সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোহিঙ্গা মুসলমান যারা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদেরকে পুশব্যাক করা কখনো ইসলামী কাজ নয়

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেযগারীতে সাহায্য করো, আর পাপ কাজ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করোনা।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৯৭% জনগণ মুসলমান আর রাষ্ট্রীয় দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। কাজেই এদেশের জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করা। সে শর্তে ইসলামে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়া, পিপাসার্তকে পান করানো, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দেয়া ইত্যাদি নেক কাজের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, রোহিঙ্গা মুসলমান যারা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদেরকে পুশব্যাক করা কখনো ইসলামী কাজ নয় । স্মরণীয় যে, বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ (ক), ২৫ (খ) ও ২৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ীও বাংলাদেশ সরকার সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা লাভের উদ্দেশ্যে আগমনকারীদের তথা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থীদের আশ্রয় দিতে পারে। প্রতিবেশী দেশে মুসলমানদের অকাতরে শহীদ করা হচ্ছে, রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশ সেটা কী করে চোখে দেখে নির্লিপ্ত থাকতে পারে? বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের উপর মুসলিম নির্যাতন বন্ধে শক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং ওআইসিসহ জাতিসংঘে বিষয়টি জোরদারভাবে উল্লেখ করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ল

“যখন শবে বরাতের রাত্রি পাবে তখন সারা রাত্রি ইবাদত কর এবং দিনে রোযা রাখ“

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রাত্রিতে তথা শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিল করি  অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নেই। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,  যখন শবে বরাতের রাত্রি পাবে তখন সারা রাত্রি ইবাদত কর এবং দিনে রোযা রাখ। যারা বলে- ‘কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতের কোন অস্তিত্ব নেই’ তাদের এ বক্তব্য  সম্পূর্ণরূপে জিহালতপূর্ণ, গুমরাহীমূলক ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। ধর্মব্যবসায়ী ও হারাম টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রামকারীরাই তাদের ধর্মব্যবসার স্বার্থে  শবে বরাতের বিরোধিতা করে থাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে ধর্মব্যবসায়ীদের কথা শোনা ও মানা জায়িয নেই। বিস্তারিত পড়ুন

আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ২৩) ‘মুসলিম শরীফ’ ও ‘মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “একদা ভোর বেলা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কালো বর্ণের পশমী নকশী কম্বল মুবারক শরীর মুবারকে জড়িয়ে বের হলেন। এমন সময় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে আসলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার সহিত প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরআন

মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবারই একটি বহিঃপ্রকাশ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা, মর্তবাকে সীমাহীনভাবে বুলন্দ করেছি।’ মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবারই একটি বহিঃপ্রকাশ উনার খাদিম হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনিসহ সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা যেখানে চোখের পলকে আসমান থেকে যমীনে এবং যমীন থেকে আসমানে আসা-যাওয়া করেন; সেখানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ-এর ব্যাপারে কি করে সংশয় প্রকাশ করা যেতে পারে? মূলত, উনার মি’রাজ শরীফ-এর ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করা কাট্টা কুফরী ছাড়া কিছুই নয়। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব! আমি আপনার সম্মান, ইজ্জত, মর্যাদা, মর্তবাকে সীমাহীনভাবে বুলন্দ করেছি।’ পব

আরাকানে মুসলমানদের উপর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, গণসম্ভ্রমহরণ, লুণ্ঠনের মচ্ছব চলছে; বিশ্ব মুসলিম নির্বাক

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই।’ আর আরাকানে মুসলমানদের উপর ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, গণসম্ভ্রমহরণ, লুণ্ঠনের মচ্ছব চলছে। অথচ সারা বিশ্বের মুসলমানরা নির্বাক। দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান দেশ হিসেবে বাংলাদেশসহ কোনো মুসলমান দেশ শরয়ী দৃষ্টিতে নির্বাক থাকতে পারে না। আশ্রয়ের জন্য যেসব মুসলমান বাংলাদেশে আসছে, বাংলাদেশ দ্বীনি ও মানবীয় মূল্যবোধ থেকে কোনোক্রমেই তাদের ফিরিয়ে দিতে পারে না। বাংলাদেশের উচিত- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা, ওআইসি ও জাতিসংঘে বিষয়টি জোরদারভাবে বলা। এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জুলুম বন্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করা। যে জাতিসংঘ সুদান ভাগ করে খ্রিস্টানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান তৈরি করে; সে জাতিসংঘ আরাকানের মজলুম মুসলমানদের ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন? তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ও

মুজাদ্দিদগণের পরিচয় এবং বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ

মহান আল্লাহ পাক মানব ও জ্বিন জাতির হিদায়েতের জন্য যমীনে হাদী পাঠান। এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,  “প্রত্যেক ক্বওমের জন্যই হাদী বা হিদায়েতকারী রয়েছে”   (সূরা রা’দঃ ৭)   তাই পৃথিবীতে একলক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুইলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম হাদী হিসেবে আগমন করেছেন। সর্বশেষে আগমন করেছেন, আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর পর পৃথিবীতে আর কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম আগমন করবেন না। তাই ছহীহ্ দ্বীন তথা শরীয়তের আক্বীদা ও আমল মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আল্লাহ পাক ন্যস্ত করেছেন হক্কানী আলিম তথা আউলিয়ায়ে কিরামগণের উপর। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিছ বা উত্তরাধিকারী”   (তিরমিযী, আবূ দাউদ, ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত) যেহেতু হাদী হিসেবে নবীগণের ওয়ারিছদের আগমনের দরজা কেয়ামত পর্যন্ত খোলা রয়েছে, তাই হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,  “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উম্মতে মুহম্মদীর জন্যে প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, যিনি তাদের দ্বীন তথা শরীয়তের আক্বীদা ও আমলের তাজদীদ বা সংস্