিত্র আর ঈদের পরে ‘দুই লক্ষ শ্রমিকের ছাঁটাইয়ের খবর প্রকাশের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে খুব সহজেই বিচার করা যায় যে, শ্রমিক আন্দোলন আর মিডিয়ার ভূমিকা ছিলো উস্কানিমূলক এবং এটা ছিলো একই চক্রের চক্রান্ত। যদিও বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসের পেছনে কাজ করে যাওয়া মহলগুলোর চূড়ান্ত টার্গেট হচ্ছে পাট শিল্পের মতো এদেশের পোশাক শিল্পও চিরতরে ধ্বংস করে দেয়া, তথাপি দুই লক্ষ পোশাক শ্রমিকের বেকারত্ব তাদের অনেক বড় একটা সাফল্য। এখন কিন্তু সেই শ্রমিক আন্দোলনকারী সংগঠন, নেতৃবৃন্দ আর আন্দোলন উস্কে দেয়া মহলের কোনো সাড়াশব্দ নেই। আর ‘দৈনিক প্রথম আলোর’ মতো দালাল মিডিয়াগং, যারা শ্রমিক আন্দোলনে পালে হাওয়া লাগিয়েছিলো, তাদেরও এতোগুলো শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। মূলত, বেতন আদায়ের নামে আন্দোলন বানিয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়া, শ্রমিক অসন্তোষ লাগিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করাই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ

দেশে হিন্দুদের যত মূর্তি-মন্দির ভাঙ্গা হয় সব হিন্দুরা নিজেরাই ভাঙ্গে, আর দোষ চাপায় মুসলমানদের ঘাড়ে

দেশজুড়ে হিন্দুরাই হিন্দুদের মূর্তি ভেঙ্গে চুরমার করছে। অথচ এতদিন প্রচার করা হতো, মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। দেশের বড় বড় মিডিয়া এসব খবর এড়িয়ে গেলেও প্রকৃতপক্ষে সত্য কখনো গোপন থাকে না। আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে মূল খবরটা প্রকাশ হয়ে যায়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে হামলা সংক্রান্ত কিছু খবর এখানে দেয়া হলো- খবর-১: গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে কালিমূর্তি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে জগদীশ চন্দ্র সরকার নামক এক হিন্দু। সে মন্দিরের মানুষজনকে মারধর করে আহত করে এবং পূজার টাকা লুটপাট করার চেষ্টা করে। (সূত্র: দিনাজপুর নিউজ, ২৫ অক্টোবর ২০১৪ঈ.) খবর-২: গত বৃহস্পতিবার বি-বাড়িয়া নবীনগরে কালি মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে। স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা দয়ানন্দ দাসের ছেলে সুমন দাস (৩২) ও নিতাই সরকারের ছেলে কালীদাস সরকার (৪০) মদ খাওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা চাঁদা না পাওয়ায় এ ঘটনা ঘটায়। (সূত্র: কুমিল্লাওয়েব.কম, ২৫ অক্টোবর ২০১৪ঈ.) খবর-৩: গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটায় কৃষ্ণপদ মন্ডল

হিন্দুরা অকৃতজ্ঞ, দেশের কোনো হিন্দু আহত হলে তখন তারা হয়ে যায় সংখ্যালঘু আর যখন সুবিধা ভোগ করে তখন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নাকি একজন নাগরিক রাষ্ট্র থেকে সকল সুবিধা লাভ করে থাকে। এজন্য দেখা যায়, রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল নাগরিক ঐ সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা লাভের জন্য সর্বদা তার নাগরিকত্ব ফুটিয়ে তুলতে উন্মুখ থাকে। আবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেয়া নাগরিককের একটা দায়িত্ব। রাষ্ট্র থেকে নেয়ার সময় আচরণ সোজা হলেও দেয়ার ক্ষেত্রে নাগরিক হয়ে যায় উল্টো। ঐ নাগরিক তার দায়িত্বে টালবাহানা শুরু করে, অনেক সময় সে যে নাগরিক তাই লুকাতে সচেষ্ট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশী হিন্দুদের মধ্যে এই প্রবণতা একেবারে স্পষ্ট। তারা সারা জীবন অতিবাহিত করে বাংলাদেশে, এদেশের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু যদি কোনো আঘাত পায়, তখন সে আর বাংলাদেশী থাকে না, হয়ে যায় হিন্দু কিংবা সংখ্যালঘু। সম্প্রতি সিলেটে নন্দিতা নামে এক হিন্দু স্কুল ছাত্রীকে আঘাত করেছে তার সহপাঠি। এছাড়াও লালমনিরহাটে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভোলানাথ নামে এক হিন্দু খুন হয়েছে। বলাবাহুল্য, মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে বাংলাদেশে। কিছু হিন্দু যেহেতু এদেশে থাকে, তাই তারাও এগুলোর সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক

রাজাকার গুরু গো’আযম কি আসলেই ‘ভাষা সৈনিক’ ছিল?

কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী, বাংলাদেশে মওদুদীর ভ্রান্ত ও কুফরী মতবাদ প্রণেতা রাজাকার গুরু গো’আযম লা’নতুল্লাহ আলাইহি ‘ভাষা সৈনিক’ ছিলো বলে প্রচারণা চালিয়ে থাকে ধর্মাশ্রয়ী দল জামাত-শিবিরের কর্মীরা। কিন্তু এই গ-মূর্খের দল জানে না যে, গো’আযম যখন ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন সে ছিলো কমিউনিস্ট বামপন্থীদের দলভুক্ত। যা পরবর্তীতে সে নিজেই বলেছে, ‘ভাষা আন্দোলন করা ভুল হয়েছে’। ১৯৭০ সালের ২০ জুন ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার পঞ্চম পৃষ্ঠায় প্রকাশতি হয় তার লেখা। ‘বাংলা ভাষার আন্দোলন করা ভুল হইয়াছে’ শিরোনামের সেই লেখায় গো’আযম বলেছে, “বাংলা ভাষা আন্দোলন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেই সঠিক কাজ হয়নি।” (দৈনিক আজাদ, ২০ জুন ১৯৭০ ঈসায়ী) এখানেই শেষ নয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলাকে স্বাগত জানিয়েছিল কথিত ‘ভাষা সৈনিক’ গো’আযম। জামাতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামেই এর বহু প্রমাণ রয়েছে। কাজেই গো’আযম কোনোক্রমেই ভাষা সৈনিক নয়। এটা লা’নতপ্রাপ্ত গো’আযমকে মহিমান্বিত করার ব্যর্থ অপকৌশলমাত্র।