সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকেই কুরবানী করার জন্য শোয়ানো হয়েছিলো

আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, মু’মিন-মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী অতঃপর যারা মুশরিক তারা।
হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকেই কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ানো হয়েছিলো এবং উনারই পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী করা হয়েছিলো।’ এটাই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফদ্বয়ের বর্ণনা। 
আর হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত বর্ণনাটি ইসরাইলী তথা ইহুদীদের বর্ণনা, যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও পরিত্যাজ্য।
কাজেই কুরবানী সম্পর্কে কট্টর মুশরিক দেব নারায়ণের বক্তব্য শুধু মিথ্যাই নয়; বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা ইসলাম-এর প্রতিই চরম ধৃষ্টতার শামিল।
শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশের আদালতে এ ধরনের মিথ্যা ও ধৃষ্টতাপূর্ণ রিট গ্রহণ করাই উচিত হয়নি; বরং সাথে সাথে উক্ত রিট খারিজ করে রিটকারী দেব নারায়ণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। 
আর এ বিষয়টি আদালতে ফায়ছালা করার বিষয় নয়; বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে বাহাছে ফায়ছালা হওয়ার বিষয়। তাই কট্টর মুশরিক দেব নারায়ণসহ যারা ইসরাইলী বর্ণনায় বিশ্বাসী তাদের প্রতি প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হলো।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হাদীছ শরীফ-এর বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুসতাদরাক লিল হাকিম’-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমরা একদা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে উপস্থিত ছিলাম। তখন এক গ্রাম্য আরবী এসে বললেন, হে দুই যাবীহ উনাদের সন্তান! এ সম্বোধন শুনে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুচকি হাসলেন। হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করার পর উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, যবীহদ্বয় কে কে? হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক যবীহ হলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর দ্বিতীয়জন হলেন উনার পূর্ব পিতা হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম। 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে জালালাইন শরীফ’-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমি দুই যবীহ উনাদের পুত্র’। এ হাদীছ শরীফখানার তাৎপর্য হচ্ছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার পিতা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম তিনি কুরবানীর জন্য মানত করেছিলেন। অতঃপর তৎকালীন জ্ঞানী-গুণীগণের পরামর্শক্রমে উনার প্রাণের বিনিময়ে একশত উট সদকা (কুরবানী) করেছিলেন। সুতরাং এক যবীহ পাওয়া গেল। আর অনিবার্যভাবেই অপর যবীহ হলেন হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি। কেননা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার বংশের অন্তর্ভুক্ত। ‘আমি দুই যবীহ উনাদের সন্তান’ হাদীছ শরীফখানাকে হযরত ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ তথা বিশুদ্ধ বলেছেন।
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কুরবানী করা হয়েছিল হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে।’
অনুরূপ রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। যেমনটি হাদীছ শরীফ-এর বিশুদ্ধ কিতাব ‘আল মুসতাদরাক লিল হাকিম’-এ উল্লেখ আছে। একইভাবে বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকেই কুরবানী করতে নির্দেশ করেছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আরো বলেন, হযরত ইবনুল হামমা হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি কুরবানী হওয়ার বর্ণনার বর্ণনাকারীগণ হলেন: বাবুল ইলম হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত সায়ীদ ইবনে জুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (যিনি হানাফী মাযহাবের ইমাম, হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ) হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ক্বতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনু ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, এ কথা সুনিশ্চিত যে, সূরা ছফফাত ১০১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ উদ্ধৃত ‘ধৈর্যশীল পুত্র’ বলে বুঝানো হয়েছে- হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে। আর উনাকেই কুরবানী করার নির্দেশ পেয়েছিলেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ তিনিই ছিলেন ‘যবীহ’ (উৎসর্গকৃত)। কিন' ইহুদী, খ্রিস্টানরা বলে, ‘যবীহ’ ছিলেন হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম। তাদের এ উক্তি যে অসত্য, তা বলাই বাহুল্য।
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত যে বর্ণনা রয়েছে তা ইসরাইলী বা ইহুদীদের বর্ণনা। ইহুদীরা হিংসার বশবর্তী হয়েই এরূপ মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে ও করছে।
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাবের বরাত দিয়ে আরো বলেন, হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেছেন, খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহ তিনি একবার এক পুণ্যবান নব মুসলমানকে (যিনি পূর্বে ছিলেন ইহুদী) জিজ্ঞেস করলেন, বলুন তো, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস তিনি উনার কোন পুত্রকে কুরবানী করার জন্য আদিষ্ট হয়েছিলেন? তিনি বললেন, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি আরো বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! ইহুদীরা এ কথা জানে। কিন' হিংসাবশত তারা স্বীকার করতে চায় না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, হযরত আসমায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি একবার হযরত আবু আমর ইবনে আ’লা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, বলুন তো, ‘যবীহুল্লাহ’ ছিলেন কে- হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম, না হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম? তিনি বললেন, তোমার কি জ্ঞান-বুদ্ধি আছে? হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি আবার মক্কা শরীফ-এ ছিলেন কবে? (হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনিতো সিরিয়াতে বসবাস করতেন)
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কাট্টা হিন্দু দেবনারায়ণ আরো বলেছে, ‘হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার পরিবর্তে দুম্বা যবেহ হওয়ার কথা মিথ্যা’। নাঊযুবিল্লাহ! মূলত তার এ বক্তব্যও ডাহা মিথ্যা। কেননা নির্ভরযোগ্য সমস্ত তাফসীরগ্রনে'ই দুম্বা যবেহের কথা উল্লেখ রয়েছে।
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর’ কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, “আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ করেন, আমি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার পরিবর্তে একটি বড় কুরবানী দান করেছি।” বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকালেন। তখন দেখলেন যে, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি একটি দুম্বা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেক বর্ণনা মতে, এটা সেই দুম্বা ছিল যা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পুত্র হযরত হাবিল আলাইহিস সালাম উনি কুরবানী হিসেবে পেশ করেছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ‘তাফসীরে মাযহারী’ কিতাবের বরাত দিয়ে আরো বলেন, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, কুরবানীর উক্ত ঘটনাটি মক্কা শরীফ-এর পাশে মিনায় সংঘটিত হয়েছে। তাছাড়া যুগ যুগ ধরে হজ্জের মওসুমে মক্কা শরীফ-এ কুরবানী করার নিয়ম চালু রয়েছে। যে দুম্বাটিকে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার পরিবর্তে জবাই করেছেন তার শিঙ কা’বা শরীফ-এ ঝুলন্ত ছিলো। এ সম্পর্কে হযরত সুফিয়ান ছওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সেই দুম্বার শিঙ যুগ যুগ ধরে কা’বা শরীফ-এ লটকানো ছিল। অতঃপর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ যখন বায়তুল্লাহ শরীফ-এ আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তখন তা পুড়ে যায়। আর এটা তো জানা কথা যে, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিই মক্কা শরীফ-এ বসবাসরত ছিলেন। হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম তিনি নন। (কারণ তিনি তো সিরিয়াতে বসবাস করতেন।) সুতরাং, হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনিই ‘যবীহ’ ছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূল কথা হলো- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর অকাট্য দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম উনাকেই কুরবানী করার জন্য যমীনে শোয়ায়ে ছিলেন এবং উনার পরিবর্তে একটি দুম্বা যবেহ হয়েছিলো।’ যা বিশ্বখ্যাত, সুপ্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য সমস্ত তাফসীর, হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন', ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবসমূহে বর্ণিত রয়েছে।
যেমন তাফসীর-এর কিতাব: (১) কুরতুবী, (২) বাইযাবী, (৩) রুহুল মায়ানী, (৪) খাযিন, (৫) ইবনে কাছীর, (৬) বাগবী, (৭) মাদারিক, (৮) ফতহুল ক্বাদীর, (৯) রুহুল বয়ান, (১০) মাযহারী, (১১) কবীর, (১২) দুররে মানছূর, (১৩) তাবারী, (১৪) আবী সউদ, (১৫) ছফওয়াতুত তাফাসীর, (১৬) জালালাইন, (১৭) কামালাইন, (১৮) গরায়িব, (১৯) যাদুল মাছীর, (২০) আল মুহাররারুল ওয়াজিয, (২১) মাওয়াহিব, (২২) হাশিয়ায়ে শিহাব, (২৩) ইবনে আব্বাস, (২৪) দুররে মাছুন, (২৫) কাশশাফ, (২৬) তাফসীরে হক্কানী, (২৭) দ্বিয়াউল কুরআন, (২৮) আহকামুল কুরআন, (২৯) লুবাব, (৩০) নাজমুদ দুরার, (৩১) কাসিমী, (৩২) মীযান, (৩৩) মাওয়ারদী, (৩৪) নূরুল ইরফান, (৩৫) তাফহীমুল কুরআন, (৩৬) মা’আরিফুল কুরআন।
হাদীছ শরীফ-এর কিতাব: (৩৭) বুখারী শরীফ, (৩৮) মুসলিম শরীফ, (৩৯) মিশকাত শরীফ।
হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন': (৪০) উমদাতুল ক্বারী, (৪১) ফতহুল বারী, (৪২) ইরশাদুস সারী, (৪৩) তাইযীরুল ক্বারী, (৪৪) ফয়জুল বারী, (৪৫) শরহে নববী, (৪৬) ফতহুল মুলহিম, (৪৭) মিরকাত, (৪৮) লুময়াত, (৪৯) আশয়াতুল লুময়াত, (৫০) মুযাহিরে হক, (৫১) মিরআতুল মানাজীহ, (৫২) তা’লীকুছ ছবীহ।
 
ফতওয়া ও ফিক্বাহর কিতাব: (৫৩) ফতওয়ায়ে আলমগীরী, (৫৪) ফতওয়ায়ে শামী, (৫৫) ফতওয়ায়ে কাযীখান, (৫৬) ফতওয়ায়ে তাতারখানিয়া, (৫৭) ফতওয়ায়ে সিরাজিয়া, (৫৮) বাদায়ে, (৫৯) বাহরুর রায়েক, (৬০) মারাউিল ফালাহ, (৬১) ফতহুল ক্বাদির, (৬২) শরহে বিক্বায়া, (৬৩) হেদায়া, (৬৪) দেরায়া ইত্যাদি।
 
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কিত বর্ণনাটি মূলত ইসরাইলী তথা ইহুদীদের বর্ণনা, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। কাজেই কুরবানী সম্পর্কে কট্টর মুশরিক, দেবনারায়ণের বক্তব্য শুধু মিথ্যাই নয়; বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা ইসলাম-এর প্রতিই চরম ধৃষ্টতার শামিল। শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশের আদালতে এ ধরনের মিথ্যা ও ধৃষ্টতাপূর্ণ রিট গ্রহণ করাই উচিত হয়নি; বরং সাথে সাথে উক্ত রিট খারিজ করে রিটকারী দেবনারায়ণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো। আর এ বিষয়টি আদালতে ফায়ছালা করার বিষয় নয়; বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে বাহাছে ফায়ছালা হওয়ার বিষয়।
 
তাই কট্টর মুশরিক দেবনারায়ণসহ যারা ইসরাইলী বর্ণনায় বিশ্বাসী তাদের প্রতি প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হলো। যদি তাদের হিম্মত থাকে তাহলে যেনো বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী বা কোন সম্

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a