‘বাল্যবিবাহের কারণে মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধি পায়’ বিষয়টা শুধু মিথ্যাই নয়, বরং পরিকল্পিত অপপ্রচার। বাল্যবিয়ের সাথে মায়ের মৃত্যুর কোনো সম্পর্কই নেই। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে দেশের হাসপাতালগুলো, পূর্ববর্তী প্রজন্ম এবং পশ্চিমাদেশগুলো। আপনার পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল গিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে পারেন। সেখানে আপনি যে বিষয়টা অনুসন্ধান করবেন সেটা হচ্ছে- যে সকল মা সন্তান জন্মদানের সময় মারা যাচ্ছে তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে কিনা? আর ১৮’র নিচে কোনো মা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মারা গেছে কিনা?
এরপরে পূর্ববর্তী প্রজন্মের মধ্যে, আপনার-আমার দাদি-নানিদের দিকে অথবা উনাদেরও পূর্বেকার প্রজন্মের দিকে খেয়াল করুন, প্রয়োজনে এ ব্যাপরে তাঁদের সাক্ষাৎকার নিন। প্রত্যেকের ছিলো ১১-১২টা করে সন্তান, প্রত্যেকেই নরমাল ডেলিভারি এবং উনাদের বিয়ে কিন্তু ১০-১১ বছর বয়সেই হয়েছিলো। এবং সেসময় চিকিৎসা ব্যবস্থাও ততো উন্নত ছিলো না।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৩৮ সালে যখন বিয়ে করে তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮ বছর, আর তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা ফজিলাতুন্নেসার বয়স ছিলো মাত্র ৮ বছর। এরপর বাল্য বয়সেই প্রথম যে সন্তানকে জন্ম দেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরে আরো ৪ সন্তান। বলাবাহুল্য, শৈশবকালে সন্তান জন্মদানে উনাকে মৃত্যুর সাথে লড়তে হয়েছিলো এমন কোনো ইতিহাসও নেই।
সুতরাং বাল্যবিবাহের কারণে যদি ‘মাতৃমৃত্যু’ হতো তবে শেখ মুজিব পরিবারের জন্ম হতো না। আমাদের প্রজন্মের সৃষ্টি হতো না।
এছাড়া পশ্চিমা বিশ্বে ১০-১১ বছরে মা হওয়ার খবর গুড নিউজ হিসেবে প্রায়শই হাইলাইট করে প্রকাশ করা হয়। সেখানে কিন্তু এর বিরুদ্ধে কথিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোনো কথা বলে না।
সুতরাং যারাই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের প্রচারণা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক, এবং মিথ্যা। তারা চায় বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের মতো খাছ সুন্নতী প্রথাকে বন্ধ করে দিয়ে সারাদেশে অনৈতিকতা চালু করতে। তারা চায় না মুসলিম দেশের জনসংখ্যা তথা মুসলমানদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি হোক। নাউযুবিল্লাহ!
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন