সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সংবিধানের ৪১(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্বকাপ খেলাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে বাধা দেয়ার অধিকার ৯৭ ভাগ মুসলমানদের রয়েছে

বাংলাদেশের সংবিধানের ২(ক) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’।
আর ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’। সংবিধানের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার যেনো অবমাননা না হয় এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয় সে জন্য সরকারিভাবে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয় এবং আইনও প্রয়োগ করা হয়। তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অবমাননাকর এবং ইসলাম বিরোধী কাজ যেমন- বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও তৎসংশ্লিষ্ট বেপর্দা, বেহায়াপনাসহ বিজাতীয় ও বিদেশী শিল্পীদের হারাম নাচ গান বন্ধ করার লক্ষ্যে কেনো তাগিদ ও আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না? কারণ সংবিধানের ৪১(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্বকাপ খেলাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে বাধা দেয়ার অধিকার ৯৭ ভাগ মুসলমানদের রয়েছে।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে ধর্মীয় অধিকার সমুন্নত রাখা ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। তাদের ধর্ম ইসলাম। এই ৯৭ ভাগ অধিবাসীর আবেগ, অনুভূতি তথা ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন হেতুই সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে এ জন্যই সংবিধানের প্রথমভাগের ৩য় অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষার পূর্বে ২য় অনুচ্ছেদ হিসেবে রাষ্ট্রধর্মের উল্লেখ হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা ইসলাম অন্তর্ভুক্তির পর থেকেও রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা বাস্তবায়নে ও প্রতিফলনে সব সরকারই উত্তরোত্তর অধিক কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ, সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহারে অধিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা ভাষার অবমাননা রোধকল্পে আইনও করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা দেয়া ঈমানী কাজ তথা ইসলামী কাজ। ইসলামের সাথে এর কোনোই সংঘর্ষ নেই। মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা ঈমানের অঙ্গ। আর ইসলাম হচ্ছে পুরো ঈমান। অর্থাৎ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের তুলনায় রাষ্ট্রভাষা হচ্ছে ঈমানের একটা অঙ্গ বা অংশ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতি যে মর্যাদা প্রাধান্য ও গুরুত্ব দেয়া হয়; সঙ্গতকারণেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রতি তার চেয়ে শতভাগ বেশি গুরুত্ব, মর্যাদা ও প্রাধান্য দেয়া উচিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ভাষা শুধু মুখের ব্যবহার; কিন' ধর্ম বা ইসলাম এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাকি সব অঙ্গেরই শুধু অভিব্যক্তি নয় বা গোটা জীবন প্রক্রিয়াই নয়- পাশাপাশি পারলৌকিক মুক্তিরও অনিবার্য বিষয়। কাজেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম- এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্ব, মর্যাদা ও প্রাধান্যের দাবি রাখে। সঙ্গতকারণেই ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর প্রেক্ষিতে সরকারেরও উচিত এ বিষয়টি সম্যক উপলব্ধি করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মিশনারীরা এদেশে এসে ইংরেজি ভাষা মাধ্যমভিত্তিক প্রাথমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকার যেমন রাষ্ট্রভাষা বাংলা আইনের প্রেক্ষিতে তা করতে দিতে পারে না; তেমনি আইসিসি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত করতে চাইলেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার তা করতে দিতে পারে না। কারণ ইসলাম একমাত্র ধর্ম যা শুধু পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থাই নয়; পাশাপাশি পরিপূর্ণভাবে পালনেরও প্রক্রিয়া। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলাম-এ দাখিল হও।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইসলাম-এ খেলাধুলা, গানবাজনা বিলকুল হারাম। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আকাশ পৃথিবী ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হতো।” (সূরা আম্বিয়া- ১৬, ১৭)
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” (মুস্তাদরেকে হাকিম) অর্থাৎ কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ তথা শরীয়ত সর্বপ্রকার খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের পর দোয়া করে থাকেন, আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালের ভালাই দান করুন এবং দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন। এই দোয়ার অভিপ্রায় অনুযায়ী ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের তথা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকারের উচিত- ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের পরকালের ভালাইয়ের জন্য কাজ করা। পারলৌকিক ক্ষতির পথ বন্ধ করা। দোযখের আগুনে প্রজ্বলিত হওয়ার পথ রুদ্ধ করা। এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা পূর্ণ মুসলমান না হয়ে ইন্তিকাল করো না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটসহ সব খেলাধুলা, গানবাজনা, বেপর্দা, বেহায়াসহ সব হারাম কাজ দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানদের জন্য পরকালের ক্ষতির কারণ। জাহান্নামের আগুনে জ্বলার কারণ। কাজেই এগুলোতে সরকার কোনোরূপ পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না। সর্বোপরি তা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারে না। দিলে তা ৯৭ ভাগ মুসলমানদের চরম ক্ষতি করা হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করা হয় এবং সংবিধানে রক্ষিত মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারও ক্ষুণ্ন করা হয়। কারণ, কোনো হারাম কাজ অনুষ্ঠিত হলে তাতে বাধা দেয়াই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর কঠোর নির্দেশ। সেক্ষেত্রে সরকার যদি নিজেও বাধা না দেয় এবং ৯৭ ভাগ মুসলমানদেরও বাধা দিতে না দেয়- তাহলে তা হবে মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া তথা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ন করা। যা সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদের খেলাপ। সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন ও প্রচারের অধিকার রয়েছে।” সেক্ষেত্রে আসন্ন বিশ্বকাপসহ সব ধরনের হারাম কাজে বিরোধিতা করাই মুসলমানদের জন্য ধর্ম পালন।
কাজেই সংবিধানের ৪১(১)(ক) ধারা, ২(ক) ধারার পাশাপাশি ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকেও কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী বিশ্বকাপ খেলার আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। নচেৎ তারা ওয়াদা খেলাপকারী ও সংবিধান খেলাপকারী বলে বিবেচিত হবে। 
Source: The Daily Al Ihsan, 6 Jan, 11-click on title to view source page

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী বা কোন সম্

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a