সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রোযা অবস্থায় যে কোন ধরনের ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, রোযা অবস্থায় শরীরের ভিতরে কিছু প্রবেশ করলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
শরীয়তের ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায় যে কোন ধরনের ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ইমদাদুল ফতওয়ায় প্রদত্ত ও ধর্মব্যবসায়ী মৌলভীদের দেয়া ‘রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার ও ইনসুলিন নেয়া’ সম্পর্কিত ফতওয়া সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ায় গ্রহণযোগ্য নয়

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রমযান মাসের ৩০ দিন বা ২৯ দিন (চাঁদের হিসাব মোতাবেক) রোযা রাখা ফরয। রোযা অস্বীকারকারী কাফির এবং তরক করলে কবীরা গুনাহ হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত সম্পর্কিত সকল বিষয়ের প্রয়োজনীয় ইলম অর্জন করা যেমন ফরয তদ্রƒপ রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন নিলে রোযা ভঙ্গ হবে কিনা এ সম্পর্কিত ইলম অর্জন করাও ফরয। সুতরাং যারা না জেনে রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নেবে, ইনসুলিন গ্রহণ করবে তারা এ সম্পর্কিত ইলম অর্জন না করার কারণে ফরয তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রোগ নিরাময়ের জন্যে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন করি এর মধ্যে ইনজেকশন ও ইনসুলিন গ্রহণও একটি পদ্ধতি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওষুধ মূলত রক্তস্রোতের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকে। অর্থাৎ রক্ত হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে খাদ্য, অক্সিজেন, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান টিস্যুসমূহে পৌঁছে এবং বর্জ্য দ্রব্যসমূহ বহন করে নিয়ে আসে। এটা এক ধরনের সংযোগ কলা। সুতরাং ওষুধ শরীরের সর্বাংশে ছড়ায় অর্থাৎ মগজে পৌঁছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইনজেকশন যেভাবে রক্তস্রোতের দ্বারা মগজে পৌঁছে একই কায়দায় সব ধরনের স্যালাইনই মগজে পৌঁছে। এ প্রসঙ্গে ‘মাবসূত’ কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, “হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রোযা ভঙ্গের কারণ হলো- রোযা ভঙ্গকারী কোন কিছু ভিতরে প্রবেশ করা, সুতরাং পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য।”

আর ফতহুল ক্বাদীর ২য় জিলদ ২৬৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে “হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অতএব মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক অথবা মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য যে কোন স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশনের দ্বারা প্রবেশকৃত ওষুধ পাকস্থলী ও মগজে পৌঁছে থাকে। আর শরীয়তের বিধান হলো, পাকস্থলী বা মগজে কিছু প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে; তা যে ভাবে এবং যে স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এর স্বপক্ষে ফিক্বাহ ও ফতওয়ার নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের অসংখ্য দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাবের ১ম খ-ের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোন ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়.... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।”

“বাহরুর রায়েক” কিতাবের ২য় খ-ের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “যদি কোন ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবেনা।”

“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ১ম খ-ের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোন ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়..... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে।” অনুরূপ “ফতওয়ায়ে শামী” কিতাবেও উল্লেখ আছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কম ইলম ও কম সমঝের কারণে কোন কোন মৌলভী সাহেবরা বলে থাকে যে, উল্লিখিত ফিক্বাহর কিতাবসমূহে যে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দ উল্লেখ আছে তার অর্থ ইনজেকশন নয়। বরং তার অর্থ হলো ‘ডুশ বা সাপোজিটর’; যা পায়ুপথে দেয়া হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তাদের উক্ত বক্তব্য চরম অজ্ঞতা, মুর্খতা, প্রতারণা ও গুমরাহীমূলক। যা কাট্টা কুফরীর শামিল। কারণ, সমস্ত আরবী কিতাব ও অভিধানগ্রন্থে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ সরাসরি ইনজেকশন বা সিরিঞ্জ বলে উল্লেখ আছে। যেমন, আরবী-উর্দূ অভিধান ‘কামুস আল জাদীদ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘হুকনাতুন- অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।’ ‘আধুনিক আরবী-বাংলা’ অভিধান গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘ইহতাক্বানুন’ অর্থ ইনজেকশন এবং সরাসরি ইহতাক্বানা ‘ইনজেকশন নেয়া’ শব্দটিও উল্লেখ রয়েছে। এমনিভাবে সমস্ত লোগাত বা অভিধানগ্রন্থে ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ ইনজেশকশন বলে উল্লেখ রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে না। তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যে সকল দেওবন্দী কিতাবের নাম উল্লেখ করছে যেমন ইমদাদুল ফতওয়া, আপকে মাসায়িল, আহসানুল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে রহিমিয়া, ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়া এসকল কিতাবগুলো দেওবন্দীদের নিজস্ব লেখা যা সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া তাদের উক্ত কিতাবের অনেক বক্তব্যই বিশ্বখ্যাত ও সর্বজনমান্য কিতাবের বিপরীত। অর্থাৎ যে সমস্ত কিতাব সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও অনুসরনীয় এবং বিশ্বখ্যাত সে সমস্ত ফিক্বাহ-এর কিতাব যেমন হিদায়া, বাহরুর রায়িক্ব, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ফতওয়ায়ে শামী, ফতহুল ক্বাদীর ইত্যাদি সর্বজনমান্য কিতাবের বক্তব্যের বিপরীত হওয়ায় তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রোজা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার, ইনসুলিন নেয়া হারাম ও রোযা ভঙ্গের কারণ এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ২১ ও ২২তম সংখ্যায় আশরাফ আলী থানভীর ইমদাদুল ফতওয়ায় প্রদত্ত ইনজেকশন সম্পর্কিত ফতওয়াটির ভুল খ-ন করত বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহ উল্লেখ করা হয়েছে; যা হক্ব তালাশীদের জন্য যথেষ্ট।

সূত্র: দৈনিক আল ইহসান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী বা কোন সম্

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a