সত্য
কখনো চাপা থাকে না। মুসলমানদের চির শত্রু হিন্দুরা এদেশে অতিরিক্ত
সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য নানা ধরনের চক্রান্ত করে নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন
ঘটনা ঘটায়। এমনই একটি বহুল প্রচারিত ঘটনা ছিলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার
হিন্দু কিশোরী পূর্ণিমা সম্ভ্রমহরণের ঘটনা। ২০০১ সালের ঐ ঘটনাটি নিয়ে
ভারতের দালাল মিডিয়াগুলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলো।
অথচ (ঘটনার ১৩ বছর পর) সম্প্রতি এর নেপথ্যে সত্য ঘটনাটি প্রকাশ হয়েছে। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিন্দু কিশোরী পূর্ণিমা নিজের মুখেই স্বীকার করেছে যে, তাকে শুরুতে ২০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। পূর্ণিমার মা-বাবাও বিষয়টা স্বীকার করেছে। পূর্ণিমার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, এলাকার মেম্বার, পৌর চেয়ারম্যান সবার একই কথা, ‘ঐ দিন দুই-প্রতিবেশীর মধ্যে একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো, কিন্তু পূর্ণিমা সম্ভ্রমহানীর শিকার হয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তবে পরিকল্পিতভাবে এমন একটি ঘটনা সৃষ্টি করার জন্য পূর্ণিমা ডাক্তারি পরীক্ষা দেয়ার আগে অন্য পুরুষের সাথে দৈহিক মেলামেশা করেছে।’ এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেছে ডাক্তার।
অথচ এ ঘটনায় ২০১১ সালে ১১ জন মুসলমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। হিন্দুরা এখনো কথায় কথায় এই পূর্ণিমার কথা নিয়ে আসে এবং বলে, দেখুন! হিন্দুরা বাংলাদেশে কত নির্মম নির্যাতনের শিকার। মুসলমানরা হিন্দুদের উপর কত নির্যাতন করে!”
শুধু তাই নয়, এ ঘটনা প্রচার করে হিন্দুরা ও কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী দেশ হিসেবে প্রচার করেছে।
যাই হোক, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী এ ঘটনাটিকে অনেকে রাজনৈতিক বলেও প্রচার করে; কিন্তু আমার কথা হচ্ছে- এটি রাজনৈতিক হলে হিন্দুরা কেন এটাকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে সারা বিশ্বে প্রচার করলো? কেন এখনো এটাকে পুঁজি করে মুসলমানদের উপর আঘাত করার চেষ্টা করে? কেন শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের দেশ’ হিসেবে অপপ্রচারণা চালালো?
মূলত এসমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে রটানো হিন্দুদের চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন