সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দেশের মুহব্বত জুযয়ে ঈমান

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, দেশের মুহব্বত জুযয়ে ঈমান।
স্বাধীনতার ৪০ বৎসর পূর্ণ হলেও রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গড়িমসি করা হচ্ছে কেন? 
আর চিহ্নিত অন্যান্য রাজাকারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সরকারের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে, দেশী-বিদেশী অপশক্তির চাপে নতি স্বীকার না করে অতিসত্বর যালিম যুদ্ধাপরাধী ও দেশদ্রোহীদের বিচার করে জনগণকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করা। 
অন্যথায় জনসমর্থন হারানোর পাশাপাশি সরকারকে এজন্য বিরাট মাশুলও দিতে হতে পারে।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরীয়তের সুস্পষ্ট নির্দেশ ও দুনিয়াবী যথেষ্ট দলীল-প্রমাণ থাকার পরও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হচ্ছে না কেন? ইসলামের দৃষ্টিতে ’৭১-এর রাজাকার, আল-বাদর, জামাতী, ওহাবী, সালাফী, খারিজীরা অত্যন্ত ঘৃণিত অপরাধী। আর সে অপরাধের বিচার না করাও অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তাই দেশী-বিদেশী যতো চাপই থাকুক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা থেকে পিছপা হওয়া যাবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সূরা মায়িদা-এর ৪৫ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি এ কিতাবে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমসমূহের বিনিময় সমান জখম। অতঃপর যে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনিময় প্রদান করে সে গুনাহ থেকে পবিত্র হয়ে যায়। যেসব লোক মহান আল্লাহ পাক তিনি যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফায়ছালা করে না, তারাই যালিম।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণায় বলা হয়েছে, মানব ইতিহাসে যতো গণহত্যা হয়েছে তার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে সব থেকে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যায়। দৈনিক গড়ে ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার মানুষকে তখন হত্যা করা হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ ফরমান, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কিসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালোভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। হে জ্ঞানীগণ! কিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের তথ্য প্রমাণাদি নেই যে তা নয়। যা আছে তা যথেষ্ট। এর থেকেও কম প্রমাণ নিয়ে আর্জেন্টিনায় নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এর বাইরে সম্প্রতি চিলি, কম্বোডিয়া ও কসোভোর গণহত্যার বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ প্রমাণে বিভিন্ন দেশের গোপনীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোকেও পেশ করা যায়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট এখনো বহাল আছে। একই সঙ্গে ১৯৭৩ সালের প্রশাসনিক নির্দেশে ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণাকে নতুন একটি প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে অকার্যকর করা যায়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্প্রতি জার্মান ও জাপানের যুদ্ধাপরাধীদের সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশেও এটি সম্ভব। যারা বলছে ‘এদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই’ তারা পক্ষান্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করছে। এক্ষেত্রে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তারা অভিযুক্ত। কাজেই দেশদ্রোহী হিসেবেও তারা বিচারের উপযুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সূরা নিসা-এর ২৯ ও ৩০ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি দয়ালু। আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা যূলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষে খুবই সহজসাধ্য।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের খুতবায়, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরাফার ময়দানে ‘পবিত্র খুতবা শরীফ’-এ বলেন, “আজকের এ দিন যেমন পবিত্র তেমনি প্রতিটি মুসলমানের জান-মালও পবিত্র। এমনকি তিনি মুসলমানের জান-মাল রক্ষার জন্য জিহাদের অনুমতিও দেন।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রাজাকার, আল-বাদররা যে নরহত্যা, সম্ভ্রমহরণ ও লুণ্ঠন করেছে তাতে তারা লাখ-লাখ বান্দার হক্ব নষ্ট করেছে অর্থাৎ হক্কুল ইবাদ নষ্ট করেছে। আর আমভাবে হক্কুল ইবাদের গুনাহ মহান আল্লাহ পাক তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বান্দা তা ক্ষমা না করে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নরহত্যার বদলা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ-এ এতো আয়াত শরীফ ও কঠোর নির্দেশ থাকার পরও যারা যুদ্ধাপরাধী জামাতী, ওহাবী, সালাফী, খারিজীদের বিচার করবে না, তারাও শরীয়তের দৃষ্টিতে অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে। 

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- বর্তমান সরকার রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ। তাহলে শরীয়তের সুস্পষ্ট নির্দেশ ও দুনিয়াবী যথেষ্ট দলীল-প্রমাণ থাকার পরও রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গড়িমসি করা হচ্ছে কেন? আর চিহ্নিত বাকি রাজাকারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন- এটা জনগণের প্রশ্ন? কাজেই শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সরকারের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- দেশী-বিদেশী অপশক্তির চাপে নতি স্বীকার না করে অতিসত্বর যালিম যুদ্ধাপরাধী ও দেশদ্রোহীদের বিচার করে জনগণকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করা। অন্যথায় জনসমর্থন হারানোর পাশাপাশি সরকারকে এজন্য বিরাট মাশুলও দিতে হতে পারে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী বা কোন সম্

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a