মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রাণীকুলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে তারাই, যারা কাফির-মুশরিক।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৫৫)
সুতরাং এদেশে দুই ভাগেরও কম সংখ্যক হচ্ছে নাপাক ও পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট জীব মুশরিক হিন্দু। একজন পবিত্র বা পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির সাথে যেমন নাপাক ব্যক্তি বেমানান, তদ্রƒপ ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে দুই ভাগেরও কম সংখ্যক নাপাক জাত হিন্দুরা বেমানান ও পরিত্যাজ্য।
আরো উদ্বেগের বিষয় যে, এদেশে প্রকাশ্যে হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠান চলে; যা কিনা অশ্লীলতায়, বেহায়াপনায় আর নারী-মদের সংমিশ্রণে পাপ কর্মকান্ডে পরিপূর্ণ। হিন্দুরা মুসলমানদের সাথে থাকার কারণে এসব কুকর্মে তারা মুসলমান ছেলেদের নারী, মদ, অশ্লীলতার সুযোগ করে দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ পায়। এভাবে হিন্দুদের পূজায় গিয়ে অশ্লীলতা বেহায়পনা দেখে মুসলমান ছেলে-মেয়েদের চরিত্র নষ্ট হয়, তার আগে ঈমানহারা হয় সেও মুশরিকে পরিণত হয়। এছাড়াও যখন পূজা চলে তখন মন্দিরের আশপাশের লোকজন শব্দ দূষণে অতিষ্ট হয়ে যায়। ঢোল-বাদ্য আর হৈ-চৈ শব্দে হাসপাতালের রোগীদের সমস্যা হয়, হিন্দুদের উলু ধ্বনিতে শিশুদের মনে ভীতি সৃষ্টি করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার বিঘœ ঘটে, সামগ্রিকভাবে পরিবেশ দূষিত হয়।
বলাবাহুল্য, এদেশে হিন্দুদের পূজা মন্ডপগুলো বন্ধ করতে না পারলে দিনে দিনে অশ্লীলতা, বেহায়পনা, পতিতাবৃত্তি, মাদকের মহামারি ক্রমশ বাড়তেই থাকবে, কখনো কমবে না। আর এদিক দিয়ে নষ্ট হতে থাকবে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার মুসলিম যুব সমাজ।
কাজেই হিন্দুদের পূজা, পূজা মন্ডপ এদেশে আর করতে দেয়া যাবে না, তাদের পূজা অনুষ্ঠানগুলো প্রকাশ্যে করা নিষিদ্ধ করতে হবে, নাপাক হিন্দুদের ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বারো আউলিয়ার এ পুণ্যভূমিতে কোনো প্রকারে শিরকী কর্মকা- হতে দেয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪০ভাগ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মুসলমানদের কুরবানী করা নিষিদ্ধ করতে পারলে বাংলাদেশে জনসংখ্যার ২ ভাগের কম সংখ্যক হিন্দুদের পূজা প্রকাশ্যে করাটা নিষিদ্ধ হওয়া কঠিন কিছু নয়; বরং স্বাভাবিক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন