সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শরীয়ত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুওওয়াল: নবীজি মদীনা শরীফে তাশরীফ নিয়ে দু’ঈদ ব্যতীত সব ঈদ বাতিল ঘোষণা করেছেন - বিষয়টা কতটুকু সত্য?

সুওয়াল ৮ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দু’ঈদ ব্যতীত সব ঈদ বাতিল ঘোষণা করেছেন। সুুওয়াল ৯ : সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে দু’টি ঈদ- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ছাড়া আর কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই। জওয়াব : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দুইটি কুফরী দিবসসহ সমস্ত কুফরী দিবসকে বাতিল ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মুসলমানদের জন্য অন্যান্য বিশেষ দিবস বা আইয়্যামুল্লাহ বাতিল ঘোষণা করেননি।  এমনকি একথাও বলেননি যে, মুসলমান উনাদের জন্য দু’ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই। বরং তিনি মুসলমান উনাদের জন্য আরো অনেক বিশেষ দিন ও সময় সম্পর্কে ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন।  দলীল ‘নওরোজ’ বা নববর্ষ ও ‘মিহিরজান’ নামক ২টি কুফরী দিবস বাতিল করে মুসলমানদের জন্য ইয়াওমুল আদ্বহা ও ইয়াওমুল ফিতরের ঘোষণা : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِيْنَةَ وَل...

প্রসঙ্গ: সরকার কর্তৃক হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গ ও পিতৃপরিচয়হীন (জারজ) সন্তানদের বৈধতা প্রদান ॥ আসলে কি করা উচিত ছিলো ?

হিজরারা এক প্রকার শারীরিক প্রতিবন্ধী। সরকারের উচিত এদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনায় এনে পুণর্বাসন ও কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করা, যেন তারা হালাল উপায়ে রুজি রোজগার করে সমাজে সম্মানের সাথে বাস করতে পারে। প্রয়োজনে সরকার তাদেরকে ভাতা দিতে পারে। কিন্তু হিজরাকে পৃথক লিঙ্গ হিসেবে আলাদা স্বীকৃতি দিলে সমাজে নতুন ফিতনা সৃষ্টি হবে। বিদেশী এনজিও’র অর্থায়ন ও পরামর্শে হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গের আইনি স্বীকৃতি দান করা কখনোই উচিত হবে না। অন্যদিকে পিতৃপরিচয়হীনদের আইনি স্বীকৃতি দানের অর্থ হচ্ছে হারাম বা অবৈধ কাজে স্বীকৃতি প্রদান করা, এটা শরীয়ত অনুযায়ী কুফরী। এছাড়া অবৈধভাবে জন্ম হওয়া (জারজ) সন্তানকে আইনী বৈধতা দিলে ঐ সন্তানটিরও ভবিষ্যতে মানহানী সম্ভাবনা থাকে। তবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, জারজ সন্তানের পক্ষ থেকে গোপনীয় আবেদনে সরকার গোপনে তার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে সব কাজ করা শরীয়ত অনুসারে কখনোই ঠিক হবে না। এতে সমাজে ব্যভিচার, পাপকর্ম বৃদ্ধি পাবে। অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী-পুরুষরা অবৈধ মেলামেশায় উৎসাহ পাবে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটা সৃষ্টি হবে তা হচ্ছে- ৯৭ ভাগ ম...

ফতোয়া: সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার চূড়ান্ত ফায়ছালা মতে মরদুদ,মালউন, রজীম, যালিম কুলাঙ্গার ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী

পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ পবিত্র বংশের মানহানী করার ব্যর্থ কোশেশ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদেরকে নির্দয়ভাবে উৎপীড়ন করেছে। উনাদেরকে শহীদ করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! এর চেয়ে বড় কুফরী আর কি হতে পারে? সুতরাং যে বা যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বংশের প্রতি এরূপ মানহানীকর আচরণ করবে তাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ হতে লা’নত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট তাফসীরকার হযরত আল্লামা আলূসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুপ্রসিদ্ধ তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল মা’আনীতে’ পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন- وفى الحديث ستة لعنهم الله وكل نبى مجاب الدعوة المحرف لكتاب الله المكذب لقدر الله المتسلط بالجروت ليعز من اذل الله ويذل من اعز الله والمستحل من عترتى والتارك لسنتى. অর্থ: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ছয় ব্যক্তির বর্ণনা এসেছে যাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনা...