পাট
বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। সেই সোনালী আঁশ কি এখনো সেই ঐতিহ্যে বহাল আছে?
নেই। এই পাট ও পাট শিল্প রপ্তানি করে আমাদের দেশে একসময় যে পরিমাণ বৈদেশিক
মূদ্রা অর্জন হতো তা অব্যাহত থাকলে এতোদিনে হয়তো আমরা এশিয়ার সবচেয়ে বড়
অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতাম। কিন্তু দাঁড়ানোর আগেই
কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে গণতান্ত্রিক বিশ্ব মোড়লরা। কেন হঠাৎ বাংলাদেশে পাট
উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল, আর রপ্তানিতেও ধস নামলো? এর রহস্য নিয়ে অনেকে ধারণা
ব্যক্ত করে লেখালেখি করেছেন, অনেক গতানুগতিক সভা সেমিনার হয়েছে কিন্তু
সম্প্রতি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আসল তথ্য প্রকাশ করলেন। তাও
প্রকাশ করেছেন ষড়যন্ত্রটা বিএনপি’র শাসনামলে হয়েছে বলে।
যাই হোক প্রধানমন্ত্রী যে তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন তা শুনলে দেশপ্রেমিক যে কেউ আঁতকে উঠবে। গণতান্ত্রিক শাসকরা নিজ স্বার্থে কিনা করতে পারে!
১২ অক্টোবর ২০১৪ঈ. তারিখে বিডিনিউজ ২৪.কম-এ প্রচারিত খবরের চৌম্বক অংশগুলো এখানে তুলে ধরা হলো-
বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো ১৯৯১ সালে। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, ক্ষমতায় বিএনপি ছিল। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে একটা মেমোরেন্ডাম সই করে আসে সরকার। সেখানে ছিল- বাংলাদেশের পাটকলগুলি ধীরে ধীরে সব বন্ধ করে দেয়া হবে। আড়াই লক্ষ বেল পাট রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।”
“মজার বিষয় হলো, একই মেমোরেন্ডামে ভারতের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের যে চুক্তি- সেখানে ছিল, তারা ভারতে নতুন নতুন পাটকল করতে সহায়তা দেবে এবং আড়াই লক্ষ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য তারা রপ্তানি করতে পারবে।”...
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কাছে এখনো বোধগম্য না, কেন একটা দেশের সরকার এই ধরনের সমঝোতা স্মারকে সই করে আসে। যে বাজার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে, সে বাজার আমি ছেড়ে দিচ্ছি অন্য একটা দেশকে। আর কীভাবে? আমাদের নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিকে বন্ধ করে দিয়ে।”
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, “আমাদের পাট নিয়েই চায়না থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ অনেক উন্নতমানের বস্ত্র তৈরি করছে।”
এসবই ষড়যন্ত্রই হচ্ছে ইহুদী-মুশরিক নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংকের। এই বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শেই ১৯৯৩ সাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া শুরু হয়।
ওই বছর বেসরকারিকরণ বোর্ড (পরে বেসরকারিকরণ কমিশন) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৭৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪টি কারখানা সম্পূর্ণ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এসবই সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসন (শোষণ) ব্যবস্থার সুবাদে। জনগণ ভোট দিবে আর সরকার ক্ষমতায় গিয়ে এসব কীর্তি করবে- এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।
যাই হোক প্রধানমন্ত্রী যে তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন তা শুনলে দেশপ্রেমিক যে কেউ আঁতকে উঠবে। গণতান্ত্রিক শাসকরা নিজ স্বার্থে কিনা করতে পারে!
১২ অক্টোবর ২০১৪ঈ. তারিখে বিডিনিউজ ২৪.কম-এ প্রচারিত খবরের চৌম্বক অংশগুলো এখানে তুলে ধরা হলো-
বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো ১৯৯১ সালে। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, ক্ষমতায় বিএনপি ছিল। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে একটা মেমোরেন্ডাম সই করে আসে সরকার। সেখানে ছিল- বাংলাদেশের পাটকলগুলি ধীরে ধীরে সব বন্ধ করে দেয়া হবে। আড়াই লক্ষ বেল পাট রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।”
“মজার বিষয় হলো, একই মেমোরেন্ডামে ভারতের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের যে চুক্তি- সেখানে ছিল, তারা ভারতে নতুন নতুন পাটকল করতে সহায়তা দেবে এবং আড়াই লক্ষ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য তারা রপ্তানি করতে পারবে।”...
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কাছে এখনো বোধগম্য না, কেন একটা দেশের সরকার এই ধরনের সমঝোতা স্মারকে সই করে আসে। যে বাজার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে, সে বাজার আমি ছেড়ে দিচ্ছি অন্য একটা দেশকে। আর কীভাবে? আমাদের নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিকে বন্ধ করে দিয়ে।”
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, “আমাদের পাট নিয়েই চায়না থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ অনেক উন্নতমানের বস্ত্র তৈরি করছে।”
এসবই ষড়যন্ত্রই হচ্ছে ইহুদী-মুশরিক নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংকের। এই বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শেই ১৯৯৩ সাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া শুরু হয়।
ওই বছর বেসরকারিকরণ বোর্ড (পরে বেসরকারিকরণ কমিশন) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৭৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫৪টি কারখানা সম্পূর্ণ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এসবই সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসন (শোষণ) ব্যবস্থার সুবাদে। জনগণ ভোট দিবে আর সরকার ক্ষমতায় গিয়ে এসব কীর্তি করবে- এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন