সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নবীজী উনার সুন্নতী পানির মশক দেখতে কেমন ছিলো? বর্তমানে কোথায় পাওয়া যায়?

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা পানি সংরক্ষণে চামড়ার মশক ব্যবহার করেছেন। অর্থ্যাৎ চামড়ার মশক ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক। মশক হাদিয়া দেয়া সুন্নতঃ এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمُ اَتَى حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلَيْهِ وَسَلَّمُ وَحَضْرَتْ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا وَسَلَّمُ وَهُـمَا فِىْ خَـمِيْلٍ لَـهُمَا وَالْـخَمِيْلُ الْقَطِيْفَةُ الْبَيْضَاءُ مِنَ الصُّوْفِ قَدْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمُ جَهَّزَهُـمَا بِـهَا وَوِسَادَةٍ مَـحْشُوَّةٍ اِذْخِرًا وَقِرْبَةٍ‏.‏ অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহা

জেনে নিন মাটির পাত্রে খাওয়া ও রান্নার বিস্ময়কর উপকারিতা

প্লাষ্টিক পাত্রের অপকারীতা ও মাটির পাত্রের বিভিন্ন উপকারিতা: প্লাস্টিকে বিপিএ- এর মতো কেমিক্যাল রয়েছে; যা অস্বাস্থ্যকর। প্লাস্টিকের বোতলে পানি সংরক্ষণের পর তা পান করলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে মাটির পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। আবার স্বাদেরও পরিবর্তন হয় না। গবেষণায় জানা গেছে, প্লাস্টিক পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি শরীরের টেস্টোটেরোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কিন্তু মাটির পাত্রে রাখা পানি টেস্টোটেরোন বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং বিপাক ক্রিয়া শক্তিশালী রাখে। মাটি ক্ষারজাতীয় উপাদান। এটি পানির পিএইচ লেভেল বজায় রাখে। মাটির পাত্রে অ্যাসিডিক খাবার রান্না করলে এর ক্ষতিকারক উপাদান নিষ্ক্রিয় করে দেয় মাটির ক্ষারীয় উপাদান।মাটির পাত্র শতভাগ প্রাকৃতিক। এতে কোনো বিষাক্ত পদার্থ নেই। মাটির পাত্রে খাবার রাখলে দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে। খাবারের পুষ্টিগুণও অটুট রাখে মাটির পাত্র। খাবার পরিবেশনের জন্যও মাটির বাসন বেশ স্বাস্থ্য উপযোগী ও সুন্দর। কারণ অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, নিকেল এবং ক্রোমিয়ামের মতো ধাতব পাত্রে রান্না করলে খাবার ধাতুর সংস্পর্শে অস্বাস্থ্যকর হয়। কিন

দস্তরখানায় খাবার খেলে কি হয়? এর বিষ্ময়কর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

  নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ , হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাওয়ার সময় দস্তরখানা বিছিয়ে খেতেন।  এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ مَا أَكَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى خِوَانٍ وَلَا فِي سُكْرُجَةٍ وَلَا خُبِزَ لَه ٗ مُرَقَّقٌ‏.‏ قُلْتُ لِـ حَضْرَتْ قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَلٰى مَا يَأْكُلُونَ قَالَ عَلَى السُّفَرِ‏ . অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো ‘খিওয়ান’ (টেবিলের মত উঁচু স্থানে)-এর উপর খাবার রেখে আহার করেননি এবং ছোট ছোট বাটিতেও তিনি আহার করেননি। আর উনার জন্য কখনো পাতলা রুটি তৈরী করা হয়নি। রাবী ( হযরত ইউনুস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি) বলেন , আমি হযরত কাত্বাদাহ্‌ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে উনারা কিসের উপর আহার করতেন ? তিনি বললেন, খয়েরী রংয়ের দস্তরখানের উপর।” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বয়া

কিভাবে খাওয়া সুন্নত? সুন্নতী নিয়মে খাদ্য গ্রহণের তরতীব জেনে নিন।

  খাবার গ্রহণের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব বা পদ্ধতি হায়াতুন নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন , ইমামুল মুরসালীন , খ্বতামুন নাবিয়্যীন , নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাদ্য গ্রহণের যে আদব ও তারতীব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন অর্থাৎ খাবারের সম্মানিত সুন্নতসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো - ১ . খাওয়ার আগে ও খাওয়ার শেষে হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া: খাওয়ার আগে ও পরে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া সুন্নত। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ سَلْمَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَرَأْتُ فِي التَّوْرَاةِ اَنَّ بَرَكَةَ الطَّعَامِ الْوُضُوءُ قَبْلَه ٗ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ‏ بَرَكَةُ الطَّعَامِ الْوُضُوْءُ قَبْلَه ٗ وَالْوُضُوءُ بَعْدَه ٗ . ‏  অর্থ: “হযরত সালমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে পড়েছি, খাবার শুরুর আগে উযু করার মধ্যেই খাবারের বরকত নিহিত। নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ , হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আ