ঈদের আগে পোশাক শিল্পের শ্রমিক অসন্তোষ আর বিক্ষোভের খবরে সংবাদপত্রগুলো
গরম ছিলো। ঈদের আগে শ্রমিক আন্দোলনের খবরগুলো প্রকাশ্যে মিডিয়ার
দৃষ্টিভঙ্গি বা আন্দোলনের খবর নিয়ে মেতে উঠার চিত্র আর ঈদের পরে ‘দুই লক্ষ
শ্রমিকের ছাঁটাইয়ের খবর প্রকাশের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে খুব সহজেই বিচার করা যায়
যে, শ্রমিক আন্দোলন আর মিডিয়ার ভূমিকা ছিলো উস্কানিমূলক এবং এটা ছিলো একই
চক্রের চক্রান্ত। যদিও বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসের পেছনে কাজ করে যাওয়া
মহলগুলোর চূড়ান্ত টার্গেট হচ্ছে পাট শিল্পের মতো এদেশের পোশাক শিল্পও
চিরতরে ধ্বংস করে দেয়া, তথাপি দুই লক্ষ পোশাক শ্রমিকের বেকারত্ব তাদের অনেক
বড় একটা সাফল্য।
এখন কিন্তু সেই শ্রমিক আন্দোলনকারী সংগঠন, নেতৃবৃন্দ আর আন্দোলন উস্কে দেয়া মহলের কোনো সাড়াশব্দ নেই। আর ‘দৈনিক প্রথম আলোর’ মতো দালাল মিডিয়াগং, যারা শ্রমিক আন্দোলনে পালে হাওয়া লাগিয়েছিলো, তাদেরও এতোগুলো শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই।
মূলত, বেতন আদায়ের নামে আন্দোলন বানিয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়া, শ্রমিক অসন্তোষ লাগিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করাই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ, অশিক্ষিত শ্রমিক সেগুলো বুঝতে না পেরে ফাঁদে পা দিয়েছে। ভেবেছিলো মোশরেফা মিশু, প্রথম আলো পত্রিকা যেগুলো করছে সেগুলো কত মানবদরদী কাজ, শ্রমিকদের বেতন আদায় করতে কত কষ্টই না করছে তারা। অথচ এ দুষ্টচক্রগুলোকে যে বিদেশী কুচক্রীরা নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই জ্ঞানটুকু শ্রমিকদের বা সাধারণ মানুষের নাই।
এখন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ জাগিয়ে আন্দোলন লাগিয়ে যারা এতটুকু সফলতা অর্জন করলো তারা শয়তানের মতো অট্টহাসি দিচ্ছে। শ্রমিক ছাঁটাই করার অর্থই হলো উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে। এখানেও কুচক্রী মহলের সফলতা। তবে এসব আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীদের দমনে সরকারের ব্যর্থতায় এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এসব কুচক্রী মহলের মধ্যে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে। কেননা সরকার সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পারে কিন্তু শ্রমিক আন্দোলনের সমাধান দিতে পারে না- এটা বিশ্বাস করা যায় না।
লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
এখন কিন্তু সেই শ্রমিক আন্দোলনকারী সংগঠন, নেতৃবৃন্দ আর আন্দোলন উস্কে দেয়া মহলের কোনো সাড়াশব্দ নেই। আর ‘দৈনিক প্রথম আলোর’ মতো দালাল মিডিয়াগং, যারা শ্রমিক আন্দোলনে পালে হাওয়া লাগিয়েছিলো, তাদেরও এতোগুলো শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই।
মূলত, বেতন আদায়ের নামে আন্দোলন বানিয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়া, শ্রমিক অসন্তোষ লাগিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করাই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ, অশিক্ষিত শ্রমিক সেগুলো বুঝতে না পেরে ফাঁদে পা দিয়েছে। ভেবেছিলো মোশরেফা মিশু, প্রথম আলো পত্রিকা যেগুলো করছে সেগুলো কত মানবদরদী কাজ, শ্রমিকদের বেতন আদায় করতে কত কষ্টই না করছে তারা। অথচ এ দুষ্টচক্রগুলোকে যে বিদেশী কুচক্রীরা নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই জ্ঞানটুকু শ্রমিকদের বা সাধারণ মানুষের নাই।
এখন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ জাগিয়ে আন্দোলন লাগিয়ে যারা এতটুকু সফলতা অর্জন করলো তারা শয়তানের মতো অট্টহাসি দিচ্ছে। শ্রমিক ছাঁটাই করার অর্থই হলো উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে। এখানেও কুচক্রী মহলের সফলতা। তবে এসব আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীদের দমনে সরকারের ব্যর্থতায় এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এসব কুচক্রী মহলের মধ্যে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে। কেননা সরকার সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পারে কিন্তু শ্রমিক আন্দোলনের সমাধান দিতে পারে না- এটা বিশ্বাস করা যায় না।
লেখাটি দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় প্রকাশিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন