হিন্দু
থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হওয়া একজন নও মুসলিমকে তার হিন্দু থেকে
মুসলমান হওয়ার পেছনে কারণ জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো। প্রশ্নের জবাবে সে বলেছিলো-
নও মুসলিম লোকটি বললো, সে হিন্দু হলেও তার শ্রদ্ধেয় বাবার ক্ষেত্রে এ নির্মম ও অপমানজনক দৃশ্য সে সহ্য করতে পরেনি। তখন থেকে হিন্দু ধর্মকে সে ঘৃণা করতে থাকে। একসময় তার মুসলমানদের দাফন-কাফনের রীতি রেওয়াজ দেখার সুযোগ হলো। সে দেখলো কোনো মুসলমান মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে কতো সম্মানের সাথে দাফন-কাফন করা হয়। মৃত ব্যক্তি যতো খারাপই হোক, আর যতো গরিবই হোক, সবার জন্যই এই সম্মান।
লোকটি বললো, মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে যতœসহকারে গোসল দেয়া, আতর-খুশবু দিয়ে দেয়া, পরিষ্কার সাদা কাপড়ে কাফন পরানো, তার জন্য সম্মিলিতভাবে দোয়া (জানাযা) করা, এরপর সম্মানের সাথে ধীরে ধীরে কবরে রাখা ইত্যাদি এসব কিছু দেখে তার খুব ভালো লাগে এবং ইসলামের সৌন্দর্যে সে মুগ্ধ হয়। পরে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
প্রকৃতপক্ষে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামের প্রতিটা ক্ষেত্রেই অন্যান্য কথিত ধর্মের সাথে আকাশ পাতাল ব্যবধান পাওয়া যাবে, সৌন্দর্য, মাধুর্য, শান্তি খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি সে বুদ্ধিমান হয়, সুন্দর মনের অধিকারী হয় আর শান্তিপ্রিয় হয়। আর ধর্মান্ধ, গোঁড়া, সন্ত্রাসবাদী, বর্বর, যবন, মেøচ্ছ হলে কেউ ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবে না, বরং তার কুৎসিত মনের কারণে তার কাছে সৌন্দর্যটাকেই কুৎসিত মনে হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
-লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন