সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সরকার লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রসঙ্গ: বুড়িগঙ্গার তীরে মসজিদ উচ্ছেদ ॥

প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কখনো মনে মনে হয় না; অন্যায়-অবিচার রুখতে হলে চাই ঐক্যবদ্ধ ক্ষোভের বিস্ফোর। অবৈধ স্থাপনা, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি উদ্ভট কারণ দেখিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ¦বর্তী পবিত্র মসজিদসমূহ ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি মহল। নাউযুবিল্লাহ! এরমধ্যে আগানগর এলাকার একটি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে আমাদের ইসলামবান্ধব(!) সরকার। (সংবাদ সূত্র: ভোরের কাগজ, ১৩ আগস্ট ২০১৫) বাকী মসজিদগুলোতেও ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ পাঠানোর পর্যায় শেষ। এখন যেকোনো সময় ভাঙ্গার পালা। যদিও স্থানীয়ভাবে দেখা গেছে মসজিদ এলাকার স্থানীয় জনগণ যারপরনাই ক্ষিপ্ত ও প্রতিবাদী মনোভাব ধারণ করে প্রস্তুত হয়ে আছে মসজিদের জন্য যান দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের এই পুঞ্জিভুত ক্ষোভকে এক ফু’তেই নিভিয়ে দিতে পারে প্রশাসনের ছল-চাতুরি কিংবা কোনো উলামায়ে সূ’র বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের লাগাতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে বেসামাল হয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোরতা বাষ্প হয়ে উড়ে যা...

প্রসঙ্গ: নদীর তীরে মসজিদ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ॥ সর্ষের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ভূতগুলোর জন্যই সরকারের পতন ঘটতে পারে

সরকারের ভেতর থাকা কিছু ইসলামীবিদ্বেষী মহলের কারণে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য মুসলমানের রোষানলে পড়তে হতে পারে। কেননা, মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে, মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় কুঠারাঘাত করে অন্তত বাংলাদেশে কেউ সফল হতে পারেনি, কস্মিনকালে কেউ পারবেও না। ইনশাআল্লাহ! বরং মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তোষের গযবে পড়ে ইসলাম বিরোধীরাই অপদস্ত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে। এদেশে থেকে যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছে তারা কেউ এদেশে টিকে থাকতে পারেনি। অনেকে জীবন হারিয়েছে ইসলামবিরোধী কার্যক্রমের জন্য। বোধ করি সরকারকেও এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নদী রক্ষার নামে বা পরিবেশ দূষণের নামে নদীর তীরবর্তী মসজিদগুলো স্থানান্তরের নামে ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে সরকারি কিছু দুষ্ট চক্র। তারা এদেশে থেকে পবিত্র মসজিদগুলোকে ‘অবৈধ মসজিদ’ হিসেবে চিহ্নিত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অথচ এ মসজিদগুলোর অধিকাংশই স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু আগের স্থাপনা। যখন নদী ছিলো মসজিদের জায়গা থেকে বহু দূরে, পরবর্তীতে ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের কাছে এসে ঠেকে গেছে। বরং এ পবিত্র মসজিদগুলোর উসীলাতেই রাজ...

যে কোনো বয়সের জারজ সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা ‘পবিত্র ইসলাম অবমাননা’র শামিল

২০০৬ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী আগে এতিম, পতিতা, মানসিক বা দৈহিক প্রতিবন্ধী, পিতৃ পরিচয়হীন শিশু, পরিচয়হীন শিশু ও বেদে সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলো সরকার। কিন্তু বর্তমানে সরকার সে বিধিমালা সংশোধন করে শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বরং যে কোনো বয়সের পিতৃ পরিচয়হীন ও পরিচয়হীনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে পিতৃ পরিচয়হীন বলতে যার জন্মদাতা পিতা অপরিচিত বা যার জন্মদাতা পিতা আইনদ্বারা স্বীকৃত (বিবাহিত) নয় এমন মানুষদের বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সহজ কথায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, নারী পুরুষের অবিবাহিত (অবৈধ) মেলামেশায় জন্ম নেয়া যেকোন বয়সের শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক (জারজ) সন্তানও সরকারের অনুমতি ক্রমে বৈধ সন্তান হিসেবে স্বীকৃত হবে। নাউযুবিল্লাহ! এ আইন এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের পক্ষে মেনে নেয়া কখনোই সম্ভব নয়। সরকার কী করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধানকে অবজ্ঞা করে জারজ সন্তানদের বৈধতা দেয়? সরকারের এ ঔদ্ধতমূলক সিদ্ধান্ত পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননার শামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার শামিল। এসব কুফরী আইন কাফির-মুশরিকদের দেশে চলতে পারে, ৯৭ ভাগ মুসলমানের রাষ্ট্রধর...