প্রসঙ্গত ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ তথা কাফির-মুশরিকদের অবস্থা হচ্ছে কুকুরের মতো। এরা শিশুকাল থেকেই শুরু করে অবৈধ মেলামেশা, বৃদ্ধ হয়েও মৃত্যু পর্যন্ত অপকর্ম চালিয়ে যায়। এরমধ্যে অসংখ্য বাচ্চা জন্ম দেয়। তাদের এই অবৈধ জারজ সন্তান উৎপাদনে কাফির রাষ্ট্রগুলো সরকারিভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে এবং অবৈধ সন্তানদের সরকারিভাবে বৈধতাও দিয়ে থাকে। উদ্দেশ্য তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। কিন্তু তারপরেও রহস্যজনক কারণে তাদের সংখ্যা বাড়ে না।
অপরদিকে বৈধভাবে অর্থাৎ শরীয়তসম্মতভাবে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাফিররা মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর জন্য বহু বর্বরোচিত গণহত্যার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এখনো গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো যেসব দেশে হত্যাকা- চালাতে পারছে না, সেখানে তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা (দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়), সিজারে (অপারেশনে) সন্তান প্রসব পদ্ধতি, বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহীকরণ প্রচারণা ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম জোরালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত বলতে হয়, খাছ সুন্নীত বাল্যবিবাহের সাথে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার একটা সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এটা কাফির-মুশরিকরা খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছে যে, মুসলিম দেশগুলোতে ছোট বেলা থেকেই যদি একজন মেয়ে সন্তানের মা হতে করে তাহলে প্রাপ্তবয়স্কা হওয়া পর্যন্ত তার অন্তত ১০-১২ জন সন্তান হতে পারে। এভাবে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরবর্তীতে একসময়ে পৃথিবীর সুপার পাওয়ার তথা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চলে যাবে মুসলমানদের হাতে। সুতরাং তারা চক্রান্ত করে কিছু আন্তর্জাতিক আইন করেছে যার মধ্যে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ একটি।
আন্তর্জাতিক আইন বলা হলেও এসব কেবল মুসলিম দেশগুলোতেই কঠোর চাপ দিয়ে বাস্তবায়ন করানো হয়। কাফির রাষ্ট্রগুলোতে এসব আইন নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশেও এ আইনটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে সদা সক্রিয় থাকে এনজিওসহ কিছু মহল। এ আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে, মাতৃমৃত্যু, অল্প বয়সে শরীর ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদির ভয় দেখানো হয়।
বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে- স্বয়ং যিনি মানব জাতির সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মনোনীত দ্বীন ইসলামে বিয়ের জন্য কোনো বয়স বেঁধে দেননি। যে কোনো বয়সে যে কেউ বিয়ে করতে পারেন। এছাড়া বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নত। সুতরাং এর মধ্যেই খায়ের বরকত আছে।
তাই আসুন, বাল্যবিবাহসহ কাফিরদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা রুখে দেই এবং কাফিরদের আরোপিত সকল আইন বাতিল করার দাবি জানাই। মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি অবশ্যই আমাদের সহায় হবেন।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন