সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মসজিদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুড়িগঙ্গার তীরে পবিত্র মসজিদসমূহকে ‘অবৈধ মসজিদ’ বলার সাহস ওদের কে দিলো?

শত শত ড্রেন-নর্দমা দিয়ে রাজধানীর কোটি মানুষের পয়ঃবর্জ্য, হাসপাতাল-কল-কারখানাগুলোর বিষাক্ত বর্জ্য, হাজারীবাগের ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্যসহ বিভিন্ন বর্জ্য-আবর্জনা নদীতে পড়ে নদী দূষিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। যা নিয়ে কারো কোনো কথা নেই। নদীর তীরে সরকারি জায়গা দখল করে ক্ষমতাসীনদের দলীয় কার্যালয়, বাসভবন-বানিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ বহু কিছু গড়ে উঠেছে; এসব নিয়েও কারো কোনো মাথাব্যথা দেখা যায় না। কিন্তু যে পবিত্র মসজিদগুলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নামায ও ইবাদত-বন্দেগীর জন্য সরকারি জায়গায় সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে কিংবা সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিলো, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে নদীভাঙ্গন থেকে তীরবর্তী রাজধানীর বহু জায়গা রক্ষা পেয়েছে, যে পবিত্র মসজিদের বরকতে রাজধানী ঢাকা এতোটা উন্নতি লাভ করলো, সেই মসজিদই নাকি এখন ‘অবৈধ’। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ অবৈধ হবে কেন? মসজিদের জায়গাই বা অবৈধ হবে কেন? যারা সরকারি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোকে অবৈধ বলছে, এই জায়গাগুলো কি তাদের বাপ-দাদা পূর্বপূরুষের কারো? নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের? যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা জনগণের জন্য ও জনগণের দ্বারা। যে রাষ্ট্রের ৯৮ ভাগ...

প্রসঙ্গ: নদীর তীরে মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ॥ সর্ষের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ভূতগুলোর জন্যই সরকারের পতন ঘটতে পারে

সরকারের ভেতর থাকা কিছু ইসলামীবিদ্বেষী মহলের কারণে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য মুসলমানের রোষানলে পড়তে হতে পারে। কেননা, মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে, মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় কুঠারাঘাত করে অন্তত বাংলাদেশে কেউ সফল হতে পারেনি, কস্মিনকালে কেউ পারবেও না। ইনশাআল্লাহ! বরং মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তোষের গযবে পড়ে ইসলাম বিরোধীরাই অপদস্ত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে। এদেশে থেকে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছে তারা কেউ এদেশে টিকে থাকতে পারেনি। অনেকে জীবন হারিয়েছে ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের জন্য। বোধ করি সরকারকেও এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নদী রক্ষার নামে বা পরিবেশ দূষণের নামে নদীর তীরবর্তী মসজিদগুলো স্থানান্তরের নামে ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে সরকারি কিছু দুষ্ট চক্র। তারা এদেশে থেকে পবিত্র মসজিদগুলোকে ‘অবৈধ মসজিদ’ হিসেবে চিহ্নিত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ এ মসজিদগুলোর অধিকাংশই স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু আগের স্থাপনা। যখন নদী ছিলো মসজিদের জায়গা থেকে বহু দূরে, পরবর্তীতে ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের কাছে এসে ঠেকে গেছে। বরং এ পবিত্র মসজিদগুলোর উসীলাতেই রাজ...

আলিম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীরা পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার পক্ষে রায় দিয়ে সরকার ও মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উত্তম আমীর (শাসক) ঐ ব্যক্তি, যে হাক্কানী-রব্বানী আলিমগণ উনাদের দরবারে যাতায়াত করেন। আর নিকৃষ্ট আলিম-উলামা বা ধর্মব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তি, যে শাসকদের দরবারে যাতায়াত করে।” গত ২৫ আগস্ট (২০১৫) ঈসায়ী তারিখ সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখার অজুহাতে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে উঠা ২১টি মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সেই সভায় উপস্থিত ছিলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের একজন ইমাম। (দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ আগস্ট, ২০১৫ ঈসায়ী) সভায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি সরকারি মহলকে খুশি করতে (অথবা দুনিয়াবী ফায়দা লাভের জন্য) পবিত্র মসজিদ ভাঙার পক্ষে রায় দেয়। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদ ভাঙার উদ্যোগ ২০১০ সালেও একবার নেয়া হয়েছিলো। সেই বৈঠকেও ছিলো কিছু উলামায়ে সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠকে বসে ইফার মহাপরিচালক বলেছিলো, “অবৈধভাবে গড়ে উঠা কোনো মসজিদে নামায আদায় বৈধ নয়। এ জন্য জমির মালিকের বা সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ...