প্রসঙ্গত, ইরাকের আইএসআইএস’র কথিত যৌনদাসি ব্যবহারের খবর নিয়ে তাদের উল্লাস উদ্দীপনা আর চেঁচামেচির শেষ নেই। অথচ এই কথিত আইসিস প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের কোনো সংগঠন নয়, এমনকি প্রখ্যাত কোনো ইসলামী ব্যক্তিত্বও সেই দলের নেতৃত্বদানকারী নয়, একই সাথে তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমগুলোও ইসলাম সমর্থন করে না। তাহলে কথিত আইএস’র নামে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলার কি যোক্তিকতা থাকতে পারে?
অথচ হিন্দুদের মন্দিরগুলোতে সেবাদাসি রাখা একটি ধর্মীয় দায়িত্ব। এ সেবাদাসিদের হিন্দুরা দেবদাসি বা কথিত ইশ্বরের দাসি উপাধি দিয়েছে। অথচ এ মেয়েগুলোর কাজ হচ্ছে মন্দিরের পুরোহিতদের সাথে অবাধে দেহদান অপকর্ম করা। শিশু বয়স থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া অবধি এরা মন্দিরের কথিত চিরকুমার পুরোহিতদের দেহদান করতে থাকে। মাঝ বয়সী হয়ে গেলে এ সেবাদাসিদের স্থান হয় পতিতালয়ে বা জীবনকাটে ভিক্ষাবৃত্তিতে।
হিন্দুদের যদি আর কোনো কাজ নাই থাকে, তবে নিজের মেয়ে বা বোনকে এভাবে লম্পট পুরোহিতদের হাতে তুলে দেয়ার যে কুসংস্কার বা জঘন্য বিশ্বাস তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করা। যেমন হিন্দুরা একসময় কোনো মেয়ের স্বামী মারা গেলে সে মেয়েকেও মৃত স্বামীর সাথে জীবিত পুড়িয়ে মারায় বিশ্বাস করতো, কিন্তু এখন থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন পুড়িয়ে মারার চেয়ে সেই মেয়েকে সেবাদাসির নামে পতিতা হওয়াও ভালো বলে বিশ্বাস করে। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই হিন্দুদের বলছি- তোরা মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণে সময় নষ্ট না করে, বরং মুসলমানদের থেকে সভ্যতা শিখে তোদের কল্পিত ধর্মটাকে মেরামত কর, বর্বরতা থেকে সভ্যতার মধ্যে আসতে পারিস কিনা, সে চেষ্টা কর।
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন