মিডিয়া
এবং সন্ত্রাসবাদী যুক্তরাষ্ট্র মালালাকে মাথায় তুলে রাখলেও পাকিস্তানি
বংশোভূত ৯ বছরের অন্ধ শিশু নাবিলাকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। অথচ সেও
সন্ত্রাসবাদী হামলায় আহত হয়েছে। মালালার সাথে তার পার্থক্য শুধু এতটুকু যে,
মালালা আহত হয়েছে পাকিস্তানের তালেবান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠির হাতে।
অন্যদিকে নাবিলা আহত হয়েছে সন্ত্রাসবাদী মার্কিন সিআইএ পরিচালিত ড্রোন বোমা
হামলায়।
আদালতে ওই হামলার ঘটনা বর্ণনা করার সময় দোভাষী অনুবাদক কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেও মন গলেনি মার্কিন সরকারের। হামলার শিকার নাবিলার এই ট্রাজেডিকে পুরোপুরি এড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার, এড়িয়ে যায় মিডিয়া, আর কথিত মানবাধিকারের দল। যেটা মালালার ক্ষেত্রে হয়েছিলো সম্পূর্ণ বিপরীত।
সাক্ষ্য দেয়ার সময় ৯ বছরের নাবিলা একটা ছোট্ট প্রশ্ন করেছিলো, ‘আমার দাদি কী দোষ করেছিল?’ কিন্তু তার এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। নাবিলা যখন ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিচ্ছিলো সন্ত্রাসবাদী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তখন মার্কিন যুদ্ধবিমান নিয়ে বৈঠক করছিলো।
এবার আপনার চিন্তার মধ্যে নাড়া দিন, বোঝার চেষ্টা করুন- প্রকৃত সন্ত্রাসী কারা? মার্কিনিদের বোমায় আহত নাবিলাকে কেন যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করলো? আর মালালাকে কেন তারা মাথায় তুলে রাখে? মালালাও সন্ত্রাসী হামলার শিকার, নাবিলাও মার্কিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার। তাহলে দুজনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও মিডিয়ার দ্বৈতনীতি কেন? এতো বৈষম্য কেন?
এতেই প্রমাণিত হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সন্ত্রাসবাদী এবং মালালা তাদেরই এজেন্ট। আর মিডিয়াগুলো সন্ত্রাসবাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন