সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মি’রাজ শরীফ-এর উপর পূর্ণ ঈমান আনা ফরয

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। এ বছরের জন্য আগামী ২৯ জুন রোজ বুধবার দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবে মি’রাজ। মি’রাজ শরীফ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
তাই মি’রাজ শরীফ-এর উপর পূর্ণ ঈমান আনা ফরয। আর বিন্দু থেকে বিন্দুতম চু-চেরা ও কিল-কাল করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি বিনা চু-চেরা ও কিল-কালে মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করবে সে ছিদ্দীক্বিয়তের হিসসা লাভ করবে।
সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর সম্মানার্থে মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি বাধ্যতামূলক করা

Baitul Muqaddas
Baitul Muqaddas

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মি’রাজ শরীফ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। মি’রাজ শরীফ-এর উপর পূর্ণ ঈমান আনা ফরয। আর বিন্দু থেকে বিন্দুতম চু-চেরা ও কিল-কাল করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি বিনা চু-চেরা ও কিল-কালে মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করবে সে ছিদ্দীক্বিয়তের হিসসা লাভ করবে। যেমন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফকে একটা কাফিরের মুখে শুনে বিনা চু-চেরা ও কিল-কালে বিশ্বাস করার কারণে ‘ছিদ্দীক্ব’ লক্বব বা উপাধি লাভ করেন।


মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মি’রাজ শরীফ-এ যান হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার ঘর থেকে। মি’রাজ শরীফ থেকে ফিরে এসে সকালে বললেন, আমি মি’রাজ শরীফ করেছি- মক্কা শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ গিয়েছি। যে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ মক্কা শরীফ থেকে এক মাসের রাস্তা। বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে আমি আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ, আসমান-যমীন সবকিছু দেখে আবার রাতারাতি প্রত্যাবর্তন করেছি। আল্লাহ পাক উনার রসূল তিনি ঘোষণা করে দিলেন। সমস্ত মানুষ শুনলো। যারা মুসলমান, তারা বিশ্বাস করলো। যারা মুনাফিক, তারা চু-চেরা শুরু করে দিলো। আর যারা কাফির, তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, আপনারা যাঁকে আখিরী রসূল মেনে নিয়েছেন, যাঁকে আপনারা ইমামুল মুরসালীন, যাঁকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন মেনে নিয়েছেন, দেখেন! উনি কি বলেন? উনি একরাত্রে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ গিয়েছেন। একরাত্রে আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম দেখেছেন। এত দূরের রাস্তা একরাত্রে সফর করা কি করে সম্ভব? এক কাফির সেই কথাটা হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে নিয়ে পৌঁছালো। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে তখনও মি’রাজ শরীফ-এর সংবাদ পৌঁছেনি। সেই কাফির বললো, হে হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি এবং আপনারা যাঁকে নবী মনে করেন, যাঁকে রসূল মনে করেন, যাঁকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন মনে করেন, যাঁকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না এটা আপনারা বিশ্বাস করেন, তিনি কি বলেন জানেন? তিনি বলেন, তিনি একরাত্রে মি’রাজ শরীফ করেছেন, আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ, বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ সব ঘুরে এসেছেন। আপনি কি এটা বিশ্বাস করেন? হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! তুমি কি তোমার নিজের কানে শুনেছো? সেই ব্যক্তি বললো যে, হ্যাঁ! আমি আমার নিজের কানে শুনেছি। তুমি কি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জবান মুবারক-এ শুনেছো? সে ব্যক্তি বললো যে, হ্যাঁ! আমি স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জবান মুবারক থেকে শুনেছি আমার নিজ কানে শুনেছি, উনি বলেছেন। তখন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হে ব্যক্তি যদি আল্লাহ পাক উনার রসূল এটা বলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমি এটা বিশ্বাস করি। কারণ আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা খিদমতগার হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনারা যেমন, হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম, হযরত মিকাঈল আলাইহিস সালামসহ অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা চোখের পলকে আকাশে যান এবং ফিরে আসেন। এটা যদি সত্য এবং সম্ভব হতে পারে, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মাখদুম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষে কেন সম্ভব হবে না? আমি একশবার বিশ্বাস করি। এটা উনি বলে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!

তিনি এটা বলে রওয়ানা হয়ে গেলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ-এর দিকে। এদিকে আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করে দিলেন- হে হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম! আপনি এখনই আমার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট যান। গিয়ে বলুন, আমি স্বয়ং আল্লাহ পাক আজ থেকে হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ‘ছিদ্দীক্বে আকবর’ লক্বব দিয়ে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! সত্যিই যখন হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফ-এ এসে পৌঁছলেন, তখন আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আজ থেকে হযরত আবূ বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার লক্বব হলো ছিদ্দীক্ব।” সুবহানাল্লাহ! 

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মি’রাজ শরীফ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। মি’রাজ শরীফ-এর উপর পূর্ণ ঈমান আনা ফরয। আর বিন্দু থেকে বিন্দুতম চু-চেরা ও কিল-কাল করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি বিনা চু-চেরা ও কিল-কালে মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করবে সে ছিদ্দীক্বিয়তের হিসসা লাভ করবে। যেমন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফকে একটা কাফিরের মুখে শুনে বিনা চু-চেরা ও কিল-কালে বিশ্বাস করার কারণে ‘ছিদ্দীক্ব’ লক্বব লাভ করেন। উল্লেখ্য, সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর সম্মানার্থে মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি বাধ্যতামূলক করা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী বা কোন সম্

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a