সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুওওয়াল: নবীজি মদীনা শরীফে তাশরীফ নিয়ে দু’ঈদ ব্যতীত সব ঈদ বাতিল ঘোষণা করেছেন - বিষয়টা কতটুকু সত্য?

সুওয়াল ৮ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দু’ঈদ ব্যতীত সব ঈদ বাতিল ঘোষণা করেছেন। সুুওয়াল ৯ : সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে দু’টি ঈদ- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ছাড়া আর কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই। জওয়াব : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দুইটি কুফরী দিবসসহ সমস্ত কুফরী দিবসকে বাতিল ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মুসলমানদের জন্য অন্যান্য বিশেষ দিবস বা আইয়্যামুল্লাহ বাতিল ঘোষণা করেননি।  এমনকি একথাও বলেননি যে, মুসলমান উনাদের জন্য দু’ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই। বরং তিনি মুসলমান উনাদের জন্য আরো অনেক বিশেষ দিন ও সময় সম্পর্কে ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন।  দলীল ‘নওরোজ’ বা নববর্ষ ও ‘মিহিরজান’ নামক ২টি কুফরী দিবস বাতিল করে মুসলমানদের জন্য ইয়াওমুল আদ্বহা ও ইয়াওমুল ফিতরের ঘোষণা : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِيْنَةَ وَلَـهُمْ يَ

সুওয়াল ৭ : ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ নবীজি দুনিয়া থেকে পর্দা করেছেন বিধায় এদিন খুশি করা যাবে না, শোক পালন করতে হবে - কথাটি কতটুকু শরীয়তসম্মত?

সুওয়াল: অনেকে প্রচার করে থাকে যে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে তারিখে দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক এনেছেন সে তারিখেই তো তিনি দুনিয়া থেকেও পর্দা করেছেন। তাই সেই দিন দুঃখেরও দিন। এদিন ঈদ হলে দুঃখ প্রকাশ করেননা কেন? আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা অন্যায়। জওয়াব : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একই দিনে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ও পবিত্র বিছালী শান প্রকাশ করেছেন একথা সত্য। কিন্তু পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক জানা যায় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ও পবিত্র বিছালী শান প্রকাশ উভয়ই উম্মতের জন্য কল্যাণকর। তাই পবিত্র বিছালী শান প্রকাশ করার দিনও খুশির দিন। এছাড়াও সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান অনুযায়ী শোক প্রকাশের সীমা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ দিন। এরপরে আর শোক প্রকাশ বৈধ নয়। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস খুশির দিন : পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস স

বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ নিয়ে ইখতিলাফ বা মতভেদ আছে - বিষয়টা কতটুকু সত্য?

এ প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু প্রশ্ন মানুষ করে থাকে, যেমন- সুওয়াল ৪ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ নিয়ে ইখতিলাফ বা মতভেদ আছে। তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়। সুওয়াল ৫ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসের তারিখ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা জানতেন না। সুওয়াল ৬ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসের তারিখ মুবারক ১২ তারিখ নয় বরং ৯ তারিখ। জওয়াব : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ মুবারক নিয়ে কোন ইখতিলাফ বা মতভেদ নেই। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ সম্পর্কে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই জানতেন এবং তা বর্ণনাও করেছেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ