সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সুন্নত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন ও অনুসরণের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযীলত প্রসঙ্গে

যিনি খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا  মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি শুধুমাত্র যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সমস্ত সৃষ্টি বান্দা-বান্দী, উম্মত, জীন-ইনসান, সবাইকে বলে দেন তারা সকলে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফদ্বল মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক লাভ করতে পেরেছে এজন্য তাদের সকলের দায়িত্ব হলো কর্তব্য হলো ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহু শরীফ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা  আলাইহিস সালাম!  هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ   আর এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা হচ্ছে সকলের জিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত। সুবহানা মামদূহ হযরত ম...

পবিত্র সুন্নত কি এবং কেন?

পবিত্র সুন্নত অর্থ ও পরিচয়ঃ السنة (সুন্নত) শব্দটি আরবী, একবচন। বহুবচনে السنن (সুনান)। আভিধানিক অর্থ হল, الطريقة والسيرة অর্থাৎ পথ, পন্থা, পদ্ধতি, রীতি, নিয়ম ইত্যাদি; (লিসানুল আরব১৩/২২৪-২২৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উক্ত অর্থে সুন্নত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,  يُرِيْدُ اللهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَيَتُوْبَ عَلَيْكُمْ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ তথা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদভাবে বিবৃত করতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতি-নীতি এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে। মহান আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’ (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- سُنَّةَ اللهِ فِيْ الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللهِ تَبْدِيْلاً অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের বিধান বা নিয়ম জারী রেখেছেন ঐ সকল লোকদের মধ্যেও যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে। আপনি কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ম বা বিধানে কোন পরিবর্তন পাবেন না’ (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ; পবিত্র আয়াত শ...

যারা তারাবীহ নামাযের পর দোয়া-মুনাজাত করার বিপক্ষে বলে তারা বিদয়াতী ও গুমরাহ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা আমার নিকট দোয়া-মুনাজাত কর, আমি তোমাদের দোয়া-মুনাজাতকে কবুল করবো। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি সে ব্যক্তির প্রতি অসন্তুষ্ট হন। শরীয়তের দৃষ্টিতে ফরয নামাযের ন্যায় তারাবীহ নামাযসহ যে কোন নামাযের পরই হাত উঠিয়ে সম্মিলিতভাবে দোয়া-মুনাজাত করা জায়িয ও সুন্নত। তাই প্রত্যেকের উচিত তারাবীহ নামাযের চার রাকায়াত পর পর বিশ্রাম নেয়া, দোয়া-দুরূদ শরীফ পাঠ করা, তওবা-ইস্তিগফার করা ও সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে দোয়া-মুনাজাত করা। যারা তারাবীহ নামাযের পর দোয়া-মুনাজাত করার বিপক্ষে বলে তারা বিদয়াতী ও গুমরাহ।   যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনেকে বলে থাকে, ‘চার রাকায়াত পর পর দোয়া করার কোন বর্ণনা নেই, একবারে বিশ রাকায়াত শেষ করে দোয়া করতে হবে।’ মূলত যারা এ কথা বলে থাকে তারা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ স...