সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কারবালা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ দিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ আজ সুমহান ঐতিহাসিক পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ। যেদিনটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত ও সাকীনা হাছিল করার দিন। এ সুমহান দিনে অনেক রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পাশাপাশি এদিনটি হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহাদা, শুহাদায়ে কারবালা, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত শরীফ দিবস। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ উনাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র আশূরা শরীফ এবং সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদাত দিবস উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা অর্থাৎ পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দি...

মহা সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বতকারীগণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একত্রিত হবেন: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اخذ بيد (حضرت) حسن عليه السلام و (حضرت) حسين عليه السلام فقال من احبنى واحب هذين واباهما وامهما كان معى فى درجة يوم القيامة. অর্থ: “একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের হাত মুবারক ধরলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করবে, এ দু’জনকে মুহব্বত করবে এবং উনাদের সম্মানিত আব্বাজান ও সম্মানিত আম্মাজান উনাদেরকে মুহব্বত করবে সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন আমার সাথে একই স্থানে অবস্থান করবে।” (মুসনদে আহমদ- ২/২৬, শহীদ ইবনে শহীদ- ৪১) বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবী...

কারবালার ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের কঠিন পরিণতি

সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে কারবালায় শহীদ করা। হযরত উলামায়ে কিরামগণ উনারা ইজমা করেছেন যে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক, নির্মম, বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক বিষয় হলো কারবালার ঘটনা। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নকশা মুবারক। তিনি হচ্ছেন ঈমানের মূল। এবং নাজাতের মূল। অথচ মুসলমান নামধারীরাই উনাকে শহীদ করলো। উনার শাহাদাত মুবারক উনার সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকলের জন্য মহান আল্লাহ পাক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং সমস্ত মাখলুকাতের লা’নত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عن ام المؤمنين حضرت ام سلمة عليها السلام دخل حضرت حسين عليه السلام على رسول الله صلى الله عليه وسلم ففزع فقالت حصزت ام سلمة عليها السلام ما لك يارسول الله صلى الله عليه و سلم قال ان جبريل عليه السلام اخبرنى ان ابنى هذا يقتل وانه اشتد عضب الل...

পবিত্র আশূরা শরীফ দিনের ফযীলতপূর্ণ আমলসমূহ

* সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত করা এবং উনাদের সুমহান শান মুবারক-এ মাহফিল করা; এতে সহজেই সন্তুষ্টি রেযামন্দি হাছিল হয়।  * পবিত্র মুহররমুল হারাম মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশূরা শরীফ দিনের আমলসমূহ হচ্ছে রোযা রাখা অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ দু’দিন রোযা রাখা। * পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে যারা রোযা রাখবে উনাদেরকে ইফতার করানো; এতে সমস্ত উম্মতে হাবীবী উনাদেরকে ইফতার করানোর ফযীলত হাছিল হবে। * পরিবারবর্গকে ভালো খাবার খাওয়ানো; এতে সারা বৎসরের জন্য স্বচ্ছলতা লাভ হয়। * গোসল করা; এতে মৃত্যু ব্যতীত কোনো কঠিন রোগ হবে না এবং অলসতা ও দুঃখ-কষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে * পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা। * চোখে (ইসমিদ) সুরমা দেয়া; ফলে পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত চোখে কোনো প্রকার রোগ হবে না। * গরিবদের আহার করানো; এতে বিদ্যুৎবেগে পুলছিরাত পার হবে। * পিপাসার্তকে পানি পান করানো; এতে সম্মানিত জান্নাতের ‘সালসাবীল’ ঝর্ণা থেকে পানি পান করার সুযোগ হবে। * ইয়াতীমদের মাথায় হাত বুলানো ইত্যাদি উক্ত আমলগুলো পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন পালনীয় খাছ সুন্নতী আমল এবং অশে...

ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম শাহাদাত মুবারক উনার সাথে যারা জড়িত ছিল ঐ কুখ্যাত ইয়াযীদ বাহিনীরা সকলেই ছিল কাফির

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “ ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসল ও নকলের পরিচয় পরিষ্কার দেখিয়ে গেলেন।” ইয়াযীদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি কখনও কারবালায় যাননি। যদি সত্যিকারভাবে যুদ্ধ করার জন্যই তিনি কারবালয় গমন করতেন, তাহলে পবিত্রতম শিশু আওলাদ আলাইহিমুস সালামসহ ও পবিত্রতম আহলে পাক উনাদেরকে নিয়ে অবশ্যই কারবালায় যেতেন না। মূলতঃ কাফিরেরা তাদের হাক্বীক্বত উন্মোচোনের জন্য, মুনাফিকী ও কুফরী ফাঁস করার জন্য পবিত্রতম দাওয়াতের ছলে আহবান করেছিল। আর তিনি আসল-নকল মুসলমান উনাদের সঠিক পরিচিতি তুলে ধরার জন্য কারবালার প্রান্তরে তাশরীফ গ্রহণ করেন। যা সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শেষ ‘বাক্য মুবারক’ যে কত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল; তা থেকে পরিষ্কারভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। ইয়াযীদের ...

ফতোয়া: সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার চূড়ান্ত ফায়ছালা মতে মরদুদ,মালউন, রজীম, যালিম কুলাঙ্গার ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী

পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ পবিত্র বংশের মানহানী করার ব্যর্থ কোশেশ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদেরকে নির্দয়ভাবে উৎপীড়ন করেছে। উনাদেরকে শহীদ করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! এর চেয়ে বড় কুফরী আর কি হতে পারে? সুতরাং যে বা যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বংশের প্রতি এরূপ মানহানীকর আচরণ করবে তাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ হতে লা’নত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট তাফসীরকার হযরত আল্লামা আলূসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুপ্রসিদ্ধ তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল মা’আনীতে’ পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন- وفى الحديث ستة لعنهم الله وكل نبى مجاب الدعوة المحرف لكتاب الله المكذب لقدر الله المتسلط بالجروت ليعز من اذل الله ويذل من اعز الله والمستحل من عترتى والتارك لسنتى. অর্থ: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ছয় ব্যক্তির বর্ণনা এসেছে যাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনা...