সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুসলমানগণের কুরবানী বন্ধের ষড়যন্ত্রের নাম হলো ‘অ্যানথ্রাক্স’

বাংলাদেশের মুসলমানগণের কুরবানী বন্ধের ষড়যন্ত্রের নাম হলোঅ্যানথ্রাক্স
আমাদের দেশে অ্যানথ্রাক্সের উল্লেখযোগ্য কোন জীবাণু নেই যদি তারপরেও গবাদি পশুগুলো অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে বলতে হবে এর নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এসব ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিহত করা গবাদি পশু শিল্প ধ্বংস এবং পশু কুরবানী থেকে মুসলমানদের ফিরিয়ে রাখার হীন উদ্দেশ্যেই চলছে অ্যানথ্রাক্সের নামে তথ্যসন্ত্রাস
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের মুসলমানগণের কুরবানী বন্ধের ষড়যন্ত্রের নাম হলোঅ্যানথ্রাক্স আমাদের দেশে অ্যানথ্রাক্সের উল্লেখ্যযোগ্য কোন জীবাণু নেই যদি তারপরেও গবাদি পশুগুলো অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে এর নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এসব ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিহত করা গবাদি পশু শিল্প ধ্বংস এবং পশু কুরবানী থেকে মুসলমানদের ফিরিয়ে রাখার হীন উদ্দেশ্যেই চলছে অ্যানথ্রাক্সের নামে তথ্যসন্ত্রাস
অ্যানথ্রাক্স জীবাণু দ্বারা আমাদের দেশের গবাদি পশু এবং মানুষ আক্রান্ত হওয়ার যে তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে তার নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি সবাইকে সচেতন করার জন্য উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অ্যানথ্রাক্সের ইতিহাস বলতে গিয়ে অনেকে ১৪০০ সালে জার্মানিতে এবং ১৭০০ সালে রাশিয়াতে মহামারী হিসেবে এর প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করে কিন' সে সময় গবাদি পশুগুলো অ্যানথ্রাক্সে মারা গিয়েছিলো, নাকি অন্য কোন রোগে- তার কোনো প্রমাণ নেই কেননা বেসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক যে জীবাণুর কারণে অ্যানথ্রাক্স হয়ে থাকে সে জীবাণুটি প্রথম সনাক্ত হয় ১৮৫০ সালে ২০০১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মিনোসোটা অঙ্গরাজ্যের বেশ কিছু গবাদি পশু মারা গেলে প্রথমে সন্দেহ করা হয় অ্যানথ্রাক্স, কিন' পরে জানা যায় লিস্টারিয়াসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে সে প্রাণীগুলো মারা যায় 
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অ্যানথ্রাক্স রোগটি অনেক পুরনো তা সত্য এবং মাটির মধ্যে জীবাণুটি বেঁচে থাকে তাও সত্য কিন' হঠাৎ করেই একটি দেশে এর প্রাদুর্ভাবের নেপথ্যে থাকে অনেক কারণ তারই কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে 
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এক জার্মান গুপ্তচর রুমানিয়ার বুখারেস্টে ১৯১৬ সালে এবং ফ্রান্সে ১৯১৭ সালে গরু এবং ঘোড়ার মধ্যে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয় 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট-এর জীবাণু যুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ১৯৪৩ সালে একটি গোপন রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, ১৯১৫ সালে একজন জার্মান গোয়েন্দা নিউইয়র্ক শহরের বন্দরের নিকট ঘোড়া এবং গরুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু ছড়িয়ে দেয় 
একইভাবে একজন প্রুশিয়ান ডাক্তার বাল্টিমোরে গবাদি পশুর মধ্যে এই জীবাণু ছড়িয়ে দেয় পরবর্তীতে একই বছরে আর্জেন্টিনাতে বিভিন্ন বন্দরে এই জীবাণু ছড়িয়ে দেয়া হয় 
একজন ব্রিটিশ গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করে যে, ১৯১৬-১৯১৮ সালে ইরাক অঞ্চলে পায় ৫০০০ খচ্চর ঘোড়ার মধ্যে এই জীবাণু ছড়িয়ে দেয়া হয় 
১৯৪৪ সালের শুরুর দিকে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মনটানা এবং ওয়াশিংটন স্টেটের জনবসতি এলাকার উপর দিয়ে বিশাল আকৃতির বেলুন উড়ে যায় ১৯৪৫ সালের মার্চের মধ্যে ২৫০টিরও অধিক বেলুন প্রায় ৯টি স্টেটের উপর দিয়ে উড়ে যায় এবং তখন অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে
১৯৪২ সালের গ্রীষ্মে স্কটল্যান্ড উপকূল বরাবর জীবাণু বোমার মাধ্যমে ব্রিটিশরা অসংখ্য গবাদি পশু ধ্বংস করে 
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এই আলোচনাগুলো এখানে একারণেই করা হলো যে, শত্রুগোষ্ঠী আমাদের দেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে সেই একই চিহ্নিত শত্রুপক্ষ ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের দেশের পোল্ট্রি বাণিজ্য এখন কুরবানীর ঈদের প্রাক্কালে চেষ্টা করা হচ্ছে গবাদি পশুগুলোকে ইচ্ছাকৃত মেরে ফেলতে অথবা তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে এদেশ থেকে বিদেশে গরুর গোস্ত রফতানি বন্ধ করে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে আর পল্ট্রি ব্যবসায়ীদের মতো গবাদি পশু ব্যবসায়ীদেরকেও পথে বসাতে
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস হওয়ার পর মোবাইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বার্তা পাঠিয়েছিল যেরান্না করলে বার্ড ফ্লু জীবাণু নষ্ট হয়ে যায় তবে কি গবাদি পশুর ক্ষেত্রেও এই ধারা বজায় থাকবে অর্থাৎ এই গবাদি পশুগুলো ইচ্ছাকৃত মেরে ফেলে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাদের বাণিজ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মোবাইলে বার্তা পাঠাবে যে- গোস্ত ভালোভাবে রান্না হলে এই জীবাণু থাকে না, মানুষ থেকে মানুষে রোগ ছড়ায় না অথবা এটা অনেক পুরাতন গরুর রোগ যা এসে আবার নিয়মমাফিক চলে যায়; অথবা রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা কোন কঠিন কিছু নয়; অথবা গরুগুলো মরার কারণ মূলত অন্য কোন রোগ, অ্যানথ্রাক্স নয়; আপনারা ভীত সন্ত্রস্ত হবেন না?
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সবশেষে বলেন, সোয়াইন ফ্লু হয় সাধারণতঃ তাদের, যারা ওই রোগের জীবাণুটির বাহক নোংরা প্রাণীটির সংস্পের্শে আসে অথচ আমাদের দেশে এর আতঙ্ক ছড়িয়ে অনেক স্কুল, কলেজ সাময়িক বন্ধও করে দেয়া হয়েছিলো বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদির পরে এখন চলছে দেশে অ্যানথ্রাক্স নিয়ে তথ্যসন্ত্রাস প্রকৃতপক্ষে শত্রুগোষ্ঠী চাচ্ছে বাংলাদেশের মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করতে, গরু খাসীর গোস্তের ব্যবসা বন্ধ করতে এবং পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস করার মতো গবাদি পশু শিল্পও ধ্বংস করতে
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স রোগ বলে গরুর কোন উল্লেখযোগ্য রোগ নেই শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশের সবাইকে এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে এবং বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে

সূত্র: দৈনিক আল ইহসান/১৯ সেপ্টেম্বর২০১০

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...