সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ইসলাম লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা কি বিদআত? নবীজী কি বলেছেন পালন করার জন্য? সাহাবাগণ করেছেন?

দ্বীন ইসলামের মধ্যে ফিৎনা সৃষ্টিকারী বাতিল ফিরকা ওয়াহাবী-সালাফীরা প্রচার করে থাকে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। নাউজুবিল্লাহ। অথচ তারা নিজেরাই বিদআত, নতুন আবিস্কৃত। ১৮শ শতকের আগে (অর্থাৎ এখন থেকে ২০০ বছর আগে) তাদের অস্তিত্ব ছিলো না। এবং তখন এ বিষয়ে কোন বিতর্কও ছিলো না। বরং এটি একটি সার্বজনীন, সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।  এমনকি মশহুর ফিকাহ শাস্ত্র গুলোতে বর্ণিত আছে, এ মহান দিবসটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজে পালন করেছেন এবং উনার আসহাব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনারাও পালন করেছেন।  যেমন, সহীহ্ হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়, عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ ‏  فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ ‏ . অর্থ: হযরত আবূ ক্বাতাদাহ্ আল-আনসারী  রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন—“ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে ইয়াওমু...

ইউরোপজুড়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিজয় পতাকা উড়ছে; ফ্রান্স এখন অঘোষিত মুসলিম দেশ

এক সময় খ্রিস্টান বিশ্বে ফ্রান্সকে বলা হতো গির্জা কন্যা। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছায় সমগ্র ইউরোপ জুড়ে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। পক্ষান্তরে মুসলিমদের সংখ্যা এতো বেশি পরিমাণে বাড়ছে যে, ইউরোপের অনেক দেশ এখন মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে গীর্জার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পবিত্র মসজিদের সংখ্যা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় গণহারে ধর্মান্তরিত হচ্ছে খ্রিষ্টানরা। গত ২৫ বছরে ফ্রান্সে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের হার বেড়েছে দ্বিগুণ। গত ১০০ বছরে ফ্রান্সে যতগুলো ক্যাথলিক গির্জা নির্মিত হয়েছে, গত ৩০ বছরেই তার চেয়ে বেশি মসজিদ ও নামায কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ফ্রান্সে অমুসলিম পরিবার প্রতি শিশুর সংখ্যা ১.২। কিন্তু মুসলিম পরিবারে শিশুর সংখ্যা এর ৫গুণ বেশি। জনসংখ্যা তাত্ত্বিক হিসেবে ফ্রান্সে ইসলামই একমাত্র বিজয়ী। সুবহানাল্লাহ! প্যারিসের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ মনসিঙ্গর ভিঙ্কট ট্রয়েস বলেছে, আগে ফ্রান্সের গ্রামবাসী প্রতি সপ্তাহে গির্জায় যেতো। এখন যায় প্রতি দুই মাসে একবার। তাই গির্জাগুলোর তিন চতুর্থাংশই খালি পড়ে...

ফ্রান্সে চার্লি হেবডো পত্রিকার অফিসে হামলা খ্রিস্টানদেরই ষড়যন্ত্র

ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী কুখ্যাত ম্যাগাজিন চার্লি হেবডো  ২০১২ এবং ২০১৩ ঈ. সালে পরপর দুইবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে। নাউযুবিল্লাহ! এর প্রতিবাদে, দুইবারই ফ্রান্সসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সম্প্রতি এই পত্রিকার অফিসে হামলা হয়েছে এবং এতে ১২ জন কার্টুনিস্ট নিহত হয়েছে। এঘটনার পর ফ্রান্সে মুসলিমগণ যত্রতত্র হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঘটনাটি নাইন ইলেভেনের মতোই নাটকীয় ও পরিকল্পিত। কিন্তু এই বাস্তবতাটি উপলদ্ধি করার আগে ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি খ্রিস্টানরা কিভাবে নিচ্ছে তা জানা জরুরী। ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ঈসায়ী সালে ইসরাইল ন্যাশনাল নিউজে ‘ফ্রান্সে খ্রিস্টধর্ম বিদায়-স্বাগত ইসলাম’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটিতে ইহুদীরা ফ্রান্সের খ্রিস্টানদের গণহারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ, মুসলিম ও মসজিদের সংখ্যাবৃদ্ধি, গীর্জার সংখ্যা হ্রাস ইত্যাদি পরিসংখ্যান তুলে ধরে। সেখানে এও বলা হয়, ফ্রান্সে জনসংখ্যা তাত্ত্বিক হিসেবে ইসলামই বিজয়ী। বর্তমানে ক্যাথলিক ফ্রান্সের জন্য ইসলামে ধর্মান্তর একটি চ্যালেঞ্জ। ...

খেলাধুলায় প্রতিপক্ষকে হারানোর মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, বরং যুদ্ধ করে কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্যেই মুসলমানদের প্রকৃত বীরত্ব

জ্ঞান-বিজ্ঞান আর যুদ্ধ বিদ্যার চর্চায় ব্যস্ত থাকা মুসলমানদের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকতো ইহুদী খ্রিস্টানসহ তাবৎ কাফিরগোষ্ঠী। মুসলমানদের কাছে তারা ছিলো ইঁদুরের মতো।  মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা কৌশল আর ঈমানী কুওওত, রুহানী শক্তির কাছে ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা যুগের পর যুগ পরাজিত হয়েছে। একপর্যায়ে কাফিররা মুসলমানদের যুদ্ধবিদ্যা চর্চার পথ থেকে সরিয়ে দিতে এবং রূহানী শক্তি নষ্ট করে দিতে দীর্ঘ মেয়াদী ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো। যে ষড়যন্ত্রের অসংখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি ছিলো খেলাধুলা। কাফিররা যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে প্রচলন করলো আনুষ্ঠানিক খেলাধুলার প্রতিযোগিতা। এরপরে তাদের দেখাদেখি নামধারী কিছু মুসলমানও এসব খেলাধুলা শুরু করে দিলো। ব্যাস! মুসলমানরাও বোকার মতো কাফিরদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা শুরু করে দিলো। খেলায় মশগুল হয়ে ভুলে গেলো সম্মানিত ইসলামী ঐতিহ্য। আর সেই সাথে হারিয়ে ফেললো ঈমানী জোশ, জিহাদী চেতনা, রূহানী কুওওত। মুসলমানরা হারিয়ে ফেললো যুদ্ধ বিদ্যার হাজারো কৌশল, আর কাফিররা সেই কৌশলগুলো শিখে নিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করলো।  বর্তমান সময়ের মুসলমানদের জন্য আফসোস! যারা হযরত খাল...

সরকার কি তাহলে সংবিধান বিরোধী?

সংবিধানে লিখিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’; কিন্তু বাস্তবে হিন্দু ধর্মের প্রধান্য। আর ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা অধিকার বঞ্চিত॥ সরকার কি তাহলে সংবিধান বিরোধী? সংবিধানের ২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম সম্মানিত ইসলাম। সংবিধানে অন্যান্য ধর্ম পালনের অধিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মের প্রাধান্যের কথা বলা হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই কেবল সংবিধানের বাস্তব প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। অথচ চরম বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের বৃহৎ ধর্মীয় দিবস পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সরকার কোনো অনুদান দেয় না। এমনকি মঙ্গাপীড়িত উত্তরবঙ্গের জনগণ ও আইলা, সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদেরও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার আদৌ কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। অথচ সরকার প্রতিটি পূজামন্ডপেই সবসময় নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! এতে কি মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই ভাগ হিন্দুদের তুলনায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে না? বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য- শতকরা ২ ভাগ হিন্দুদেরকে শতকরা প্রায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের আনুপা...