বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর সময় রাজকীয়ভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো!
১৫”শ ঈসায়ী সালেও আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে জাতীয়ভাবে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো যার বর্ণনা শুনে মনে হয় যে সেই উদযাপন বাদশা মালেক মুজাফরর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চাইতেও বেশি রাজকীয় ছিল!
বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত “বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস” বইয়ের ২য় খন্ডে ১৯৭ পৃষ্ঠায় তাকালে আমরা দেখতে পাইঃ
১) বাংলার মুসলমানগন অত্যান্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে ও ধুমধামের সাথে ঈদে মীলাদ পালন করতো।
২) নবাব এই দিনকে বিশেষ উৎসবের দিন হিসাবে পালনের ব্যবস্থা করেন।
৩) রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম ১২ দিন পালনের ব্যবস্থা করেন।
৪) এই উপলক্ষ্যে তিনি সম্পূর্ণ মুর্শিদাবাদ শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা আলোকমালায় সজ্জিত করতেন।
৫) ১ লক্ষ মানুষ শুধু আলোক সজ্জার কাজে নিয়োজিত থাকতেন।
৬) কামান গর্জনের মাধ্যমে সড়ক ও নদীপথ আলোকিত হয়ে উঠতো।
৭) মুসলমান শাসনকর্তাগণ ও জনসাধারণগণ এই বিরাট আয়োজনে শামিল হয়ে ঈদে মীলাদ পালন করতো।
৮) আওলাদে রসূল ও আলেমদেরকে নানারকম উপহার দেয়া হতো।
৯) রাজপ্রাসাদে রবিউল আউয়াল শরীফ মাসের ১ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত উলামায়ে কিরামদের মজলিস হতো।
১০) উলামায়ে কিরামগণ ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাদীছ শরীফ আলোচনা করতেন।
উপরোক্ত ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়, সেসময় এই্ উপমহাদেশে এত সমৃদ্ধশালী ছিলো তার মূল কারণ ছিলো এত মর্যাদার সাথে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন। সেসময় ১ টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেত। মানুষের কোন অভাব ছিলো না। মানুষজন সুখী ও সমৃদ্ধ ছিলো।
আর আজকে মানুষ এত আযাবে আছে তার কারণ কী?
কারণ হচ্ছে ব্রিটিশরা যাওয়ার সময় ওহাবী মতবাদ রেখে গেছে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করার জন্য। তারা এখন পবিত্র এই আমলকে বিদয়াত হারাম ফতোয়া দেয়। মানুষ যদি আবার সেই সমৃদ্ধি অর্জন করতে চায় তাহলে আবারো ঈদে মীলাদ পালন করতে হবে।
#90DaysMahfil || SM40.COM
পর্ব ২ এর লিংক: https://att-tajdeed.blogspot.com/2022/09/blog-post_23.html
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন