কিছু মানুষ আমেরিকাকে এখনো বিশাল কিছু মনে করে; অথচ খাবার না পেয়ে তারা বিভিন্ন দেশে ছলচাতুরি করে বেড়াচ্ছে
বর্তমান সরকার খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে অর্থমন্দায় বিকারগ্রস্ত আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই দেখছি, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক না থাকলে ‘বাংলাদেশের কি হবে’ এমন শঙ্কায় অস্থির। মনে হচ্ছে, আমেরিকা বিশাল কিছু, আর তাদের সাথে সম্পর্ক না থাকলে বাংলাদেশের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। অথচ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ কখনো উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা পায়নি যার দ্বারা আমরা খুব উপকৃত হয়েছি। উদাহরণ হিসেবে গত ৫ বছরের একটি চিত্র তুলে ধরছি:
১) ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার ১২ কোটি তিন লাখ সাত হাজার ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বছর শেষে প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ।
২) ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬৩ লাখ নয় হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি ছিলো, তখনও এক ডলার দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র্।
৩) ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল যথাক্রমে ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডালার এবং ২৫ কোটি ৫০ লাখে। কিন্তু এই দুই বছরেও প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ।
৪) ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশটির আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমে এসে দাঁড়ায় দেড় কোটি ডলারে। কিন্তু এবারও কোনো টাকা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
৫) ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মার্কিন অনুদানের কোনো অর্থ নেই বলে উল্লেখ করা হয় একটি প্রতিবেদনে।
তার মানে আমেরিকা সাহায্য ছাড়াই আমরা গত ৫ বছর দিব্যি পার করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। এবার আসুন কি কারণে আমেরিকা টাকা দিতে পারছে না? সেটা কি রাজনৈতিক কারণ? কখনই নয়। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, আমেরিকা নিজেই চরম পর্যায়ের আর্থিক মন্দায় আক্রান্ত। তাদের খাওয়া-খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান, আয়ের উৎস কোনো কিছুই ঠিক নাই। খোদ জাতিসংঘ থেকে আমেরিকানদের জন্য পোকা খেয়ে বেঁচে থাকার নির্দেশ এসেছে। (খবর: প্রথম আলো, ১৪ মে, ২০১৪ঈসায়ী)
সুতরাং আমেরিকার নিজের কাছেই টাকা-পয়সা নেই তারা অন্যকে সাহায্য করবে কিভাবে? মন্দার কারণে আমেরিকা নিজেই বিভিন্ন দেশে ধান্ধাবাজি বৃদ্ধি করেছে। যেমন: সিরিয়ায় হামলা করবে এমন প্রতিশ্রুতিতে সউদী থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু হামলা না করে টাকা মেরে দিয়েছে। আফ্রিকার সম্পদ লুটপাটের উদ্দেশ্যে ইবোলার নাম দিয়ে সেনা পাঠিয়েছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে সন্ত্রাসবাদী ‘আইএস’ আছে এমন অজুহাতে চাঁদাবাজি করছে।
বলা হয়, “আমেরিকা যার বন্ধু, তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না।” তাই আমাদেরও আমেরিকা নামক লুটেরা বন্ধুর দরকার নাই। যাদের প্রয়োজন তারা যেন বাংলাদেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে যায়।
১) ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার ১২ কোটি তিন লাখ সাত হাজার ডলারের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বছর শেষে প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ।
২) ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬৩ লাখ নয় হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি ছিলো, তখনও এক ডলার দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র্।
৩) ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছিল যথাক্রমে ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডালার এবং ২৫ কোটি ৫০ লাখে। কিন্তু এই দুই বছরেও প্রতিশ্রুতির এক ডলারও পায়নি বাংলাদেশ।
৪) ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশটির আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমে এসে দাঁড়ায় দেড় কোটি ডলারে। কিন্তু এবারও কোনো টাকা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
৫) ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মার্কিন অনুদানের কোনো অর্থ নেই বলে উল্লেখ করা হয় একটি প্রতিবেদনে।
তার মানে আমেরিকা সাহায্য ছাড়াই আমরা গত ৫ বছর দিব্যি পার করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। এবার আসুন কি কারণে আমেরিকা টাকা দিতে পারছে না? সেটা কি রাজনৈতিক কারণ? কখনই নয়। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, আমেরিকা নিজেই চরম পর্যায়ের আর্থিক মন্দায় আক্রান্ত। তাদের খাওয়া-খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান, আয়ের উৎস কোনো কিছুই ঠিক নাই। খোদ জাতিসংঘ থেকে আমেরিকানদের জন্য পোকা খেয়ে বেঁচে থাকার নির্দেশ এসেছে। (খবর: প্রথম আলো, ১৪ মে, ২০১৪ঈসায়ী)
সুতরাং আমেরিকার নিজের কাছেই টাকা-পয়সা নেই তারা অন্যকে সাহায্য করবে কিভাবে? মন্দার কারণে আমেরিকা নিজেই বিভিন্ন দেশে ধান্ধাবাজি বৃদ্ধি করেছে। যেমন: সিরিয়ায় হামলা করবে এমন প্রতিশ্রুতিতে সউদী থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু হামলা না করে টাকা মেরে দিয়েছে। আফ্রিকার সম্পদ লুটপাটের উদ্দেশ্যে ইবোলার নাম দিয়ে সেনা পাঠিয়েছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে সন্ত্রাসবাদী ‘আইএস’ আছে এমন অজুহাতে চাঁদাবাজি করছে।
বলা হয়, “আমেরিকা যার বন্ধু, তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না।” তাই আমাদেরও আমেরিকা নামক লুটেরা বন্ধুর দরকার নাই। যাদের প্রয়োজন তারা যেন বাংলাদেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন