সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ইতিহাস

মিশরে ৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ব্যপক জাকজমকের সাথে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়। এক শ্রেনীর লোক প্রচার করে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকি চালু হয়েছে ৬শত হিজরীতে। অথচ কথাটি মোটেও সত্য না, খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ ঈসায়ী সন) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন।  ইতিহাসটি বর্ণনা করোন হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফের মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী)। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তিনি এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন- فَمِنْهَا الْبَيْتُ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي يُوسُفَ، وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الْبَيْتُ فِي الدَّارِ حَتَّى قَدِمَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَتَيْنِ مُوسَى، وَهَارُونَ، فَجَعَلَتْهُ مَسْجِدًا يُصَلَّى فِيهِ، “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখান...

আপনাকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না, যদি আপনি এই উসুলটি মনে রাখেন

দ্বীন ইসলামে (মুসলমানদের মধ্যে) ৭২টি বাতিল ফিরকা থাকবে, যাদের নামের সাথে অনেক বড় বড় ডিগ্রি থাকবে, নামকরা আলেম হবে, বড় স্কলার-দাঈ ইত্যাদি পরিচয় থাকবে। তাদের ওয়াজ/লেকচার শুনে, মুখস্ত বিদ্যা দেখে অনেকে তাজ্জুব হবে, তাদের ভক্ত অনুসারি হবে। তারা যেটা বলবে সেটাই তারা বিনা দলিলে মেনে নিবে। দ্বীন ইসলামে অনেক ফযিলতপূর্ন নেক আমলকে তারা বেদাত, নাজায়েজ বলে মানুষকে নেক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।  হ্যা, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানই এমন জালে আটকে ঈমান হারা হয়ে মরছে।  তবে আপনি কখনোই বিভ্রান্ত হবেন না যদি এই উসুলগুলো মনে রাখেন- ১. প্রথমত শুধু এতটুকুই দেখবেন যে 'আমলটি কি করা হচ্ছে'?  যদি দেখেন এখানে হারাম বা গুনাহের কাজ করা হচ্ছে না বরং নেক কাজই করা হচ্ছে তাহলে অপপ্রচারে কান দিবেন না। সেটা তাদের কথিত 'বেদাত' হলেও করুন। মনে রাখবেন, বেদায়াত ২ প্রকার। ১. বেদায়াতে হাসানাহ (উত্তম বেদায়াত), ২. বেদায়াতে সাইয়েয়া (খারাপ বেদাত)। কথিত বেদাত আমলটি নেক কাজ হলে সেটা উত্তম বেদায়াত হিসেবে আমল যোগ্য। আর কথিত বেদায়াত আমলটি কোন হারাম/গুনাহের কাজের অনুরুপ হলে সেটা পরিত্যাজ্য।  ২. আপনি আরো লক্ষ্য করবেন- যার...

দ্বাদশ হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন (পর্ব-৫)

হযরত ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ। তাঁর উল্লেখযোগ্য লক্বব মুবারকের মধ্যে কয়েকটি লক্বব হলো ইমামুল হিন্দ, আরিফুর রব্বানী, হুজ্জাতুল ইসলাম ইত্যাদি। পবিত্র হাদীস শরীফের মাঝে এসেছে -  “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি আমার উম্মতের জন্য প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন করে মুজাদ্দিদ (সংস্কারক) প্রেরণ করবেন। যিনি সম্মানিত দ্বীন উনার তাজদীদ (সংস্কার) করবেন।”   (আবু দাউদ শরীফ) হযরত ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ভারতীয় উপমহাদেশের "ইলমী জনক" হিসাবেও অভিহিত করা হয়। তিনি প্রচুর কিতাব লিখে রেখে গেছেন। বর্গী মারাঠাদের অত্যাচার থেকে মুসলিমদেরকে হিফাজত করার উদ্দেশ্যে তিনি আহমেদ শাহ দুররানির কাছে চিঠি লেখেন; পরিণামে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে বর্গী মারাঠাদের পরাজয় হয়।  উনার সময়কালে তিনি নিজে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। এমনকি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ যিয়ারতকালে সেখানে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ঘটনা উনার কিতাবে ...

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সোনালী ইতিহাস (পর্ব ৪)

দ্বিতীয় ক্রুসেডের মহানায়ক সুলতান নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি “ওয়াফ” নামক একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালোভাবে উদযাপন করার জন্য আমরা যারা ক্রুসেডের ইতিহাস পড়েছি তারা সবাই নিশ্চিতভাবে সুলতান নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথা জানি। তিনি ছিলেন ক্রুসেডের আরেকজন মহানায়ক সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ বা মুর্শিদ।   সুলতান নুরুদ্দিন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরেকটি ঘটনার জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। ঘটনাটি হলো- একবার দুই ইহুদী পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শরীর মুবারক চুরি করতে ষড়যন্ত্র করেছিলো। সেই সময় নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহির আলাইহি উনার স্বপ্নে আগমন করেন এবং ঐ দুই ষড়যন্ত্রকারীর চেহারা দেখিয়ে বলেন তাদের শাস্তি দিতে। এরপর নুরুদ্দিন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঐ দুই ইহুদীকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেন। নুরুদ্দিন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঐ সময় আরেকটি কারণে বিশেষ পরিচিত ছিলেন, সেটা হলো তি...