সংবিধানে লিখিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’; কিন্তু বাস্তবে হিন্দু ধর্মের
প্রধান্য। আর ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা অধিকার বঞ্চিত॥ সরকার কি তাহলে
সংবিধান বিরোধী?
সংবিধানের ২(ক) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম সম্মানিত ইসলাম। সংবিধানে অন্যান্য ধর্ম পালনের অধিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মের প্রাধান্যের কথা বলা হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই কেবল সংবিধানের বাস্তব প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য।
অথচ চরম বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের বৃহৎ ধর্মীয় দিবস পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সরকার কোনো অনুদান দেয় না। এমনকি মঙ্গাপীড়িত উত্তরবঙ্গের জনগণ ও আইলা, সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদেরও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার আদৌ কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। অথচ সরকার প্রতিটি পূজামন্ডপেই সবসময় নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এতে কি মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই ভাগ হিন্দুদের তুলনায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনারা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে না? বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য- শতকরা ২ ভাগ হিন্দুদেরকে শতকরা প্রায় ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের আনুপাতিক হারে অধিকার বা মর্যাদা দিয়ে সমান আচরণের সাংবিধানিক কর্তব্য পালন করা।
রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধি মোতাবেক মুশরিকদের শিরকী উপাসনায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না করা। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা নেক কাজে ও পরহেজগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে অর্থাৎ পাপে ও শত্রুতায় পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।’
আর মুশরিকরা তাদের কথিত দেব-দেবীকেই স্রষ্টা হিসেবে উপাসনা করে, যা সরাসরি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক উনার সাথে শিরক। এর চেয়ে বড় পাপ কাজ আর কি হতে পারে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সব গুনাহ মাফ করেন কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। আর যারা এসব শিরকী পাপ কাজে সহযোগিতা করবে, তারাও একই পাপের ভাগীদার হিসেবে ক্ষমার অযোগ্য। পরকালে হিন্দুদের সাথেই তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলামের এ দেশে যদি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশই পালন না হয়, তাহলে সংবিধানে লিখিত রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা থাকে কি করে? তাহলে সংবিধানের প্রতি গণতান্ত্রিক সরকারের শ্রদ্ধাবোধ কতটুকু? সরকার নিজেই কী সংবিধান পরিপন্থী কাজ করছে না?
সুতরাং এ বিষয়গুলো সকল মুসলমান নাগরিক ও সরকারকে বুঝতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে এবং বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।