সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খেলাধুলা করা হারাম নাকি জায়েজ? ইসলামে কোন খেলায় কি হুকুম? জেনে নিন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।

★প্রশ্ন-(১) খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয।’ তা কোন কোন খেলা? উত্তর-(১) এর জবাবে বলতে হয় যে, হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব, “মুস্তাদরিকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ, তিনটি বিষয় ব্যতীত- (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।” আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ ইত্যাদি হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রেওয়ায়েত আছে, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিনের শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।” “সহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনদে আহমদ শরীফে” হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

খুশির দিনে রোজা রাখার হুকুম

বাতিল ফিরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের একটা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার হচ্ছে- জন্ম উপলক্ষে নবীজী রাখলেন রোজা আপনারা করেন ঈদ। তিনি পালন করলেন 'বার' আপনারা করেন 'তারিখ'।  এখানে তাদের দুইটা আপত্তি। আজকে প্রথম আপত্তি নিয়ে কিছু বলবো। যে হাদীছ শরীফ দিয়ে সে রোজা পালন করার কথা বলছে তা হলো-  “হযরত আবূ ক্বতাদা আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সোমবার রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলেন, তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন আমি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহন করেছি, আর এ দিনেই আমার উপর পবিত্র ওহী বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭) প্রথম কথা হচ্ছে এ হাদীছ শরীফ পেশ করার মাধ্যম দিয়ে ধরা যাক তারা ‘মীলাদুন্নবী পালন’ করাকে মেনে নিলো। যাক আগেতো মীলাদুন্নবী পালন অস্বীকার করতো এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন বাকি থাকলো, রোজা না রেখে ঈদ করা নিয়ে। সম্ভবত এই বিভ্রান্তি প্রচারকরা রোজা এবং ঈদকে সাংঘর্ষিক মনে করে। আসুন আমরা কিছু হাদীছ শরীফ দেখবো যেখানে রোজার মাধ্যম দিয়ে ঈদ পালন করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। পবিত্র হাদ

দরুদ শরীফ ছানা ছিফত কতক্ষণ করতে হবে?

  ২৪ ঘন্টা নবীজীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করলেই সকল নেক মকছুদ পূর্ণ হবে, এবং জীবনের সকল গুনাহ খতা ক্ষমা হবে। অর্থাৎ সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে।  সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ হযরত উবাই ইবনু কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরুদ পাঠে

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক

এক নজরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় মহাসম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিমাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছানিয়াহ’ তথা দ্বিতীয়া। তাই উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! #90daysmahfil www.sm40.com 🌹মহাসম্মানিত নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম। 🌹যেভাবে সম্বোধন করা আদব মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম। 🌹বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে রিসালাত মুবারক মুবারক প্রকাশের প্রায় ৭ বছর পূর্বে পবিত্র ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। 🌹নিসবাত

৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ইতিহাস

মিশরে ৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ব্যপক জাকজমকের সাথে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়। এক শ্রেনীর লোক প্রচার করে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকি চালু হয়েছে ৬শত হিজরীতে। অথচ কথাটি মোটেও সত্য না, খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ ঈসায়ী সন) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন।  ইতিহাসটি বর্ণনা করোন হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফের মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী)। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তিনি এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন- فَمِنْهَا الْبَيْتُ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي يُوسُفَ، وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الْبَيْتُ فِي الدَّارِ حَتَّى قَدِمَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَتَيْنِ مُوسَى، وَهَارُونَ، فَجَعَلَتْهُ مَسْجِدًا يُصَلَّى فِيهِ، “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে খল

বাইবেল থেকে গসপেল অফ বার্নাবাস (The Gospel of Barnabas) কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো?

জানেন কি, বাইবেল থেকে গসপেল অফ বার্নাবাস (The Gospel of Barnabas) কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো? সেইন্ট বার্নাবাস, প্রকৃত নাম জোসেফ (ইউসুফ) ছিলেন হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম (খ্রিস্টানরা বলে যীশু) উনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর ও ওহী লেখক। তিনি হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ধর্মপ্রচার স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে সরাসরি অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান লাভ করেন যা বর্তমানে চারটি স্বীকৃত গসপেলের রচয়িতাদের কারও ছিল না। বর্তমান খ্রিষ্টান জগতে বার্নাবাসের বাইবেলের কোন পরিচিতি নেই, বরং নিষিদ্ধ। সংগত কারনেই খ্রিষ্টান ধর্মযাজকরা এই বাইবেলের ঘোর বিরোধী কারণ এই বাইবেল ছিল আখেরী রাসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন এবং উনার প্রশংসা মুবারকে পরিপূর্ণ। ঐতিহাসিকদের মতে ৩২৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত এন্টিওক এবং আলেকজান্দ্রিয়ার গীর্জা সমূহে বার্নাবাসের বাইবেল আইন সম্মত গ্রন্থ হিসাবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু ৪৯৬ খৃষ্টাব্দে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। কেন তারা এই বাইবেল নিষিদ্ধ করেছিলো? ১। পুরো গসপেল অফ বার্নাবাস জুড়ে আছে পবিত্র কুরআন শরীফের সাথে সামঞ্জস্যশীল উপদেশবাণী এবং আখেরী রাসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয

পবিত্র নসবনামা মুবারক

আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার পূর্বপুরুষ (অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে আবু রসুলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত) সকলেই ছিলেন উনাদের যামানার নবী রসূল অথবা যামানার লক্ষ্যস্থল অলি আল্লাহ। যে বিষয়টি ওহী নাজিদের মাধ্যমে কেয়ামত পর্যন্ত আগত জগতবাসী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক।  কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- وتقلبك فى السجدين অর্থ : “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারী উনাদের মাধ্যমে।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে হিববান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- لازال نوره صلى الله عليه وسلم ينقل من ساجد الى ساجد. অর্থ: “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূর মুবারক সিজদাকারীগণের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫) ان اباء النبى صلى ا

নবীজীর শানে যে নাত রচনা করেছিলেন চীনের মিং ডাইনেস্টির সম্রাট

চীনের মিং ডাইনেস্টির ( Ming Dynasty) প্রতিষ্ঠাতা ইম্পেরর ঝু ইউয়ানঝাং (Emperor Zhu Yuanzhang)  আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শানে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। তাঁর সময়কাল ছিল: ১৩২৮-১৩৯৮ (প্রায় সাড়ে ৬ শত বছর আগে)।  নাত: "Since the creation of the universe God had already appointed his great faith-preaching man, From the West he was born, And received the holy scripture And book made of 30 parts (Juz) To guide all creations, Master of all rulers, Leader of the holy ones,  With support from the Heavens, To protect his nation, With five daily prayers,  Silently hoping for peace, His heart directed towards Allah,  Giving power to the poor, Saving them from calamity, Seeing through the Unseen,  Pulling the souls and the spirits away from all wrongdoings, Mercy to the world,  Transversing to the ancient, Majestic path vanquished away all evil, His religion Pure and True,  Muhammad, The Noble High One. যার  বাংলা অনুবাদ: "মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে স্

প্রিয় নবীজি উনার পবিত্রতম শৈশব কাল একদিনের ঘটনা

উনার পবিত্রতম বয়স মুবারক তখন ২ (দুই) বছর। একবার উনার দুধবোন উনাকে নিয়ে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে মাঠে যান। হযরত হালীমা সা’দিয়া আলাইহাস সালাম তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ঘর মুবারকে দেখতে না পেয়ে বেচৈন হয়ে বাইরে বের হন। মাঠে গিয়ে উনাদের উভয়কে দেখতে পান। হযরত হালীমা সা’দিয়া আলাইহাস সালাম তিনি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন : এ রৌদ্রের মধ্যে আপনারা বের হয়েছেন? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুধ বোন তিনি বললেন, মা! আমাদের এ সম্মানিত ভাই উনার পবিত্র জসিম মুবারকে রোদ লাগেনা, তিনি সেখানেই যান এক খন্ড মেঘ উনাকে ছায়া দিয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে কাছীর) সেই সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ মাস মোহে রবিউল আউয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে আয়োজিত ৯০দিন ব্যাপি মাহফিল চলমান।  মাহফিলে আসুন, খিদমতে শরীক হওন। #90daysmahfil Sm40.com

আপনাকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না, যদি আপনি এই উসুলটি মনে রাখেন

দ্বীন ইসলামে (মুসলমানদের মধ্যে) ৭২টি বাতিল ফিরকা থাকবে, যাদের নামের সাথে অনেক বড় বড় ডিগ্রি থাকবে, নামকরা আলেম হবে, বড় স্কলার-দাঈ ইত্যাদি পরিচয় থাকবে। তাদের ওয়াজ/লেকচার শুনে, মুখস্ত বিদ্যা দেখে অনেকে তাজ্জুব হবে, তাদের ভক্ত অনুসারি হবে। তারা যেটা বলবে সেটাই তারা বিনা দলিলে মেনে নিবে। দ্বীন ইসলামে অনেক ফযিলতপূর্ন নেক আমলকে তারা বেদাত, নাজায়েজ বলে মানুষকে নেক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।  হ্যা, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানই এমন জালে আটকে ঈমান হারা হয়ে মরছে।  তবে আপনি কখনোই বিভ্রান্ত হবেন না যদি এই উসুলগুলো মনে রাখেন- ১. প্রথমত শুধু এতটুকুই দেখবেন যে 'আমলটি কি করা হচ্ছে'?  যদি দেখেন এখানে হারাম বা গুনাহের কাজ করা হচ্ছে না বরং নেক কাজই করা হচ্ছে তাহলে অপপ্রচারে কান দিবেন না। সেটা তাদের কথিত 'বেদাত' হলেও করুন। মনে রাখবেন, বেদায়াত ২ প্রকার। ১. বেদায়াতে হাসানাহ (উত্তম বেদায়াত), ২. বেদায়াতে সাইয়েয়া (খারাপ বেদাত)। কথিত বেদাত আমলটি নেক কাজ হলে সেটা উত্তম বেদায়াত হিসেবে আমল যোগ্য। আর কথিত বেদায়াত আমলটি কোন হারাম/গুনাহের কাজের অনুরুপ হলে সেটা পরিত্যাজ্য।  ২. আপনি আরো লক্ষ্য করবেন- যারা ঈ

মহান আল্লাহ পাক নিজেই সালাম দিয়েছেন, কাকে?

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একবার হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!  এই যে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি একটি পাত্র নিয়ে আসতেছেন উহাতে তরকারী এবং খাওয়ার দ্রব্য রয়েছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন তখন আপনি উনাকে উনার রবের পক্ষ হতে এবং আমার পক্ষ হতে সালাম বলবেন এবং উনাকে সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে মুক্তাখচিত এমন একটি প্রাসাদের সুসংবাদ প্রদান করবেন, যেখানে না কোনো হই হুল্লোর রয়েছে আর না কোনো কষ্ট রয়েছে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ) অন্য এক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনায় জানা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, হে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম উনার মাধ্যমে আপনাকে সালাম দিয়েছেন। উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহিস

বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন

মিলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনের জন্য গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট যা করলেন- গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে সারা দেশে অফিসিয়াল ডিক্লারেশন করা হয় যে, মহামান্য প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারো পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাপকভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সারাদেশে সর্বস্তরের জনগণের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষনা করেছেন। সেই সাথে গাম্বিয়ার জনগণকে এবং গাম্বিয়ার বন্ধু দেশগুলোর প্রতি এই রহমতপূর্ণ দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের জন্য আহ্বান করেছেন। বিস্তারিত : https://www.kerrfatou.com/mawlid-al-nabi-declared-as-public-holiday/# বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ছবি ও ক্যাপশন। তুর্কির পত্রিকা daily sabah থেকে সংগৃহিত- Muslims across world mark birth of Rasool Swallallahu Alaihi Wa Sallam 1. Millions of believers across the world marked the Mawlid al-Nabawi, the celebration of the birth anniversary of the Prophet Muhammad, a day of spiritual significance in Islam. It is celebrated on the third month of the Isl

"তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছ কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলোনি"

"তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছ কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলোনি" -এটা একটি বিখ্যাত আরবী প্রবাদ, কিন্তু এই প্রবাদটির উৎপত্তি কিভাবে হয়? আর কিভাবেই বা এটি বিখ্যাত হয়ে উঠে? পড়ুন সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনাকে কেউ একজন জানালেন যে, হযরত ছিদ্দিক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ফজরের সালাত শেষ করে মদীনা শরীফ সীমানার দিকে যান, একটা ছোট বাড়িতে বেশ কিছু সময় কাটান, তারপর নিজের ঘরে ফিরে আসেন। হযরত ছিদ্দিক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি কি করতেন না করতেন তার সব খবরই হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম রাখতেন, শুধুমাত্র এই বাড়িতে কি হতো, তা উনার অগোচরে ছিল। দিন যায়, কিন্তু আমীরুল মুমিনীন হযরত ছিদ্দিক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ঐ বাড়িতে গমন বন্ধ হয়না। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ফজরের পর হযরত ছিদ্দিক্বে আকবর আলাইহিস সালাম  ঐ বাড়িতে গিয়ে কি করেন, তা তিনি নিজের চোখে একবার দেখে আসবেন। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি ঐ ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন, ওখানে একজন বৃদ্ধা বাস করেন। বৃদ্ধার কেউ নেই, তারওপর তিনি অন্ধ। হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন। বৃ

পরকালে বিশ্বাসী হয়ে কেন হারাম কাজে লিপ্ত হয় এবং ইলমে তাসাউফ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশে পরকালে বিশ্বাসীর সংখ্যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি, তাহলে এ দেশে এতো হারাম কাজ, দুর্নীতি কেন হয়?  আসলে ঈমান থাকলেই তাক্বওয়া থাকবে বিষয়টা এমন নয়। তাক্বওয়া অর্জন করতে হয়। পবিত্র কুরআনের অনেক জায়গায় মহান আল্লাহ পাক 'ওয়াত্তাক্কুল্লাহ' (আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর) অর্থাৎ  তাক্বওয়া অর্জনের কথা বলেছেন। কারন তাক্বওয়া ছাড়া কেউ হারাম কাজ বা ইবলিসের ধোকা থেকে বাঁচতে পারবেনা।  এখন তাহলে তাক্বওয়া কিভাবে অর্জন হবে? যে ইলম অর্জন ও চর্চা করলে অন্তরে তাক্বওয়া (আল্লাহর ভয়) সৃষ্টি হয়, মানুষ পরহেজগার হতে পারে সেই শিক্ষা ব্যবস্থাতো বাংলাদেশে নেই। এমনকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাতেও নাই। তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি,  অপরাধ, অসামাজিক কার্যকলাপ কিভাবে কমবে? কখনো কমবে না। সেই ইলিমটি হচ্ছে ইলমে তাসাউফ বা মারিফত যা ইলমে শরীয়তকে পূর্ণতা দান করে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা  পুঁথিগত নয়, রূহানী। একজন হক্কানি শায়েখ উনার নিকট বায়াত হয়ে ছবক আদায়ের মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ করতে হয়। নির্দিষ্ট তরিকায় যিকির আযকার, দরুদ শরীফ ইত্যাদি আমল করতে করতে ধীরে ধীরে অন্তর থেকে দুনিয়ার মোহ, লোভ লালসা, হিংসা, অহংকার, দুনিয়া

দেওবন্দের ওস্তাদ আশরাফ আলী থানবী নিজেও বেহেশতী জেওর কিতাবে মীলাদ মাহফিল করার ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

  মীলাদ মাহফিল ও ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনের সর্বশেষ্ঠ আমলটি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের অনুসারীরা। আর ভারত উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের তল্পিবাহক দেওবন্দী গং। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে একটু পড়াশোনা করলেও দেখা যায় ২০০বছর আগেও এ বিষয়ে কোন বিরোধীতা, ইখতিলাফ ছিলোনা। কারন তখনও শয়তানের শিং 'ওয়াহাবি মতবাদ'  আবিস্কৃত হয়নি। এই বাতিল ফিরকাটি আবিস্কৃত হয় ১৮শতকের শেষের দিকে।  উপভারত মহাদেশে ওহাবী মুভমেন্টের বিস্তার ঘটে যাদের মাধ্যমে তাদের অন্যতম ছিলো দেওবন্দ গুরু মাওলানা আশরাফ আলী থানবী। মজার ব্যাপার হচ্ছে থানবী নিজেই এই সর্বশ্রেষ্ঠ আমলটির বিষয়ে তখন ইখতিলাফ সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং তার লিখিত  অনেকগুলো কিতাবে মিলাদ মাহফিলের ফজিলত বর্ণনা করেছে। এমনকি তার লিখিত বেস্ট সেলার বই বেহেশতী জেওর এর মধ্যেও এর ফজিলত বর্ণিত আছে।  আসুন দেখা যাক দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবীর বেহেশতী জেওর এর ৬ষ্ঠ খন্ডের “সীরাতে পাক” অধ্যায় থেকে বিষয়টা তুলে ধরা যাক: “রসূলের জীবনী আলোচনার মজলিসকে কেহ সীরাতে পাকের মজলিস বলে।কেহ মওলুদ শরীফ বয়ানের মাহফিল বলে, কেহ

ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা কি বিদআত? নবীজী কি বলেছেন পালন করার জন্য? সাহাবাগণ করেছেন?

দ্বীন ইসলামের মধ্যে ফিৎনা সৃষ্টিকারী বাতিল ফিরকা ওয়াহাবী-সালাফীরা প্রচার করে থাকে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। নাউজুবিল্লাহ। অথচ তারা নিজেরাই বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। ১৮শ শতকের আগে (অর্থাৎ এখন থেকে ২০০ বছর আগে) তাদের অস্তিত্ব ছিলো না। এবং তখন এ বিষয়ে কোন বিতর্কও ছিলো না। বরং এটি একটি সার্বজনীন, সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।  এমনকি মশহুর ফিকাহ শাস্ত্র গুলোতে বর্ণিত আছে, এ মহান দিবসটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজে পালন করেছেন এবং উনার আসহাব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনারাও পালন করেছেন।  যেমন, সহীহ্ হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়, عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ ‏  فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ ‏ . অর্থ: হযরত আবূ ক্বাতাদাহ্ আল-আনসারী  রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন—“ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে ইয়াওমুল ইসনাইনিল

রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি কতটুকু মুহব্বত রাখতে হবে?

জেনে রাখা দরকার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়কে কতটা ভালোবাসতেন। হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, عَنْ أَنَسٍ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْحَلاَّقُ يَحْلِقُهُ وَأَطَافَ بِهِ أَصْحَابُهُ فَمَا يُرِيدُونَ أَنْ تَقَعَ شَعْرَةٌ إِلاَّ فِي يَدِ رَجُلٍ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দেখেছি ক্ষৌরকার (যিনি পবিত্র চুল মুবারক কাটতেন) হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চুল ছাটছেন আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ উনার চারপশে তাওয়াফ করছেন। উনারা চাইতেন যে, কোন চুল মুবারক যেন মাটিতে না পড়ে তা যেন কারো না কারো হাতে পড়ে। (মুসলিম শরীফ ৫৯৩৭, মুসনাদে আহমদ ১২৪০০) চিন্তার বিষয় হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় উনার চুল মুবারক যাতে কোন ভাবে মাটিতে পরে না যায় তার জন্য রীতিমত তাওয়াফ করতেন এবং এ ব্যাপারে প্রচন্ড সর্তক থাকতেন। চুল মুবারকক

জেনে নিন পবিত্র ঈদে মিলাদ নিয়ে লিখিত কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম

ইদানীং সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ওয়া ঈদে আ’যম পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার নাম শুনলে কিছু লোক বিদয়াত বিদয়াত বলে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে থাকে। আরে বলে কিতাবে নেই, পূর্বের কোনো আউলিয়াগণ করেননি ইত্যাদি ইত্যাদি নানা মিথ্যা কথা বলে থাকে।  কিন্তু বাস্তবতা হলো- নববী যুগ থেকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ, যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম-মুজাতাহিদগণ, উলামায়ে কিরামগণ উনারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলের আয়োজন করেছেন, এতে শরীক হয়েছেন এবং এসব বরকতময় আমলের পক্ষে কিতাবও রচনা করেছেন। এখানে ঐ সকল মহান উলামায়ে কিরামগণ উনাদের কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম উল্লেখ করা হলো। ১) হাফিযুল হাদীছ হযরত শিহাবুদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুর রহমান বিন ইসমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব- আল বাইস আলা ইনকারি বিদাই ওয়াল হাওয়াদিস। ২) হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব- হুসনুল মাকসাদ ফী আমালিল মাওলিদ লিস সুয়ূতী। ৩) হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব আল হাবী লিল ফতওয়া ৪