ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাবনা নয়; বরং চাপ প্রয়োগ করতে হবে:
ভারতের কোনো কিছুই বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, তবে ভারতের প্রয়োজন আছে বাংলাদেশকে খুশি রাখার
ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। তৌফিক ইলাহী ভারত সফর গিয়ে যৌথভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের এক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ ভারত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেবে, আর এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।
ভারতের কাছে এ প্রত্যাশা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে হবে বর্তমান ‘ভারত নতজানু সরকার’ হিসেবে কুখ্যাতী অর্জন করা সরকারের জন্য শ্রেষ্ঠ অর্জন, যা কুখ্যাতিকে কিছুটা হলেও নমনীয় করবে। কেননা, ভারত সারা জীবন আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়েছে। এখন আমরা ভারতের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো, এটার বাস্তবায়ন যদিও অকল্পনীয়। তথাপি সরকারের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকলে এটি খুবই সম্ভব। শুধু বিদ্যুৎ নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বৈষম্যের শিকার হয়ে আছে। যেমন: ভারতের ইলেক্টনিক মিডিয়া বাংলাদেশে আছে, কিন্তু বাংলাদেশের ইলেক্টনিক মিডিয়া ভারতে নেই। ভারত ঠিকই বাংলাদেশের ট্রানজিট নিয়েছে, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ৪৩ বছরেও ছিটমহল কিংবা ফারাক্কার পানি বাংলাদেশকে দেইনি। ২০১৪ সালে ভারত বাংলাদেশে ৬.০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠায়, আর বাংলাদেশ ভারতে পাঠায় মাত্র ৪৫৬.৬৩ মিলিয়ন ডলারের (বিষয়টা কতটুকু মারাত্মক পর্যায়ে যে গত বছরের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩.৭৬ ভাগ বেশি)। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ভারতীয় ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। (সূত্র: আমারদেশ অনলাইন)। কিন্তু বাংলাদেশীরা ভারত থেকে ৩ হাজার কোটি ডলার পাঠায় কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আসলে ভারত আয়তনে আমাদের দেশ থেকে বড় হতে পারে, জনসংখ্যা বেশি হতে পারে কিন্তু প্রকৃত হিসেবে ভারত আমাদের চেয়ে উন্নত নয়, শক্তিশালী নয়, সমৃদ্ধ নয় এবং ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের মতো সাহসী নয়, পরিশ্রমী নয়, মেধাবী নয়, সুশৃঙ্খল নয়। অর্থাৎ আমরা সবদিক থেকেই ভারতের ঊর্দ্বে আছি। কোনো দিক থেকেই আমাদের ভারতকে প্রয়োজন নেই, বরং ভারতের প্রয়োজন আছে আমাদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখার।
সুতরাং, ভারত যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব শুধু মেনে নিতেই বাধ্য হবে না, বরং উৎপাদনের সিংহভাগই আমাদের দিবে। সরকার যদি নিজ অবস্থানে শক্ত থাকে তবে সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রও নাকচ করে দিয়ে বরং সেদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।
ভারতের কোনো কিছুই বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, তবে ভারতের প্রয়োজন আছে বাংলাদেশকে খুশি রাখার
ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। তৌফিক ইলাহী ভারত সফর গিয়ে যৌথভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের এক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। অর্থাৎ ভারত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেবে, আর এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।
ভারতের কাছে এ প্রত্যাশা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে হবে বর্তমান ‘ভারত নতজানু সরকার’ হিসেবে কুখ্যাতী অর্জন করা সরকারের জন্য শ্রেষ্ঠ অর্জন, যা কুখ্যাতিকে কিছুটা হলেও নমনীয় করবে। কেননা, ভারত সারা জীবন আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেয়েছে। এখন আমরা ভারতের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো, এটার বাস্তবায়ন যদিও অকল্পনীয়। তথাপি সরকারের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকলে এটি খুবই সম্ভব। শুধু বিদ্যুৎ নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বৈষম্যের শিকার হয়ে আছে। যেমন: ভারতের ইলেক্টনিক মিডিয়া বাংলাদেশে আছে, কিন্তু বাংলাদেশের ইলেক্টনিক মিডিয়া ভারতে নেই। ভারত ঠিকই বাংলাদেশের ট্রানজিট নিয়েছে, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ৪৩ বছরেও ছিটমহল কিংবা ফারাক্কার পানি বাংলাদেশকে দেইনি। ২০১৪ সালে ভারত বাংলাদেশে ৬.০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠায়, আর বাংলাদেশ ভারতে পাঠায় মাত্র ৪৫৬.৬৩ মিলিয়ন ডলারের (বিষয়টা কতটুকু মারাত্মক পর্যায়ে যে গত বছরের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩.৭৬ ভাগ বেশি)। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ভারতীয় ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। (সূত্র: আমারদেশ অনলাইন)। কিন্তু বাংলাদেশীরা ভারত থেকে ৩ হাজার কোটি ডলার পাঠায় কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আসলে ভারত আয়তনে আমাদের দেশ থেকে বড় হতে পারে, জনসংখ্যা বেশি হতে পারে কিন্তু প্রকৃত হিসেবে ভারত আমাদের চেয়ে উন্নত নয়, শক্তিশালী নয়, সমৃদ্ধ নয় এবং ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের মতো সাহসী নয়, পরিশ্রমী নয়, মেধাবী নয়, সুশৃঙ্খল নয়। অর্থাৎ আমরা সবদিক থেকেই ভারতের ঊর্দ্বে আছি। কোনো দিক থেকেই আমাদের ভারতকে প্রয়োজন নেই, বরং ভারতের প্রয়োজন আছে আমাদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখার।
সুতরাং, ভারত যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব শুধু মেনে নিতেই বাধ্য হবে না, বরং উৎপাদনের সিংহভাগই আমাদের দিবে। সরকার যদি নিজ অবস্থানে শক্ত থাকে তবে সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রও নাকচ করে দিয়ে বরং সেদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন