পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং আজকের ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন
আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যান্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন।
শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলেমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী। বইটিতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের শীর্ষস্থানীয় ইমাম-খতীবগণের স্বহস্তে লিখিত স্বীকৃতি দেয়া আছে। বইটির বাংলাভাষায় অনুবাদও পাওয়া যায়।
এখন কেউ বলতে পারে, তাহলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের বিষয়টি পরিবর্তন হলো কিভাবে? এর জবাব হচ্ছে, ১৯২৫ সালে ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদ পরিবার ব্রিটিশদের সহায়তায় আরবের ক্ষমতার মসনদে বসে অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছে। যেমন: জাজিরাতুল আরবের নাম পরিবর্তন করে নিজ পরিবারের নাম অনুসারে ‘সউদী আরব’ নাম রাখে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত লা’নতপ্রাপ্ত ‘নজদ প্রদেশ’কে সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদ বানায়। পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৯৫ ভাগ ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে। নবীজি ও ছাহাবীদের বংশধরকের শহীদ করে, হক্ব আলিম-উলামাদের শহীদ করে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ আনুষ্ঠানিক উদযাপন বন্ধ করে দেয়। সউদী ওহাবী শাসকদের পেট্রো ডলারের ফাঁদে পড়ে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও পরবর্তীতে জওক শওকের সাথে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে আসে। আর এভাবেই আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের দ্বারা জারিকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার এক মহা ফযীলতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ আমল। নাউযুবিল্লাহ!
আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যান্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন।
শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলেমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী। বইটিতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের শীর্ষস্থানীয় ইমাম-খতীবগণের স্বহস্তে লিখিত স্বীকৃতি দেয়া আছে। বইটির বাংলাভাষায় অনুবাদও পাওয়া যায়।
এখন কেউ বলতে পারে, তাহলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের বিষয়টি পরিবর্তন হলো কিভাবে? এর জবাব হচ্ছে, ১৯২৫ সালে ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদ পরিবার ব্রিটিশদের সহায়তায় আরবের ক্ষমতার মসনদে বসে অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছে। যেমন: জাজিরাতুল আরবের নাম পরিবর্তন করে নিজ পরিবারের নাম অনুসারে ‘সউদী আরব’ নাম রাখে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত লা’নতপ্রাপ্ত ‘নজদ প্রদেশ’কে সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদ বানায়। পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৯৫ ভাগ ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে। নবীজি ও ছাহাবীদের বংশধরকের শহীদ করে, হক্ব আলিম-উলামাদের শহীদ করে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ আনুষ্ঠানিক উদযাপন বন্ধ করে দেয়। সউদী ওহাবী শাসকদের পেট্রো ডলারের ফাঁদে পড়ে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও পরবর্তীতে জওক শওকের সাথে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে আসে। আর এভাবেই আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের দ্বারা জারিকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার এক মহা ফযীলতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ আমল। নাউযুবিল্লাহ!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন