গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে একটি মালবাহী ভারতীয় জাহাজ ধাক্কা দিয়ে ডুবিরুদের সাড়ে তিন লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ একটি ট্যাংকার। ডুবার পরপরই ট্যাংকার থেকে তেল বের হয়ে ছড়ানো শুরু হয় কিন্তু তেলবাহী ট্যাংকারটি দ্রুত উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে। দুইদিন পর উদ্ধারকাজ শুরু করে জাহাজটির মালিক পক্ষের নিয়োগকৃত একটি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়ে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। এরপরে স্থানীয়রা ফোম দিয়ে তেল শোষণ করে অপসারণের প্রচেষ্টা চালায়। তার কিছুদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ একাজে সহযোগিতা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠায় সরকার। চিঠির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ একটি বিশেষজ্ঞ(!) দল বাংলাদেশে পাঠায় ঠিকই, তবে তা তেল অপসারণে সহযোগিতার জন্য নয়, সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য। আর একাজটির জন্যেও তারা সময় নিয়েছে ৬ দিন। এরপর গবেষণার নামে ৬ দিন কালক্ষেপণ করে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ঢাকায় ফিরে দলটি। তাতেও তেল অপসারণের কেনো সমাধান নেই। তাহলে ফলাফল দাঁড়ালো দুর্ঘটনার প্রায় ২০ দিন পরও তেল অপসারণের কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা হয়নি।
সহযোগিতার নামে জাতিসংঘ থেকে আসা বড় বড় হাতি ঘোড়াগুলো গবেষণার নামে কালক্ষেপণ করে বরং ক্ষতি করেছে। সবার আগে জরুরী ছিলো দ্রুত তেল অপসারণে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু সেটা তারা করেনি। অথচ আমাদের দেশে বহু মেধাবী আছে যারা ২/১ দিনের মধ্যে সব তেল অপসারণ করতে পারে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে দিতে পারে। এসব মেধাবীদের তালিকা বোধ করি সরকারের কাছে নেই। যদিও সম্প্রতি এমন একটি যন্ত্র আবিস্কারও করে ফেলেছেন এক তরুণ। নদী বা সমুদ্রের পানি থেকে ভেসে থাকা তেল অপসারণের জন্য নতুন এ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মুহম্মদ ফারুক বিন হোসেন ইয়ামিন। তেলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর এর ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে মাত্র এক সপ্তাহ গবেষণা করে আবিষ্কার করে ফেলেন যন্ত্রটি। তার এই যন্ত্র দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ হাজার লিটার তেল অপসারণ সম্ভব।
এখন জাতিসংঘের কথিত বিশেষজ্ঞ দল যতোদিন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ নিয়ে সময় নষ্ট করলো, সরকার আমাদের দেশের মেধাবীদের কাজে লাগালে হয়তো ততোদিনে পানির সমস্ত তেল অপসারণ হয়ে পানি আগের মতো বিশুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব হতো।
সুতরাং সরকারের উচিত পরনির্ভরশীল না হয়ে বরং আমাদের মেধাবীদের কাজে লাগানো। তাদের মেধাশক্তির যথাযথ কদর দেয়া। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের সংকীর্ণ চিন্তা চেতনা আরো প্রশস্ত করা উচিত।
সহযোগিতার নামে জাতিসংঘ থেকে আসা বড় বড় হাতি ঘোড়াগুলো গবেষণার নামে কালক্ষেপণ করে বরং ক্ষতি করেছে। সবার আগে জরুরী ছিলো দ্রুত তেল অপসারণে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু সেটা তারা করেনি। অথচ আমাদের দেশে বহু মেধাবী আছে যারা ২/১ দিনের মধ্যে সব তেল অপসারণ করতে পারে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে দিতে পারে। এসব মেধাবীদের তালিকা বোধ করি সরকারের কাছে নেই। যদিও সম্প্রতি এমন একটি যন্ত্র আবিস্কারও করে ফেলেছেন এক তরুণ। নদী বা সমুদ্রের পানি থেকে ভেসে থাকা তেল অপসারণের জন্য নতুন এ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মুহম্মদ ফারুক বিন হোসেন ইয়ামিন। তেলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর এর ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে মাত্র এক সপ্তাহ গবেষণা করে আবিষ্কার করে ফেলেন যন্ত্রটি। তার এই যন্ত্র দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ হাজার লিটার তেল অপসারণ সম্ভব।
এখন জাতিসংঘের কথিত বিশেষজ্ঞ দল যতোদিন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ নিয়ে সময় নষ্ট করলো, সরকার আমাদের দেশের মেধাবীদের কাজে লাগালে হয়তো ততোদিনে পানির সমস্ত তেল অপসারণ হয়ে পানি আগের মতো বিশুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব হতো।
সুতরাং সরকারের উচিত পরনির্ভরশীল না হয়ে বরং আমাদের মেধাবীদের কাজে লাগানো। তাদের মেধাশক্তির যথাযথ কদর দেয়া। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের সংকীর্ণ চিন্তা চেতনা আরো প্রশস্ত করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন