সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ইসলামী দিবস লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কাফিরদের প্রবর্তিত দিবস নয়, শান্তি পেতে হলে সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে

মুসলমানদের আজ এতো করুণ অবস্থা কেন? তারা শান্তির পথ ছেড়ে অশান্তির পথে চলছে অর্থাৎ  রহমতের পথ ছেড়ে গযবের পথ ধরেছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি মানব জাতির প্রকৃত শান্তি ও কামিয়াবীর সবচেয়ে সহজ পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর তা হলো রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ ফযীলতপূর্ণ দিবস পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আর মাত্র একদিনপর আমাদের একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ দিবস তথা পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, সে খবর কি মুসলমানদের আছে? তাহলে মুসলমানরা রহমত (শান্তি) পাবে কিভাবে? গাফিল মুসলমানদের জন্য আফসোস! কয়েকদিন আগে অনেকে অভিশপ্ত খ্রিস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বরের ছুটি উপভোগ করেছে, সম্প্রতি থার্টি ফার্স্ট নাইটে কাফিরদের অনুকরণে উৎসব করেছে এবং কাফিরদের প্রবর্তিত এসব অযৌক্তিক গুরুত্বহীন কুফরী দিবসসমূহ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে পালন করে থাকে। কিন্তু যার উসীলায় প্রকৃত শান্তি (রহমত) লাভ করা যাবে, যে দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করা যাবে, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল ...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং আজকের ঘোর বিরোধীদের পূর্বপুরুষেরাই এ দিবস পালনের ফযীলত বর্ণনা করেছেন আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যান্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন। শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলেমগণও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির নাম “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ”। বইটির লেখক দেওবন্দের র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী। বইটিতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের শীর্ষস্থানীয় ইমাম-খতীবগণের স্বহস্তে লিখিত স্বীকৃতি দেয়া আছে। বইটির বাংলাভাষায় অনুবাদও পাওয়া যায়। এখন কেউ বলতে পারে, তাহলে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পা...

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের ফাযায়েল ফযিলত

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন (পরবর্তী উম্মত) তোমরা যদি তদ্রুপ ঈমান আনতে পার তাহলে তোমরা হিদায়েত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার প্রত্যেক ছাহাবী তারকা সদৃশ্য; উনাদের যে কাউকে পরবর্তী উম্মত অনুসরণ করবে সে বা তারা হিদায়েত পেয়ে যাবে।’ সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকল মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উনাদের জীবনী মুবারক জানা, এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। সে উপলক্ষে সর্বত্র উনাদের জীবনী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে উনাদের জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা । যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস স...

হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদাহ।’ আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২০শে জুমাদাল উখরা। সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবিহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিন। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার সম্মানার্থে মাসব্যাপী উনার আলোচনা অর্থাৎ ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। যাতে মুসলমান উনার সম্পর্কে জেনে উনাকে মুহব্বত, তা’যীম, তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিল সমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার জিবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতা...