১) সাইক্লোন মহাসেন:
২০১৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ২ হাজার কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে এসে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আগেই কাবু হয়ে পড়ে। এ ঝড়টি শ্রীলঙ্কা-ভারতের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে প্রবল বৃষ্টি ঝরিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসে। কিন্তু বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এ ঝড়টি নির্বিঘেœই উপকূল অতিক্রম করে।
২) সাইক্লোন পাইলিন:
একই বছর (২০১৩ঈ.) অক্টোবরে এটি বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হয়ে ব্যাপক শক্তি সঞ্চার করে হানা দেয় ভারতে। ভারতের ইতিহাসে এত বড় ঝড় আর হয়নি। এটি বিশাল এলাকাজুড়ে এগুলেও অল্পের জন্য বাংলাদেশের সাথে বেয়াদবি করেনি, আদবের সাথে পাশ কেটে চলে যায়। সুবহানাল্লাহ!
৩) ঘূর্ণিঝড় লেহার:
একই বছর (২০১৩ঈ.) নভেম্বরে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপত্তি হয়ে ১২০ কি.মি বেগে আঘাত হানে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা ছিলো এটা বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসবে। সতর্ক সংকেতও দেয়া হয়, কিন্তু সেটা বাংলাদেশের দিকে না এসে চলে গেছে ভারতের দিকে। সুবহানাল্লাহ!
৪) সাইক্লোন হেলেন:
এটিও ২০১৩ সালের নভেম্বরেই উৎপত্তি হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দিকে না এসে রওনা দেয় ভারতের দিকে। সুবহানাল্লাহ!
৫) ঘূর্ণিঝড় মাদি:
লেহার, হেলেনরা আঘাত হানার একমাস পরেই ‘মাদি’র পরাঘাত। এটি উৎপত্তি হওয়ার পর তার গতি ছিলো স্পষ্ট বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ঘূর্ণিঝড়টি ইউটার্ন নিয়ে ভারতের দিকে ফিরে যায়। সুবহানাল্লাহ!
৬) ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ:
চলতি ২০১৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষে এর উৎপত্তি। শুরুতে অনেকের ধারণা ছিলো হুদহুদ বাংলাদেশে আঘাত হানবে। কিন্তু বাংলাদশে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং ভারতের অনেক অঞ্চল তছনছ করে দিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, কাফির-মুশরিকরা যতোই বাংলাদেশকে দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলে ভয় ভীতি দেখাক, প্রকৃতপক্ষে তারাই এসব দুর্যোগরূপী খোদায়ী গযবে ধ্বংস হচ্ছে। আর বাংলাদেশ বরাবরই থাকছে কুদরতী নিরাপত্তার ছায়াতলে। কারণ এদেশে অবস্থান করছেন, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ, বর্তমান যামানার মহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তারকারাজি হচ্ছে আসমানের নিরাপত্তাদানকারী আর সম্মানিত আওলাদে রসূলগণ উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী। সুতরাং যখন হযরত আহলু বাইত শরীফ উনারা (দুনিয়া থেকে) চলে যাবেন তখন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন