সরকার আগামী বছর পবিত্র কুরবানীর পশুকে পশ্চিমা খ্রিস্টানদের অনুকরণে
ডিজিটাল(!) পদ্ধতিতে জবেহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কথিত পরিবেশ দূষণের
অযুহাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ডিসিসি’র কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা নগরীর
সকল কুরবানীদাতার পশু নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী ব্যবস্থা করবে। সেখান
থেকেই পশুর গোশত প্রক্রিয়াজাত করে বাসায় নিয়ে যাবেন কুরবানীদাতাগণ। বিপুল
সংখ্যক পশু জবাই করার জন্য বিদেশ থেকে আনা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। লাখ লাখ
কুরবানীদাতাকে আগে থেকেই ডিসিসিতে পশু কুরবানী দেয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত
করতে হবে। তালিকাভুক্তদের একটা সিরিয়াল নাম্বার দেয়া হবে। সে নাম্বার
দেখিয়ে যার যার গোশত নিয়ে যাবে।
কী আজব দেশে বাস করছি আমরা! এসব পাগলের কা- ছাড়া আর কি হতে পারে? এটা একটা মূর্খলোকও নিশ্চিত বলতে পারবে যে, এ পদ্ধতিতে পশু ‘জবাই’ হবে কিন্তু কুরবানী হবে না। কারণ কুরবানীর পশুকে শোয়ানো থেকে শুরু করে জবাই করার পর পর্যন্ত অনেক নিয়ম কানুন ও শর্ত আছে, যা পালন করা বাধ্যতামূলক, এর ব্যতিক্রম হলে কুরবানী হবে না। যেমন, (১) জবেহ করার আগে কুরবানীর পশুর পা পশ্চিম দিকে থাকতে হবে, (২) জবেহর পূর্বে পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে থাকা শর্ত, ব্যতিক্রম হলে কুরবানী হবে না, (৩) পশুর সীনার উপরিভাগ এবং রক্তনালীর মাঝামাঝি স্থানে যবেহ করতে হবে, (৪) গলাতে চারটি রগ রয়েছে, খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটি নালীর মধ্যে তিনটি অবশ্যই কাটতে হবে, অন্যথায় কুরবানী হবে না, (৫) কুরবানীর নিয়ত অবশ্যই করতে হবে (মুখে উচ্চারণ করে হোক অথবা মনে মনে হোক), (৬) কুরবানীর দোয়া পড়ার পর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে পশু জবেহ করতে হবে। (৭) দম যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পশুকে ছুরি দিয়ে খোঁচানো, চামড়া কাটা শুরু করা অর্থাৎ পশুকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনার কুরবানী করবে সরকারি কসাই, অনেকটা কমিউনিটি সেন্টারের মুরগি জবাইয়ের মতো।
পবিত্র কুরবানী মুসলমানদের অন্যতম একটি আমল, যার সাথে অন্তরের পবিত্রতা, তাক্বওয়া (খোদা ভীতি) জড়িত। যার ফলে এটি মহান অল্লাহ পাক উনার নিকট অতি পছন্দনীয়। তাই এই কুরবানী করার জন্য তর্জ-তরীক্বা ইসলামী শরীয়তে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। কাজেই যারা কুরবানীর এ শরীয়তসম্মত পদ্ধতিকে ‘সনাতন পদ্ধতি’ বলে এবং এর পরিবর্তন চায় তারা নিঃসন্দেহে ইসলামবিদ্বেষী ও পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ৯৭ভাগ মুসলমান কখনোই এসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না। তাই এ সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল ঘোষণা করতে হবে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
কী আজব দেশে বাস করছি আমরা! এসব পাগলের কা- ছাড়া আর কি হতে পারে? এটা একটা মূর্খলোকও নিশ্চিত বলতে পারবে যে, এ পদ্ধতিতে পশু ‘জবাই’ হবে কিন্তু কুরবানী হবে না। কারণ কুরবানীর পশুকে শোয়ানো থেকে শুরু করে জবাই করার পর পর্যন্ত অনেক নিয়ম কানুন ও শর্ত আছে, যা পালন করা বাধ্যতামূলক, এর ব্যতিক্রম হলে কুরবানী হবে না। যেমন, (১) জবেহ করার আগে কুরবানীর পশুর পা পশ্চিম দিকে থাকতে হবে, (২) জবেহর পূর্বে পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে থাকা শর্ত, ব্যতিক্রম হলে কুরবানী হবে না, (৩) পশুর সীনার উপরিভাগ এবং রক্তনালীর মাঝামাঝি স্থানে যবেহ করতে হবে, (৪) গলাতে চারটি রগ রয়েছে, খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটি নালীর মধ্যে তিনটি অবশ্যই কাটতে হবে, অন্যথায় কুরবানী হবে না, (৫) কুরবানীর নিয়ত অবশ্যই করতে হবে (মুখে উচ্চারণ করে হোক অথবা মনে মনে হোক), (৬) কুরবানীর দোয়া পড়ার পর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে পশু জবেহ করতে হবে। (৭) দম যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পশুকে ছুরি দিয়ে খোঁচানো, চামড়া কাটা শুরু করা অর্থাৎ পশুকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনার কুরবানী করবে সরকারি কসাই, অনেকটা কমিউনিটি সেন্টারের মুরগি জবাইয়ের মতো।
পবিত্র কুরবানী মুসলমানদের অন্যতম একটি আমল, যার সাথে অন্তরের পবিত্রতা, তাক্বওয়া (খোদা ভীতি) জড়িত। যার ফলে এটি মহান অল্লাহ পাক উনার নিকট অতি পছন্দনীয়। তাই এই কুরবানী করার জন্য তর্জ-তরীক্বা ইসলামী শরীয়তে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। কাজেই যারা কুরবানীর এ শরীয়তসম্মত পদ্ধতিকে ‘সনাতন পদ্ধতি’ বলে এবং এর পরিবর্তন চায় তারা নিঃসন্দেহে ইসলামবিদ্বেষী ও পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ৯৭ভাগ মুসলমান কখনোই এসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না। তাই এ সিদ্ধান্ত অতিসত্বর বাতিল ঘোষণা করতে হবে।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন