সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঐতিহ্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দশচক্রে ভগবান ভূত; ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ এখন ঢাকেশ্বরী মন্দির!

     শায়েস্তা খাঁ, মোঘল আমলের একজন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। তিনি বাংলা শাসন করেন প্রথমবার ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয়বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তাঁর শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এ সময় তিনি বহু মসজিদ, ঈদগাহ নির্মাণ করেন। তার মধ্যে বর্তমান পুরনো ঢাকার অভ্যন্তরে পলাশী ব্যারাক এলাকায় বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসমূহের দক্ষিণে একটি ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যার পার্শে একটি মসজিদও ছিলো বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত বড় একটি ঈদগাহ হিসেবে বিখ্যাত ছিলো। ঐ স্থানটির তৎকালীন নাম ছিলো মুসলিমবাগ। এটি ছিলো তৎকালীন সময়ের ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ। নাম ছিলো মুসলিমবাগ সুন্নি ঈদগাহ। বিভিন্ন ইতিহাসে বর্ণিত, এখানে একটি বিশেষ কূপ ছিলো। যে কূপের পানি ছিলো অত্যন্ত সুমিষ্ট। যে পানি পান করলে অনেক কঠিন দুরারোগও ভালো হয়ে যেতো। এই কুপটির সুনাম ভারত বর্ষসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো। এর পানি খাওয়ার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও এখানে আসতো। যেহেতু কূপটি মুসলমানদের ছিলো তাই অনেক...

খেলাধুলায় প্রতিপক্ষকে হারানোর মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, বরং যুদ্ধ করে কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্যেই মুসলমানদের প্রকৃত বীরত্ব

জ্ঞান-বিজ্ঞান আর যুদ্ধ বিদ্যার চর্চায় ব্যস্ত থাকা মুসলমানদের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকতো ইহুদী খ্রিস্টানসহ তাবৎ কাফিরগোষ্ঠী। মুসলমানদের কাছে তারা ছিলো ইঁদুরের মতো।  মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা কৌশল আর ঈমানী কুওওত, রুহানী শক্তির কাছে ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা যুগের পর যুগ পরাজিত হয়েছে। একপর্যায়ে কাফিররা মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা চর্চার পথ থেকে সরিয়ে দিতে এবং রূহানী শক্তি নষ্ট করে দিতে দীর্ঘ মেয়াদী ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো। যে ষড়যন্ত্রের অসংখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি ছিলো খেলাধুলা। কাফিররা যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে প্রচলন করলো আনুষ্ঠানিক খেলাধুলার প্রতিযোগিতা। এরপরে তাদের দেখাদেখি নামধারী কিছু মুসলমানও এসব খেলাধুলা শুরু করে দিলো। ব্যাস! মুসলমানরাও বোকার মতো কাফিরদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা শুরু করে দিলো। খেলায় মশগুল হয়ে ভুলে গেলো সম্মানিত ইসলামী ঐতিহ্য। আর সেই সাথে হারিয়ে ফেললো ঈমানী জোশ, জিহাদী চেতনা, রূহানী কুওওত। মুসলমানরা হারিয়ে ফেললো যুদ্ধ বিদ্যার হাজারো কৌশল, আর কাফিররা সেই কৌশলগুলো শিখে নিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করলো।  বর্তমান সময়ের মুসলমানদের জন্য আফসোস! যারা হযরত খাল...