সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা সাবধান!

১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; এটি শুধু দলীলসিদ্ধই নয় বরং যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ও পালিত হয়ে আসছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে বিতর্ক, মিথ্যাচার প্রচার করে কেউ সুবিধা করতে পারেনি বরং অপপ্রচারকারীরা লা’নতগ্রস্ত হয়ে বেঈমান হয়ে জাহান্নামী হয়েছে, মুসলমান থেকে নাম খারিজ হয়ে কাফের হয়েছে। সুতরাং বুঝে হোক, না বুঝে হোক যারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছো তারা সাবধান হয়ে যাও! মুসলমান থাকতে চাইলে তওবা ইস্তিগফার করে ঈমান নবায়ন করো। আর যদি আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদ্বেষী হয়েই থাকতে চাও তবে মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর মতো ঘোষণা দিয়ে কাফির হয়ে যাও। কোন সন্দেহ নেই, মৃত্যুর সময় তোমাদের মুখ পশুর মতো বিকৃতি হয়ে যাবে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ নিয়ে বিরোধিতাকারী পাকিস্তানের মালানা সরফরাজ খান সফদরের মতো আকৃতি বিকৃতি ঘটবে। কুখ্যাত রাজাকার গো’আযম-এর মতো মরার পর মুখ দিয়ে ইস্তেঞ্জা বের হবে। এমনকি মৃত্যুর আগেও এমন কঠিন ফল ভোগ করতে হতে পারে। সুতরাং এখনো...

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীরা প্রকৃতপক্ষে মুসলমান নয়

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হারাম কাজ থেকে দূরে সরে থাকে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান উনার পরিচয়।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, “এরপর পবিত্র ঈমান উনার আর সরিষা পরিমাণ অংশও অবশিষ্ট থাকে না।” বলা বাহুল্য, পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ শিরকের মতো অমার্জনীয় পাপ করে, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি মানুষ জঘন্যতম হারামে নিমজ্জিত হয়। ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ কে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষ নিকৃষ্ট পাপকর্মে লিপ্ত হয়। খেলাধুলার নামে হাজার কোটি টাকার অপচয় হয়। নাটক-সিনেমা, গান-বাজনা, টেলিভিশনের মাধ্যমে মুসলমানদের চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সমস্ত হারাম কাজ প্রকাশ্যে হচ্ছে যত্রতত্র। কিন্তু পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন নিয়ে যারা বিরোধিতা করে তারা কী কখন এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে? কেউ দেখেছ...

কাফিরদের প্রবর্তিত দিবস নয়, শান্তি পেতে হলে সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে

মুসলমানদের আজ এতো করুণ অবস্থা কেন? তারা শান্তির পথ ছেড়ে অশান্তির পথে চলছে অর্থাৎ  রহমতের পথ ছেড়ে গযবের পথ ধরেছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি মানব জাতির প্রকৃত শান্তি ও কামিয়াবীর সবচেয়ে সহজ পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তা হলো রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আর মাত্র একদিনপর আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ দিবস তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, সে খবর কি মুসলমানদের আছে? তাহলে মুসলমানরা রহমত (শান্তি) পাবে কিভাবে? গাফিল মুসলমানদের জন্য আফসোস! কয়েকদিন আগে অনেকে অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বরের ছুটি উপভোগ করেছে, সম্প্রতি থার্টি ফার্স্ট নাইটে কাফিরদের অনুকরণে উৎসব করেছে এবং কাফিরদের প্রবর্তিত এসব অযৌক্তিক গুরুত্বহীন কুফরী দিবসসমূহ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পালন করে থাকে। কিন্তু যার উসীলায় প্রকৃত শান্তি (রহমত) লাভ করা যাবে, যে দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল ...

পশ্চিমাদের অনুকরণে মুসলিম প্রজন্ম এগোচ্ছে জাহান্নামের দিকে আর উলামায়ে সূ’রা আছে ফযীলতপূর্ণ আমলকে ‘বৈদায়াত’ করার তালে

শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে পরিপূর্ণ ইসলাম থাকাটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু ভয়াবহ বাস্তবতা হলো এই যে, মুসলমানদের প্রধান শত্রু ইহুদী-নাছারাদের চক্রান্তের ফাঁদে পড়ে আজকে আমাদের মুসলিম সমাজ জাহান্নামের দিকে ধাবিত। তাদের এই চক্রান্ত শুধু বস্তুবাচক বা টিভি-ক্যামেরার মতো যান্ত্রিক নয় বরং আলেম সূরতে কিছু জানোয়ারের চেয়েও অধম চ্যালা সৃষ্টি করাও তাদের অন্যতম বড় চক্রান্ত। যাদের ছড়ানো বিভ্রান্তির জালে পড়ে মুসলমানগণ প্রকৃত ইসলাম থেকে সরে গেছে বহু দূরে। আর পক্ষান্তরে গ্রহণ করেছে ইহুদী নাছারাদের নষ্ট অপসংস্কৃতি।   মডার্ন হিসেবে জাতে উঠার জন্য অনেকে কাফিরদের অন্ধ অনুকরণ করে যাচ্ছে। কেউ জোরসে হিন্দি-ইংলিশ গান ছেড়ে প্রাইভেট কার চালাচ্ছে, কেউ বিয়ে-শাদীতে কিংবা অনুষ্ঠান করে ডিজে পার্টি নামক বেহায়াপনা করছে, কেউ নিজ স্ত্রীকে সাজিয়ে বেপর্দা করে রেস্টুরেন্ট কিংবা পার্টিতে নিয়ে যাচ্ছে, নিজ সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করছে। জনসম্মুখে প্রকাশ্যে এতো কিছু হচ্ছে কিন্তু সমাজে আলেম ছূরতধারী, মাওলানা-মুফতি নামধারী লোকগুলো এসবের বিরুদ্ধে কখনো কোনদিন ভুলেও কথা বলে না। এসব এছাড়াও মুসলমানগণ...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয়ার চেষ্টা করে তারা শুধু পথভ্রষ্টই নয়, বরং বদচরিত্রও

অনেক বাতিল ফিরক্বার দল বিশেষ করে কওমী-ওহাবীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিপক্ষে বলতে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলিল না দিয়ে বরং পথভ্রষ্ট কওমীদের ‘জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া’ নামক প্রতিষ্ঠানের ফতওয়া বিভাগের একটি দলিল পেশ করে। অথচ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো বাংলার যমীনে এক কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে সূ এবং বদচরিত্র। সে ব্যক্তিটি হচ্ছে মালানা আজিজুল হক শায়খুল হদছ। তার কথা ও আমলে মিল নেই, এই কথিত শায়খুল হাদীছ (হদছ) আজিজুল হক ১৯৯৯ সালে পর্দার পক্ষে তার এক বইতে সে নিজেই লিখেছে, “রং বেরংয়ের পোশাক, লিপস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা সমান কথা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা।” আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা, ১৩৪ পৃষ্ঠা) অথচ কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী এই শায়খুল হদছ নিজেই তার ফতোয়ার বিপরীত আমল করেছে। তার বইতে পর্দার পক্ষে, নারী নের্তৃতের বিরুদ্ধে, বেপর্দা নারীদের সভা...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং আজকের ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যান্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন। শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলেমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী। বইটিতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের শীর্ষস্থানীয় ইমাম-খতীবগণের স্বহস্তে লিখিত স্বীকৃতি দেয়া আছে। বইটির বাংলাভাষায় অনুবাদও পাওয়া যায়। এখন কেউ বলতে পারে, তাহলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পা...