সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঈদে মীলাদুন্নবী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা কি বিদআত? নবীজী কি বলেছেন পালন করার জন্য? সাহাবাগণ করেছেন?

দ্বীন ইসলামের মধ্যে ফিৎনা সৃষ্টিকারী বাতিল ফিরকা ওয়াহাবী-সালাফীরা প্রচার করে থাকে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। নাউজুবিল্লাহ। অথচ তারা নিজেরাই বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। ১৮শ শতকের আগে (অর্থাৎ এখন থেকে ২০০ বছর আগে) তাদের অস্তিত্ব ছিলো না। এবং তখন এ বিষয়ে কোন বিতর্কও ছিলো না। বরং এটি একটি সার্বজনীন, সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।  এমনকি মশহুর ফিকাহ শাস্ত্র গুলোতে বর্ণিত আছে, এ মহান দিবসটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজে পালন করেছেন এবং উনার আসহাব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনারাও পালন করেছেন।  যেমন, সহীহ্ হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়, عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ ‏  فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ ‏ . অর্থ: হযরত আবূ ক্বাতাদাহ্ আল-আনসারী  রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন—“ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে ইয়াওমু...

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সোনালী ইতিহাস (পর্ব ২)

খায়রুল কুরুনে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদ যাপন করা হতআজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পুর্বে আব্বাসীয় খিলাফতে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতো। খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ খৃষ্টাব্দ) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন। তিনি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত মুবারকের স্থানে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। যেখানে মুসলমানগণ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করতেন। ইতিহাসে আমরা পাইঃ  ১। “The basic earliest accounts for the observance of Mawlid can be found in 8th century Mecca when the house in which Prophet Muhammad (PBUH) was born was transformed into a place of prayer by Al-Khayzuran. Al-Khayzuran was the mother of a caliph, Harun-al-Rashid.” Source: “Mawlid or Mawlud”., Encyclopedia of Islam, Second Edition. Brill Online Reference Works. ২।হ...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপনে মুসলিম উম্মাহর প্রতি খোলা চিঠি

বড় করে দেখতে ক্লিক করুন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম, আপনি নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ অর্থাৎ দুনিয়াতে আগমন উনার দিবস হচ্ছে সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, যা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ  শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে মানবজাতি! মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন তোমাদের প্রতি সুমহান নছীহতকারী, অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফাদানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী এবং ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফযল-করম মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে আপনাকে যে লাভ করতে পেরেছে সেজন্যে তারা যেন খুশি প্রকাশ করে তথা ঈদ উদযাপন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সঞ্চিত সমস্ত নেক আমল থেকে উত্তম।”  [পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮] উপরোক...

ইহুদীদের এজেন্ট সউদী গ্র্যান্ড মুফতে আব্দুল আজিজ ওরফে কানা দাজ্জাল

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ’ উনার ৫৭ ও ৫৮ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ গ্রহণ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার জন্য স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক করেছেন। সে মুতাবিক পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হচ্ছে মুসলমান উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু ইহুদীদের সাথে সম্পর্কস্থাপনকারী ওহাবী মতাবাদের অনুসারী সউদীর গ্র্যান্ড মুফতে আব্দুল আজিজ আশ-শেইখ ওরফে কানা দাজ্জাল এ পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ অস্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে ‘পাপ’ বলে ফতওয়া দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! কানা দাজ্জালের এ ফতওয়ায় যারা বিভ্রান্ত তাদের জন্য তার অন্যান্য ফতওয়াগুলো এখানে পেশ করা হলো। সে বলেছে- (১) ‘ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগপ্রসূত তৎপরতা মাত্র! (দৈনিক আল ইহসান/ ৪ আগস্ট, ২০১৪ঈ.) (২) ইয়াযিদের বিরুদ্ধে হযরত ইমাম ...

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা সাবধান!

১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; এটি শুধু দলীলসিদ্ধই নয় বরং যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ও পালিত হয়ে আসছে। ইতোপূর্বে এ নিয়ে বিতর্ক, মিথ্যাচার প্রচার করে কেউ সুবিধা করতে পারেনি বরং অপপ্রচারকারীরা লা’নতগ্রস্ত হয়ে বেঈমান হয়ে জাহান্নামী হয়েছে, মুসলমান থেকে নাম খারিজ হয়ে কাফের হয়েছে। সুতরাং বুঝে হোক, না বুঝে হোক যারা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছো তারা সাবধান হয়ে যাও! মুসলমান থাকতে চাইলে তওবা ইস্তিগফার করে ঈমান নবায়ন করো। আর যদি আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদ্বেষী হয়েই থাকতে চাও তবে মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর মতো ঘোষণা দিয়ে কাফির হয়ে যাও। কোন সন্দেহ নেই, মৃত্যুর সময় তোমাদের মুখ পশুর মতো বিকৃতি হয়ে যাবে। পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ নিয়ে বিরোধিতাকারী পাকিস্তানের মালানা সরফরাজ খান সফদরের মতো আকৃতি বিকৃতি ঘটবে। কুখ্যাত রাজাকার গো’আযম-এর মতো মরার পর মুখ দিয়ে ইস্তেঞ্জা বের হবে। এমনকি মৃত্যুর আগেও এমন কঠিন ফল ভোগ করতে হতে পারে। সুতরাং এখনো...