সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মীলাদুন্নবী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীরা প্রকৃতপক্ষে মুসলমান নয়

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হারাম কাজ থেকে দূরে সরে থাকে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান উনার পরিচয়।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, “এরপর পবিত্র ঈমান উনার আর সরিষা পরিমাণ অংশও অবশিষ্ট থাকে না।” বলা বাহুল্য, পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ শিরকের মতো অমার্জনীয় পাপ করে, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি মানুষ জঘন্যতম হারামে নিমজ্জিত হয়। ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ কে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষ নিকৃষ্ট পাপকর্মে লিপ্ত হয়। খেলাধুলার নামে হাজার কোটি টাকার অপচয় হয়। নাটক-সিনেমা, গান-বাজনা, টেলিভিশনের মাধ্যমে মুসলমানদের চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সমস্ত হারাম কাজ প্রকাশ্যে হচ্ছে যত্রতত্র। কিন্তু পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন নিয়ে যারা বিরোধিতা করে তারা কী কখন এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে? কেউ দেখেছ...

কাফিরদের প্রবর্তিত দিবস নয়, শান্তি পেতে হলে সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে

মুসলমানদের আজ এতো করুণ অবস্থা কেন? তারা শান্তির পথ ছেড়ে অশান্তির পথে চলছে অর্থাৎ  রহমতের পথ ছেড়ে গযবের পথ ধরেছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি মানব জাতির প্রকৃত শান্তি ও কামিয়াবীর সবচেয়ে সহজ পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তা হলো রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আর মাত্র একদিনপর আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ দিবস তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, সে খবর কি মুসলমানদের আছে? তাহলে মুসলমানরা রহমত (শান্তি) পাবে কিভাবে? গাফিল মুসলমানদের জন্য আফসোস! কয়েকদিন আগে অনেকে অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বরের ছুটি উপভোগ করেছে, সম্প্রতি থার্টি ফার্স্ট নাইটে কাফিরদের অনুকরণে উৎসব করেছে এবং কাফিরদের প্রবর্তিত এসব অযৌক্তিক গুরুত্বহীন কুফরী দিবসসমূহ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পালন করে থাকে। কিন্তু যার উসীলায় প্রকৃত শান্তি (রহমত) লাভ করা যাবে, যে দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল ...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে যারা ফতওয়া দেয়ার চেষ্টা করে তারা শুধু পথভ্রষ্টই নয়, বরং বদচরিত্রও

অনেক বাতিল ফিরক্বার দল বিশেষ করে কওমী-ওহাবীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বিপক্ষে বলতে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলিল না দিয়ে বরং পথভ্রষ্ট কওমীদের ‘জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া’ নামক প্রতিষ্ঠানের ফতওয়া বিভাগের একটি দলিল পেশ করে। অথচ উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো বাংলার যমীনে এক কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী তথা উলামায়ে সূ এবং বদচরিত্র। সে ব্যক্তিটি হচ্ছে মালানা আজিজুল হক শায়খুল হদছ। তার কথা ও আমলে মিল নেই, এই কথিত শায়খুল হাদীছ (হদছ) আজিজুল হক ১৯৯৯ সালে পর্দার পক্ষে তার এক বইতে সে নিজেই লিখেছে, “রং বেরংয়ের পোশাক, লিপস্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া আর বেশ্যাবৃত্তি করা সমান কথা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা।” আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা, ১৩৪ পৃষ্ঠা) অথচ কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী এই শায়খুল হদছ নিজেই তার ফতোয়ার বিপরীত আমল করেছে। তার বইতে পর্দার পক্ষে, নারী নের্তৃতের বিরুদ্ধে, বেপর্দা নারীদের সভা...