সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঈদে মিলাদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জেনে নিন পবিত্র ঈদে মিলাদ নিয়ে লিখিত কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম

ইদানীং সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ওয়া ঈদে আ’যম পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার নাম শুনলে কিছু লোক বিদয়াত বিদয়াত বলে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে থাকে। আরে বলে কিতাবে নেই, পূর্বের কোনো আউলিয়াগণ করেননি ইত্যাদি ইত্যাদি নানা মিথ্যা কথা বলে থাকে।  কিন্তু বাস্তবতা হলো- নববী যুগ থেকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ, যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম-মুজাতাহিদগণ, উলামায়ে কিরামগণ উনারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলের আয়োজন করেছেন, এতে শরীক হয়েছেন এবং এসব বরকতময় আমলের পক্ষে কিতাবও রচনা করেছেন। এখানে ঐ সকল মহান উলামায়ে কিরামগণ উনাদের কয়েকটি বিখ্যাত কিতাবের নাম উল্লেখ করা হলো। ১) হাফিযুল হাদীছ হযরত শিহাবুদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুর রহমান বিন ইসমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব- আল বাইস আলা ইনকারি বিদাই ওয়াল হাওয়াদিস। ২) হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব- হুসনুল মাকসাদ ফী আমালিল মাওলিদ লিস সুয়ূতী। ৩) হাফিযুল হাদীছ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব আল হাবী লিল ফতওয...

আবু লাহাব কোন আমলের কারণে জাহান্নামে থেকেও সপ্তাহে একদিন জান্নাতী নিয়ামত লাভ করছে?

আমরা সবাই আবু লাহাবের কথা জানি, যে একজন চরম নিকৃষ্ট কাফির! হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওয়াত মুবারক প্রকাশ করার পর থেকে সে ক্রমাগত বিরোধিতায় লিপ্ত ছিলো ! শুধু তাই নয় এই কাফির আবু লাহাব স্বপরিবারে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চরম বিরোধিতা করতো !! তখন আল্লাহ পাক এই আবু লাহাব এবং তার স্ত্রীর ধ্বংস ঘোষণা করে সূরা লাহাব নামে একটি সূরা নাজিল করে দিলেন ! এছাড়া সূরা বাক্বারাহ এর প্রথম দিককার কিছু আয়াত শরীফও আবু লাহাবের এই নোংরা কার্যক্রমের ব্যাপারে নাজিল হয় ! অথচ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিলাদত শরীফ (জন্ম) লাভ করেন তখন এই আবু লাহাব নিজের ভাই হযরত সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পুত্রের বিলাদত শরীফ (জন্ম) উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করে ! তবে সে এই খুশি কিন্তু উনাকে নবী হিসাবে মেনে নিয়ে করে নি, সে খুশি হয়েছিল নিজের ভাইয়ের পুত্র সন্তান হওয়ার উপলক্ষ্যে !! আর এই খুশি প্রকাশ করাটাই তার জন্য অনন্তকালব্যাপী একটি বিশেষ সুসংবাদের বিষয় হিসাবে প্রমানিত হয়েছে !! আসুন এবার আমরা সহীহ হাদীস শরীফ থেকে দেখি কী ঘটনা ঘটেছিলো — হয...

দ্বাদশ হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন (পর্ব-৫)

হযরত ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ। তাঁর উল্লেখযোগ্য লক্বব মুবারকের মধ্যে কয়েকটি লক্বব হলো ইমামুল হিন্দ, আরিফুর রব্বানী, হুজ্জাতুল ইসলাম ইত্যাদি। পবিত্র হাদীস শরীফের মাঝে এসেছে -  “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি আমার উম্মতের জন্য প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন করে মুজাদ্দিদ (সংস্কারক) প্রেরণ করবেন। যিনি সম্মানিত দ্বীন উনার তাজদীদ (সংস্কার) করবেন।”   (আবু দাউদ শরীফ) হযরত ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ভারতীয় উপমহাদেশের "ইলমী জনক" হিসাবেও অভিহিত করা হয়। তিনি প্রচুর কিতাব লিখে রেখে গেছেন। বর্গী মারাঠাদের অত্যাচার থেকে মুসলিমদেরকে হিফাজত করার উদ্দেশ্যে তিনি আহমেদ শাহ দুররানির কাছে চিঠি লেখেন; পরিণামে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে বর্গী মারাঠাদের পরাজয় হয়।  উনার সময়কালে তিনি নিজে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। এমনকি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ যিয়ারতকালে সেখানে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ঘটনা উনার কিতাবে ...

ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সোনালী ইতিহাস (পর্ব ৩)

বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর সময় রাজকীয়ভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো!  ১৫”শ ঈসায়ী সালেও আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে জাতীয়ভাবে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো যার বর্ণনা শুনে মনে হয় যে সেই উদযাপন বাদশা মালেক মুজাফরর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চাইতেও বেশি রাজকীয় ছিল!  বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত  “বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস”  বইয়ের  ২য় খন্ডে ১৯৭ পৃষ্ঠায়  তাকালে আমরা দেখতে পাইঃ ১) বাংলার মুসলমানগন অত্যান্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে ও ধুমধামের সাথে ঈদে মীলাদ পালন করতো। ২) নবাব এই দিনকে বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পালনের ব্যবস্থা করেন। ৩) রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম ১২ দিন পালনের ব্যবস্থা করেন। ৪) এই উপলক্ষ্যে তিনি সম্পূর্ণ মুর্শিদাবাদ শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা আলোকমালায় সজ্জিত করতেন। ৫) ১ লক্ষ মানুষ শুধু আলোক সজ্জার কাজে নিয়োজিত থাকতেন। ৬) কামান গর্জনের মাধ্যমে সড়ক ও নদীপথ আলোকিত হয়ে উঠতো। ৭) মুসলমান শাসনকর্তাগণ ও জনসাধারণগণ এই বিরাট আয়োজনে শামিল হয়...