পবিত্র কুরবানী ও পবিত্র ঈদুল আযহা উনাদের ফযীলত থেকে মুসলমানদেরকে মাহরূম করার জন্যই কি ‘ডিজিটাল কুরবানী’?
উল্লেখ্য, উক্ত পদ্ধতির কারণে শরীয়তসম্মত কায়দায় নিজের কুরবানী নিজে করার সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না, আর বাধ্য হয়েই বিজাতীয় পদ্ধতিতে পবিত্র কুরবানীর পশু জবাই করতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ! এখানে বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, শরীয়া মোতাবেক নিয়ম মেনে পশু কুরবানী না করলে শুধু পশুর গলা কাটা হবে কিন্তু কুরবানী হবে না।
মূলত, ইউরোপ-আমেরিকাসহ কাফির রাষ্ট্রগুলোতে মুসলমানদের সম্মানিত কুরবানীকে অবজ্ঞা করা হয় এবং পরিবেশ দূষণের গুজব ছড়িয়ে শহর থেকে দূর এলাকায় কসাইখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু যে দেশে ৯৭ ভাগ মুসলমান, সেখানে কেন এ পদ্ধতি চালু হবে? আর নতুন পদ্ধতিতে কুরবানী করলে বাজার থেকে কিনে আনার মতো গোশত পাওয়া যাবে, কিন্তু কুরবানীর হক্ব আদায় হবে না এবং ফযীলতপূর্ণ এ আমলটি আদায় হবে না অর্থাৎ এককথায় কুরবানী হবে না।
মূলত, পরিবেশ দূষণের অজুহাত দিয়ে মুসলমানদের পবিত্র ঈদের ভাবগাম্ভীর্যতা এবং কুরবানী নষ্ট করা ভারতীয় মুশরিকদের একটা ষড়যন্ত্র এবং দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। কেননা, পরিবেশ দূষণের পেছনে সিটি কর্পোরেশনের অব্যবস্থাপনা, গাফলতি, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবসহ হাজারো কারণ জড়িত। কিন্তু শুধু কুরবানী নিয়ে তাদের এত .চুলকানি কেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজলেই কথিত ডিজিটাল কুরবানীর হেতু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
সুতরাং দেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান উনাদের প্রশ্নের তীরের মুখে পড়ার আগেই সরকারকে এ সিদ্ধান্তসহ পবিত্র কুরবানী নিয়ে সকল চক্রান্তের .অবসান ঘটাতে হবে। সদ্য বহিষ্কৃত ইসলামবিদ্বেষী মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবীর পরিণতি থেকে সরকারকে নছিহত গ্রহণ করতে হবে।
- লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন