৪৮ ঘণ্টায় কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়ে ১১ দিনেও পরিষ্কার করেনি ডিসিসি॥ এটা কি কুরবানী বাতিল করার ষড়যন্ত্রের পরিকল্পিত পদক্ষেপ!
পবিত্র কুরবানীর পর সিটি কর্পোরেশন ১১ দিনেও বর্জ্য অপসারণ করেনি। অথচ
তারাই ঘোষণা দিয়েছিলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুরবানীর বর্জ্য অপসারণ করবে। ৪৮
ঘণ্টার প্রতিশ্রুতি ২৬৪ ঘণ্টার মধ্যেও বাস্তবায়ন করেনি। এর পেছনে রহস্যটা
কি? এটা কি সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতা? নাকি তাদের পূর্ব পরিকল্পনা? আসুন
বিষয়টা খতিয়ে দেখা যাক।
পবিত্র ঈদের আগে ৬ অক্টোবর (২০১৪ ঈ.) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করেছে দুই সিটি কর্পোরেশন। ডিসিসি’র (উত্তর) পরিচ্ছন্ন বিভাগের সূত্রে জানানো হয়, ডিসিসি (উত্তর) তাদের নিজস্ব ১৭০টি খোলা ট্রাক ছাড়াও ডাম্প ট্রাক, প্রাইম মুভার, পে লোডার ও লং ট্রেইলরে করে বর্জ্য পরিবহন ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরেও কুরবানীর বর্জ্য সরানোর লক্ষ্যে আরো ছয়টি ডাম্প ট্রাক ও একটি প্রাইম মুভার ভাড়া নিয়ে বর্জ্য সরানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উত্তর ডিসিসি’র পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়াও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ময়লাবাহী অতিরিক্ত গাড়ি ও জীবাণুনাশক।
একই সংবাদে প্রকাশ হয়, দক্ষিণ ডিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কুরবানীর বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণে ১২৬টি খোলা ট্রাক, ৭৩টি কনটেইনার এবং পরিবেশ-বান্ধব ১৬টি জাপানি কমপ্যাক্ট গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।’ (সূত্র: বাসস)
তাহলে এতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহকারে পর্যাপ্ত জনশক্তিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের পরেও কেন ৪৮ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের কাজ ১১ দিনেও শেষ হলো না? এটাকে কখনো ব্যর্থতা বলা যাবে না, বরং এটা সুস্পষ্ট পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক পদক্ষেপ।
এবার আসুন, কেন এই পরিকল্পনা? তাদের উদ্দেশ্য কি? পবিত্র ঈদের ১১ দিন পর ডিসিসি যে উদ্ভট সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলো, তাতেই বর্জ্য অপসারণ না করার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৮ অক্টোবর (২০১৪) যায়যায়দিনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়- “নগরীর রাস্তাঘাটে আর পশু কুরবানী দেয়া যাবে না। আগামী বছর থেকেই ডিজিটাল কুরবানীর আয়োজন করবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।..দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।”
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ডিজিটাল কুরবানীর আয়োজন শুধু ডিসিসি কর্মকর্তাদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার আয়োজনই নয়, বরং মুসলমানদের পবিত্র কুরবানী বাতিল করার মহা পরিকল্পনা। যা রাজধানী দিয়ে শুরু করবে পরবর্তীতে সারা দেশে বাস্তবায়ন করবে।
এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনোই কুরবানী বাতিলের এ ষড়যন্ত্র মেনে নিবে না। সরকারকে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং এধরনের ইসলাম পরিপন্থী উদ্যোগ নেয়ার অপরাধে ডিসিসি’র উন্মাদদের বহিষ্কার করতে হবে এবং শাস্তি প্রদান করতে হবে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
পবিত্র ঈদের আগে ৬ অক্টোবর (২০১৪ ঈ.) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করেছে দুই সিটি কর্পোরেশন। ডিসিসি’র (উত্তর) পরিচ্ছন্ন বিভাগের সূত্রে জানানো হয়, ডিসিসি (উত্তর) তাদের নিজস্ব ১৭০টি খোলা ট্রাক ছাড়াও ডাম্প ট্রাক, প্রাইম মুভার, পে লোডার ও লং ট্রেইলরে করে বর্জ্য পরিবহন ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরেও কুরবানীর বর্জ্য সরানোর লক্ষ্যে আরো ছয়টি ডাম্প ট্রাক ও একটি প্রাইম মুভার ভাড়া নিয়ে বর্জ্য সরানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উত্তর ডিসিসি’র পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়াও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ময়লাবাহী অতিরিক্ত গাড়ি ও জীবাণুনাশক।
একই সংবাদে প্রকাশ হয়, দক্ষিণ ডিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কুরবানীর বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণে ১২৬টি খোলা ট্রাক, ৭৩টি কনটেইনার এবং পরিবেশ-বান্ধব ১৬টি জাপানি কমপ্যাক্ট গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।’ (সূত্র: বাসস)
তাহলে এতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহকারে পর্যাপ্ত জনশক্তিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের পরেও কেন ৪৮ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের কাজ ১১ দিনেও শেষ হলো না? এটাকে কখনো ব্যর্থতা বলা যাবে না, বরং এটা সুস্পষ্ট পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক পদক্ষেপ।
এবার আসুন, কেন এই পরিকল্পনা? তাদের উদ্দেশ্য কি? পবিত্র ঈদের ১১ দিন পর ডিসিসি যে উদ্ভট সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলো, তাতেই বর্জ্য অপসারণ না করার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৮ অক্টোবর (২০১৪) যায়যায়দিনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়- “নগরীর রাস্তাঘাটে আর পশু কুরবানী দেয়া যাবে না। আগামী বছর থেকেই ডিজিটাল কুরবানীর আয়োজন করবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।..দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।”
বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ডিজিটাল কুরবানীর আয়োজন শুধু ডিসিসি কর্মকর্তাদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার আয়োজনই নয়, বরং মুসলমানদের পবিত্র কুরবানী বাতিল করার মহা পরিকল্পনা। যা রাজধানী দিয়ে শুরু করবে পরবর্তীতে সারা দেশে বাস্তবায়ন করবে।
এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনোই কুরবানী বাতিলের এ ষড়যন্ত্র মেনে নিবে না। সরকারকে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং এধরনের ইসলাম পরিপন্থী উদ্যোগ নেয়ার অপরাধে ডিসিসি’র উন্মাদদের বহিষ্কার করতে হবে এবং শাস্তি প্রদান করতে হবে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন